![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কামরুল হাসান, সাধারন সুখী জীবনের আপাদমস্তক এক বাঙ্গালী, আপাতত প্রবাসী। জীবিকার তাগিদে কাজ করি আর জীবনের তাগিদে ব্লগ লেখি, বইপড়ি, নন টুরিস্টিক ঘোরাঘুরি করি ও মানুষের সাথে মিশি। বাংলাদেশ থেকে গ্রাজুয়েশনের পর ইন্ডিয়া ও জার্মানিতে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতকোত্তর করে এখন সুইডেনে বহুজাতিক এক টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি।
ছোট ও বড় কর্ম মিলিয়ে একজন মানুষ দৈনিক ছয় থেকে আটবার টয়লেট করে। এটা আমার কথা না, ওয়াল্ড টয়লেট অর্গানাইজেশনের তথ্য মতে একজন মানুষ বছরে গড়ে দুই হাজার পাঁচশো বার টয়লেট করে। যে কারো বয়সের সাথে এই গড় গুণন করলেই তার মোট হিসাব পাওয়া যাবে, এমনকি চাইলে সময়ের হিসাবও বের করা সম্ভব। সে যাই হোক, আমার জীবনের লক্ষবারের মধ্যে দুইটার স্মৃতি এখনো উজ্জ্বল;
ভালো অভিজ্ঞতার দিকে নাম্বার ওয়ান, অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় মোজার্টের সুরের মূর্ছনায় অত্যাধুনিক স্টেট অফ আর্ট টয়লেট ব্যবহার, সেটাও আবার পয়সা ছাড়া। বলে বোঝানো যাবে না, এমনই সেই আমেজ!
খারাপ অভিজ্ঞতার দিকে নাম্বার ওয়ান, আমাদের দেশে ময়মনসিংহ শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের এক গনশৌচাগার ব্যবহার, সেটাও আবার পয়সা দিয়ে। বলে বোঝানো যাবে না, এমনই সেই অনুভূতি!
খারাপ অভজ্ঞতার দিকে এতদিনে টয়লেট নাম্বার-টু পেয়েছি, সেটা এখানকারই এক দ্বীপে থাকা ছবির এই গনশৌচাগার। কর্ম সম্পাদনের বিস্তারিত বর্ণনায় না গিয়ে বরং উদহারন দেয়া যাক; একসাথে বেড়াতে যাওয়া দুই কলিগ আমাকে টয়লেটের কথা জিগ্যেস করাতে বলেছিলাম ‘একান্ত ব্যধ্য না হলে ওখানে যেও না। ফেরার সময় বরং ঘাটে বা ফেরীতে ব্যবহার করো।’
এদের মধ্যে একজন এই টয়লেট ব্যবহার করতে গিয়ে ফিরে এসে নিজ দায়িত্বেই আমাকে জানায় যে “তুমি ঠিকই বলেছিলে, ওখানে ঢোকাটাই চরম ভুল।”
অন্যজন এই টয়লেটে ব্যবহার করতে গিয়ে ফিরে এসে ট্যুরের বাকি সময় আমার সাথে তেমন কথা বলে নাই, সম্ভবত অভিমানবশত। ভাবখানা এমন যে আমি কেন জেনেশুনে তাকে ঠেকাই নাই!
সাধে কি আর জ্ঞানীরা বলেন, বাইরের রূপ দেখেই মজে যাওয়া ঠিক না, অন্দর কি বাত কুছ আলাগ হো সাকতা।
©somewhere in net ltd.