নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“পাপকাজগুলো মানুষের চেহারাকে কুৎসিত করে দেয়\"\n

মুফতি উবায়দুল্লাহ

“ততক্ষণ পর্যন্ত যেকোন জ্ঞানের মাধ্যমে কেউ উন্নত হতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সুন্দর আচরণের মাধ্যমে সে তার জ্ঞানকে সৌন্দর্যময় করে।”

মুফতি উবায়দুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সভ্য সমাজের প্রকৃত মুখ উন্মোচন....

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

২০০৩ সালের ১৪ই অগাস্ট রাত ন'টা চৌত্রিশ। নিউ ইয়র্ক সিটির নর্থ ইস্ট ব্লকে বজ্রপাতের কারণে ইলেক্ট্রিসিটি চলে যায়। তাবত দুনিয়ার সর্বাধুনিক শহরের সভ্যতম মানুষগুলোর জীবন আচমকা স্থবির হয়ে পড়ে। কয়েক লক্ষ লোক সাবওয়ে ট্রেনে, বাসে, ট্র্যামে, লিফটে আটকে পড়ে। তাদের চিৎকার-চেঁচামেচি ক্রিস্টমাস আর নিউইয়ারের হৈচৈকেও ছাড়িয়ে যায়।

রাত ১১টা তিরিশে সমাপ্ত হয় ব্ল্যাকআউট পর্ব।
এই দুই ঘন্টায় নগরীর দোকানগুলোতে চলে পাইকারী লুটপাট। পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে টানের মালসহ তিনশত নয় জনকে গ্রেফতার করে। স্টেশন হাউজগুলো লুটের মালে বোঝাই হয়ে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মত লাগছিলো সে রাতে।

এ তো গেল লুটপাট সমাচার। এছাড়াও হয়েছে ব্যাপক যৌন হয়রানি, মারপিট আর ছিনতাইয়ের ঘটনা।
মাত্র দুই ঘন্টা বিদ্যুতের লাইন আর সরকারের আইন ছিল না- তাতেই বেরিয়ে এসেছে পৃথিবীর সবচেয়ে সভ্য মানুষ দাবিদারদের প্রকৃত চরিত্র।

এ ঘটনা থেকে সহজেই বোঝা যায় যে নিরীহ গোবেচারা পথচারীদের মধ্যে একটা বিরাট অংশ লুটেরা, ছিনতাইকারী, ধর্ষকামী হয়ে আমাদের চোখের সামনে ঘুরে বেড়ায়। শুধু সুযোগের অভাবে তারা ভদ্রলোক। এটা শুধু আমেরিকায় নয়, সারা দুনিয়ায়।

মওকা পেলে যাদের 'ভদ্রলোকি মুখোশ' এর আড়াল থেকে লোভী পশু বেরিয়ে আসে, তারা শুধু গোপনীয়তা প্রকাশের ভয়েই ভদ্র। মজার ব্যাপার হলো এই ভদ্রলোকেরা সব আধুনিক সেক্যুলার শিক্ষায় শিক্ষিত।
অথচ মাদ্রাসার অর্ধ শিক্ষিত (সেকুবিদ্যায়) ছেলেগুলো যদি এরকম হরিলুটের পরিবেশে পড়ে যায়, তাহলে তাদের ভূমিকা কখনোই এরকম হবে না ইনশাআল্লাহ (হাজারে দুই-একটা ব্যতিক্রম থাকতে পারে)।
এই দুই শ্রেণীর মানুষগুলোর মধ্যে একটা জিনিসের উপস্থিতি এবং শূণ্যতা মানুষের মনুষ্যত্ব ও পশুত্বকে জাগিয়ে তুলেছে। আর সেটি হলো তাক্বওয়া বা আল্লাহ্ ভীতি।

যে আল্লাহকে ভয় পায় না, তার ভয় হলো লোকচক্ষু- যেটার আড়ালে লুকাতে পারলে তার দ্বারা সবই সম্ভব। আর যিনি আল্লাহর ভয়ে প্রকাশ্যে কিছু করতে পারেন না, তিনি আসলে গোপনেও সেটা করতে পারেন না। কারণ দুনিয়ার কোন আড়াল দিয়ে নিজেকে আল্লাহর চোখ থেকে আড়াল করা সম্ভব নয়। তিনি আল বাছির। তিনি শুধু দেখেনই না, সবদিক থেকে দেখেন এবং ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণ পর্যন্ত জানেন।
সুবহানাহুয়া তা'য়ালা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সজিব্90 বলেছেন: এক সিরিয়ান ড্রাইবার আমাকে ঘটনাটি বলেছিল আমাকে , তখন বিশ্বাস করে নি , এখন বিশ্বাস করছি ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৯

মুফতি উবায়দুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫১

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: নিজেকে আল্লাহর চোখ থেকে আড়াল করা সম্ভব নয় B:-) B:-)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫০

মুফতি উবায়দুল্লাহ বলেছেন: অবশ্যই,,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.