নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একাকিত্বের কথন

কাওছার০

নীরব কথক

কাওছার০ › বিস্তারিত পোস্টঃ

~~জোনাকি~~(গল্প)--------------২য় পর্ব

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

(৩)

নিধিকে দেখলে আমার একটা ফুলের মতন মনে হয়।ফুলটা ধীরে ধীরে প্রস্ফুটিত হচ্ছে।আর আমি মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছি।আমার বোনটার কিছু হলে আমি এক মূহুর্তের জন্য ঠিক থাকতে পারি না।আমার মনে হয় কেউ আমার অর্ধেক অস্তিত্বটাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।আমি ওকে কি পরিমাণ ভালোবাসি তা বোধ হয় আমি নিজেও জানি না।

অফিসে বসে কাজ করছিলাম।হটাত্‍ ফোনটা বেজে উঠল।দেখলাম নিধির ফোন।ওর ফোন দেখে আমার মনে একটা শীতল বাতাস বয়ে গেল।কলমটা ফাইলের ওপর রেখে ফোনটা রিসিভ করলাম।আমার হাসিমুখটা মূহুর্তের মধ্যে নিভে গেল।ওপাশের কথা শুনে আমি আর এক মূহুর্তের জন্য বসে থাকতে পারলাম না।বড় স্যারকে বলে বাসায় চলে আসলাম।আজকে রাস্তাটা মনে হয় বেড়ে গেছে।যেন শেষই হচ্ছে না।বাড়ির গেটের সামনে নেমে রিক্সা ভাড়া দিয়ে দৌড়ে রুমে ঢুকলাম।নিধিকে ওর রুমে পেলাম না।আমার রুমের দিকে গেলাম।আমি তখন রীতিমত হাঁপাচ্ছি।নিধি আমার জোনাকি চাদর গায়ে শুয়ে আছে।বুয়া পাশে বসে মাথায় পানি দিচ্ছে।আমি ওর কাছে যেয়ে বসলাম।কপালে হাত দিলাম।আমার মনে হল আমি কোন উত্তপ্ত কড়াই এর ওপর হাত দিয়েছি।আমার জোনাকি জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে।হটাত্‍ ওর প্রলাপ শুনতে পেলাম।'ভাইয়া,ভাইয়া.....'বলে ডাকছে।আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না।দুচোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।আমার জোনাকটাকে কোলে তুলে নিয়ে ছুটলাম হসপিটালের দিকে।সারারাত ঘুমের ঘোরে নানারকম প্রলাপ বকেছে।কখনো মা,কখনো বাবা,আবার কখনো ভাইয়া ভাইয়া বলে ডেকেছে।মাঝে মাঝে হাসছে।সারাটা রাত ওর পাশে ছিলাম।এক মূহুর্তের জন্যও আমি ঘুমাতে পারি নি।সকালের দিকে ওর জ্বর কমে এল।চোখ মেলে তাকালো।আর ভাইয়া বলে ক্ষীণ স্বরে ডাকলো।ওর মুখে ভাইয়া ডাক শুনে আমার দেহে যেন প্রাণস্পন্দন বেড়ে গেল।আমি ওর কাছে যেয়ে বসলাম।আমার দিকে ও তাকিয়ে হাসছে।মিষ্টি মায়াকাড়া এক মুচকি হাসি।যেন ওর কিছুই হয় নি।আমি ওর কপালে স্নেহের চিহ্ন এঁকে দিলাম।

রাতে রুমে বসে অফিসের কাজ করছি।নিধি চা নিয়ে আমার পাশে বসল।কোন কথা বলছে না।বুঝলাম ও আমার সাথে কথা বলতে চায়।আমি ওর দিকে না তাকিয়ে বললাম-

>কিরে কিছু বলবি নাকি?

>হুম।

কলমটা রেখে ওর দিকে ঘুরে বসলাম।

>বল কি বলবি।

>তুই তো বুড়ো হয়ে যাচ্ছিস।বিয়ে শাদী কি করবি না নাকি?ভাবী পাব কোনদিন? ;)

আমি ওর কথা শুনে হেসে দিলাম।আসলেই কি আমি বুড়িয়ে যাচ্ছি!

>আরে করব একদিন।

>কোনদিন করবি?মরার পর? X(

>হাহ হাহ হা।তুই এত উতলা হচ্ছিস কেনো?তোর বিয়ে দিয়ে দিলে তুই চলে যাবি।তখন তো আমি একা থাকব।আমি একা একা থাকব কিভাবে,আমার দেখাশুনা করবে কে এইসব ভেবে তুই ভাবীর কথা তুলছিস তাই না?

>হুম।আর আমি বিয়ে করলে তো!আমি সারাজীবন তোর সাথে থাকব।আমি আর ভাবী মিলে তোকে জ্বালাবো।হি হি হি। :D:D

>তাই নাকি!

>হুম।এখন বল কবে করবি?

>আরি বাহ!যেরকম ভাবে কথা বলছিস তাতে মনে হচ্ছে তুই কাউকে আমার জন্য পছন্দ করেছিস?আর এখন তার হয়ে ওকালতি করছিস?

>তোর মাথা!জানিস ভাইয়া,সাদিয়া আপু না মাঝে মাঝে তোর কথ জিঙ্গেস করে। ;)

>আচ্ছা!তা তুই কি বলিস?

>আমি তোর নামে সব সময় বদনাম করি।তুই খারাপ, আমাকে খালি মারিস এইসব।আর আপু শুনে শুধু হাসে। :)

>তাই নাকি!

>আরে শোন না।আপু তোর সাথে কথা বলতে চায়।তোর ফোন নাম্বার চেয়েছিলো।আমি জিঙ্গেস করেছিলাম 'কেনো'?আপু না লজ্জ্বায় কিছু বলতে পারে নি।আমার মনে হয় আপু তোকে পছন্দ করে। :)

>তোর কথা শুনে মজা পেলাম।এখন তোর আসল কথা বল।হটাত্‍ সাদিয়ার কথা বলছিস কেনো?

>না মানে ভাইয়া,বলছিলাম কি,আপু তো দেখতে খারাপ না।আপু তোক খুব পছন্দ করে।তোর পাশে দারুণ মানাবে ভাইয়া। :)

>তার মানে হচ্ছে তুই সাদিয়াকে তোর ভাবী হিসেবে চাচ্ছিস?

>হুম।

>আচ্ছা যা।আমি ওদের পরিবারের সাথে কথা বলে দেখি তারা কি বলে।তারা অমত না করলে সাদিয়াই তোর ভাবী হচ্ছে।

>উম্মাহ!আমার লক্ষী ভাইয়া।আচ্ছা আমি যাই। :)

বলেই ও চলে গেল।আমি ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম।আর মুখ দিয়ে অস্ফুট স্বরে বেরিয়ে আসল 'পাগলী একটা।'

কয়েকদিন পর আমি সাদিয়ার পরিবারের সাথে কথা বলি।তারা অমত করেননি।সাদিয়ার সাথে কিছুক্ষণের জন্য কথা বলেছিলাম।ওর কথা আর চেহারা দেখে বুঝে গিয়েছিলাম ও বেজায় খুশি।তার খুশির আলোকচ্ছটা চেহারা দিয়ে ঠিকরে বের হচ্ছে আর কথার মাধ্যেমে তা প্রকাশ পাচ্ছে।আমি শুধু মুচকি হেসেছিলাম।

কয়েকদিন পরেই সাদিয়ার সাথে আমার বিয়ে হয়ে যায়।সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছিল আমার জোনাকটা।নেচে, গেয়ে বিয়ে বাড়িটা মাতিয়ে রেখেছিল।শত শত আলোর মাঝে একটা মিষ্টি আলো তার শুভ্র আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে।



(৪)

সাদিয়া আর নিধি মিলে সারা বাড়িটাকে মাতিয়ে রাখত।সাদিয়ার রান্নার হাত বেশ ভালো।নিত্য নতুন খাবার তৈরিতে পারদর্শী ছিলো সে।আর আমার বোনটাতো আছেই।ও এই ফাঁতে রান্নার কাজটাও শিখে নিচ্ছে।আমি তাদের সেসব খাবারের টেস্টিং মেশিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করতাম।খাবারগুলো মন্দ হতো না।বেশ আনন্দ সহকারেই খেতাম।

একদিন রাতে নিধির রুমে গেলাম।দেখলাম কার সাথে যেন কথা বলছে।আমি আরো আগেই কিছু আঁচ করতে পেরছিলাম।গলা খাকরি দিলাম।আওয়াজ শুনে নিধি ফোনটা লুকিয়ে ফেলল।আর একটা বই টেনে পড়তে শুরু করে দিলো।আমি ওর এই কাজ দেখে হেসে ফেললাম।ওর কাছে যেয়ে বসলাম।

>ছেলেটা কে?

>কোন ছেলেটা?

>যার সাথে কথা বলছিলি।সোজা কথায় আপনার মনের মানুষ।

>ভাইয়া তুমি না!

>আরে লজ্জ্বা পাচ্ছিস কেনো?আজ হোক কাল হোক তোকে তো বিয়ে দিতে হবে।তোর পছন্দ অপছন্দের একটা ব্যাপার অছে না।

>আমি বিয়ে করব না।

>মজা করিস আমার সাথে।তাহলে প্রেম করিস কিসের জন্য?বিয়ে আপনাকে করতেই হবে।

>আমি ওরে ঘরজামাই রাখমু।

>যাক এতক্ষণে লাইনে আসছেন।স্বীকার করলেন যে কেউ আছে।তো ছেলেটা কি করে?

>একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করে।

>ভালো।একদিন আসতে বলিস তো ছেলেটাকে।

>কেনো ভাইয়া?

>তার কত বড় সাহস আমার বোনের সাথে প্রেম করে।তার চাঁদবদনটা তো একটু দেখা দরকার। ;)

কথাটা বলে আমি ওর দিকে তাকিয়ে হাসলাম।গালে চিমটি দিয়ে চলে আসলাম।

>উফ ভাইয়া,এভাবে কেউ চিমটি মারে!

আমি ওর এই কথা শুনে হাসছি।আজ ওর ঘুম হয় কিনা সন্দেহ।এতদিন যে ভয়টা ছিলো তা এখন নেই ওর মাঝে।ওর ভাই সম্মত আছে বোঝা যায়।

এর কয়েকদিন পর নিধি ছেলেটাকে বাসায় নিয়ে আসল।নাম রাসেল।ছেলেটাকে দেখেই আমার ভালো লেগে গেল।কথাবার্তা শুনে আমার রাসেলকে মার্জিত রুচিসম্পন্ন একটা মানুষ বলেই মনে হল।আমি ওর বাবা মাকে প্রস্তাব পাঠাতে বলেছিলাম।

রুমে এসে নিধিকে ডাক দিলাম।

>কি খুশি তো!

ও কোন কথা না বলে আমাকে জড়িয়ে ধরল।

>ভাইয়া তুই এত ভালো কেনো!

ওর ফোঁপানির আওয়াজ পাচ্ছি।কাঁদুক।অনন্দটা তো তারই।

নিধির পড়ালেখা শেষ।রাসেল তার বাবা মাকে প্রস্তাব নিয়ে পাঠালো।যেদিন তারা দেখতে এসেছিলো সেদিনই রিং পড়িয়ে গিয়েছিলো।আমার জোনাকটা দেখি প্রায় সময়ই রিংটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে।আর মুচকি মুচকি হাসছে।আমার ভালোই লাগে।নতুন একটা সম্পর্কে জড়ানোর আগে তার উত্তেজনা আসাটাই স্বাভাবিক।

বিয়ের দিন নিধিকে অনেক সুন্দর লাগছিলো।মনে হচ্ছ স্বর্গ থেকে যেন একটা পরী নেমে এসেছে।চিরপরিচিত আপন কুঠি ছেড়ে চলে যেতে কষ্ট হবেই।যাওয়ার আগে নিধি আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিলো।আর সাদিয়াকে বলেছিলো

>আমার ভাইটার খেয়াল রেখো ভাবী।কথা না শুনলে পিটাবা,ঠিকাছে। :D:D

আমি ওর কথা শুনে হেসে ফেলেছিলাম।রাসেলের হাতে ওর হাত মিলিয়ে দিয়ে বলেছিলাম "আমার বোনটার ব্যাপারে তো সবই জানো।আমি চাই না ও কোন কষ্ট পাক।সুখী হও তোমরা।"কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল।নিধিকে গাড়িতে তুলে দিলাম।

গাড়ি চলতে শুরু করেছে।ধীরে ধীরে চোখটা ঝাপসা হতে শুরু করেছে।গাড়ির পেছনের লাল বাতিটা আস্তে আস্তে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হচ্ছে।একসময় তা মিলিয়ে গেল।এখন আর দেখা যাচ্ছে না।

(৫)



প্রায় দেড় বছর পর চিটাগাং যাচ্ছি।আগে চিটাগাংয়ে চাকরি করতাম।পরে এ চাকরিটা ছেড়ে ঢাকায় চলে গিয়েছিলাম।আমার জোনাকিটা চোখের আড়ালে দীর্ঘ সময় ধরে।তার সাথে দেখা করতে যাচ্ছি।

রাসেল বিয়ের কয়েক মাস পর আমার বাড়ির পাশে ভাড়া নিয়েছিলো।বলতে গেলে জোনাকির চাপেই।সে নাকি আমাকে ছেড়ে থাকতে পারছে না।আমার কাছাকাছি থাকতে চায়।তাই চলে এসেছিলো।অবশ্য আমি ঢাকায় পরিবার নিয়ে চলে আসার পর রাসেলকে আমার বাড়িতে থাকতে বলেছিলাম আগের বাসাটা ছেড়ে।এরপর থেকে ওরা ওখানেই থাকে।

বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালাম।আগের মতই আছে।শুধু আশেপাশের পরিবেশটার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।ছোট ছোট গাছের সারিগুলো বেশ বড় হয়েছে।চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ।চোখটাই জুড়িয়ে গেল।আগের মতই আছে সব।তেমন কোন পরিবর্তন নেই।ঘরে ঢুকতে না ঢুকতেই বুকের মাঝে আচমকা কোন কিছুর ধাক্কা পেলাম।কোলে তুলে নিলাম।ও আমার আরেকটা জোনাকি।দেখতে একেবারে আমার জোনাকিটার মতই হয়েছে।চোখের দিকে তাকিয়ে আমি আটকে গেলাম।হুবহু নিধির চোখ পেয়েছে।

>মামা,মামা।আমার দন্য তক্কেত আনত?

>হুম এনেছি।

>তাও আমি তক্কেত কাবো।

পকেট থেকে ডেইরি মিল্কের চকলেটের প্যাকেটটা বের করে আনলাম।

>মামাকে একতা পাপ্পি দাও।নাহলে তক্কেত দিবো না।

>উম্মাহ।একন তাও।

>এই যে নাও।তোমার আব্বু কোথায়?

>আবু,বাইলে গেতে।

>আচ্ছা।তুমি খেলতে যাও।

চকলেটের প্যাকেটটা নিয়েই কোল থেকে নেমে গেল।আমি যেন নিধিকে দেখতে পাচ্ছি আমার ভাগ্নিটার মাঝে।

সন্ধ্যা নেমে এসেছে।নামায পড়ে আসার সময় মনে হল আমার জোনাকটা মনে হয় রাগ করেছে।এসে কেন ওর সাথে দেখা করি নি।গাল ফুলিয়ে নিশ্চয়ই রুমে বসে আছে।এখন যেয়ে তার রাগ ভাঙাতে হবে।

এগিয়ে গেলাম নিধির রুমের দিকে।চারিপাশে দেয়াল দেয়া।চারকোণায় চারটি মাঝারি আকারের সুপাড়ি গাছ আছে।পাশে একটা বড় লাল কৃষ্ণচূড়ার গাছ।কৃষ্ণচূড়া ফুলে ছেয়ে গেছে ঘরটা।আমার বোনটা এখন এই ঘরের বাসিন্দা।সাড়ে তিন হাত অন্ধকার এক ঘরের মালিক সে।ঘুমিয়ে আছে।

বিয়ের বছর দুয়েকের মাথায় আমার জোনাকির মাঝে আরেকটা জোনাকি আসছে এই খবর পেলাম।খবর পেয়েই চলে এসেছিলাম হসপিটালে।অপারেশন থিয়েটারে যাওয়ার আগে নিধি আমার হাত ধরে বলেছিলো "ভাইয়া,তুই আর আমি মিলে আবার জোনাকি দেখতে পারব তো?"

আমি তখন সে কথার অর্থটা বুঝি নি।বলেছিলাম "কেনো পারবি না।অবশ্যই পারবি।আমরা আবার একসাথে জানালার পাশে জোনাক দেখব।"

আমার জোনাকিটা আর ফিরে আসে নি।আরেকটা জোনাকি যখন তার আলো ছড়াতে এই মর্ত্যে নামছিলো তখন আমায় পড়তে হল এক জবাব না দেয়ার প্রশ্নের সম্মুখে।যেকোন একজনকে বেছে নিতে হবে।ছোট্ট জোনাকটাকে নয়তো আমার জোনাকিটাকে।আমি কি উত্তর দেবো!এ কেমন দোটানায় পড়লাম।হয়ত উপরওয়ালা অন্য কিছু চেয়েছিলেন।তাই আমার জোনাকিটাকে নিয়ে গিয়ে উপহার দিয়ে গেল আরেকটা জোনাকির।এই ছোট্ট জোনাকিটার চেহারাটায় নিধির চেহারায় যে নূর চমকাত তা দেখতে পাচ্ছি।ছোট্ট জোনাকিটার মাঝে আমি নিধির ছোট্ট বেলাটাকে দেখতে পেলাম।

ঝিঁঝি পোকারা ক্রমশই ডেকে চলেছে।তাদের সে আওয়াজটা আমার কর্ণে প্রবেশ করছে না বিরক্তিকর সুর হিসেবে।চোখের সামনে কয়েকটা জোনাকি তাদের সবুজ বাতিটা জ্বেলে দিলো।মিটিমিটি করে জ্বলছে।একবার জ্বলছে আবার নিভছে।কানের মধ্যে নিধির কন্ঠস্বরের অস্তিত্ব পেলাম মনে হয়।মনে হল নিধি বলছে ফিসফিসিয়ে "ভাইয়া,আমাকে দেখতে পাচ্ছিস।তাকিয়ে দেখ,এই যে আমিই তোর সেই জোনাকি।"

(সমাপ্ত)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

রিওমারে বলেছেন: ভাল। অতীব ভাল।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

কাওছার০ বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.