![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য ন্যায়ে সন্ধানে, আকাশে উড়িয়ে শান্তির নিশান। মুক্তমনে উদার কণ্ঠে, গেয়ে যাবো সত্যের জয়গান।
‘কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, বক্তা ও ইউটিউবার বা ক্যামেরাম্যান’– এই ছয় শ্রেণির ব্যক্তিদের থেকে সাবধান! এদের চোখের সামনে ভালো কিংবা মন্দ অথবা প্রীতিকর কিংবা অপ্রীতিকর, যেটাই বলো কিংবা ঘটাও-না কেন—এরা জনতার সামনে তা প্রকাশ করবেই। এবং আরো সাবধান হতে পারেন নারী জাতির কাছ থেকেও। কারণ, এরা সিসিটিভির মতো সাংঘাতিক মাপের ভয়ঙ্কর! অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গোপন কথা এদেরকে কখনই বলবেন না।
.
মানুষের স্মৃতিশক্তি বা Human Memory মূলত তিন প্রকার,–
1. Short-term Memory (স্বল্পস্থায়ী মেমোরি)
2. Working Memory (কর্মক্ষম মেমোরি)
3. Long-term Memory (দীর্ঘস্থায়ী মেমোরি)
কিন্তু আমার গবেষণামতে,– এই তিনটির সাথে নারী জাতিদের একটা অতিরিক্ত মেমোরি আছে, Hanging Memory (ঝুলন্ত মেমোরি)। এই মেমোরিতে গোমর ফাঁস করার মতো তথ্যগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ সংরক্ষিত থাকে। অর্থাৎ ‘The ability to remember is very Long-trem’ তথা এই মেমোরির মনে রাখার ক্ষমতাও দীর্ঘস্থায়ী। কিন্তু কাজে-কর্মে সিসিটিভির মেমোরির মতো তথ্য ধারণ করে—যা পরবর্তীতে আপনার সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। আপনি একজন অত্যন্ত ভদ্রছেলে হয়ে কোনো একদিন সিসি ক্যামেরার সামনে মহাসুখে বিড়ি টেনেছেন, অথচ আপনার মনে নাই; কিন্তু সিসিটিভির ঠিকই মনে আছে।
.
[নারী : দৃশ্যপট - ১/ক]
সাংসারিক জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে রাগ, মান-অভিমান, খুনসুটি, ঝগড়া-ঝাটি, মনোমালিন্য ও ভালোবাসা—সবকিছুই থাকবে। কিন্তু স্ত্রী জাতিরা এতকিছু মেনে নিতে রাজি নয়। এরা শুধু চায় শুষ্ক-খসখসে ভালোবাসা। আপনি এই সীমাবদ্ধতার বাইরে গেলেই তারা অতীতকে স্মরণ করে দিবে,–
“কেন? বাসররাতে কি কইছিলা মনে নাই? ফুলশয্যার রাতে একগাছা বকুল ফুলের মালা আমার গলায় পরিয়ে দিয়ে বলেছিলে না যে, ‘তুমি কত সুন্দর, হে অনিন্দ্যুমি সুন্দরী! অনেকদিন ধরে অনেক সাধনা করে পেয়েছি আজি তোমায়। রূপে রূপে অপরূপা তুমি, কতকাল খুঁজেছি তোমায়! তোমার মাঝে লুকিয়ে আছে সৌন্দর্য্যের অপূর্ব অপার। তুমি বিধাতার নিজ হাতে সৃষ্টি এক আলপনা, কোনো কিছুর সাথে তোমার হয় না তুলনা। তুমি আমার টুনটুনি, তুমি আমার প্রিয়ংবদা সুহাসিনী! মেঘ সম কেশ আর চোখেতে হরিণী। তোমার রূপের আলোয় আমার বিশ্বভূবন উদ্ভাসিত, তুমি ছাড়া সবই অন্ধকার। আমি শুদ্ধ হৃদয় নিয়ে এসেছি তোমার দুয়ারে, ভালোবাসি অনেক এবং ভাসবো জীবনভরে।’ আজ কোথায় গেলো তোমার ভালোবাসা? তুমি আমাকে বকা দিচ্ছো! তুমি আমার সাথে ঝগড়া করছো! আমাকে যা-ইচ্ছে তাই বলে যাচ্ছ! এখন বুড়ি হয়ে যাচ্ছি তো, আর ভালো লাগে না আমাকে। আহা, এই হলো তোমার ভালোবাসা! আসলে, তোমরা পুরুষ জাতিরা এরকমই। হুঁ, আমি বুঝি না! আমি সবই বুঝি।” [১/ক]
.
[নারী : দৃশ্যপট - ১/খ]
ঈদুল ফিতরের ঠিক ১৫ দিন আগের ঘটনা। আমার প্রিয়তমাসু বউ মন খারাপ করে বসে আছে। আমি তার কাঁধে হাত রেখে বললাম,– “কি হলো? তুমি মন খারাপ করে বসে আছো যে?”
– “কিছু না। এমনিতেই...”
– “তাহলে আমার সাথে ঠিকমতো কথা বলছো না। কেন, কি হয়েছে তোমার? কোনো সমস্যা?”
– “বললাম তো, আমার কিচ্ছু হয়নি।”
– “না, কিছু তো একটা হয়েছে তোমার! তুমি তো এভাবে মন খারাপ করে বসে থাকার পাত্রী নও। তা, কী হয়েছে জানু তোমার?”
– “এই, খবরদার আমাকে জানু বলবা না। আমি তোমার কে, হুঁ?”
– “হাহাহা, কে আবার? বউ।”
– “এহে, বউ! আচ্ছা, এই যে থ্রিপিচ জামা আর সালোয়ার-কামিজ পরে থাকলে আমাকে কি বধু মনে হয়?”
– “হুম, বুঝেছি ব্যাপারটা।”
– “এই, শুনো-না! আমাকে একটা শাড়ি কিনে দিবে? শাড়ি পরতে খুব ইচ্ছে করছে। তুমি-না গত ঈদে বলেছিলে– ‘আমাকে ঢাকাই জামদানি শাড়ি কিনে দিবে।’ তা কই? কথা বলার সময় তো খুব বলো, কিন্তু কাজের বেলায় নাই। এবার রোজার ঈদে কিন্তু আমার ঢাকাই শাড়ি চাই, হুঁ।”
– “ও খোদা! গত ঈদের কথা এখনো মনে রেখেছ! আমার তো কিচ্ছু মনে নাই।”
– “তোমার মনে না থাকলে কি হবে? আমার কিন্তু ঠিকই মনে আছে।” [১/খ]
.
কোথায় যেন পড়েছিলাম, “বাঙালি কবি থেকে কসাই, ব্রহ্মচারী থেকে প্লেবয় কিংবা বুদ্ধিজীবী থেকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী—এরা সবাই নারী নিয়ে বেশ ভালো জ্ঞান রাখার চেষ্টা করে।” এজন্য আমি কচু নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি এদেরকে নিয়েও একটু-আধটু গবেষণা করছি। গবেষণার ফল-স্বরূপ নিম্নক্তো বাণীগুলো দিতে সক্ষম হয়েছি,
“নারী জাতিরা অতীতের কোনো আলাপচারিতা বা গুরুত্বহীন কথা কিংবা ঘটনার স্মৃতিকে স্মরণ করে দিয়ে পুরুষদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করতে যথেষ্ট পারদর্শিনী।” [১]
“কেউ যদি এদের সামনে কোনো গোপন কথা বলে—এই গোপন কথা যতক্ষণ-না অন্য কারো কাছে বলতে পারবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এরা স্বস্তি পাবে না।” [২]
“কোনো কিছু চাওয়া বা নিজের অধিকার আদায়ের জন্য এরা অভিমান করে বসে থাকে কিংবা অভিনয় করতে সাচ্ছন্দবোধ করে। কিন্তু উক্ত ব্যাপারে কথা বলতে লজ্জাবোধ করে।” [৩]
“এরা কারণে অকারণে ও সময়ে অসময়ে মন খারাপ করে বসে থাকে। এবং মন ভালো করার জন্য পাশে একজনকে থাকা চাইইই।” [৪]
.
‘কী কইতে যেয়ে কী না কইলাম! অনেক কিছু কইলাম। আর কইতাম না। এখন নিশ্চয়ই আপুরা এই পোস্ট পড়ে ক্ষেপে যাবে। আর আমার বৌয়ের নজরে যদি পড়ে, তবে! তবে তো...’
.
– ‘কাওছার আজাদ’ (কচুবিদ ও কচুস্টাইন)
©somewhere in net ltd.