নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাল্পনিক আমিত

ছোট ছোট ভাল কাজ দিয়ে নিজেকে বড় মাপের মানুষ করা যায়। তবে তুমি শুধুমাত্র বড় মানুষ হবার জন্য ভাল কাজ করও না ।

কাল্পনিক অমিত

আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ । আমি বলি অতি সাধারণ কথা । কারো মনে আঘাত দিতে চাইনা। সত্য কথা বলতে ভালবাসি। পরে সময় হলে আরও কিছু জানবো।

কাল্পনিক অমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নতুন প্রজন্ম কাদের দিবেন?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

এবারের সংসদ নির্বাচন আসতে বাকি আছে আর মাত্র ১ বছর। অথচ দেশের নির্বাচনী অবস্থা কোন দিকে গড়িয়ে চলছে তা বুঝতে পারছে না আমাদের নতুন প্রজন্মের ভোটাররা। বিগত নির্বাচনে আওয়ামী-লীগ অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগনের মন জয় করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছিল। তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তরুণ প্রজন্মের আশা বাংলাদেশের সকল যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার কাজ শেষ করা হোক। বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজের জন্য জন সমর্থন পাচ্ছে। কিন্তু বিপরীত দিক থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে। আবার সেই সব কর্মসূচীতে বন্ধু দল হিসাবে বিএনপি নৈতিক সমর্থন দিচ্ছে। যা দেখে আজ তরুণ প্রজন্ম অবাক! মাঠে ময়দানে বিএনপি বলছে যুদ্ধাপরাধীদের সঠিক ভাবে বিচার করা হোক। কিন্তু তরুণ প্রজন্ম অবাক হয় যখন এই যুদ্ধাপরাধীদের বাচানোর জন্য জামায়াত-শিবিরের হরতালে বিএনপি সমর্থন করে। মুখে এক কথা আর কাজে অন্যটা এটা তরুণ প্রজন্ম মেনে নিতে পারে না।

অপরদিকে আওয়ামী-লীগ সরকার দেশের সব জায়গাতে দলীয় করণ, তাদের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের কারণে ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। বিশ্বজিৎ হত্যার বিষয়টা জনমনে নিরাপত্তা নিয়ে শংকা সৃষ্টি করেছে। এছাড়া আওয়ামী সরকারের নির্বাচনী ইশতিহারে ছিল দ্রব্য মূল্যের দাম কম রাখবে। কিন্তু এখন ক্ষমতার সময় শেষের দিকে দ্রব্য মূল্যের দাম বেশি করে জনগণকে অনেক সমস্যার মাঝে ফেলে দিয়েছে। অভিযোগ আছে কৃষক তার সঠিক উৎপাদন খরচ টুকুও পর্যন্ত পাচ্ছে না। জ্বালানি তেলের দাম বেশি করে দিয়ে সরকার তরুণ প্রজন্ম এবং অধিকাংশ জনগনের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এমনকি সরকার সাধারণ মানুষের জীবনের এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিতে পারেনি। সুতরাং আমরা বলতে পারি আওয়ামী সরকার এই দিক থেকে সফলতা দেখাতে পারেনি।

সরকারের যেমন অনেক সফলতা আছে তেমনি অনেক দিক থেকে সফল হতে পারেনি। কিন্তু সরকার যে সব দিক থেকে সফল হতে পারেনি সে সব দিক গুলোই জনগনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আওয়ামী সরকারের উচিত এখন তাদের জনপ্রিয়তা বজায় রাখতে- দ্রব্য মূল্য এবং জ্বালানি তেলের দাম জনগনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা, সাধারণ মানুষের জীবনের এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দুর্নীতি বন্ধ করা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য শেষ করা, পদ্মাসেতু নিয়ে কাঁদা ছোড়া ছোড়ির খেলা বন্ধ করা এবং দেশ ও জাতির জন্য সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ বন্ধ করা।

অপরদিকে বিএনপি যদিও যুদ্ধাপরাধীদের সঠিক বিচার চাইছে কিন্তু সে যুদ্ধাপরাধী কারা তা তরুণ প্রজন্ম কেন বাংলাদেশের অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধারাও জানে না। বিএনপি’র জনপ্রিয়তা যদিও আছে তবু তা ক্ষয় হচ্ছে তাদের বন্ধু প্রিতির কারণে। বিএনপি যদি এখনই জামায়াত-শিবিরের সঙ্গ ত্যাগ না করে তাহলে বিএনপি একমাত্র যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজে বাধাগ্রস্থ করার কারণেই আগামী নির্বাচনে জন সমর্থন হারাবে। তরুণ প্রজন্ম চাই বিএনপি প্রভাবিত না হয়ে নিজেদের আদর্শ নিয়ে জনগনের কল্যাণে কাজ করবে এবং জামায়াত-শিবিরের সঙ্গ ত্যাগ করে যুদ্ধাপরাধীদের সঠিক বিচার কাজে সরকারকে সহায়তা করা। এতে তরুণ প্রজন্মের কাছে বিএনপির জনপ্রিয়তা বাড়বে।

সর্বোপরি বলা যায় তরুণরা খুঁজে নিবে তাদের যারা দেশ পরিচালনার জন্য মেধাবী। নামে রাজনীতি আর কর্মে দুর্নীতি এই সব তরুণ শিক্ষিত প্রজন্ম বুঝতে শিখেছে। বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় একটি দেশ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে পশ্চিমা বিশ্বে। অচিরেই সকল অপরাধ মূলক কাজ বন্ধ করে সঠিক নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নত করা উচিত সকল রাজনৈতিক দলের। আর মেধা শুন্য রাজনীতিকদের উচিত রাজনীতি থেকে দেশের স্বার্থে অবসর গ্রহণ করে যোগ্য ব্যক্তিদের সুযোগ করে দেওয়া। তাহলেই তরুণ প্রজন্ম বেছে নিবে সঠিক শিক্ষিত, মেধাবী সরকার যে সরকার দ্বারা দেশ ও দশের ভাগ্য পরিবর্তন হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.