নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Learner

কাল্পনিক জুবাই

শিক্ষার্থী

কাল্পনিক জুবাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই বর্ষা,সেই বর্ষা

২১ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:০২

বর্ষা এসে গেছে,ঢাকার রাস্তার জলাবদ্ধতা দেখে বুঝতে হলো।যদিও ঢাকায় বর্ষা ছাড়াও অন্য যেকোনো সময়ের সামান্য বৃষ্টিতেও জলাবদ্ধতা দেখা যায়।কিন্তু সে কথা বলতে চাই না।ঢাকার বর্ষা দেখে মনে পড়ে গেলো গ্রামে রেখে আসা শৈশবের সেই সব বর্ষার দিন গুলো।
টিনের চালে কখন ও ঝম ঝম,কখন ও ঝিম ঝিম করে বৃষ্টি।কাঁথা-কম্বলের নিচে ফেলুদা,তিন গোয়েন্দা নিয়ে কেটে যেতো কত বর্ষা। এ সময় 'আউটবই' প্রকাশ্যেই পড়া যেত কেননা মায়ের কাছে অন্যান্য দিনে বৃষ্টিতে ভিজে খেলাধুলার চেয়ে লক্ষ্মী ছেলে হয়ে অন্তত ঘরে বসে বই তো পড়ছি!!
কখন ও খিঁচুড়ি খেয়ে সবাই মিলে বসে যেতাম লুডু খেলতে।ঝম ঝম বৃষ্টির তালে তালে জমে উঠত খেলা।
প্রায় বৃষ্টিতে ভিজে সমবয়সি বন্ধুরা মিলে ফুটবল খেলতাম।ফুটবল তো নয় জাম্বুরার কিংবা নেকড়া-প্লাস্টিক পেঁচিয়ে বলের মত করে তৈরি আমাদের 'ফুটবল'।বৃষ্টিতে ভিজে, কাঁদা মাখামাখি করে মহা উৎসবে চলতো সেই খেলা।তখন জ্বর-সর্দি ও হতো না সহজে।খেলা শেষে সবাই হৈ-হুল্লোর করে পুকুরে গোসল করতাম।বৃষ্টির সময় পুকুরের পানি কি সুন্দর কুসুম-কুসুম গরম হতো।পুকুরেও চলতো নানান খেলা!!
.
আর ঢাকার বর্ষা?
পাঁচ তলার এক কক্ষে থাকি আমরা তিন জন।একটা মাত্র জানালা,যা ও দিন রাত সবসময় থাকে বন্ধ।জানালার ওপারে বারাদা পেরিয়ে কখন বৃষ্টি আসে আর কখন শেষ হয় কিছুই জানতে পারি না।আরো দুই তলা উপরে কংক্রিটের ছাদে বৃষ্টি যে কি কষ্ট নিয়ে পরে জানতে পারি না কখনও।
বাড়ি ওয়ালার বদৌলতে ছাদে যাওয়ার,আকাশ দেখার কিংবা 'বৃষ্টি বিলাস'এর বিলাসিতারও সে সুযোগ নেই।তাই তো ঢাকার বর্ষা চিনতে হয় রাস্তার জলাবদ্ধতায়।কোনো ভাবে বৃষ্টিতে ভিজলেই ঠান্ডা লেগে যায়, ধরে যায় জ্বর-সর্দি!
আহা গ্রামের বর্ষা,
আহা সেই শৈশব!
ফিরে কি পাবো আর?

মুহাম্মদ জোবায়ের ইসলাম,
উত্তর ধানমন্ডি

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.