![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার নাম কামরুননাহার কলি, আমি একজন ভার্সিটির ছাত্রী। আমার সখ লেখালেখি আর বই পড়া। আমি দেশকে ভালোবাসি, ভালোবাসি দেশের মানুষদের।
বাঙ্গালী বড়ই অদ্ভুত। এদেশের ১০০% জনগণের মধ্যে ৮০% লোক খোজে নিজেদের লাভ হওয়াটা। দেশ বা জনস্বার্থে এদের কোন ভূমিকা নেই, কোন মাথা ব্যথাও নেই। তাই বেশির ভাগ বাঙ্গালী কাঙ্গালী অবস্থায় থেকে যায়। তবে বাঙ্গালী খুব বোকা, খুব চতুর, কিন্তু চালাক বা বুদ্ধীমান এই দুটোর কোনটাই না। এদের নাচেতে বললে নাচে, কাদঁতে বললে কাদেঁ, আবার হাসতে বললে হাসে।
কিছুদিন আগে পিয়াজের দাম নিয়ে বাঙ্গালী ডালে-চালে খুচিরী বানিয়ে ফেলেছে। তারপর কৃষকরা মাথা গরম করে অন্যান্য সব ফসল ফলন বাদ দিয়ে পিয়াজ চাষ শুরু করে দিয়েছে। কারণ পিয়াজ এখন বাজারে চাঙ্গায় আছে। কারণ কৃষকদের এখন ব্যাপক লাভ হবে। তারা ভাবলো হিরা রেখে কেনো কাচে হাত দিয়ে, হাত নষ্ট করবো। কিন্তু এখন কি হবে? ইন্ডিয়ারা তো আবার পিয়াজ দিচ্ছে। ঐ যে বললাম নাচাতে বললে নাচে, কাদঁতে বললে কাদেঁ, আবার হাসতে বললে হাসে। তাই পিয়াজ নিয়ে নাটক করে ইন্ডিয়ারা একটু বাঙ্গালীদের নাচালো। তবে কৃষক বেচারিদের কি হাল হবে এখন? অন্যান্য সব ফলস বাদ দিয়ে যে পিয়াজ রোপন করলো বেশি লাভের আসায়। আর আজ যদি ইন্ডিয়া পিয়াজ বাজারে ছাড়ে, তবে তো তাদের ব্যবসা লাটে উঠে যাবে। না পারবে বেশি দামে পিয়াজ বিক্রি করতে, না পারবে অন্যান্য ফসল বাজারে ছাড়তে। এতো বড় বড় ক্ষতিটা এখন কাদের হলো নিশ্চয় বাঙ্গালীর।
তাই বাঙ্গালী বড় অদ্ভুত টাইপের। ইন্ডিয়া যখন পিয়াজ দিচ্ছে না তখন কেনো বাঙ্গালী কাঙ্গালী হয়ে লাফিয়ে উঠলো। এরা কি পারতো না ইন্ডিয়ার পিয়াজ ছাড়া বেচে থাকতে। দেশে যা মজুত ছিলো তা দিয়ে কি নিজেদের রক্ষা করতে পারতো না? কেনো সেই পিয়াজ নিয়ে বাঙ্গালী নাটক করলো? কি দরকার ছিলো এতো নাটক করার? যেটুক মজুত ছিলো, যা অন্যান্য দেশ থেকে মজুত করা হয়েছে সেগুলো দিয়েই তো আমরা আমাদের রক্ষা করতে পারতাম, পারতাম না? দেশে বিপদ হলে আমরা নিজেরা কেনো এক হতে পারি না? এক হয়ে হাতে হাত রেখে জাপিয়ে পড়তে পরি না? কেনো পারিনা সামান্য একটু বিপদের হাত থেকে আমরা নিজেরা নিজেদের রক্ষা করতে?
কিসের এতো লোভ আমাদের, কেনো এতো লালসা আমাদের, কেনো আমরা একে অন্যে পরিপূরক হতে পারিনা। সামান্য কটা লাভেল আসায়, সামান্য কিছু অর্থের আসায় আমরা একে অন্যের সাথে অন্যায় করি। আমরা কি পারতাম না পিয়াজের দাম কমিয়ে দিতে, সবাই পিয়াজ খেতে পারে সেই ধরনের ব্যবসা কি আমরা করতে পারতাম না। এরপর কেনো আবার ইন্ডিায় থেকে পিয়াজ আসতে দেওয়া হবে? এখন তো কৃষকরে ক্ষতি হবে, দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হবে।
বিশ্বে এখন করোনা ভাইরাসের আক্রমণ। মাত্র দু’দিন হলো না বাংলাদেশে করোনা প্রবেশ করেছে। তার মধ্যে ব্যবসায়ীকদের লোভ বেরে গেছে। এই উছিলায় সবাই লাভ খোজে, কিভাবে লাভ হবে সেই অপেক্ষায় আছে। কিন্তু কেউ নেই! কেউ নেই যে, কি ভাবে এই বিপদ ঠেকাবে, কিভাবে জনগণ রক্ষা করবো। ডাক্তার দেখাবেন, হাসপাতালে যাবেন, অষুধ কিনবেন, মাস্ক কিনবেন এসব ব্যবসায়ীদেরই এখন বাজারে চড়া দাম।
এই করোনা ভাইরাসের উছিলায় এখন মাস্ক ব্যবসায়ীদের দাম বাজারে এখন আগুন হতে শুরু করেছে। ১০ টাকা মাস্ক ১২০ টাকা, ৫ টাকার মাস্ক ৬০ টাকা। আবার কখন যেনো হয়ে যায় ২০০ টাকা দাম হয়ে যাবে। আমরা এতো লোভি!! আমরা এতো নিচ!! সামন্য কিছু টাকা লোভ সামলাতে পারিনা। আর বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে কত ধরনে পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর সব থেকে বড় প্রমাণ হলো জাপান। জাপান চীনা প্রসিডেন্টের সফর স্থগিত করে দিয়েছে, তার শরীরে যদি ভাইরাস নিয়ে জাপান সফরে যায়। ভুটান সামান্য ছোট দেশ, বাংলাদেশ থেকেও কম উন্নত মানের দেশ সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী জনগণের জন্য স্যানিটাইজার বিলি করছেন। আর আমাদের দেশে সামান্য মাস্কের টাকা দিয়েও পেট পুরবে।
আসলে এগুলো কোন ছোট-খাটো ব্যবসায়ীকদের দোষ না। এগুলোর পিছনেও গ্যাং আছে। এই গ্যাংরা জনগণকে নাচাবে আর জনগণও নাচবে। কিন্তু এর কোন প্রতিকার, প্রতিরোধ বা প্রতিবাদও করতে পারবে না। বিপদ থেকে উদ্ধার করা তো দূরের কথা এই নাটকের সামনে দিয়েও কেউ হেটে যাবে না। তাই বাধ্য হয়ে জনগণকে এই নাটক দেখতে হবে, আর আল্লাহর কাছে পানহার চাইবে। যেমনটা পিয়াজের বেলাও হয়েছে। অতি চালাকের গলায় দড়ি পরেছে ব্যবসায়ীকদের। এখন যদি ইন্ডিয়ান পিয়াজ আসে তবে পিয়াজ চাষের কৃষকদের কি হাল হবে সেটা ইন্ডিয়ার পিয়াজ আসলেই বুজতে পারবে।
১০ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫৪
কামরুননাহার কলি বলেছেন: আর আমরাও সেই বাস্তবতার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছি। নিজেরাই নিজেদের রক্ষার করতে পারছি না।
২| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: বাঙ্গালী অদ্ভুত। তারচেয়ে বেশি নির্বোধ।
১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৩
কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম তাই, আজ বাংলাদেশ নির্বোধের কারণের বেশি ধ্বংস হচ্ছে।
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: চরম বাস্তবতা প্রকাশ।
১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৪
কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম, হয়তো আমরা এর থেকে কখনো বের হতে পারবো না, আমাদের এই নির্বোধের কারণে।
৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। আপা কিছুই বলা যায় না এই দেশে
১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৫
কামরুননাহার কলি বলেছেন: ঠিক বলছেন আপি, কিছুই বলতে পারি না আমরা এই স্বাধীন দেশে।
৫| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১০
সাগর শরীফ বলেছেন: জবাব ওদেরও দিতে হবে! একথাটাই শুধু ওরা মনে করে না!
১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৬
কামরুননাহার কলি বলেছেন: জবাব তো একদিন দিবেই ।
৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪
শের শায়রী বলেছেন: এই কথাটাই আমিও পোষ্ট দিয়ে বলছি বোন।
১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৬
কামরুননাহার কলি বলেছেন: হ্যা ভাইয়া দেখলাম।
৭| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬
একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট । আল্লাহু সবার বিবেককে সজাগ করে দেয় যেন ।
১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৭
কামরুননাহার কলি বলেছেন: একদিন দিবেই সেই দিন আর তারা সুযোগ পাবে না।
৮| ১০ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ৭৫ এর পর থেকে বাংলা অদ্ভুত আর নির্বোধ হতে শুরু করেছে।
আর গত এক যুগ ধরে বাঙ্গালী অমানবিক আর অমানূষ হতে শুরু করেছে।
১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৭
কামরুননাহার কলি বলেছেন: হতে পারে।
৯| ১০ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বাঙালীরা বিচিত্র।
১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৮
কামরুননাহার কলি বলেছেন: তাও হতে পারে।
১০| ১০ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩১
জাহিদ হাসান বলেছেন:
১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৮
কামরুননাহার কলি বলেছেন:
১১| ১০ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বাঙ্গালী প্রতিটা ব্যবসায়িই এক একজন কফিন ব্যবসায়ি। সারাদিন মানুষ মরার জন্য আল্লা আল্লা করে!!
১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৯
কামরুননাহার কলি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
১২| ১০ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: আসুন বড় করে, ঘটা করে মুজিব বর্ষ পালন করি।
বাইরে থেকে যেন বিদেশীরা আসতে পারে সেইজন্য করোনা'র প্রবেশ তথ্য নাকি গোপন করে রাখা হয়েছিল।
১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১১
কামরুননাহার কলি বলেছেন: আসুক, ছড়াক, করো না, যদি আছে, মুজিব বর্ষ পালন করতে হলে সবার আগে হাত মিলাবে তাদের সাথেই। আমরা সাধারণ পাবলিক আমাদের সাথে তো আর হ্যাডসেক করবে না। তাই আমাদের আগে কিছু হবে না ইনশাল্লাহ।
১৩| ১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭
রাশিয়া বলেছেন: সার্জিকাল মাস্ক আসলে কোন সুরক্ষাই দেয়না। এই মাস্ক তৈরি হয়েছে সার্জনদের জন্য। সার্জারির সময়ে কথা বললে যেন থুতু না ছেটে, তাই। ভেতরের সাদা ফেব্রিকটি থুতু শুষে নেয়। বাইরে বেরুলে এই মাস্ক কোন কাজেই লাগেনা। একটা সাদা গোল এয়ার ডিসপেন্সার যুক্ত যে মাস্ক আমরা ব্যবহার করি, সেটি ধুলাবালি আটকায় কিন্তু স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাসে বিঘ্ন সৃষ্টি করে দীর্ঘমেয়দী স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলে। হ্যান্ড সানিটাইজার যারা ঘরে থাকে এবং কোন কিছু হাত দিয়ে ধরেনা - তাদের কাজে লাগে।
এই জিনিসগুলির জন্য ফার্মেসীর ভিড় বাড়ানোর কোন মানেই হয়না।
১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২১
কামরুননাহার কলি বলেছেন: ভাইয়া এটাই তো বাঙালীর নাটক, আর অসাধু ব্যবসা।
১৪| ১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যেমন হুজুগে বাংলাদেশী, তেমন লোভী ব্যবসায়ী। এসব ভালো চেহারার ব্যবসায়ীগুলোরে যদি জেলে ঢুকানো যেত তাহলে অন্যরা লোভ কমিয়ে দিত...
১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২০
কামরুননাহার কলি বলেছেন: জেল!! যারা জেলে দিবে তারা টাকা পেলেই কাম শেষ।
১৫| ১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
ফয়সাল রকি বলেছেন: আমরা হুজুগে বাঙালি, তাই আমরা কয়েক কেজি করে লবণ কিনে বাড়ি ফিরি।
১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
কামরুননাহার কলি বলেছেন: এটাই, জানিনা এই হুজুগে বাঙালীরা কত দিন টিকে থাকে।
১৬| ১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৪
রাজীব নুর বলেছেন:
১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৭
কামরুননাহার কলি বলেছেন: হাহাহা দাদাকে সবার মালা পড়ানো উচিত।
১৭| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সব বাঙ্গালী স্বার্থপর নয় ভালও আছে অনেকে। আপনার সাথে তাদের সাক্ষাত হয়নি। আপনি বড় দুর্ভাগা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বাস্তবতার চরম প্রকাশ।