ওয়ান পিছ মেড, কারিগর ডেড!

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

“ওয়ান পিছ মেড, কারিগর ডেড” কথাটা ফাইজলামির সুরে অনেকবারই শুনেছি তবে এর মানে কাল আবারো মালুম হলো!

সব আবহাওয়াতে পড়া যায় এমন জ্যাকেটের খোঁজে কাল এখানকার এক আউটলেট এরিয়াতে গিয়ে জ্যাকেট পাওয়া যায় এমন কিছু দোকানে ঢুঁ মেরে পছন্দের কিছুই পেলাম না। অবস্থা এই যে ‘সাইজ মেলে তো রঙে চলে না, রঙে চলে তো মানে যায় না, মানে যায় নামে আসে না, আর নামে যদিওবা আসে তবে সেটা দামে পোষায় না!’

আমার জন্য এক্ষেত্রে এসব মেলা জরুরী কেননা “আপকা রুচি মে খানা, পরকা রুচি মে পেহেননা” কথাটা আমার ক্ষেত্রে উল্টা, আমি নিজের রুচিতে পড়তে ও পরের রুচিতে খেতেই বেশি পছন্দ করি!

শেষমেশ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রকমারি কাপড়চোপড় পাওয়া যায় এমন এক দোকানে গিয়ে পছন্দের সাইজ, রঙ, নাম ও দামে কয়েকটা জ্যাকেট একসাথে দেখে ঈদের চাঁদ দেখার মতো আনন্দ পেলাম। তবে সমস্যাটা এবার অন্য, কোনটা রেখে কোনটা নেব? ইংরেজিতে যাকে বলে ‘স্পয়েলড ফর চয়েজ।’

জ্যাকেট ট্রায়াল দেয়া খুবই সহজ কেননা এতে ঘুপচি ঘরে (ট্রায়াল রুমে) গিয়ে ‘ঢোকা, খোলা, পড়া, দেখা, বের হওয়া, ঢোকা, খোলা, পড়া’ ইত্যাদির বালাই নেই। স্পট ট্রায়ালে তাই আমি মনের সুখে, সময় নিয়ে ‘পড়া, দেখা’ চালাতে লাগলাম।

আমার ‘এহেন সুখের’ ভাগ নিতেই বোধহয় দোকানদার এগিয়ে এসে কোনো সাহায্য লাগবে কি না জানতে চাইলে আমি ভালো ক্রেতার মতোই খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে ডিজাইন, ম্যাটেরিয়াল, ইতিহাস ইত্যাদি জেনে নিলাম।

একপিছ থাকার বিষয়টি জানতে চাইলে দোকানদার বলে যে এগুলো স্যাম্পলের বিধায় ‘ওয়ান পিছ মেড।’ মাথায় ক্লিক করলেও মুখে অবশ্য বলি নাই, তবে কি ‘কারিগর ডেড?’

২ টি +০/-০