![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Life is short but Hope is Long...
৫০বছর ধরে নাপাক জিন্দেগি পাড়ি
দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল
সংখ্যক শিক্ষক!
গোসলের ফরজ কয়টি?
চেয়ারম্যান সাহেব ৬টি, মেম্বার
সাহেব ১২টি।
প্রধান শিক্ষক ৯টি, বিসিএস ক্যাডার
৫টি। জজ সাহেব ৪টি। এই হল
আমাদের জেনারেল শিক্ষিতদের
ধর্মজ্ঞান বা ধর্ম চর্চা। এটা কিন্তু
বানানো গল্প বলছি না, অপবিত্র
জীবন থেকে পবিত্র জীবনে ফিরিয়ে
আনতে বছরের পর বছর নির্মোহ দরদের
সাথে তাবলীগে নিয়ে গিয়ে
মোজাকারাতে বসে এসব চিত্র
দেখছি।
এসএসসি পরিক্ষা বা এইস এসসি অথবা
অর্নাস মাস্টার্স করা ছেলে গুলো
তাবলীগে যাবার পর দেখে যায় এরা
নবীর নাম বলে খাজা মঈনুদ্দীন
চিশতি কিংবা শাহজাজাল
রাযিআল্লাহু আনহু।
গত ঈদুল আযহাতে এক মন্ত্রী বললেন,
আগামী কাল জানাজার নামাজ
এতোটার সময়। কজন নেতা বলতে
পারবেন ঈদের নামাজ ও জানাজার
নামাজের প্রার্থক্য।
আমি বিশ্ববিদ্যালয়েররএক
বিভাগীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর কে
জিজ্ঞাসা করেছিলাম, দায়মি বা
সবাক্ষনিক মুসলমানদের ফরজ আমল
কয়টি, তিনি বললেন,৫ওয়াক্ত নামাজ
পড়া।
হজ্জে যাচ্ছেন এক বড় নেতা, তাকে
বললাম ভাইজান হজ্বের তালকিন
কি? তিনি বললেন, লা ইলাহা
ইল্লাল্লাহ।
আমার এক সাংবাদিক বন্ধু ধর্ম নিয়ে
কেবল বকবক বিশ্লেষন করেন, একদিন
বললাম ভাই ফজরের নামাজ কয়
রাকাত, তিনি বললেন, ৬রাকাত।
তাদের নিয়ে আমরা কখনো তামশা
করি না বরং সংশোধনের চেষ্টা
করি। কারন স্কুল কলেজ
বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদেরকে প্রর্যাপ্ত
ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষা দেয়া হয় না,
তাই এসব নিয়ে প্রশ্নবানে জর্জরিত
করে তাদেরকে লজ্জাদেয়া কোন
সুস্থ বিবেকবোধ সম্পর্ন্ন মানুষের
কাজ নয়।
তেমনিভাবে মাদরাসায় ছেলেদের
ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হয়। জাগতিক
শিক্ষা কিছুটা রয়েছে। আরো
সংস্কারেরর জন্য আমরা কাজও
করছি।
সেখানে কোমলমতি ছেলেদের, কি
শিক্ষা দেয়া হয় বা হয় না, এমন
প্রশ্ন করা অবান্তর ও অপ-
সাংবাদিকতা। কারন
সাংবাদিকতার জ্ঞান আমাদের
শিক্ষা দিতে হবে না। ভালই জানা
আছে। কিছুদিন সাংবাদিকতার
প্রশিক্ষনও করিয়েছি। অবুজ শিশুদের
দেশের ইতিহাস নিয়ে এলোপাতাড়ি
প্রশ্ন করা কোন শুদ্ধ সাংবাদিকতার
নীতি হতে পারে না। সাংবাদিকতা
অভিজ্ঞতার বিশ বছর পার করছি।
কওমী সিলেবাস নিয়ে কথা বলতে
হলে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞজনদের সাথে
আলোচনা করুন। গ্রামের অশিক্ষিত
মানুষ আর অবুজ শিশুদের সাথে নয়।
বরং তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য
শিক্ষা বঞ্চিত এক নিভৃত পাড়া
গায়ে শিক্ষার আলো জ্বালানোর
চেষ্টা করার জন্য। গ্রামে স্কুল
প্রতিষ্টা না করে মাদরাসা কেন
করেছেন? এমন প্রশ্ন শিক্ষার
আলোহীন এই গ্রামে করা অবান্তর।
মাদরাসা হবার আগে তাদের
শিক্ষার মৌলিক অধিকার নিয়ে
আপনার ক্যামেরা কোথায় ছিল?
খামাকা শিশুদের সাথে প্যাচাল
কইরা পানি ঘোলাটে করে মাছ
শিকারের চেষ্টা করবে না।
অনেকদিন এভাবে পানি ঘোলাট করে
বলেছিলেন, "কওমী মাদরাসা জঙ্গি
প্রজনন কেন্দ্র" সম্প্রতি কিছু জঙ্গি
হামলার পর আপনাদের সে মিশন
ব্যর্থ প্রামান হয়েছে যে, জঙ্গি কোন
মাদরাসয় তৈরি হয় না। আর সারা
দেশের আলেমরা যখন দেশপ্রেমে
ঐক্যবদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদের বিরোদ্ধে
সংগ্রাম করছেন তখন আপনার
মাদরাসা নিয়ে নতুন এজেন্ডা
বাস্তবায়নে মাঠে নেমছেন।
এখন মুন্নী শাহা যা শুরু করেছে
সাংবাদিকতার নীতিমালা ভঙ্গ
করে কোমলমতি গ্রামের মাদসার
শিশুদের প্রশ্নবানে জর্জরিতত করে
বলেছেন, হুজুররা তাদের ব্রেইন ওয়াশ
করে দিয়েছে।
আসলে ওয়াশ নয় ব্রেন ডিমেজ
মুন্নীদেরই। চিকাৎসা প্রযোজন। এরা
এক্সিডেন্টে মারত্মক আহত মৃত্যুপত্র
যাত্রীকে টিভির মাইক্রোফোন মূখে
ধরে প্রশ্ন করে বসে 'আপনার এখন
অনুভূতি কেমন? এর আগেও মুন্নী
শাহা অনেক বির্তকিত নিউজ তৈরি
করেছেন। এসব বন্ধ করা সময়ের দাবী।
কিছুদিন পূর্বে এসএসসিতে জিপিও
৫প্রাপ্ত অসংখ্য ছেলেদের
স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শোক
দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি,
প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্টপতির নাম
জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল একটি টিভি
চ্যানেলের সামনে, তাদের কেউ
সঠিক উত্তর দিতে পারেন নি। এই হল
বাংলাদেশের মেট্টিক পাশ
মেধাবীদের ইতিহাসের জ্ঞানের
দৌড়।
তাহলে মুন্নী শাহা, গ্রামের
মাদরাসার ক্লাস টুতে পড়া ছোট্ট
শিশুটিকে প্রধানমন্ত্রীর নাম
জিজ্ঞেসা করে না পরায় এটাকে
হাইলাইট করার কি আছে? নিজেদের
চরকায় তেল দিন। কওমী মাদরাসাতে
যতেষ্ট তেল আছে। লাগলে নিতেও
পারবেন।
স্কুলের মেট্টিক পরিক্ষা দিয়ে
ছেলেরা তাবলীগে গিয়ে বাংলা
ফাজায়েলে আমল কিতাব রিডিং
পড়তে পারেনা । যা কওমী
মাদরাসার ৫মশ্রেনীর ছাত্রটি
তাদের চেয়ে অনেক ভাল পড়তে
পারে। তাদের হাতের লেখা
আমাদের নুরানীর শিশুদের চেয়ে
খারাপ।
আপনারা যদি এভাবে অপ
সাংবাদিকতা করেন কওমীর সহজ
সরল গ্রামের ছোট ছোট ছেলেদের
নিয়ে। আর তা মিডিয়াতে রং
লাগিয়ে হাইলাইট করেন। তা যদি
বন্ধ না করা হয়। তাহলে সেদিন
বেশি দুরে নয় আমরা নিউজ সাজাব
এভাবে...
"৫০বছর ধরে নাপাক অবস্থায় জীবন
পার করছেন (এতো...জন)
বিশিষ্টজনরা..."
কেবল ফরজ গোসল নিয়ে প্রশ্ন করলেই
থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। দেখা
যাবে আদমশুমারির মুসলিম
বুদ্ধিজীবীদের ধর্মের দৌড়। আমরা
মুন্নীদের মতো হলুদ সাংবাদিকতা
করতে চাই না। কিন্তু বাধ্য করলে,
আমরাও একদিন, মুন্নীশাহার মতো
এরকম নষ্ট নিউজ তৈরি করতে বাধ্য
হব!
সম্প্রতি এটিএন বাংলা তেতুলিয়ার
প্রত্যান্ত গ্রামের নতুন ছোট একটি
কওমী মাদরাসা নিয়ে যে নিউজ
নাটক তৈরি করেছে। পরে তা
টিভিতে প্রচার করে এবং মাদরাসার
সাথে সংশ্লীষ্ট খেটে খাওয়া
গ্রামের মানুষ ও অবুজ শিশুদের
মাদরাসা শিক্ষা, তাদের স্বপ্ন
ভবিষৎ পরিকল্পনা নানন প্রশ্নবানে
জর্জরিত করে বির্তক তৈরির চেষ্টা
করেছে।
সেই গ্রামের সহজ সরল মানুষ আর
অবুজ মাদরাসার শিশুদের পক্ষ থেকে
মুন্নী শাহাকে কবি হেলাল
হাফিজের কবিতাটি উৎসর্গ করলাম।
'যার যেখানে জায়গা'
- হেলাল হাফিজ
"ভোলায়াভালায়া আর কথা দিয়া
কতোদিন ঠিকাইবেন মানুষ
ভাবছেন অহনো তাদের অয় নাই হুঁশ।
গোছায়া গাছায়া লন বেশিদিন
পাইবেন না সময়
আলামত দেখতাছি মানুষের অইবোই
জয়।
কলিমুদ্দিনের পোলা চিডি দিয়া
জানাইছে, -'ভাই
আইতাছি টাউন দেখতে একসাথে
আমরা সবাই,
নগরের ধাপ্পাবাজ মানুষেরে কইও
রেডি অইতে
বেদম মাইরের মুখে কতোক্ষন পারবো
দাঁড়াইতে।
টিকেটঘরের ছাদে বিকালে দাঁড়ায়া
যখন যা খুশি যারা কন
কোনদিন খোঁজ লইছেন গ্রামের
লোকের সোজামন
কী কী চায়, কতখানি চায়
কয়দিন খায় আর কয়বেলা নাখায়া
কাটায়।
রাইত অইলে অমুক ভবনে বেশ
আনাগোনা, খুব কানাকানি,
আমিও গ্রামের পোলা চুতমারানি
গাইল দিতে জানি।"
তাই বাঘের লেজ ধরে খোঁচাবেন না।
কলম আর মাইক্রোফোন এখন আমাদের
হাতেও আছে...
সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ
এক্স সাব এডিটর
দৈনিক ইত্তেফাক
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০
ইকবাল আসাদ বলেছেন: মুননি সাহা, বাংলাদেশের একমাত্র হিজরা সংবাদিক। যারে দেখলে মানুষের কোন এক পরত্যংগ জলে উঠে। একে পাইলে জিগাইতাম ,এই সব হলুদ সাংবাদিকতা করে - কেনে ছলর ?
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৯
অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: তার এ গা জ্বলা সাক্ষাৎকারটি অামার কাছে সংরক্ষিত থাকলেও সময় সল্পতার কারনে তা নিয়ে লেখা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।যাহোক এ সুনিপুণ সময় উপযোগী লেখার জন্য ধন্যবাদ,,,,,,,
৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৯
অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: তার এ গা জ্বলা সাক্ষাৎকারটি অামার কাছে সংরক্ষিত থাকলেও সময় সল্পতার কারনে তা নিয়ে লেখা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।যাহোক এ সুনিপুণ সময় উপযোগী লেখার জন্য ধন্যবাদ,,,,,,,
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪
সেলিম৮৩ বলেছেন: হাছা কথা হুনাইলেন।
ঐটা পুরুষ না মহিলা?