ভোটের বাজার!

১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

ভোটের বাজারে আমার অবস্থা এখানে ‘আমাগো দ্যাশের গুড়া পোলাপানের’ মতোন। ওরা যেমন ভোটের মিছিলে ‘আমি যদি ভোটার হইতাম, অমুক মার্কায় ভোট দিতাম’ শ্লোগান দেয়, সুইডেনের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আমিও ইচ্ছা করলে এই শ্লোগানটা দিতে পারি।

ভোটার না হলেও সাধারণ কৌতূহলবশেই ভোটের ব্যাপারে অনেকের সাথে আলাপ করে ‘হাওয়া’ বোঝার চেষ্টা করছি। যতদূর বুঝলাম তাতে মাইগ্রেশন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশ, বয়স্ক সেবা, ও আইন-শৃঙ্খলার মতো নাগরিক বিষয়গুলোই এবারের নির্বাচনে মূল আলোচ্য বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলোও বিতর্ক ও প্রচারে এই বিষয়গুলোর ওপর তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মসূচী নিয়ে জনগণের কাছে যাচ্ছে।

ইদানীংকালের অনেক জনমত জরিপেই এখনকার ডানপন্থী দলের ভোটবৃদ্ধির বিষয়টা বেশ লক্ষণীয়। এই নিয়ে কয়েকজন সমঝদার ভোটারের সাথে সেদিন আলাপ হচ্ছিলো যাদের মধ্যে ডানপন্থী দলের এক সমর্থকও ছিলো (অন্য অনেকেই এদের রেসিস্ট বা জাতিবিদ্বেষী বলে থাকে।)

ডানপন্থী দলের ভোটার বৃদ্ধির কারণ জিগ্যেস করাতে উত্তর পেলাম “এদের বিশেষ কিছুই করতে হচ্ছে না, অন্য সবাই যা করছে তাতেই নাকি এদের ভোট বাড়ছে!” এরপরেই যোগ “এরা ভদ্রলোকের এক জবানে বিশ্বাসী, সকালে এক কথা আর বিকালে অন্য কথা বলার স্বভাব এদের কম। এদের নেতার দাঁতও এখন বেশ পরিষ্কার!” দাঁত পরিষ্কার বলতে মুখের পরিচ্ছন্ন ও সাবলীল কথাকে বুঝিয়েছে।

যাহোক, কথা প্রসঙ্গে একজন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে আমি সংক্ষেপেই জবাব দিলাম যে “প্রাচীন গ্রীসের এথেন্সে জন্ম নেয়া সেই গণতন্ত্র বাংলাদেশে এখন তার মানসকন্যার কাছেই আছে। কন্যার কাছে মায়ের তো ভালোই থাকার কথা, তোমরা কি বলো?”

ওরা কি বুঝলো জানিনা তবে চোখে কেমন এক সন্দেহ ভাব দেখলাম। আমার আর কি করার, লোকে যেখানে মুখের বুলিরই পরোয়া করে না, চোখের ভাষা ও মনের কথা নিয়ে আমার না ভাবলেও চলবে...!

ছবিটা অনেক বছর আগে সুইডেনের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে তুলিছিলাম।

১ টি +০/-০