![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শাহবাগের কথিত প্রজন্ম চত্বর এখন যেন দ্বিতীয় ক্ষমতাকেন্দ্র। সেখান থেকে কর্মসূচির নামে হুকুম আসছে আর তা পালন করা হচ্ছে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়। কয়েকজন ব্লগারের নামে পরিচালিত শাহবাগ আন্দোলনের ঘোষণা ও দাবিগুলো সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে যেভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তাতে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে যে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পর শাহবাগের মোড় কি বিকল্প ক্ষমতাকেন্দ্র হয়ে উঠল?
শাহবাগ থেকে ঘোষণার পর প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় থেকে বেরিয়ে মন্ত্রী-সচিবরা তিন মিনিট রাস্তায় দাঁড়িয়ে তা তামিল করলেন। বাংলাদেশের কৃষ্টি-কালচারের পরিপন্থী মোমবাতি প্রজ্বলনের কর্মসূচি দেয়া হলে তাও বাস্তবায়নের
সারাদেশের প্রশাসন ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। দলীয় ও প্রশাসনিকভাবে সরকার মোমবাতি সরবরাহ করে কর্মসূচি সফল করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।
শাহবাগ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কর্মসূচি দিলে তাও সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদারকিতে বিশেষভাবে পালন হয়। যদিও প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দৈনিক কর্মসূচিতেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের রেওয়াজ চালু রয়েছে।
সর্বশেষ শাহবাগ থেকে গতকালের হরতাল না করার ডাক দিলে তা বাস্তবায়নের মরিয়া হয়ে মাঠে নামে সরকারের সব মেশিনারিজ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের ইতিহাসে এ প্রথম কোনো হরতালে সার্কুলার দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ দিয়ে কোমলমতি শিশু-কিশোর ও তাদের অভিভাবকদের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেয়। যদিও দেশের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই গতকাল অচল ছিল। সরকারি চাপে কিছুসংখ্যক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতির কারণে ক্লাস বা শিক্ষা কার্যক্রম চলেনি।
শাহবাগের চাপের অজুহাত দিয়ে অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সংক্রান্ত আইনে সংশোধন করা হলো সংসদে।
এছাড়া শাহবাগ আন্দোলনকারীদের ফ্যাসিবাদী হুকুমে আমার দেশ-এর কপিতে আগুন দেয়া হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। পুলিশ সহযোগিতা করেছে হকারদের কাছ থেকে আমার দেশ পত্রিকার বান্ডিল ছিনিয়ে নিতে। নয়া দিগন্তের অফিস, গাড়ি ও প্রেসে আগুন দেয়া হয়েছে পুলিশের ছত্রছায়ায়।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পর প্রতিবাদে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয় শ’দুয়েক তরুণ। বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এসব তরুণ নিজেদের ব্লগার হিসেবে পরিচয় দিয়ে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় প্রত্যাখ্যান করে ফাঁসির দাবিতে অবস্থান নেয়। পরে সরকারপন্থী কয়েকজন ব্লগার ও ছাত্রলীগ নেতারা ওই আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একজন বিতর্কিত কর্মকর্তাকে শাহবাগ আন্দোলনকে সরকারের আয়ত্তে রাখার দায়িত্ব দেয়া হয়। ওই কর্মকর্তার কাছ থেকে আসা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরে সেখানে বড় ধরনের সমাবেশ ঘটানো হয়। আওয়ামী লীগের সর্বস্তরে নির্দেশ দেয়া হয় শাহবাগ আন্দোলনে পালা করে শামিল হতে। আবার রাজধানীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের রুটিনমাফিক শাহবাগে যোগ দিয়ে সংহতির নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ এমপি ও নেতারা। ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয় শাহবাগ আন্দোলনকারীদের খাবারসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়ার জন্য।
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৮
সুখোই-৩৫ বলেছেন: বাংলাদেশের কৃষ্টি-কালচারের পরিপন্থী মোমবাতি প্রজ্বলনের কর্মসূচি দেয়া হলে তাও বাস্তবায়নের
সারাদেশের প্রশাসন ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
লেঞ্জাডাতো বাইর হইয়া পড়লো।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৯
হাসানুর বলেছেন: সারাজীবনতো ফাজলামোই করে গেলেন !