![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রুমেল আজও কয়েকটা খেলনা নিয়ে এসেছে।এসেই নীলিমাকে পেছন থেকে জড়িয়েধরলো।
নীলিমা ঠিক করলো আজই সব বলে দেবে রুমেলকে।এভাবে আর কতদিন!একসময় রুমেল সত্যিটা জানতে পারবে।এ কয়দিন নিলীমা অনেক ভেবেছে।নিজের ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে।কিন্তু তাই বলে অন্যের চোখে এভাবে ধুলো দেয়াটা ঠিক হচ্ছে না।
-তোমাকে কিছু কথা বলার ছিলো।
-নিশ্চয়ই কোন সুসংবাদ আছে তাইনা?বলো তাড়াতাড়ি বলো।
-তোমাকে একটা গল্প বলি।তুমি সহজেই বুঝতে পারবে।
-উফ্।কতদিন তোমার গল্প শুনি না।নাও শুরু করো।
-মেয়েটার বিয়ে হয় একটা ভালো পরিবারে।মেয়েটা বিয়ের আগে থেকেই জব করতো।বিয়ের পরেও জব করার ব্যাপারে তার স্বামীর পরিবার থেকে কোন বাধা আসেনি।যথাসময়ে মেয়েটা প্রেগন্যান্ট হয়।মেয়েটা যে অফিসে কাজ করতো সেখানকার বসের কুদৃষ্টি ছিলো তার প্রতি।মেয়েটা অনেক কৌশল খাটিয়ে বসের থেকে সরে থাকতো।কিন্তু একদিন আর পারে নি।অফিসের বস মেয়েটাকে প্রেগন্যান্ট অবস্থায়ই রেপ করে।মেয়েটা কোন ভাবেই নিজেকে রক্ষা করতে পারে নি।প্রচুর ব্লিডিং হওয়ায় মেয়েটার বাচ্চাটা মরে যায়।মেয়েটা তখন ৬ মাসের অন্তসঃত্বা ছিলো।মেয়েটা কাউকেই এ কথা বলতে পারে নি।কেউ যাতে বুঝতে না পারে সেজন্য অভিনয়ের আশ্রয় নেয়।
-এটা কোন গল্প হলো?এরকম গল্প আর কখনো বলবে না।
-এটা বাস্তব গল্প রুমেল।গল্পের মেয়টাআমি ছিলাম।
রুমেল বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে আছে নিলীমার দিকে।
-কি যা তা বলছো!
-রুমেল আমি ঠিকই বলছি।তুমি দেখতে চাও সেই অভিনয়ের প্রমাণ?
রুমেলের মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না।নিলীমা তার কোমড়ের ওপর থেকে শাড়ির আচল সরিয়ে রুভেলকে দেখালো।রুমেলের মুখ হা হয়ে গেছে।নীলিমার পেটের অংশটাতে একটা ফাঁপা রাবার প্যাড বসানো আছে।যার কারণে পেটটা ফোলা ফোলা দেখাচ্ছে।
নিলীমা কাঁদছে।রুমেল পুরা বোকা বনে গেছে।মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না।
©somewhere in net ltd.