নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Don\'t be afraid to tell the truth. Because the victory of truth is inevitable.

কাওছার আজাদ

সত্য ন্যায়ে সন্ধানে, আকাশে উড়িয়ে শান্তির নিশান। মুক্তমনে উদার কণ্ঠে, গেয়ে যাবো সত্যের জয়গান।

কাওছার আজাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“ঘোড়ার ডিম”

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

আমি যখন ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ি। তখন তানিয়া ম্যাডাম আমাদের সাধারণ বিজ্ঞান ও ইসলাম শিক্ষা ক্লাস নিতেন। আমি ম্যাডামকে খুব ভাল শিক্ষীকা হিসাবে মানি। কেননা, ম্যাম খুব রাগী স্বভাবের ও মারপিটুনীর আম্মু। তানিয়া ম্যামকে সব ছাত্র-ছাত্রীরাই ভয় করে। তিনি ক্লাসে আসার সাথে সাথে সবাই নিশ্চুপ হয়ে বইয়ের পাতায় নজর রেখে পড়তে থাকে। কারণ তাঁরা জানে পড়া ঠিকমত না হলে পরিণতি কি ভয়াবহ।
.
আর যারা প্রতিদিন পড়া সম্পন্ন করে ক্লাসে আসে, তাদের সাথে ম্যামের আচারণ বন্ধুসুলভ। এই তালিকায় আমরা চার-পাঁচ জন অন্যতম ছাত্র/ছাত্রী ছিলাম। সবাই তানিয়া ম্যাডামকে 'ম্যাম' বলে ডাকলেও আমি 'আপু' বলেই ডাকতাম। এতে ম্যাডামও কিছু মনে করতেন না।
.
তো যাইহোক, তানিয়া ম্যামের অভ্যাস কাউকে পড়া ধরলে সেই স্টুডেন্ট যদি না পারে তাহলে ম্যাম তাকে বলবে, ঘোড়ার ডিম অতঃপর ছয় নাম্বার বেত দিয়ে ইতিহাস। ছয় নাম্বার বেত বলতে যার উপর আর চিকন হয় না।
.
লিখতে দিলে খাতার লেখা যদি ম্যাম বুঝতে না পারে, তাহলে সেই খাতার উপর বড় বড় অক্ষরে লিখে দিবে, 'ঘোড়ার ডিম' শব্দ দুটি।
.
যখন কয়েকজন ছাড়া সবারই পড়া হয় না তখন বলবে, "সব কটাই ঘোড়ার ঘাস কাটতে স্কুল এসেছে। গর্দভের দল, কান ধরে দাঁড়িয়ে থাক।"
.
[মানে কথায় কথায় ঘোড়ার ডিম, ঘোড়ার ঘাস কাটতে এসছো আর শাস্তি দেয়াটা ম্যামের ক্রেডিট ছিল।]
.
ক্লাসের মধ্য আমি একটু বেশি স্বভাবকৌতূহলী ছিলাম। কোন কিছু ভাল করে না বুঝলে তা প্রশ্ন করে জেনে নেওয়া আমার স্বভাব। তাই আমি দাঁড়িয়ে ম্যামকে বললাম, জি আপু একটা কথা বলতে পারি?
- হ্যাঁ অবশ্যই বলতে পার।
- আচ্ছা আপু, আপনি তো কথায় কথায় ঘোড়ার ডিম বলেন। সত্যিই কি ঘোড়া ডিম পাড়ে? আমরা তো জানি, ঘোড়া স্তন্যপায়ী প্রাণী।
[আমার কথা শুনে ক্লাসের সবাই চমকে উঠলেও ম্যাম মৃদু হাসি হাসলেন।]
- ওরে পাগল! 'ঘোড়ার ডিম' বলতে অবাস্তব কিছুকে ইঙ্গিত করে। আচ্ছা তুমি বসো। এই ঘোড়ার ডিম সম্পর্কে একটা সুন্দর গল্প আছে। সময় পেলে একদিন সবাইকে এটা শুনাব।
.
কয়েকদিন পর...
আজ স্কুলে আসার পর থেকে হাঠাৎ ঝিমঝিম বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তানিয়া ম্যামও ক্লাস নিতে এসেছেন।
.
আমি ম্যামকে বললাম, "জি আপু, আজকে বরং ক্লাস করার চেয়ে গল্প শুনতে বেশি ভাল লাগবে। তাই ঘোড়ার ডিম গল্পটা শুনতে চাই।" আমার কথার তালে এক সুরে সবাই বলে উঠল, "জি ম্যাম আজকে গল্প শুনতে চাই।"
.
ম্যাম তীক্ষ্ণসুরে বলতে লাগল, "সব কয়টাই ফাঁকিবাজ! কিভাবে ক্লাস ফাঁকি দেয়া যায়, এ ধন্দা ঠিক আছে। [আমি নিশ্চিত, কথা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছে। তাই বিষণ্ণমনে মাথা নিচু করে বসে রইলাম।]
.
ম্যাম গল্প শুরু করল, একদা এক সময় নাঈম নামের এক বালক ছিল। বালকটি একটু বেশি জেদি টাইপের ছিল। যা ভাববে তা করেই ছাড়বে।
[আমি মনে মনে বললাম, ধেৎ ম্যাম আর নামই পেল না, আমার নামটাই গল্পে প্রবেশ করাল।]
নাঈম একদিন দেখতে পেল, কিছু ধনীর ঘরের দুলাল ঘোড়ার পিঠে করে স্কুলে যাচ্ছে। তাঁর মনে একটা আশা জাগ্রত হলো, ইশ আমিও যদি ঘোড়ার পিঠে করে স্কুলে আসতে পারতাম! তাহলে কতই না ভাল হত।
.
এবার নাঈম স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে নির্জনে মায়া কান্না কাঁদতে লাগল। ছেলের কান্না তাঁর বাবা বুঝতে পেল।
- নাঈম বাপজান, তুমি কাঁদছ কেন? কেউ কিছু কইছেনি?
- না আব্বু, আমাদের একটা ঘোরা কিনে আনতে হবে। তুমি আমাকে ঘোড়ার পিঠে করে স্কুলে রেখে আসবে। নইলে, স্কুলও যাবো না এবং ভাতও খাবো না।
- আচ্ছা তুমি আর কান্না করো না বাবা, আমি অতি শীঘ্রই তোমার জন্য একটা ঘোড়ার ব্যবস্থা করব। [এক বাপের এক পুত, যা চায় তাই পায়।]
.
ঘোড়া ক্রয়ের উদ্দেশ্যে তাঁর বাবা বাজারে যেতে লাগল। ইতোমধ্যে রাস্তার পার্শ্বে একটি তরমুজ ক্ষেত দেখতে পেল। এর আগে ঐ এলাকায় কোন তরমুজের আবাদ ছিল না। সেই বারেই ১ম আবাদ ছিল। তাই হয়ত অত্র এলাকার সাধারণ লোকেরা ঐ সময় তরমুজ কি তা চিনতই না। আর তরমুজ খায় না মাথায় দেয়, তাও বুঝত না।
.
যাইহোক, সেই ক্ষেত মালিকের কয়েকটি ঘোড়া ও ঘোড়ার বাচ্চাও ছিল। ঘোড়াগুলো তরমুজ ক্ষেতের পাশেই বাঁধা ছিল এবং সেখানে ঘাস খাচ্ছিল। আর বাচ্চাগুলো তরমুজ ক্ষেতের ভিতর ঢুকে লাফালাফি ও খেলা করছিল। এতে করে একটি পাঁকা তরমুজ ফেঁটে যায়। আর ঘোড়ার বাচ্চাটি ফাঁটা তরমুজ দেখে ভয়ে ম-ঘোড়াটির কাছে দৌড়ে আসে।
.
তা দেখে নাঈমের বাবা বলল, "বাহ কি আশ্চার্য্য! আমার সামনেই ঘোড়ার ডিমটি ফুটল আবার বাচ্চাও বের হয়ে দৌড়ে পালাচ্ছে। তাই ঘোড়া কেনার চেয়ে; বরং এখান থেকে একটা ডিম নিয়ে গেলেই তো ভাল হয়। আমি নিশ্চিত, ডিমটি বাসায় নিয়ে যেয়ে সযত্নে কিছুদিন রেখে দিলে তা থেকে বাচ্চা বের হতে অবশ্যম্ভাবী ও বাধ্য। তাই করা হোক।"
.
তারপর তিনি ক্ষেত থেকে তরমুজ নয় ঘোড়ার ডিম ভেবে, একটি তরমুজ হাতে নিয়ে বাসায় ফিরতে লাগল। কিন্তু অর্ধপথ আসার পর তাঁর খুব পানির তৃষ্ণা পেল। ঘোড়ার ডিম (তরমুজটিকে) নদীর ধারে রেখে নদীতে পানি পান করতে গেল। এদিকে সেই নদীর পাশ দিয়ে একটা শিয়াল দৌড়াচ্ছিল। যার কারণে শিয়ালের পা লেগে তরমুজ/ডিমটি ভেঙ্গে যায়। ফলে নাঈমের বাবা আচমকা ভাবতে লাগল, 'এই বুঝি ডিম ফুটে ঘোড়ার বাচ্চা বের হয়ে দৌড়ে পালাচ্ছে।'
.
আর নয় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা। সে ঘোড়ার বাচ্চা শিয়ালের পিছনে দৌড়। কি করে সম্ভব একটা নব্য ফুটন্ত ঘোড়ার বাচ্চা এত দ্রুত দৌড়াতে পারে! 'এই দুষ্টু মার্কা ঘোড়ার বাচ্চা থাম, আমি তোর মালিক।' কে শুনে কার কথা? 'শিয়ালরে তুই তোর আপন প্রাণ বাঁচা! এটা পশু শিকারী মানুষ নয়, যেন তুলসী বনের বাঘ মামা।' শিয়াল বেচারা এবার বনের উদ্দেশ্যে আরও দ্রুত দৌড়।
.
এক পর্যায়ে সে ঘোড়ার বাচ্চা নয় শিয়ালটিকে আর দেখতে পেলো না। তাঁর নাগালের বাইরে চলে গেছে। এদিকে সন্ধা ঘনিয়ে অন্ধকার নেমে এসেছে। এমুহূর্তে গভীর জঙ্গল থেকে বাড়িতে যাওয়া খুব বিপজ্জনক ব্যাপার। তাই সে বনের মধ্যে একটা বুড়ির বাড়িতে রাত্রি যাপনের জন্য আশ্রয় গ্রহণ করল। বুড়ি তাকে তাঁর ঘরের পাশে আলাদা একটা ঘরে থাকতে দিল।
.
তবে হ্যাঁ, বুড়ি ঐ জঙ্গলের মধ্যে তাঁর একটা ৯বছরের নাতীকে নিয়ে বসবাস করে। রাত প্রায় ১১টা বাজে। বুড়ির নাতী বুড়িকে বলতেছে, "দাদি খুব পেশাবের চাপ দিয়েছে, চলো বাইরে যাব।"
.
প্রত্যুত্তরে বুড়ি নিম্ন স্বরে বলল, "এই চুপ কর 'বাঘে-টাঘে' ধরবে! বাইরে যাওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে জানালা দিয়ে পেশাব কর।" [কেননা, এসময়ে বুড়ির বাড়িতে নেকড়ে বাঘটি এসে ঘুমায়।]
.
বাঘে-টাঘে ধরবে একথাটা আঙ্গিনার উপস্থিত বাঘটি এবং ঘরের ভিতরে থাকা নাঈমের বাবা স্পষ্ট শুনতে পেল। কিন্তু বাঘ ভাবল, "টাঘ আবার কে? সে আমার থেকেও বড় শক্তিশালী অন্য কোন প্রাণী নাকি!"
.
অপরদিকে নাঈমের বাবা ভাবল, "টাঘ মানে হতে পারে আমার সেই নব্য ভূমিষ্ট পালিয়ে আসা ঘোড়ার বাচ্চাটি। একবার বাইরে বের হয়ে নিরক্ষণ করে দেখা যেতে পারে যে, টাগ মানে আমার ঐ ডিম থেকে ঘোড়ার বাচ্চা না অন্য কিছু! যা হোক, এখন বাইরে যেয়ে ভাল করে পরিদর্শন করা প্রয়োজন।"
.
তিনি বাইরে যেয়ে দেখতে লাগল, "ওরে শালা এ তো দেখছি আমার নব্য ঘোড়ার বাচ্চাটাই। আমাকে দৌড়িয়ে ক্লান্ত করে পালিয়ে এসে এখানে জাবর কাটা হচ্ছে? রাখ্ হারামজাদা দেখাচ্ছি মজা! আজ তোর রেহাই নাই।"
.
কিন্তু ঘোড়ার পিঠে উঠে তাকে পরিচালনা করতে হলে লাগাম প্রয়োজন। হুম্ম, তাঁর কাঁধে গামছা ঝুলানো ছিল। তা দিয়েই কাজ হবে। আর দেরি নয়, এক লাফেই উঠে বসে ঘোড়ার পিঠে। ঘোড়ার বাচ্চা নয়, নেকড়ে বাঘের গলায় লাগামের পরিবর্তে গামছা পেঁছিয়ে দেয় জোরে টান।।
"চল্ ঘোড়া চল্,
ভাঙ্গা রাস্তা তল-অবতল,
আকাশ বাতাশ তোলপার করে,
আমার বাড়ির পথে চল্।"
.
বাঘ বেচারা এবার ভাবতে লাগল, "এই বুঝি টাঘ ভাই আমাকে ধরে ফেলছে।" গলায় গামছা পেঁচানো ছিল তাই বাঘ তর্জন গর্জনও করতে পারছিল না। তবুও অব্যর্থ চেষ্টায় গরগর করে বলতেছে, "প্লিজ টাঘ ভাই আমাকে ছাইড়া দাও। আমি আর জীবনেও তোমার সামনে আসমু না।"
.
কে শুনে কার কথা! এবার নাঈমের বাবা বলল, "চুপ কর হারামজাদা!! তোরে আর ছাড়ছি না। লাগাম নয় গামছা ধরে আরও জোরে টানতে শুরু করল।"
.
বাঘের নিঃশ্বাস যায় যায় অবস্থা। কোনো উপয়োন্তর না পেয়ে সে আরও দ্রুত জঙ্গল ছেড়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে দৌড়াতে থাকল। এক পর্যায়ে তীব্র অন্ধকার পেড়িয়ে প্রভাত নেমে আসলো। ঘোড়া নয় বাঘের শরীরের রেখা, দাগ, চিহ্ন অস্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। আরও কিছুদূর যাওয়ার পর স্পষ্ট বুঝা গেল যে, এটা ঘোড়ার বাচ্চা নয়রে গাধা; এটা সত্যিকারেই নেকড়ে বাঘ।
.
এতক্ষণে বিপদ ছিল বাঘের কিন্তু এমুহূর্তে নাঈমের বাবারও বিপদ! মাংসশ্বাসী প্রাণী নেকড়ে যদি জানতে পারে যে, তাঁর পিঠে মানুষ বসে আছে। তাহলে আমার অবস্থা কি হবে আল্লাহ্ তায়ালাই ভাল জানে। সুতরাং সকাল হওয়ার আগেই কিছু একটা করতে হবে।
.
বাঘ খুব ক্লান্ত, তাই তাঁর দৌড়ের গতি বেশ কমেছে। আর নাঈমের বাবা একটা বড় বটগাছ দেখতে পেল। আর দেরি নয়, সে চলন্ত বাঘের পিঠ থেকে এক লাফে বটগাছের একটা লতা ধরে গাছে উঠে পড়ল। আর গামছাটা তাঁর হাতেই ঝুলানো ছিল।
.
এবার চলন্ত বাঘটিও গাছের নিচে থেমে গেল। আর ভাবতে লাগল, 'যাজ্ঞে বিপদ কেটে গেছে। টাঘ ভাইয়ের মনে দয়া হয়েছে। উপরে তাকিয়ে, কিন্তু এ কি? টাঘ ভাইয়ের লেজ এত বড়!!' সে ঝুলন্ত গামছাটাকে সে লেজ মনে করছিল। 'যাইহোক, সে টাঘ ভাই আমাকে রক্ষা দিয়েছে। তাকে ধন্যবাদ না দিয়ে কেমনে জঙ্গলে ফিরে যাই!' এবার বাঘ তাঁর সামনের এক পা উঁচু করে সম্মান প্রদর্শন করল। তারপর ধন্যবাদ দিয়ে বনে চলে গেল।
.
পূর্ব দিগন্ত নব্য সূর্য উদিত হয়েছে। আবু নাঈম বিষণ্ণ, কমনেচ্ছু ও ভারাক্রান্ত মনে গাছ থেকে মাটিতে নেমে বাড়ির দিকে যাচ্ছে। কিছুক্ষণপর সে বাড়িতে এসে পৌঁছিল।
.
তৎপর নাঈম তাঁর বাবাকে বলল, "আব্বু আমার ঘোড়া এনেছ?"
তাঁর বাবা ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে নাঈমের গালে দিলেন একটা থাপ্পর বসিয়ে। আর বললেন, "হারামজাদা রাখ্ তোর অদিখ্যেতা! আমি বাঘের প্রাণনাশক মুখ থেকে বেঁচে এসেছি এটাই সবচেয়ে বড় কথা।"
.
এই পর্যন্ত বলে ম্যাডাম থামলেন। এতক্ষণে ক্লাসের সবাই গল্পটি আদর্শ শ্রোতার মতো মন দিয়ে শুনছিল। কিন্তু আমি গল্পটার শেষের কথাগুলো শুনে গালে হাত দিয়ে বসে আছি। আমার এরকম ভাবগম্ভীর দেখে সকল স্টুডেন্ট ও তানিয়া ম্যাডাম সদ্য হাসি হাসছে।
.
আর আমি মনে মনে বললাম, "এইটা একটা কোনো গল্প হলো নাকি! ঘোড়ার ডিম!! ঘোড়ার ডিম ইজ অলওয়েজ ঘোড়ার ডিম। তা নি যত গল্পই বানানো হোক না কেন তা ঘোড়ার ডিমই হবে। অবান্তর কথা, অবাস্তব বস্তু।"
.
লেখাঃ কাওছার আজাদ (নাঈম)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.