নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Don\'t be afraid to tell the truth. Because the victory of truth is inevitable.

কাওছার আজাদ

সত্য ন্যায়ে সন্ধানে, আকাশে উড়িয়ে শান্তির নিশান। মুক্তমনে উদার কণ্ঠে, গেয়ে যাবো সত্যের জয়গান।

কাওছার আজাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, অতঃপর আলহামদুলিল্লাহ...”

২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:১১

[দৃশ্য : ১]
পরশুদিন আমার ছোট ভাই আমাকে বলতেছে,-
রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় দেখলাম, এলাকার এক হিন্দু মানুষ কালিমা তয়্যিবা পড়তে পড়তে হাঁটছে। বললাম, “কি রে শ্রীদাশ! কালিমা যেন পড়তেছিস! মুসলমান হয়েছিস নাকি?”
– “না রে। পড়তোছোঁ ব্যাহে, যাতে করোনা টরোনা না ধরে।”
– “ও আচ্ছা! পড়, পড়।” এই বলে পাশ কেটে চলে আসলাম।
.
আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে ‘Tendency, Will-force mind & Psychological fact’ দিয়েছে, তা অটোমেটিক্যেলি আল্লাহকে প্রভু বলে মেনে নেয়। “প্রত্যেক নবজাতক ফিতরাত তথা ইসলামের উপর জন্মগ্রহণ করে। এরপর তার মাতাপিতা তাকে ইয়াহুদী বা খৃষ্টান অথবা অগ্নি উপাসকরূপে রূপান্তরিত করে।” (Bukhari, Ha/1385)। আমাদের পরিবেশ তাদেরকে নাস্তিক বানায়। তারা যদি কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়, তবে অবশ্যই এক আল্লাহকে সিজদাহ করবে। তাদেরকে (বিধর্মীদেরকে) যদি সঠিকভাবে প্রভাবিত না করা যায়, তবে অন্যান ঈশ্বরকে বাদ দিয়ে অটোমেটিক্যেলি আল্লাহকেই ডাকবে। মুখে মুখে সে যতোই নাস্তিক বা সেক্যুলার দাবি করুক! কিন্তু যখন সে কঠিন বিপদের মধ্যে পড়ে, তখন মুখ থেকে অটোমেটিক্যেলি বের হয়ে আসে, ‘আল্লাহ বাঁচাও! অথবা হে বিশ্ব জগতের মালিক রক্ষা করো।’ এটাই সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট।
.
[দৃশ্য : ২]
(ক) কালকে বিবিসি সাক্ষাৎকারে এক মুসল্লি বলছিলেন, “বিশ্বব্যাপীই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে প্রচারণা চলছে। কিন্তু একটা বিশ্বাস থেকে আমার কাছে মনে হয় যে, মসজিদে গেলে আমার কিছু হবে না। এটাই আমার বিশ্বাস। মসজিদে গিয়েই আমি নামাজ পড়ি। জুম্মা তো অবশ্যই। আমি গত জুম্মাতে গিয়েছি। আজকেও আমি মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েছি।”
(খ)
সেই সাক্ষাৎকারে এক ঈমাম সাহেব বলেছিলেন, “সীমিত পরিসরে হলেও জামাত হওয়া, এটা কাম্য। শরীয়তের ভিত্তিতে জামাত হওয়া চাই। আর করোনা বাংলাদেশে মহামারি হলে তারা মসজিদেই কোয়ারেন্টিন যাবেন, কিন্তু জামাতে নামাজ বন্ধ করবেন না।”
এটাকেই বলে দীপ্ত ঈমান। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষেরা কিছু হতে না হতেই আল্লাহর কাছে চায়। মসজিদে গেলে আল্লাহ তাদেরকে রক্ষা করবে—এই দৃঢ় বিশ্বাস তাদের অন্তরে অবশ্যই আছে। তা নাহলে এতো নিষেধাজ্ঞার পরও তারা মসজিদ ছাড়তে চাইছে না কেন? কারণ, যাদের হৃদয়ে আল্লাহর ভয় আছে, তারা মসজিদে গেলে অবশ্যই তাদের ভীতুচ্ছন্ন মনটা অকতুভয়ে দীপ্তমান হয়ে ওঠে। কারণ তাদের বিশ্বাস আছে যে, “যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ্ তার জন্য একটি পথ বের করে দেন... এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর আস্থা রাখে, আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট হন।” [Al-Quran, 65/2-3]
.
[দৃশ : ৩]
শহরাঞ্চল তো বলতে গেলে প্রায় ফাঁকা। তাছাড়াও সরকারী উপর মহলের অধ্যাদেশে শহেরর মসজিদগুলোতে জামাতে নামাজ পড়া একটুখানি শিথিল্য হয়েছে। তবে গ্রামাঞ্চলের মসজিদগুলোতে নামাজীদের প্রচুর ভীড় লক্ষ করা যাচ্ছে। যাদেরকে নিয়মিত নামাজ পড়তে দেখতাম না, তারাও নিয়মিত জামাতে এসে নামাজ আদায় করছে। ফরজ নামাজ পড়ে যখন মুনাজাতের জন্য হাত তুলি এবং দোয়াগুলি পড়ি, মুসল্লিরা তখন পূর্বের তুলনায় জোরে জোরে ‘আমিন’ বলছে। সবার মনে একটাই আঁকুতি—হে আল্লাহ! এই কঠিন মহামারী থেকে আমাদেরকে রক্ষা করো। আমরা তো নাফরমান, পাপ করতে করতে পাপের পাহাড় বানাইছি। এবার একটু মার্জনা করো। এই মহামারিতে নয়, তাহাজ্জুদের জায়নামাজে মরণ দিও। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের কবলে পড়ে আমরা মরতে চাই না—যে মৃত্যু ব্যক্তির কপালে শেষ গোসলও জোটে না, চাই না এরকম মৃত্যু! চাই না!
.
এই পোস্ট লেখার শেষে বুকভরা আশা এবং প্রাণঢাল উচ্ছ্বাস নিয়ে আল্লাহর নিকট শুকরিয়া জানাচ্ছি, “আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ, আমরা অনেক ভালো আছি।” অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনার প্রভাব আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে তেমন বিস্তার ঘটেনি। অন্যসব দেশ অপেক্ষা আমরা অনেক ভালো আছি। এ পর্যন্ত ১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন, আলহামদুলিল্লাহ! এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় কোনো মৃত্যের ঘটনাও ঘটেনি। গতকাল পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮ জন। মারা গেছে ৫ জন। অর্থাৎ মৃত্যু ৫ জন (আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দিক) এবং সুস্থ ১৫ জন বাদ দিলে এখন আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২৮ জন (আল্লাহ এদেরকেও সুস্থ করে দিক। আমিন।)
.
“আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, অতঃপর আলহামদুলিল্লাহ...”
– “কাওছার আজাদ”

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.