![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Life is short but Hope is Long...
…
হযরত শাহজালাল ইয়ামনী(রহ এর আমলে প্রচলিত জালালাবাদ রাজ্যের(শ্রী হট্ট/শ্রী ভূমি/ পূন্য ভূমি/ চিলচাতল বা সিলেট) নিজেস্ব বর্ণ ও ছিলটি ভাষা নাগরী যখন অরক্ষিত, ধ্বংশের কালগ্রাসে পূর্ন আমাবর্ষা ঠিক তখন চর্যা ও স্মীকৃতির দাবিতে ত্রান কর্তা হিসাবে উদয় হন বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র এ্যাডভোকেট সিলেট রত্ন ইতিহাসবিদ মুমিনুল হক।
তাঁর নেতৃত্বে উদ্যোগে দুই হাজার পনরো সালের সাতই মে নাগরি বর্ণে ছিলটি ভাষা স্বীকৃতি পরিষদ গঠিত হয়। নাগরির প্রায় ছয় শত বছরের ইতিহাসে মুমিনুল হক প্রথম পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা সহ নাগরি স্বীকৃতির দাবি উৎথাপন করেন।ইহা একটি তাৎপর্ষপূর্ন বিষয়।ইতিমধ্যে পরিষদ থেকে দাবির সপক্ষে মানব বন্ধন গন সাক্ষর অভিযান আলোচনা সভা ও সিলেট ও মৌলভীবাজারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী এম পি সবার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ চার জেলা উপজেলা ইউনিয়ন এমনকি গ্রাম সহ শ খানেক কমিটি গঠিত হয়েছে।শত শত লোককে নাগরিতে নাম লেখা শিখানো হয়েছে।প্রায় দুই লক্ষ টাকা খরচ করে পরিষদ থেকে বিনামূল্যে স্কুল ও কলেজে বিতরনের জন্য তিন হাজার নাগরি পোস্টার দুই হাজার হরফের বই,এক শ ব্যানার পাচ শ নাগরি আন্দোলন গ্রন্থ পাচ হাজার হরফের লিফলেট ও নাগরি সংবাদ পত্র ছিলটি খবর সহ গবষনামূলক প্রকাশনা প্রকাশ করা হয়। মাতৃভাষা উল্লেখ করে নাগরি হরফ মৌলভীবাজার সরকারী কলেজ কাশিনাথ কলেজ ও রাজনগরে বড় তিনটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। ছিলটিদের মাতৃভাষা ছিলটি ভাষা তা ব্যানার সাইনবোর্ড ও নাগরি পেপারে উল্লেখ করেছেন ইতিহাসবিদ মুমিনুল হক। তিনি সাহস করে এই কাজটি করেছেন এর আগে কেহ লিখিত ভাবে মাতৃভাষা দাবী করে নাই।বিভিন্ন স্থানে দেওয়ালে নাগরির
স্বীকৃতি চাই লেখা শোভা পাচ্ছে। নাগরি সৈনিকদের উপাধি ও আই ডি কার্ড দিয়ে তিনি উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি প্রথম নাগরি আন্দোলন ও নাগরি সৈনিক ও মাতৃভাষা ছিলটি ভাষা শব্দ ব্যবহার করেন। নাগরি পোস্টার স্কুল ও কলেজে বিতরন ও নাগরি লেখা প্রতিযোগিতা সহ
সার্বিক কাজে এক ঝাঁক নাগরি সৈনিক কাজ করছেন। মুমিনুল হকের সম্পাদনায় প্রথম নাগরি সংবাদ পত্র ছিলটি খবর প্রকাশিত হয়।তেইশটি বিদ্যালয় ও মাদরাসায় নাগরি লেখা ওশিখা প্রতিযোগিতা হয়েছে । সেগুলো হলো 2015 সালে নাগরি শিক্ষক পংকজ পাল ছাতকের ( এক ) শ্যাম নগর বিদ্যালয় (দুই )কৃষন নগর বিদ্যালয় নাগরি শিক্ষক তারেক হাসান চৌধুরী সিলেটের (তিন ) জামেয়া আবু হোরায়রা মাদরাসা শাকির আহমদ রাজনগর উপজেলার (চার )একাশন্তোশ মাদরাসা (পাচ) মেলাগড় বিদ্যালয় নাগরি শিক্ষক শহীদুল ইসলাম (ছয়)তারা পাশা কে জি স্কুল নাগরি শিক্ষক আ রউপ শ্রীমঙ্গল উপজেলার (সাত)কাকিয়া বাজার হাইস্কুল নাগরি শিক্ষক
পিআরএসএম তারেকুল ইসলাম রাজনগর উপজেলার (আট)মোহাম্মদিয়া মাদরাসা (নয়) গ্রীন লিপস কেজি (দশ) রাজনগর পৌটিয়াস নাগরি তিনি 2015 সালের শ্রেষ্ট শিক্ষক নির্বাচিত হন। 2016 সালে নাগরি শিক্ষক মিছবাউর রহমান রনি রাজনগর উপজেলা (এগারো) তারাপাশা পাতাকুড়ি কেজি (বারো)১২৩নং চাটি গাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (তেরো)মেলাগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (চৌদ্দ)কাকিয়া বাজার উচ্চ বিদ্যালয় (পনরো)চাউরুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (ষোল) চাউরুলি জামিয়া ইসলামিয়া মহাম্মদিয়া মাদ্রাসায় ,নাগরি শিক্ষক এ আর কাওছার বালাগঞ্জ উপজেলার (সতরো) বেলাল নগর রিফাত আছিয়া ক্যাডেট একাডেমী (আটারো)সোনাপুর পোস্ট ই সেন্টার কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নাগরি শিক্ষক জাহাজ্ঞীর আলম মিছবা (উনিশ)মৌলভীবাজার কেজি নাগরি শিক্ষক আবু সাঈদ সিলেটের সদরের (বিশ)বরই কান্দি সরকারী বিদ্যালয় নাগরি শিক্ষক হীরা দাস কমলগঞ্জ উপজেলার (একুশ)বৃন্দাবদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। নাগরি শিক্ষক মাওলানা শাহ আলম রাজনগর উপজেলার (বাইশ) রাঙি ছড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় 2016 সালে পরিষদের ছয়টি স্কুলে নাগরি প্রতিযোগিতা করে শ্রেষ্ট নাগরি শিক্ষকের গৌরব অর্জন করেন মিছবাউর রহমান রনি। 2017 সালে নাগরি শিক্ষক মো রাকিব আহমেদ তাহের পুর উপজেলার (তেইশ)বাদাঘাটের সোনাপুর বিদ্যালয়।
পরিষদের কার্যক্রম নাগরির সোনালী অধ্যায়।আমি এই নাগরি আন্দোলনে সকল সিলেটিদের এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।
©somewhere in net ltd.