![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা ধর্মের প্রাচীর
''আইসিস সহিহ মুসলমান না'' এই চিৎকার শুনতে শুনতে ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে শরণাপন্ন হলাম ''পবিত্র'' কুরানের।
দেখা যাক কুরআন কি ব্যবস্থা নিতে বলে নাস্তিক/কাফিরদের বিরুদ্ধে।
১) সূরা বাকারা (আয়াত ১৯১-১৯৪)
১৯১
আর তাদেরকে হত্যা কর যেখানে তাদেরকে পাও এবং তাদেরকে বের করে দাও যেখান থেকে তারা তোমাদেরকে বের করেছিল। আর ফিতনা হত্যার চেয়ে কঠিনতর এবং তোমরা মাসজিদুল হারামের নিকট তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করো না, যতক্ষণ না তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সেখানে লড়াই করে। অতঃপর তারা যদি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, তবে তাদেরকে হত্যা কর। এটাই কাফিরদের প্রতিদান।
১৯২
তবে যদি তারা বিরত হয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
১৯৩
আর তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যে পর্যন্ত না ফিতনা খতম হয়ে যায় এবং দীন আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। সুতরাং তারা যদি বিরত হয়, তাহলে যালিমরা ছাড়া (কারো উপর) কোন কঠোরতা নেই।
১৯৪
হারাম মাস হারাম মাসের বদলে এবং পবিত্র বিষয়সমূহ কিসাসের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে তোমাদের উপর আক্রমণ করেছে, তোমরা তার উপর আক্রমণ কর, যেরূপ সে তোমাদের উপর আক্রমণ করেছে। আর আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে আছেন।
২) সূরা মায়েদা আয়াত ৩৩
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।
৩) সূরা তাওবা আয়াত ৫
কিন্তু যখন নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হবে, তারপরে যুদ্ধ কর, এবং মুশরিকদের যেখানে পাও হত্যা কর এবং তাদের বন্দী কর, তাদের অবরোধ কর শত্রুকে [যুদ্ধে] ফাঁকি দেয়ার জন্য ওঁৎ পেতে অপেক্ষা কর। কিন্তু যদি তারা অনুতপ্ত হয়এবং নিয়মিত সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয়, তবে তাদের পথ ছেড়ে দেবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।
৪) সুরা তাওবা আয়াত ২৯
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
৫) সূরা নিসা আয়াত ৯১
এখন তুমি আরও এক সম্প্রদায়কে পাবে। তারা তোমাদের কাছেও স্বজাতির কাছেও এবং নির্বিঘ্ন হয়ে থাকতে চায়। যখন তাদেরকে ফ্যাসাদের প্রতি মনোনিবেশ করানো হয়, তখন তারা তাতে নিপতিত হয়, অতএব তারা যদি তোমাদের থেকে নিবৃত্ত না হয়, তোমাদের সাথে সন্ধি না রাখে এবং স্বীয় হস্তসমূহকে বিরত না রাখে, তবে তোমরা তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। আমি তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে প্রকাশ্য যুক্তি-প্রমাণ দান করেছি।
৬) সূরা নিসা আয়াত ৮৯
তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিয়ো না।
৭) সুরা আনফাল আয়াত ১৭
সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি, বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তুমি মাটির মুষ্ঠি নিক্ষেপ করনি, যখন তা নিক্ষেপ করেছিলে, বরং তা নিক্ষেপ করেছিলেন আল্লাহ স্বয়ং যেন ঈমানদারদের প্রতি এহসান করতে পারেন যথার্থভাবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত।
সুতরাং, এই রেফারেন্স গুলি থেকেই প্রমানিত হয় আইসিসই সহিহ মুসলিম বাকিসব মোডারেট।
বিঃদ্রঃ আমি জানি অনেকেই দৌড় দিয়ে স্বরচিত তাফসিরুল কুরআন আর হাদিসের রেফারেন্স নিয়ে আসবেন।
যেমনঃ সূরা মায়িদা ৩২ নাম্বার আয়াত।
'এ কারণেই আমি বনি ইসরাঈলের প্রতি বিধান দিয়েছি- যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করা ব্যতীত কাউকে হত্যা করে, সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। আর যে কারো জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবনই রক্ষা করে। তাদের কাছে আমার রাসুলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলি নিয়ে এসেছেন। এর পরও তাদের অনেক লোক পৃথিবীতে সীমা লঙ্ঘন করে।''
উল্লেখ্যঃ বনি ইসরাইল ছিল হজরত ঈসা এর সময়কার একটি নির্দিষ্ট জাতি এবং তাদের উদ্দেশ্য করেই আয়াতটি, সমগ্র মানবজাতি নয়।
আমি ইসলামিক চিন্তাবিদ নই, তবুও নিজ উদ্যোগে স্বীয় কৌতূহল উদ্রেকের কারনে খুজে বের করার চেষ্টা করেছি মাত্র।
যদি কেউ আসলেই এই আয়াতগুলোর ভিন্ন ব্যাখ্যা পরিপূর্ণ রেফারেন্স দিয়ে খণ্ডিত করতে চান, সকলেই সাদরে আমন্ত্রিত।
২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি ইসলামিক চিন্তাবিদ নই, তবুও নিজ উদ্যোগে স্বীয় কৌতূহল উদ্রেকের কারনে খুজে বের করার চেষ্টা করেছি মাত্র।
ঘটনা এইহানেই কিলিয়ার।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৪
কামিকাজি বলেছেন: ঘটনা এইহানেই শুরু। মাত্র এক ঘণ্টা খুজলাম। আরও খুজলে আরও পাওয়া যাবে। আপাতত এটুকুতেই মুমিনরা ক্লান্ত হয়ে যাবে। পড়ে লাগলে আরও সাপ্লাই দেয়া যাবে।
৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৫
shiponblog বলেছেন: সব পাখিই মাছ খাই নাম হয় শুধু মাছরাঙার।
৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: খুঁজে দেখেন পবিত্র কোরআনে পাবেন মদ খাওয়া হালাল। যান এখন তুড়ি বাজান, আর মদ খান। বারবার বলা হয় আলাদা আলাদা আয়াত নিয়ে বিভ্রান্ত না ছড়ানোর। তবু আপনারা টুকরো টুকরো আয়াত নিয়ে ঝামেলা পাকান।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২২
কামিকাজি বলেছেন: আপনি নিজেও জানেন না কুরানে কি লেখা আছে।
না, আমি এমন কোন লেখা আমি খুজে পাইনাই যেখানে লেখা আছে '' মদ খাওয়া হালাল ''।
আমি তো তবুও জানার জন্য কুরআন পড়লাম, আপনি সাচ্চা মুসলিম হয়ে কয় পাতা কুরআন পড়েছেন সন্দেহ আছে। আগে নিজে পড়ুন, পড়লে অন্তত আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতেন, আন্দাজে ঢিল ছুড়তেন না।
৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৮
হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বলেছেন “যদি কেউ আসলেই এই আয়াতগুলোর ভিন্ন ব্যাখ্যা পরিপূর্ণ রেফারেন্স দিয়ে খণ্ডিত করতে চান, সকলেই সাদরে আমন্ত্রিত”।–সমস্যা হচ্ছে আপনি শুধুমাত্র কোরআনের কিছু আয়াত বর্ণনা করেছেন, কিন্তু আপনি কোন রকম ব্যাখ্যা দেননি। এই আয়াতগুলির সাথে আপনি আইসিস এর একটা লিঙ্ক খুজে বের করতে চেয়েছেন এবং এর প্রেক্ষিতে আপনি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন আইসিস সহিহ মুসলিম।
এই আয়াতগুলি খন্ডন করার কিছু নেই, এই গুলি হাদিস না যে খন্ডন করা যাবে। আপনি যেটা করেছেন- ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে, তা হল এই আয়াতগুলি আপনি এই আয়াতগুলির কন্টেক্সট ছাড়া এবং কোরআনের কন্টেক্সট ছাড়া বর্ণনা করেছেন এবং এর ভিন্ন অর্থের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। আপনার জ্ঞথার্থে বলছি, এই জিনিষ আপনিই প্রথম আবিস্কার করেননি, এর আগেও অনেকেই আপনার মত এই রকম উইথআউট কন্টেক্সটে এই আয়াতগুলি বর্ণনা করে কোরআনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে। আপনি এই একই পথ অনুসরণ করেছেন -ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে।
কোরআনের কোন আয়াত বুঝতে হলে তা কোরআনের কন্টেক্সটেই বুঝতে হবে- অন্য কিছু দিয়ে নয়। এজন্য আল্লাহ কোরআনে বলে দিয়েছেন কোরআন সহজ, পরিষ্কার পথপ্রদর্শক, ডিটেইলস, স্বব্যখাকারী। (Click This Link)
আপনি ৫:৩২ আয়াতটি মুসলমানদের জন্য মানতে রাজী নন, কারন আপনার কথামতে উহা শুধু বনী ইসরায়েল এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আপনার এই ধরানা সম্পূর্ণ ভুল, কোরআন সম্পর্কে কোন ধারনা না থাকা অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে কোরআন বিদ্বেষী মনোভাবই এর কারন। যাই হোক, এইখানে তর্কের খাতিরে আপনার কথা মেনে নিলাম। তাহলে দেখি আল্লাহ আমাদের কে কি বলেছেনঃ
"আপনি বলুনঃ এস, আমি তোমাদেরকে ঐসব বিষয় পাঠ করে শুনাই, যেগুলো তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন। তাএই যে, আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে অংশীদার করো না, পিতা-মাতার সাথে সদয় ব্যবহার করো স্বীয় সন্তানদেরকে দারিদ্রের কারণে হত্যা করো না, আমি তোমাদেরকে ও তাদেরকে আহার দেই, নির্লজ্জতার কাছেও যেয়ো না, প্রকাশ্য হোক কিংবা অপ্রকাশ্য, যাকে হত্যা করা আল্লাহ হারাম করেছেন, তাকে হত্যা করো না; কিন্তু ন্যায়ভাবে। তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তোমরা বুঝ"। (৬:১৫১)
সমগ্র কোরআনে আল্লাহ শুধুমাত্র দুইজায়গায় হত্যার অনুমতি দিয়েছেন আর তা হল...
১। ইচ্ছাকৃত হত্যার বদলে হত্যা (৫:৪৫)
২। যুদ্ধক্ষেত্রে হত্যা।
আপনার বর্ণিত আয়াতগুলি দ্বিতীয় পয়েন্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এইবার আসেন দেখি যুদ্ধের প্রকৃতি এবং যুদ্ধক্ষেত্রে হত্যা বা যুদ্ধের ক্ষেত্রে কি বলা হয়েছে।
সুরা বাকারাঃ
মজার বিষয় হল আপনি সুরা বাকারার ১৯১-১৯৪ আয়াত এইখানে রেফারেন্স হিসাবে দিয়েছেন। কিন্তু ঠিক এর আগের আয়াত আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে অথবা আপনি ইচ্ছা করে এইখানে দেন নি। আপনার জ্ঞথার্থেঃ
"আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না"। (২:১৯০)
কোরআনের ২:১৯০ পড়ে আপনি নিজেই বলেন এখানে আল্লাহ কি বলেছেন? আল্লাহ তাদের সাথেই লড়াই করতে বলেছেন যারা লড়াই করে মুসলমানদের সাথে। অর্থাৎ এটা পরিষ্কার এইটা একটা সম্পূর্ণ আত্নরক্ষা মূলক লড়াই। মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করতে আসলে মুসলমানরা কি বসে বসে আঙ্গুল চুসবে না পালিয়ে যাবে? আপনি হলে কি করতেন বা এখন কি করবেন? আত্নরক্ষার অধিকার সবারই আছে।
এর পর কোরআনের ২:১৯১-১৯৪ আয়াতে আল্লাহ এই আত্নরক্ষা মূলক লড়াইয়ের প্রকৃতি কি হবে সে সম্পর্কে বলছেন। সেইখানে আল্লাহ বলেছেনঃ
১। লড়াই কর তাদের সাথে যারা তুমাদের সাথে লড়াই শুরু করেছে (২ঃ১৯০, ১৯৪)
২। যারা লড়াই শুরু করেছে, লড়াইয়ের ময়দানে তাদেরকে হত্যা কর। (২:১৯১) (যুদ্ধক্ষেত্রে হত্যা করা সবসময় বৈধ। কেউ যুদ্ধক্ষেত্রে আঙ্গুল চুষতে যায়না। এখানে আল্লাহ ভিন্ন কিছু বলেননি)
৩। যদি তারা লড়াই থেকে বিরত হয়, কোন রকম হত্যা করা বা সীমা লঙ্ঘন করা যাবে না (২:১৯২)। অর্থাৎ যদি তারা লড়াই ছেড়ে দেয়, আত্নসমর্পণ করে, তবে নির্বিচারে হত্যা করোনা- যা এখন সবাই করে।( উদাহরণ? যেকোন লড়াইয়ের দিকে তাকান যেমন প্রথম ক্রুসেডের সময় খৃস্টানদের জেরুজালেমে নির্বিচারে মুসলমানদের হত্যা। দ্বিতীয় ক্রুসেডের সময় মুসলমানরা এই কাজ করে নাই)
৪। পবিত্র মাসে এবং মসজিদুল হারামের নিকট আক্রান্ত হলেও আত্নরক্ষার জন্য লড়াই বৈধ।(২:২৯১, ৯:৫)
৫। লড়াই শেষে যুদ্ধবন্দিদেরকে হয় উদারতা হিসাবে ছেড়ে দিতে হবে অথবা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দিতে হবে। কোন রকম খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। (৪৭:৪)
এই হল আল্লাহ প্রদত্ত যুদ্ধের বিধান। এইখানে কোন যায়গায় আপনার সমস্যা হচ্ছে?
সুরা মায়েদাঃ
আপনি সুরা মায়েদার ৩৩ নং আয়াতের রেফারেন্স দিয়েছেন। দেখা যাক সেখানে কি লেখা আছে...
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে,
১। তাদেরকে হত্যা করা হবে
২। অথবা শূলীতে চড়ানো হবে
৩। অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে
৪। অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে
এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।
এটা হচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিধান। নবী ইসলামিক স্টেট গঠন করার পর উনি ছিলেন হেড অব দি স্টেট। ইসলামিক স্টেট আল্লাহর আইন দ্বারা পরিচালিত হয়, এবং নবী আল্লাহর আইনকে সর্বক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করেন। এইজন্য এইখানে আল্লাহ এবং রাসুল বলা হয়েছে। আপনি কিভাবে আল্লাহর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করবেন যাকে আপনি কোনদিন চোখে দেখেননি? আর কিভাবে রাসুলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করবেন যিনি ১৪০০ বছর আগে মৃত্যু বরন করেছেন? এইখানে আল্লাহ ও তার রাসুলের সাথে সংগ্রাম বলতে বুঝানো হয়েছে ইসলামিক স্টেট যা আল্লাহর আইন দ্বারা চলে তার সাথে সংগ্রাম করা। অর্থাৎ ইসালামিক স্টেট গঠন করার পর যদি কেউ এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, দেশে হাঙ্গামা সৃস্টি করতে চায়- দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয় তাহলে তা পক্ষান্তরে আল্লাহ আর রাসুলের বিরুদ্ধে সংগ্রামকেই বুঝায়। এইজন্য আল্লাহ এই কাজের শাস্তিস্বরুপ ৪ ধরনের শাস্তির বিধান রেখছেনন যা সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী, অপরাধের ধরন অনুযায়ী প্রয়াগ করা হবে। এইখানে আমি ত কোন সমস্যা দেখিনা।
আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিধান কি? বাংলাদেশে এর বিধান কি? আপনি জানেন?
সুরা তওবাঃ
আপনি সুরা তওবার রেফারেন্স দিয়েছেন। আসেন দেখি আল্লাহ কি বলেছেন। (আমি আমার লেখা ছোট করার জন্য কোরআনের আয়াত এইখানে লিখছিনা। আমি রেফারেন্স দিয়ে দিচ্ছি, আপনার যদি মনে হয় কোথাও ভুল বলেছি তবে দয়া করে রেফারেন্স মিলিয়ে দেখবেন।)
সুরা তওবাতে আমরা যা জানতে পারি তা হচ্ছেঃ
১। মুসলমানরা মুশরিকদের বিভিন্ন গোত্রের সাথে কোন চুক্তি করেছিল। (৯:১)
২। চুক্তির একটা ধারা ছিল মুশরিকরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করবে না। (৯:৪)
২। মুশরিকদের কিছু গোত্র ঐ চুক্তি ভঙ্গ করেছিল (৯:১, ৯:৩)
৩। মুশরিকদের চুক্তি ভঙ্গের কারনে তাদেরকে যুদ্ধের জন্য সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে। চার মাস বিরতির সময় কারন এই চার মাস যুদ্ধ নিষিদ্ধ। (২:১৯১)
৪। মুশরিকদের মধ্যে যারা চুক্তি ভঙ্গ করেনি, তাদের ব্যপারে চুক্তির মেয়াদ পুরন করার কথা বলা হয়েছে, যুদ্ধ নয়। (৯:৪)
৫। এই চার মাস বিরতির পরে চুক্তি ভঙ্গের দায়ে মুশরিকদের ঐ সব গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে (৯:৫),
৬। স্বভাবিক ভাবে যুদ্ধে হত্যা বৈধ এবং এর প্রকৃতি ও সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে (২:১৯২)
কোন দেশ যখন কোন দেশের বিরুদ্ধে শান্তি চুক্তি ভঙ্গ করে, তখন একদেশ অন্য দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে বা করে – এই ধরনের কোন উদাহরণ কি আপনার জানা নেই?
সূরা নিসাঃ
আপনি সুরা নিসার ৯১ নং আয়াত বর্ণনা করেছেন। আমি একটু অবাক হচ্ছি কারন এইটা সাধারণত আপনার মত বুদ্ধিজীবিরা আগে বলত, এখন বলেন না। যাই হোক দেখি কি লেখা আছেঃ
"এখন তুমি আরও এক সম্প্রদায়কে পাবে। তারা তোমাদের কাছেও স্বজাতির কাছেও এবং নির্বিঘ্ন হয়ে থাকতে চায়। যখন তাদেরকে ফ্যাসাদের প্রতি মনোনিবেশ করানো হয়, তখন তারা তাতে নিপতিত হয়, অতএব তারা যদি তোমাদের থেকে নিবৃত্ত না হয়, তোমাদের সাথে সন্ধি না রাখে এবং স্বীয় হস্তসমূহকে বিরত না রাখে, তবে তোমরা তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। আমি তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে প্রকাশ্য যুক্তি-প্রমাণ দান করেছি"। (৪:৯১)
এইখানে বলেছে তাদের সাথে যুদ্ধ করতে যারা...
১। তোমাদের থেকে নিবৃত্ত না হয়
২। তোমাদের সাথে সন্ধি না রাখে (অর্থাৎ চুক্তি ভঙ্গ করে- যা সুরা তওবাতে দেখেছি)
৩। স্বীয় হস্তসমূহকে বিরত না রাখে (২:১৯০-১৯৪)
এখন কোন সম্প্রদায় বা দেশ যদি আপনার সম্প্রদায় বা দেশের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে এবং আপনার সম্প্রদায় বা দেশেকে আক্রমণ করে আপনি বা আপনারা তখন কি করবেন? আঙুল চুষবেন? নাকি আত্নরক্ষার জন্য যুদ্ধ করবেন? এইখানে আত্নরক্ষামূলক যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে। এইটুকু বোঝার বুদ্ধি কি আপনার নাই?
আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আশা করি আপনি জানেন। বাঙ্গালী কেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল? সুরা নিসার এই আয়াতের সাথে কোন মিল খুজে পান? কোন মিল পান না?
কোরআন কোথাও নির্বিচারে মানুষ হত্যার কথা বলেনি। কোথাও বলেনি কাফির মুশরিক দেখলেই হত্যা করতে। আপনি যে আয়াতগুলি দিয়ে প্রমান করতে চেয়েছেন তা আউট অফ কন্টেক্সটে বর্ণনা করেছেন। আপনি যা বলতে চেয়েছেন তা কোরআনের প্রেক্ষিতে কোরআনের বর্ণনা অনুযায়ী কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়- সম্পূর্ণ বিপরীত। কোরআনে বলা হয়েছে “দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি নেই”-এটা বোধহয় আপনি জানেন না।
আপনার লেখা পড়ে একটা ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। যারা মুসলমান তারা সবাই এক বাক্যে স্বীকার করবেন যে সাহাবাগন এক বাক্যে আল্লাহ এবং নবীর কথা মেনে চলতেন। তাহলে, আপনি যা বলতে চেয়েছেন তা যদি সত্য হত তবে নবীর সময় মক্কা এবং মদীনাতে রক্তের নদী বয়ে যেত (হোক সেটা মুশরিক বা মুসলমানদের) কারন আপনার কথা অনুযায়ী তখন নবী এবং সাহাবগন এই আদেশ পালন করতে গিয়ে যেখানে কাফির মুশরিক পেত হত্যা করত আর তারাও নিশ্চয় বসে থাকত না। কিন্তু কোন ইতিহাসবিদের বর্ণনা অনুযায়ী (মুসলিম বা অমুসলিম) এই ধরনের নির্বিচারে হত্যাকান্ডের কোন ঘটনা পাওয়া যায় না। যা পাওয়া যায় তা হচ্ছে মুসলিমদের আবিসিনিয়া, মদিনায় হিজরত আর প্রথমিক দিকে একঘরে হয়ে থাকা।
তাই আপনাকে বলছি ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে কোরআনের আয়াত আউট অফ কন্টেক্সটে বর্ণনা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকুন। ধন্যবাদ।
৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩
কামিকাজি বলেছেন: @হানিফঢাকা, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত কষ্ট করে কমেন্ট করার জন্য।
প্রথমত, আমি সরাসরি কোরানের আয়াত তুলে ধরেছি, যেমনটা আমরা সবাই জানি, ''The Quran is fully detailed and self-explanatory''। সুতরাং এখানে কোন কন্টেক্সট ব্যাবহার করার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না।
যদি কন্টেক্সট অনুযায়ী আপনি প্রতিটা আয়াত ফলো করেন, তবে ওই আয়াতটি ওই কন্টেক্সটেই আটকে থাকবে, ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ফলো করার আবশ্যকীয়তা হারাবে। যেখানে কুরানের প্রতিটা আয়াত অক্ষরে অক্ষরে পালনযোগ্য।
দ্বিতীয়ত,
কুরআন এবং হাদিস অনুযায়ী যে যে কারনে হত্যার অনুমতি দেয়া আছেঃ
১)Intentional murder: In these cases the victim's family is given the option as to whether or not to insist on a punishment of this severity
২)Fasad fil-ardh ('spreading mischief in the land': Islam permits the death penalty for anyone who threatens to undermine authority or destabilise the state
৩)Treason/apostasy (when one leaves the faith and turns against it)
৪)Terrorism
৫)Piracy of any kind
৬)Rape
৭)Adultery
৮)Homosexual activity
১) সুরা বাকারার যেই উদাহরনগুলি আপনি টানলেন পুরোপুরি আইসিসের সাথে মিলে যায়।
আইসিস আমেরিকা ও রাশিয়ার দ্বারা বিমানের মাধ্যমে বোমা হামলার শিকার হচ্ছে। সিরিয়ান আর্মি প্রথম তাদের উপর হামলা শুরু করেছে, তাই আত্মরক্ষা করতে তারাও হামলা করছে, মানুষের মাথা কেটে ফুটবল খেলছে, হাজার বছরের পুরনো স্থাপনা ধ্বংস করছে, ঠিক যেমনটি নবী মুহাম্মাদ কাবা ঘরে ঢুকে ৩৬০টি মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেছিলেন। আইসিস তো ইসলামই ফলো করছে তাই নয় কি?
২) সূরা মায়েদার উদাহরন গুলিও অক্ষরে অক্ষরে আইসিসের কর্মকাণ্ডের সাথে মিলে যায়।
আইসিস- ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া।
আইসিস তো ইসলামিক স্টেট গঠনের জন্যই যুদ্ধ করছে, বাশার আল আসাদ ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তার মানে তারা আল্লাহ ও রাসুলের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করছে। এবং পৃথিবীতে একমাত্র আইসিস আল্লাহর আইন দ্বারা চলে, পৃথিবীতে আর একটি দেশ নাই যারা সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর আদেশ মেনে চলে। সুতরাং আইসিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা মানে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, এবং তার শাস্তিগুলো প্রয়োগ করছে আইসিস।
আপনি জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিধান কি। ৩ বছর থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাথে অর্থদণ্ড। মৃত্যুদণ্ডের কোন বিধান নেই।
৩) সূরা তাওবার উদাহরন টেনেছেন আপনি , বলেছেন ,
'' কোন দেশ যখন কোন দেশের বিরুদ্ধে শান্তি চুক্তি ভঙ্গ করে, তখন একদেশ অন্য দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে বা করে – এই ধরনের কোন উদাহরণ কি আপনার জানা নেই?''
না, এমনটি আমার জানা নেই, যদি দুটি দেশ চুক্তিভঙ্গ করে তাহলে জাতিসংঘ মধ্যস্ততা করে, অথবা কূটনৈতিক আলোচনা অথবা পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ঝামেলা মিটিয়ে নেয়। যদি চুক্তিভঙ্গের কারনে যুদ্ধই হত, তাহলে প্রতিটা দেশ আজকে মারামারি করতেই থাকতো, ইন্ডিয়ার সাথে আমাদের কমপক্ষে ২০০ টা যুদ্ধ হত। ১৪০০ বছর আগে এমন অসভ্যতা ছিল, কিন্তু মানুষ এখন অনেক সভ্য এবং সহনশীল।
৪) আপনি যখন সূরা নিসার উল্লেখ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে ধর্মীয় যুদ্ধের তুলনা করলেন আপনার জ্ঞানের পরিধি সম্পর্কে আমি আঁচ করতে পেরেছি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কারন চুক্তিভঙ্গ নয়, বাঙালি জাতীয়তা ও শোষণের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় নিজেদের মুক্ত করার জন্যই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। চুক্তিভঙ্গের কারনেই যদি যুদ্ধ হত তাহলে পৃথিবীর একটা দেশও আস্ত থাকতো না।
৫) আর হ্যা, নবী মুহাম্মাদের আমলে অনেক রক্তের বন্যা বয়েছিল। সব মিলিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা, কাফেলা লুট, মুক্তিপন আদায়, গনিমতের মালের জন্য প্রায় ১০০ টি যুদ্ধ করেন নবী মুহাম্মাদ।
সুত্রঃ Click This Link
মুহাম্মাদ বনি কুরাইযা গোত্রে রাতের আধারে চুপিচুপি ঢুকে ৯০০ পুরুষ হত্যা করে মাটিতে পুতে ফেলেন এবং স্ত্রীদের ভাগ বাটোয়ারা করে নেন, এবং শিশুসহ বাকিদের দাসি হিসেবে বিক্রি করে দেন।
সুত্রঃ Click This Link
আইসিসও বন্ধুর মত ফ্রান্সে ঢুকে নিরীহ মানুষদের একই ভাবে হত্যা করে, কি আশ্চর্য মিল দুটি ঘটনাতেই।
সারমর্মঃ আইসিসই সহিহ মুসলিম, বাকি সব মোডারেট।
৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৬
হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনার লেখা পড়ে আমার মনে হচ্ছে যে কোরআন সম্পর্কে আপনার ধরনা খুব কম। আপনি শুধু কিছু আয়াত বিক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরেছেন এবং এর দ্বারা একটা ব্যখ্যা দাড় করানোর চেস্টা করছেন। আমার এই ধরনার কারন হচ্ছে আপনার কার ৫:৩২ নিয়ে মন্তব্য এবং মন্তব্যে আপনার করা কোরআনের কন্টেক্সট নিয়ে করা মন্তব্য। কোরআনের কন্টেক্সট ব্যবহারের প্র্যজনীয়তা আছে, এবন কোরআন কে কোরআনের কন্টেক্সট দিয়েই বুঝতে হবে।কোরআনের একটা বিশেষত্ব হচ্ছে এর মধ্যে দেওয়া বিভিন্ন বিধানগুলি বিভিন সূরার মধ্যে বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া আছে। (এটার একটা বিশেষ কারণও আছে)। সুতরাং কোন বিষয়ে জানতে হলে সেই সম্পর্কিত সব গুলি আয়াত একসাথে করলে, সম্পূর্ণ ধারনা পাওয়া যায়। তা না হলে আপনি যেভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছেন, সেই রকম বিভ্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে।
আপনি বলেছেন “যদি কন্টেক্সট অনুযায়ী আপনি প্রতিটা আয়াত ফলো করেন, তবে ওই আয়াতটি ওই কন্টেক্সটেই আটকে থাকবে, ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ফলো করার আবশ্যকীয়তা হারাবে”।– কথাটা সত্য নয়, এর কারন কোরআনে কিছু কমান্ড আছে জেনারেল কমান্ড এবং কিছু আছে কন্টেক্সটের সাথে সম্পর্কিত, যে কন্টেক্সট কোরানেই দেওয়া আছে (অন্য কোথাও থেকে কন্টেক্সট খুজলে ভুল হবার সম্ভাবনা অনেক)
আপনি হত্যার বিধান বের করতে গিয়ে কোরআন ও হাদিস একত্রে করেছেন। এটা ঠিক না, কোরআনে যেখানে স্পষ্ট করে হত্যার বিধান দেওয়া আছে সেখানে অন্য কিছু এটাকে সুপারসিড করতে পারেনা। সুতরাং আপনার বর্ণিত ৩-৮ নম্বরের হত্যার বিধানের কোন ভিত্তি কোরআনে নেই। আর ১ এবং ২ নম্বর পয়েন্টে শুধুমাত্র হত্যার কথা বলা হয়নি, এখানে হত্যার সাথে আরও অপশন দেয়া আছে, হত্যা একটা অপশন মাত্র এবং অপরাধের ধরন অনুযায়ী ইসলামিক স্টেট (এখানে আইসিস কে বুঝাচ্ছি না) এর সিদ্ধান্ত নিবে। এবং এও বলা হয়েছে সীমা লঙ্ঘন না করতে।
এইবার আসি আপনার সহিহ মুসলিম সম্পর্কে।
এই সম্পর্কে বলার আগে আমি আপনার কাছে জানতে চাই এই মুসলমান/ সহিহ মুসলিম এর সংজ্ঞা কি? আপনি নিজের মন মত সংজ্ঞা দিতে পারেন অথবা কোন রেফারেন্স সহকারেও দিতে পারেন। এটা জানা জরুরী এই কারনে যে তাহলে বুজতে পারব মুসলিম বলতে আপনি কি বুজেন এবং সে প্রেক্ষিতে কেন আইসিস কে মুসলিম বলেছেন।
আপনি বলেছেনঃ “সুরা বাকারার যেই উদাহরনগুলি আপনি টানলেন পুরোপুরি আইসিসের সাথে মিলে যায়।”? আমি এইখানে যুদ্ধ এবং এর পরবর্তীতে করনীয় সম্পর্কে কোরআনে কি বলা হয়েছে তা বলেছি।
১। আপনি বলেছেন অন্যরা তাদের উপর হামলা করেছে সেই জন্য আত্ন্র রক্ষার জন্য তারাও হামলা করছে। ঠিক আছে মানলাম আত্ন রক্ষার জন্য যুদ্ধ করছে (হামলা করছে নয়)
২। মানুসের মাথা কেটে ফুটবল খেলছে- কোরআনের কোন বিধান অনুযায়ী?-রেফারেন্স দেন।
৩। হাজার বছরের পুরানো স্থাপনা ধ্বংস করছে- কোরআনের কোন বিধান অনুযায়ী?-রেফারেন্স দেন।
৪। তারা যুদ্ধ বন্দীদের হত্যা করছে- কোরআনের কোন বিধান অনুযায়ী?-রেফারেন্স দেন।
৫। নিরিহ মানুষ (সিভিল পাব্লিক) মারছে- কোরআনের কোন বিধান অনুযায়ী?-রেফারেন্স দেন।
৬। নিরীহ মানুষকে বোমা মেরে হত্যা করছে যুদ্ধের বাইরে- কোরআনের কোন বিধান অনুযায়ী?-রেফারেন্স দেন।
যে জিনিশটা আপনি বুজতে পারছেন না বা বুঝতে চাইছেন না তা হচ্ছে এই ক্ষেত্রে কোরআনে হত্যার বিধান দেওয়া হয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধরত অবস্থায়- অর্থাৎ সম্মুখ যুদ্ধে। অন্য কোথাও নয়।এমনকি যুদ্ধাবস্থায় যদি আত্নসমর্পণ করে তাহলেও হত্যার বিধান নেই।
আপনি বলেছেন “ঠিক যেমনটি নবী মুহাম্মাদ কাবা ঘরে ঢুকে ৩৬০টি মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেছিলেন”- ধর্ম সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে আগে জেনে শুনে বুজে করুন। আজকাল কিছু মানুষ আছে যারা দুই লাইন পরেই নিজের জ্ঞান জাহির করার জন্য পাগল হয়ে যায়।আমি জানি আপনি আমাকে রেফারেন্স দিতে পারবেন কারন এই ধরনের রেফারেন্স আছে। কিন্তু এই ধরনের রেফারেন্সের কত ধরনের ভার্সন আছে তা কি জানেন? দোষটা আপনার না দোষটা আমাদের তথাকথিত আলেম সমাজের। আপনি এই Click This Link লিঙ্কে দেখতে পারেন। এইটা হচ্ছে আমাদের ভুল বোঝার উৎপত্তি।
আপনি সুরা মায়েদার ক্ষেত্রে বলেছেন “সূরা মায়েদার উদাহরন গুলিও অক্ষরে অক্ষরে আইসিসের কর্মকাণ্ডের সাথে মিলে যায়”। প্রথমত আইসিস কোন স্বীকৃত ইসলামিক স্টেট না। তর্ক করার আগে ইসলামিক স্টেট কি এবং কিভাবে পরিচালিত হয় তা একটু দয়া করে জেনে নিয়েন। এবং আপনার উপরে উল্লিখিত যে কর্মকাণ্ডের কথা বলা হয়েছে (১-৬) তা ইসলামিক স্টেটের কোন বিধানে পরে?
ইউরোপের ইতিহাস পড়েন- চুক্তি ভঙ্গের কারনে যুদ্ধের ইতিহাস পাবেন। (এইখানে একটা ব্যপার ক্লিয়ার করা উচিত যে চুক্তি ভঙ্গ করলেই যে যুদ্ধ করতে হবে তা নয়, এটা নির্ভর করে এর severity এবং আরও অনেক কিছুর উপরে।)
আমি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধকে ধর্মীয় যুদ্ধের সাথে কোন ভাবেই তুলনা করছিনা। এইটা আপনার বোঝার ভুল। আমি বলতে চাচ্ছি যে কারন গুলির কারনে কোরআনে সুরা নিসাতে যুদ্ধ করতে বলা হয়েছে আমাদের ক্ষেত্রে সেই কারন গুলি কি প্রযোজ্য ছিল না?
১। তোমাদের থেকে নিবৃত্ত না হয়
২। তোমাদের সাথে সন্ধি না রাখে
৩। স্বীয় হস্তসমূহকে বিরত না রাখে
আপনি বলেছেন “বাঙালি জাতীয়তা ও শোষণের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় নিজেদের মুক্ত করার জন্যই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল”- আপনার বলা এই কথাটি কি উপরের তিনটি কারণকে নির্দেশ করেনা? যেমন “তোমাদের থেকে নিবৃত না হয়- অর্থাৎ তোমাদের অত্যচার করে, “স্বীয় হস্তসমূহকে বিরত না রাখে”- অর্থাৎ তোমাদের আক্রমণ করে। ইনফ্যক্ট এই বিধান সবার জন্যই প্রযোজ্য।
আপনি উইকিপিডিয়ার লিঙ্ক দিয়েছেন নবীর সময়কালে যুদ্ধের হিসাব দেবার জন্য। ইন্টারেস্টিং বিষয় হচ্ছে...
১। এইখানে বেশিরভাগ রেফারেন্স এসেছে তাবারী, ইবনে ইসহাক থেকে। আপনাকে উপরে যে লিঙ্কটা দিয়েছি সেখানে তাবারি সম্পর্কে আলোচনা করা আছে। এইগুলির বেশিরভাগ গল্পই বানানো। ইবনে ইসহাক সম্পর্কে আপনার দেওয়া লিঙ্কে বলা আছে Ibn Hisham edited the biography of Muhammad written by Ibn Ishaq.[340] Ibn Ishaq's work is lost and is now only known in the recensions of Ibn Hisham and al-Tabari.[341] Therefore, when Ibn Hisham is mentioned as a primary source, so is Ibn Ishaq ।
একটু কষ্ট করে ইবনে ইসহাক---- ইবনে হিসাম------ তাবারী এদের মধ্যবর্তী সময়কালটা দেখে নিবেন। তাহলে বুঝতে পারবেন এগুলির বেশিরভাগই প্রচলিত গল্প ছাড়া কিছু না। সাথে উপরে আমার দেওয়া লিঙ্কটাও একটু কষ্ট করে দেখবেন।
২।বদর, অহুদ, খন্দক, হুনায়ুন, তাবুক এইগুল সত্য। এইগুলি যুদ্ধ ক্ষেত্রের ঘটনা। প্রথম তিনটাই ছিল আত্ন রক্ষা মূলক যুদ্ধ। এবং তাবুক আভিযানে কোন যুদ্ধ হয়নি। হুনায়নের যুদ্ধ সম্পর্কে বুখারিতে যে বর্ণনা এসেছে তা ভুল কারন এটা কোরআনের বিপরিতে যায়। বুখারির জীবনী নিয়ে একটু পড়ালেখা করলেই জানতে পারবেন।
কিন্তু আমি জানতে চেয়েছিলাম কোন মুসলিম/অমুসলিম ইতিহাসবিদের লেখায় কোন সেই সময়ে নির্বিচারে হত্যাকন্ডের ঘটনা আছে কি না। আপনার কথা অনুযায়ী সুরা বাকারার আয়াত গুলির অর্থ করলে সাহাবাগন কি তখন যেখানে কাফির, মুশরিক পেত ধরে ধরে মেরে ফেলত না?সমগ্র মক্কা, মদীনাতে প্রতিদিন কাফির মুশরিকদের মারা হত না? খুলাফায়ে রাশেদিনের সময় কি সব কাফির মুশরিকদের মেরে ফেলা হত না? আপনি এর উত্তর দেন নি? কারন আপনার ধান্ধা হল এই যুদ্ধের আয়াত কে জেনারেল কমান্ড হিসাবে প্রমান করে ইসলাম কে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
বিদ্রঃ তাবারী, ইবনে ইসহাক, ইবনে হিসাম এবং বিভিন্ন হাদিস বই পড়ে কোরআনকে বুজতে চাইলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। মনে রাখতে হবে আল্লাহ কোরআন ছাড়া কোন কিছু অনুমোদন করেন নাই এবং হাদিস বা এই সব ইতিহাস কোনভাবেই কোরআনের ব্যখ্যা স্বরূপ না।কোরআন এই সব আজগুবি গল্পের উপর নির্ভরশীল নয়। এই সব সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে এই সবের উৎস, প্রকৃতি, উদ্দেশ্য, সংগ্রহের পদ্ধতি এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিষয়ে জানতে হবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৬
অদ্ভুত সেই_ছেলেটি বলেছেন: কোরআনের আয়াত দিয়াই আইএস রে সহিহ বদমাইশ আর ভন্ড মুখোশধারি প্রমাণ করা যায়। তবে আপনার লেখা পড়ে যা বুঝা যায় তা হচ্ছে আপনে, পবিত্র কোরআন বুঝেনও না, আর বুঝলেও ইগো তে হিট করে ফলে যেটা করেন সেটা হচ্ছে অপব্যাখ্যা। এই সকল আয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা যেকোনো কোরআন ও ইসলাম জানা ব্যক্তি সঠিকভাবে দিতে পারবে। তবে আপনি যেহেতু বিশাল ত্যানা প্যাঁচায় ফেলসেন, তাই আপনারে একটা সহিহ হাদিস দেই সহিহ মুসলিম বের করার জন্য-
"হাসান আল হুলঅয়ানী ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ)জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, সত্যিকার মুসলিম সেই ব্যাক্তি যার মুখ ও হাত থেকে অন্যান্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।"- (সহিহ মুসলিম-০০৬৯)
এখন ভাল করে দেখেন, আইএস এর এই কাজগুলা আপনার আইএসকে সহিহ করে কিনা----
-On September 5, ISIS executed three Sunni women in Mosul. What was their “crime”? They refused to provide medical care to ISIS fighters.
- On September 9, ISIS executed a Sunni Imam in western Mosul for refusing to swear loyalty to ISIS.
- On August 2, a man from the Salah ad Din province was abducted and beheaded for refusing to swear allegiance to ISIS.
-On August 19, a female Muslim doctor south of Mosul was killed for organizing a protest to object to ISIS’ mandate that female doctors cover their faces with religious veils when treating patients
-On August 31, 19 Sunni Muslim men were executed in Saadiya for refusing to swear allegiance to ISIS.
-On July 22, a Sunni Imam in Eastern Baquba was killed for simply denouncing ISIS.
-On September 9, ISIS executed two Muslim women by shooting them in the back of the head. Their exact “crime” was not known.
( Click This Link )
ISIS suicide bombers detonated themselves in the southern part of Beirut last Thursday, killing 43 people and wounding 239.
( Click This Link )
এইটা দেখেন, পুরা মসজিদ উরায় দিসে। সহিইইই বটে, তবে মুসলিম না, ঠিক এর বিপরীত জিনিষ
কোরআনের আয়াত দিয়াই আইএস রে সহিহ বদমাইশ আর ভন্ড মুখোশধারি প্রমাণ করা যায়। তবে আপনার লেখা পড়ে যা বুঝা যায় তা হচ্ছে আপনে, পবিত্র কোরআন বুঝেনও না, আর বুঝলেও ইগো তে হিট করে ফলে যেটা করেন সেটা হচ্ছে অপব্যাখ্যা। এই সকল আয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা যেকোনো কোরআন ও ইসলাম জানা ব্যক্তি সঠিকভাবে দিতে পারবে। তবে আপনি যেহেতু বিশাল ত্যানা প্যাঁচায় ফেলসেন, তাই আপনারে একটা সহিহ হাদিস দেই সহিহ মুসলিম বের করার জন্য-
"হাসান আল হুলঅয়ানী ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ)জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, সত্যিকার মুসলিম সেই ব্যাক্তি যার মুখ ও হাত থেকে অন্যান্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।"- (সহিহ মুসলিম-০০৬৯)
এখন ভাল করে দেখেন, আইএস এর এই কাজগুলা আপনার আইএসকে সহিহ করে কিনা----
-On September 5, ISIS executed three Sunni women in Mosul. What was their “crime”? They refused to provide medical care to ISIS fighters.
- On September 9, ISIS executed a Sunni Imam in western Mosul for refusing to swear loyalty to ISIS.
- On August 2, a man from the Salah ad Din province was abducted and beheaded for refusing to swear allegiance to ISIS.
-On August 19, a female Muslim doctor south of Mosul was killed for organizing a protest to object to ISIS’ mandate that female doctors cover their faces with religious veils when treating patients
-On August 31, 19 Sunni Muslim men were executed in Saadiya for refusing to swear allegiance to ISIS.
-On July 22, a Sunni Imam in Eastern Baquba was killed for simply denouncing ISIS.
-On September 9, ISIS executed two Muslim women by shooting them in the back of the head. Their exact “crime” was not known.
( Click This Link )
ISIS suicide bombers detonated themselves in the southern part of Beirut last Thursday, killing 43 people and wounding 239.
( Click This Link )
এইটা দেখেন, পুরা মসজিদ উরায় দিসে। সহিইইই বটে, তবে মুসলিম না, ঠিক এর বিপরীত জিনিষ
( Click This Link )
এরপরও যারা আইএসকে আপনার মতো এখনো সহিহ মুসলিম হিসেবে দেখেন, তারা আসলে মুসলিমদের আইএস এর মত করেই কল্পনা করে। আর এই কল্পনাকে বলে ইসলামফোবিয়া, যেটা মিডিয়াগুলো খুব ভাল করেই নিয়মিত সাপ্লাই দেয়। পরিশেষে একটা কত্থা না বললেই না, ইসলামিক চিন্তাবিদ না হইয়াও ইসলাম নিয়া এত চিন্তাভাবনা করেন দেখে, দাদা কি এপারে না ওপারে জানতে মুঞ্চায়
( Click This Link )
এরপরও যারা আইএসকে আপনার মতো এখনো সহিহ মুসলিম হিসেবে দেখেন, তারা আসলে মুসলিমদের আইএস এর মত করেই কল্পনা করে। আর এই কল্পনাকে বলে ইসলামফোবিয়া, যেটা মিডিয়াগুলো খুব ভাল করেই নিয়মিত সাপ্লাই দেয়। পরিশেষে একটা কত্থা না বললেই না, ইসলামিক চিন্তাবিদ না হইয়াও ইসলাম নিয়া এত চিন্তাভাবনা করেন দেখে, দাদা কি এপারে না ওপারে জানতে মুঞ্চায়
৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১৬
অদ্ভুত সেই_ছেলেটি বলেছেন: কোরআনের আয়াত দিয়াই আইএস রে সহিহ বদমাইশ আর ভন্ড মুখোশধারি প্রমাণ করা যায়। তবে আপনার লেখা পড়ে যা বুঝা যায় তা হচ্ছে আপনে, পবিত্র কোরআন বুঝেনও না, আর বুঝলেও ইগো তে হিট করে :-& ফলে যেটা করেন সেটা হচ্ছে অপব্যাখ্যা। এই সকল আয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা যেকোনো কোরআন ও ইসলাম জানা ব্যক্তি সঠিকভাবে দিতে পারবে। তবে আপনি যেহেতু বিশাল ত্যানা প্যাঁচায় ফেলসেন, তাই আপনারে একটা ছোট্ট সহিহ হাদিস দেই সহিহ মুসলিম বের করার জন্য-
"হাসান আল হুলঅয়ানী ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ)জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, সত্যিকার মুসলিম সেই ব্যাক্তি যার মুখ ও হাত থেকে অন্যান্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।"- (সহিহ মুসলিম-০০৬৯)
এখন ভাল করে দেখেন, আইএস এর এই কাজগুলা আপনার আইএসকে সহিহ মুসলিম করে কিনা----
-On September 5, ISIS executed three Sunni women in Mosul. What was their “crime”? They refused to provide medical care to ISIS fighters.
- On September 9, ISIS executed a Sunni Imam in western Mosul for refusing to swear loyalty to ISIS.
- On August 2, a man from the Salah ad Din province was abducted and beheaded for refusing to swear allegiance to ISIS.
-On August 19, a female Muslim doctor south of Mosul was killed for organizing a protest to object to ISIS’ mandate that female doctors cover their faces with religious veils when treating patients
-On August 31, 19 Sunni Muslim men were executed in Saadiya for refusing to swear allegiance to ISIS.
-On July 22, a Sunni Imam in Eastern Baquba was killed for simply denouncing ISIS.
-On September 9, ISIS executed two Muslim women by shooting them in the back of the head. Their exact “crime” was not known.
http://www.thedailybeast.com/articles/2014/10/07/isis-s-gruesome-muslim-death-toll.html
ISIS suicide bombers detonated themselves in the southern part of Beirut last Thursday, killing 43 people and wounding 239.
http://usuncut.com/world/beirut-this-terrorist-attack-didnt-get-any-media/
এইটা দেখেন, পুরা মসজিদ উরায় দিসে। সহিইইই বটে, তবে মুসলিম না, ঠিক এর বিপরীত জিনিষ :-< :-< Click This Link
এরপরও যারা আইএসকে আপনার মতো এখনো সহিহ মুসলিম হিসেবে দেখেন, তারা আসলে মুসলিমদের আইএস এর মত করেই কল্পনা করে। আর এই কল্পনাকে বলে ইসলামফোবিয়া, যেটা মিডিয়াগুলো খুব ভাল করেই নিয়মিত সাপ্লাই দেয়। পরিশেষে একটা কত্থা না বললেই না, ইসলামিক চিন্তাবিদ না হইয়াও ইসলাম নিয়া এত চিন্তাভাবনা করেন দেখে, দাদা কি এপারে না ওপারে জানতে মুঞ্চায়
১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: লেখক - আমি আন্দাজে ঢিল ছুঁড়িনি। আপনার মত আমার এত ব্যপক পড়া নাই। কিন্তু যে বিষয়ে আমি বলেছি সেটা আপনি খুঁজে পাননি। তাই আপনার সুবিধার জন্য দিলাম।
কুরআনে তিন ধাপে মদ নিষিদ্ধ করা হয়।
১ম ধাপ - লোকে তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, বলো, ‘দুয়ের মধ্যেই মহাদোষ, মানুষের জন্য উপকারও আছে, কিন্তু উপকারের চেয়ে ওদের দোষই বেশী’। (২:২১৯) - (এখানে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে, পুরোপুরি মানা করা হয়নি।)
২য় ধাপ - হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ...(৪:৪৩) - (এখানে শুধু নামাজ পড়ার সময় নেশাগ্রস্ত হতে বারণ করা হয়েছে)
৩য় ধাপ - হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও (৫:৯০) - (এখানে পুরোপুরি মানা করা হয়েছে)
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৬
বিপরীত বাক বলেছেন: বাংলার ঘরে ঘরে আইসিস।
আসেন স্লোগান তুলি,,
মকে বলে রে আইএস নাই?/
আইএস সারা বাংলায়