![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কামরুল হাসান, সাধারন সুখী জীবনের আপাদমস্তক এক বাঙ্গালী, আপাতত প্রবাসী। জীবিকার তাগিদে কাজ করি আর জীবনের তাগিদে ব্লগ লেখি, বইপড়ি, নন টুরিস্টিক ঘোরাঘুরি করি ও মানুষের সাথে মিশি। বাংলাদেশ থেকে গ্রাজুয়েশনের পর ইন্ডিয়া ও জার্মানিতে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতকোত্তর করে এখন সুইডেনে বহুজাতিক এক টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি।
সুইডেন অতি উন্নত দেশ সত্যি, তবে নির্বাচনের বিষয়ে এরা আমাদের দেশ থেকে পিছিয়েই আছে বলা যায়।
এই যেমন;
এদের দেশে ক্ষেত্র বিশেষে প্রক্সি ভোটের নিয়ম আছে, অর্থাৎ শর্তসাপেক্ষে একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারে। আমাদের দেশে এ আর নতুন কি? একজনের ভোটতো অনেকসময়ই আরেকজন দেয়, শর্ত ভি লাগে না!
এদের দেশে আগাম ভোটের নিয়ম আছে, অর্থাৎ ভোট ক্যাম্পে গিয়ে যে কেউই পরিচয়পত্র দেখিয়ে আগাম ভোট দিতে পারে। এ আর এমন কি? আমার দেশেও আগাম সিল মারা ব্যালটের বান্ডিলের ছবি পত্রিকাতেও দেখা যায়!
এদের দেশে ক্যাশলেস ইকোনমি অর্থাৎ বেচাকেনা ও লেনদেনে টাকাপয়সার ব্যবহার সম্পূর্ণ উঠিয়ে দেয়ার কথা বললেও নির্বাচনের ব্যাপারে এরা আদ্যিকালের সেই ব্যালট পেপারেই আছে। অথচ আমাদের দেশে দেখেন? নির্বাচন কমিশন কেমন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সম্প্রতি ইভিএম অর্থাৎ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের উদ্যোগ নিয়েছিলো!
কথিত আছে যে বিপ্লবের আগের শেষ ফরাসি রানী দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষিতে বলেছিলেন ‘মানুষ রুটি পায় না তো কি হয়েছে? কেক খেলেই পারে!’
আমাদের দেশের বিষয়টা এরকমই, গণতন্ত্রের তাইরে-নাইরে তো কি হয়েছে? নির্বাচন তো আছে?
©somewhere in net ltd.