নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Don\'t be afraid to tell the truth. Because the victory of truth is inevitable.

কাওছার আজাদ

সত্য ন্যায়ে সন্ধানে, আকাশে উড়িয়ে শান্তির নিশান। মুক্তমনে উদার কণ্ঠে, গেয়ে যাবো সত্যের জয়গান।

কাওছার আজাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“ভূত রহস্য/তর্কবিতর্ক”

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৩২

আমি যখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি, তখন থেকেই আমি গল্পের বইয়ের পোকা হয়েছি। গল্প যেখানে আমিও সেখানে। বিশেষ করে ভূতের গল্পের বই আমার হাতের নাগালে আসলেই খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে আগে বইটায় খতম দিতাম।
তন্মধ্যে অন্যতম গল্পের বই গুলোর নাম হচ্ছে, "বোতল ভূত, ভূত মন্ত্র, ভূতের বাড়ি ভূত, ভূতের রাজা রমাকান্ত, আহত প্রেম, নীল পরী, দরবেশ বাবা" ও ইত্যাদি।
.
এইসব বই আমি সংগ্রহ করতাম আমার বন্ধু তামিমের বাবার লাইব্রেয়ী স্টোর থেকে। সে আমার সম্পর্কে চাচাও হয়, তাই হয়তো বইগুলো সংগ্রহ করতে সহজ হয়েছিল। তবে হ্যাঁ, 'আহত প্রেম' ও 'দরবেশ বাবা' এই দুইটা বই বড় আপুর থেকে চুরি করে নিয়ে পড়েছিলাম।
.
তা যাইহোক আমরা এখন গল্পে আসি...
"২০১১খ্রিঃ জুলাই মাস" প্রাঃ শিঃ সমাপনি ফাইনাল পরীক্ষার আর চার মাস বাকি। আমার বড় আপু তানিয়া (আমাদের প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষীকা) তিনি আমাদের 'গণীত ও বিজ্ঞান' সাবজেক্ট ক্লাস করায়।
.
তানিয়া আপুর বকা-ঝকা খেয়ে 'আমি' ও আমার কাজিন 'ফাবিহা' তার কাছে গণিত, ইংরেজী আর বিজ্ঞান সাবজেক্ট প্রাইভেটের মত করে পড়তে শুরু করলাম। তানিয়া আপুর ভাষ্যমতে আমাদেরকে যেভাবেই হোক সমাপনি পরীক্ষাতে জিপিএ-৫ পেতেই হবে।
.
আমাদের পড়া দেখে, 'তামিম আর রাকিব' আপুর কাছে পড়তে চাইল। এখন আমরা চারজন আপুর কাছে ব্যক্তিগতভাবে সময়ের পরিক্রমায় লেখাপড়া চালে যাচ্ছি। কিন্তু আমার সমস্যা হলো, তানিয়া আপুকে আমি খুবেই ভয় পাই। কারণ, সে একবার রেগে গেলে আমাকে আস্ত গিলে খাবে; এটা আমার ভাল করেই জানা আছে।
.
পড়ার ফাঁকে হঠাৎ করে ফাবিহা বলে উঠল, "আপু-আপু, কাওছার ভাইয়ের কাছে নাকি ভূত থাকে, সে ভূতের মন্ত্র জানে!"
- এই চুপ করে অঙ্ক কর তাড়াতাড়ি, নইলে খবর আছে কইলাম কিন্তু! (তানিয়া আপু)
[এবার সবাই নিশ্চুপ।]
.
কিছুক্ষণপর তামিম অঙ্কটা কমপ্লিট করে আপুকে দেখাল।
- হুম্ম `টিক চিহ্ন`, যা যায়গায় গিয়ে বস! (তানিয়া আপু)
- ম্যাডাম, একটা কথা বলতে পারি? (তামিম)
- কি বলবি বল তাড়াতাড়ি!
- আপু, কাওছারের কাছে সত্যিই একটা মস্তবড় ভূতের বই আছে।
[আমি মনে মনে ভয় পেতে লাগলাম আর ভাবতে লাগলাম, কেন যে এদেরকে বইটা দেখাইছি!]
একটা জোরে অট্ট হাসি দিয়ে তানিয়া আপু আমাকে টার্গেট করে বললেন, "দেখি তোদের বানানো গল্পের বই আর ভূতের মন্ত্র। আমি আজকে ভূতকে ধরে ইচ্ছেতরে শাস্তি দিব।"
.
[রাকিব আমাকে কানে কানে ফিসফিস করে বললো, দোস্ত চিন্তা করিস নে; পরিকল্পনা অনুযায়ী ম্যাডামরে আজ ভূতের চৌদ্দ গোষ্ঠী পর্যন্ত বিশ্বাস করাইবো]
.
‘‘আমি জানি রাকিবের বুদ্ধি কৌশলের জালে যে একবার পড়বে, তার অবস্থা আর স্বাভাবিক থাকবে না। রাকিব ক্লাসে বুদ্ধিজীবী, গোপাল ভাঁড়, কৃতকার্য শিয়াল পন্ডিত নামে খ্যাত।’’ এর প্রমাণ একদিন পেয়েছিলাম, ‘‘হেডস্যারকে বোকা বানানো দিয়ে।’’
.
তো যাইহোক রাকিব আমার ব্যাগ থেকে 'ভূতের বাড়ি ভূত' গল্পের বইটা বের করে আপুকে দিল। তানিয়া আপু কিছুক্ষণ বইটি পড়লেন। তারপর বইটি বন্ধ করতে করতে বললেন, "এগুলো তোমাদের বানানো ভূত। এই বইতে ভূত নিয়ে যা লিখেছে এর কিছুই আমি বিশ্বাস করি না। ভূত থাকলে জীবনে আমার সামনে একটি না একটি পড়তো। ভূতের ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হতো না। ভূত থাকলে এতদিনে বহুবার ভূতের সঙ্গে মানুষের কিলাকিলি হতো। জীবনে তো একটা ভূতও দেখলাম না। শুধু ভূতের গল্প আর গল্প। (Unseen is nothing) আসলে ভূত বলতে কিচ্ছু নেই। সব বানোয়াট কাহিনী মানুষ রচনা করে।"
.
আমি বললাম, "এখন যদি ভূত নিয়ে আমি তোমাকে যুক্তি দিয়ে বোঝাই যে, অবশ্যই ভূত আছে আর তখনই তুমি বলবে, কাওছার তুমি এতো পাকামো করো না। পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে বি.এস.সি করেছি। সাইন্সের স্টুডেন্ড আমি প্রমাণ ছাড়া অন্ধ বিশ্বাস করা আমাদের ফিকশন নয়। বেয়াদবির একটা সীমা আছে, ফাজিল ছেলে কোথাকার।" কি আপু, আমাকে এসব বলে বকা দিয়ে তাড়িয়ে দেবে না তো?
.
আপু বললেন, ‘‘যে জিনিস দেখা যায় না, যার অস্তিত্ব নেই, এমন একটা অবিশ্বাস্য বিষয় নিয়ে তর্ক করলে শুধু বকা আর ধমকেই সীমাবদ্ধ নয়, কপালে কিছু পিটুনীও থাকতে পারে।’’
.
ভয়ে ভয়ে আমি বললাম, ‘‘আপু এ বিষয়টি নিয়ে আমি তোমার সঙ্গে মোটেও তর্ক করব না। এর প্রমাণ হাতেনাতে দেব।’’
.
তামিম বলল, ‘‘হ্যা ম্যাডাম, আমরাও কাওছারের কাছ থেকে হাতেনাতে প্রমাণ দেখতে চাই।’’
.
তানিয়া আপু বড় বড় চোখ করে বললেন, ‘‘হাতেনাতে প্রমাণ দেবে মানে? তুমি কি ভূতের ঘাড় ধরে এনে আমার সামনে দাঁড় করে দিয়ে বলবে যে, আপু এই দেখো ভূত, কত ভয়ঙ্কর ভূত! হা-হা-হা, আর আমি ভয়ে এ্যাটাক হবো।’’
.
আমি বললাম, ‘‘আজ সূর্যটা ডোবা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। তারপরই দেবো ভূতের প্রমাণ।’’
আপু বললেন, ‘‘আচ্ছা ঠিক আছে, আমিও সে পর্যন্ত অপেক্ষা করবো ভূতের প্রমাণের জন্য।’’
.
সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হলো। তানিয়া আপুর ঘরে যেয়ে দেখি, আপু চোখ বন্ধ করে তন্দ্রাভাব নিয়ে সুয়ে আছেন। আমি গিয়ে একটু কাশি দিতেই আপু চমকে উঠে বললেন, কে? কে?
- আপু আমি কাওছার। ভূতের প্রমাণ না দিতেই নিজের ভাইকেও পর্যন্ত চিনতেছ না!
- কোথায় তোর ভূতের প্রমাণ! নিয়ে এসেছিস?
- না মানে, ইয়ে আপু! প্রমাণ দেয়ার জন্যিই তো এসেছি।
- প্রমাণ? প্রমাণ দেয়ার জন্য আমার রুমে এসেছিস! সাহসতো কম না তোদের! ‘কই, কই তোদের প্রমাণ?’
[মনে মনে বললাম, মেয়ে মানুষের এত রাগ রে আল্লাহ্! এ জন্যেইতো তামিমকে সাথে করে নিয়ে রুমে ঢুকেছি]
- আপু, আজ্ঞে তুমি খালি সবসময় আমার সাথে রাগ করো! তুমিতো নিজেই আমাদের কাছ থেকে প্রমাণ চেয়েছিলা। তাই প্রমাণ দেয়ার জন্যই তোমার কক্ষে প্রবেশ করেছি।
- তো প্রমাণ কর! আমার সামনে একটা ভূত ধরে এনে দেখিয়ে দাও যে, ভূত বলতে এর অস্তিত্ব কিছু একটা আছে।
.
সাইলেন কিলার তামিম বললো, "মার্জনা করবেন ম্যাডাম। আমরাতো যাস্ট কাওছারের ভূতের প্রমাণ দেখার জন্যই এখানে এসেছি!"
আমি তামিমকে বললাম, "ঐ হ্লা আমার আবার ভূত কই? সব ভূততো তোর বাপের দোকান থেকে কিইন্না এনেছি! আর মিউচুয়াল ভূতের খামারতো রাকিবের বাসায়!"
.
আমাদের এসব আবোল্লা-মার্কা কথা শুনে তানিয়া আপু অতি আগ্রহের সহিত বললেন, "তোরা অবান্তর এসব কি বলছিস? পাগল-টাগল হলি নাকি!"
তামিম বললো, "কিছু না ম্যাডাম!"
- কিছু না তো এখন ভূত আছে প্রমাণ কর। প্রমাণ না করতে পারলে, ‘‘কপালে যে তোদের কি লেখা আছে তা তুইতো ভাল করেই জানিস!’’
.
আমি জগ থেকে গ্লাসে পানি ভরালাম। তারপর তামিমকে বললাম, ‘‘আমার রুম থেকে বাঘ মামার হাড্ডি, ছুরি ও কালো বইটা নিয়ে আয়।’’
[বাঘের হাড্ডি, ছুরি ও কালো বইয়ের কথা শুনে আপুর মুখ্যদ্বয়ে ভৌতিক কৌতুহলের ছাপ।]
.
তামিম বই, ছুরি ও হাড্ডি আমাকে এনে দিল। তামিমকে চেয়ারে বসতে বললাম এবং কালো বইয়ের ২৭নং পৃষ্ঠার মন্ত্রটি, "অন্বেষমাইং বিনিয়ত পরমোত্মা আশ্বিসসং ভ্রুতাং কামান মিছিংকা জলে গ্লাসংত্ব নমঃ তামিস্টাইন, রকিস্টাই, কাওস্টাইন শাহা ভূতকো আইয়া পরহেগা জলদি বাঁতাও!" তিনবার পড়ে পানিতে ফু দিতে কইলাম।
.
তারপর পানিভর্তি গ্লাসটি আপুর হাতে দিয়ে বললাম, ‘‘আপু এই ধরো গ্লাস।’’
আপু হাত বাড়িয়ে গ্লাসটি ধরলেন।
তারপর বললাম, ‘‘এই পানিভর্তি গ্লাসটি এভাবে ধরে এখন তুমি যাবে ঐ মাঠের বটগাছের তলে। সেখানে বটগাছের পার্শ্বে নিচের দিকে কিছু ঝোপ দেখতে পাবে; সেখানে একটি ধুস্তরফুলের গাছ আছে না? ঐ গাছ থেকে একটা ধুস্তরফুল ছিড়ে নিয়ে আসবে। আর গ্লাসের পানি যেন পরে না যায়। বুঝেছ আপু?’’
আপু আশ্চর্য হয়ে বললেন, ‘‘এগুলো তোরা কি করছিস? মাথা খারাপ হয়েছে নাকি তোদের।’’
আমি বললাম, ‘‘ভূতের প্রমাণ দিতেই
এসব করছি আপু, আর কিছু না। আর কোনো কথা নেই এখন রেডি হও তুমি।’’
.
একহাতে পানিভর্তি গ্লাস, আরেক হাতে ছুরিটি নিয়ে ঘর থেকে বের হলেন তানিয়া আপু। এসব দেখে বাড়ির ছোট-বড় সবাই ওঠোনে জড়ো হয়েছে।
সাবিহা বলতেছে, ‘‘তানিয়া আপু ছুরিখানা শক্ত করে ধরো, সামনে কিছু দেখলে দিবে জোরে কোঁপ।’’
.
সবার মুখে হাসি হাসি ভাব।
.
আম্মু বললেন, ‘‘তানিয়া যে কতো বড় বীরবাহাদুরী তাতো আমি ভাল করেই জানি। সারাজীবন আমার আঁচল ধরে ঘরে-বাইরে গেছে আর এখন যাবে গোরস্থান অতিক্রম করে বটগাছের তলে। ব্যাপারটা হাস্যকর ছাড়া বৈকি। এখনই তো কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে দেখছি। আচ্ছা যাও যাও দেখি কেমন সাহসী বেটী তুমি আমার। সাইন্সের স্টুডেন্ট বলে কথা, পৃথিবীতে ভূত-টূত আবার কি!’’
.
আপু বললেন, ‘‘আম্মু তুমি চুপ করোতো!! সেকেন্ডে শতাধিক কথা বলে ফেললা! এখানে সহসের কি আছে? ভূত আবার কী? এটা মাথার নিউরনের অতিরিক্ত ভীতিকর চিন্তাধারা।’’
[আমি মনে মনে কইলাম, যাওনা কেন? তারপর বুঝবে, ‘কত ধানে কত তুষ’]
.
তানিয়া আপু কি যেন পড়ে সারাগায়ে ফু দিয়ে, আল্লাহ্ ভরসা বলে রওনা হলেন।
আপু বাড়ি থেকে গোরস্থানের পথ ধরে অর্ধ কিঃ মিঃ মতো গিয়ে ডেকে ডেকে বলতেছেন,‘‘কইরে তোরা কি আমার পেছনে আছিস নাকি? আমার তো পা চলছে নারে।’’
[আমরা কোনো জবাব না দিয়ে চুপকরে বসে রইলাম।]
.
প্রায় সাত মিনিট হয়ে গেল, কোনো সাড়া শব্দ নেই। হঠাৎ করে বাড়ির টাটি-বেড়া ভেঙে হুমড়ি খেয়ে এসে পড়লো তানিয়া আপু। ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে আপু বললেন, ‘ও বাবারে ওটা কি! আমি মইরা গেলাম। কেউ আমাকে ধরো। আমি শ্যাষ!!’
.
আমি আপুকে বললাম, "আপু ধুস্তরফুল, গ্লাস, ছুরি কই?"
আপু তীক্ষ্ণ গলায় বললেন, "ধুরু, রাখ তোর ফুল আর গ্লাস।"
- আপু গ্লাস আমার নয়! তোমারই প্রতিদিনের পানি পান করার প্রিয় গ্লাস। শুধু ছুরিটা আমার।
- আরে ধেৎ, আমি তো বটতলায় যেতেই
পারিনি। আর কাঁপাকাঁপির চোটে গ্লাসে একফোঁটা পানিও ছিল না।
.
রাকিব বললে উঠল, "তারপর ম্যাডাম কি হয়েছিল?"
- তারপর কি আবার হবে! একটি কালো ভূত এসে আমার হাত থেকে গ্লাসটা ছো মেরে নিয়ে গেল। চোখগুলো এই বড় বড় ছিল। হাতে তিন ইঞ্চি করে নখ ও লম্বা লম্বা লোম! দাঁতগুলো অর্ধফুট করে হবে!
.
তামিম অতি আগ্রহের সহিত বললেন, "তারপর আর কিছু হয়নি ম্যাডাম?"
- তো কি আর হইবো! পরেই না দিলাম দৌড়। পায়ের জোরে কোনোমতে ফিরে এলাম। ভয়ে আমার কলিজ্বা শুকিয়ে গেছে! পানি দাও, পানি খাব।
- আমি পানি দিতে দিতে বললাম, ‘কিসের ভয় পেলে আপু?’
তানিয়া আপু কাঁপতে কাঁপতে বললেন, ‘কিসের আবার, ভূতের ভয়!’
.
রাকিব, তামিম আর আমি একই সাথে বলতে লাগলাম, "Hurrah!! We win the match...!"
.
কিন্তু পরিশেষে সমস্যা বাজলো এক যায়গায় গিয়ে, ‘আগে আমিই আপুকে দেখলে ভয় পেতাম আর এখন তানিয়া আপুই আমাকে দেখলে ভয় পায়।’ মজার ব্যাপার তাই না? কিন্তু ব্যাপারটা আমার কাছে মজার না। বড়রা ছোটদের কাছে হেরে গেলে কেমন যেন মনে হয়!! নিজেকেই খুব অসহায় লাগে।
.
ধুর কচুপোঁড়া! এতকিছু ভূত-পেতের প্রমাণ দিতে যেয়ে অবশেষে আপুর সাথে আনন্দ, তামশা, হাসি-কান্না ও বকা খাওয়া থেকে আমি এখন বঞ্ছিত! I am Sorry - তানিয়া আপু! ‘‘আমাকে আগের মত আর বকা দাও না কেন আপু? আপু, ও-আপু?’’
..
লেখাঃ কাওছার আজাদ (নাঈম)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখার সিনটেক্স ঠিক নেই

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

কাওছার আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাইয়া। আশা করি আপনাদের সংস্পর্শে কিছুদিন থাকলে ঠিক হয়ে যাবে। তাইতো আপনাদেরকে ফলো করে রেখেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.