নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নবিহীন মানুষ নিজের কুশপুত্তলিকা ছাড়া আর কী!

কাউসার রুশো

আমার হবে না,আমি বুঝে গেছি, আমি সত্য মূর্খ, আকাঠ! সচ্চরিত্র ফুল আমি যত বাগানের মোড়ে লিখতে যাই, দেখি আমার কলম খুলে পড়ে যায় বিষ পিঁপড়ে, বিষের পুতুল!© আমার নিজের লেখা ও তোলা ছবি, যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব সত্ত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না। ©আমার মেইল এড্রেস [email protected]

কাউসার রুশো › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহানায়ক উত্তম কুমার

২৪ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:২১





তাঁর ভুবনভোলানো হাসি, অকৃত্রিম রোমান্টিক চোখের দৃষ্টি আর অতুলনীয় অভিনয়ের গুণে প্রজন্মের পর প্রজন্ম পেরিয়েও বাঙ্গালি দর্শকদের হৃদয়ের মণিকোঠায় তিনি মহানায়ক। ১৯৪৮ সালে 'দৃষ্টিদান' দিয়ে শুরু আর ১৯৮০ সালে এসে 'ওগো বধূ সুন্দরী' ছবিতে অভিনয় করার সময় জীবনাবসান। মাত্র ৫৪ বছরের ক্ষণজন্মা কিংবদন্তী অভিনেতা উত্তম কুমার চলচ্চিত্র শিল্পকে দিয়েছেন ঝাড়া ৩২ বছর। তবুও অতৃপ্তি মেটে না। মিটবে কী করে? উত্তম কুমারের জন্ম তো বারবার হয় না, হবেও না কোনোদিন। তার চলে যাওয়া ছিল বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের আলোকবর্তিকার মৃত্যু। তিন তিনবার ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এ অভিনেতা সম্পর্কে যতই বলা হোক না কেন তা কম হবে।



উত্তম কুমার ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার ৫১ নং আজিরী টোলা স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেন। দাদু আদর করে তাকে ডাকতেন উত্তম। তবে আসল নাম ছিল অরুন কুমার চট্টোপাধ্যায়। তার বাবার নাম সাতকড়ি-চট্টোপাধ্যায়, মা চপলা দেবী। অভাব-অনটনের মধ্যে দিয়ে কাটে উত্তমের ছেলেবেলা। কিন্তু যার জন্মই হয়েছে আকাশ ছোঁয়ার জন্য দারিদ্র্য পারেনি তাকে দমিয়ে রাখতে। অভিনয় জগতে আসার পেছনে তার পরিবারের প্রভাব ছিলো গুরুত্বপূণ। সংস্কৃতিমনা উত্তমের বাপ-চাচারা পাড়া-প্রতিবেশীর সহায়তায় গড়ে তুলেছিলেন ' সুহৃদ সমাজ'। বিভিন্ন উৎসবে সুহৃদ সমাজ থেকে যাত্রাপালার আয়োজন করা হত। বাপ-চাচাদের যাত্রাপালায় অভিনয় দেখে উত্তমের অভিনয়ের খায়েশ জাগে। আর তার জের ধরেই স্কুলে থাকতেই উত্তম কুমার তার মহল্লায় নাট্যসংগঠন লুনার ক্লাব-এ জড়িয়ে পড়েন। আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মুকুট’ নাটিকায় অভিনয় দিয়ে শুরু হয় মহানায়কের অভিনয় জীবন।







কিন্তু যার রন্ধ্রে রন্ধ্রে অভিনয় শুধু যাত্রা আর মঞ্চ দিয়ে তার মন ভরবে কী???

উত্তমের মাথায় চেপে বসলো সিনেমার ভূত। যে করেই হোক সিনেমায় অ্যাক্টিং করতে হবে। তখনকার দিনে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সাথে গান জানা অপরিহার্য ছিল। তাই তৎকালীন অনেক নামী-দামী শিল্পী যেমন-কানন দেবী, অমিতবরণ, রবীন মজুমদার, পাহাড়ী স্যান্নাল, কুন্দন লাল সায়গল সবাই গান জানতেন। উত্তম কুমার তাই গান শিখতে কণ্ঠশিল্পী ও সঙ্গীত শিক্ষক নিদান ব্যানার্জীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।



সংসারে অভাব থাকায় ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ম্যাট্রিক পাস করার পর তিনি দিনে পোর্ট কমিশনার্স অফিসের ক্যাশ ডিপার্টমেন্টে চাকরি নেন আর রাতে ভর্তি হন ডাল হৌসির গভর্নমেন্ট কমার্শিয়াল কলেজে । নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি ১৯৪৫ সালে বি. কম. পাস করেন।



উত্তমের মাথা থেকে অভিনয়ের ভূত তখনো নামেনি। একদিন তিনি গেলেন ভারত লক্ষ্মী স্টুডিওতে। সেখানে ভোলানাথ আর্য্য ‘মায়াডোর’ নামে একটি হিন্দি ছবি প্রযোজনা করছেন। প্রথমে দারোয়ান ঢুকতে না দিলেও অনেক অনুনয়ের পর পূর্ব পরিচিত নাট্যজন গণেশ বাবুর পরিচয় দিয়ে প্রযোজকের সামনে সামনে হাজির হলেন। প্রযোজক অনেক দেখে-শুনে তাকে ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দিলেন। নতুন বরের মার খাবার দৃশ্যে উত্তমের অভিনয় ছিলো খুবই সাবলীল। এভাবে সহশিল্পীর মর্যাদা নিয়ে মহানায়ক উত্তম কুমার চলচ্চিত্র অঙ্গনে পা রাখেন। পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি দৈনিক একটাকা চার আনা করে সম্মানি পান। কিন্তু তার প্রথম অভিনীত ছবি পরবর্তীতে আর মুক্তি পায়নি। ১৯৪৮ সালে মাত্র সাতাশ টাকা পারিশ্রমিকে নীতিন বসুর ‘দৃষ্টিদান’ ছবিতে উত্তম কুমার নায়কের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেন। এটিই তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম কোন ছবি। কিন্তু তার অভিনীত প্রথম দিকের ছবিগুলো চ্রমভাবে ব্যর্থ হয়।







এরই মাঝে ১৯৪৮ সালের গৌরি গাঙ্গুলীকে প্রেম করে বিয়ে করেন। উত্তম ততদিনে ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিতে নাম লেখালেও পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হননি। তার ভাগ্য খুলে দেয় ‘বসু পরিবার’ ছবিটি। ছবিটি ব্যবসাসফল হওয়ার পাশাপাশি দর্শক-সমালোচক-মিডিয়া মুখরিত হয় তাঁর প্রশংসায়। প্রচুর কাজের প্রস্তাব পেতে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোদুস্তুর অভিনেতা বনে যান। এমপি প্রোডাকশনের হাসির ছবি ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ এর মধ্য দিয়ে উত্তম- সূচিত্রা প্রথম জুটি বাঁধলেন । পরবর্তীতে উত্তম সুচিত্রা জুটি বাংলা ছবির সমস্ত রেকর্ড ভঙ্গ করল। অগ্নি-পরীক্ষা ছবি মুক্তির পর প্রমাণিত হলো বাংলা ছবির অপ্রতিদ্বন্দ্বী জুটি উত্তম-সুচিত্রা।



অভিনয় পাগল উত্তম কুমার চলচ্চিত্রের সংগে সংগে সমান তালে মঞ্চেও কাজ করে যান । স্টার থিয়েটারে এক নাগাড়ে ‘শ্যামলী’ নাটকের ৪৮৬ টি প্রদর্শনীতে তিনি অভিনয় করেন। ১৯৫৬ সালে উত্তম কুমার অভিনেতা থেকে প্রযোজক হয়ে ‘হারানো সুর' চলচ্চিত্রটি উপহার। রাষ্ট্রপতি ‘সার্টিফিকেট অব মেরিট’ সম্মান পায় ছবিটি। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র তিনি পরিচালনাও করেছেন। গুটি কয়েক হিন্দি ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি।



১৯৬২ সালে স্ত্রীর সঙ্গে উত্তমের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ততদিনে মিডিয়ায় অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর সংগে তার সম্পর্কটির বিষয় কারো অজানা নয়।



বাংলা সিনেমার আরেক কিংবদন্তী সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’ ও ' চিড়িয়াখানা' ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার লাভ করেন। এছাড়া ‌' অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি' ছলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যও তিনি জাতীয় পুরষ্কার পান। এছাড়া তিনি নিউইয়র্ক, বার্লিন চলচ্চিত্র প্রভৃতি সম্মানজনক চলচ্চিত্র উৎসবের অতিথির সম্মানও অর্জন করেছিলেন।



১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই ওগো বধূ সুন্দরী ছবির শুটিং চলাকালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ

হয়ে তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত হন। আজ তাঁর ৩১তম মৃত্যুবার্র্ষিকী। বাংলার মহানায়কের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।





(তথ্যসূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা)



উত্তম কুমার অভিনীত ছায়াছবির তালিকা

উত্তম কুমার সম্পর্কে বিখ্যাতদের উক্তি

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:২৫

কাউসার রুশো বলেছেন: আমার ছেলেবেলা কেটেছে উত্তম-সূচিত্রার ছবি দেখে। বাসায় তখন ভিসিপি ছিলো। আব্বু আর আম্মুর প্রিয় নায়ক উত্তম কুমার। তাই বাসায় ছবি দেখা মানেই উত্তম কুমারের ছবি। আমার কাজ ছিলো উত্তম কুমারের কতগুলো ছবি আমরা দেখেছি তার হিসাব রাখা। আমি ছোট্ট একটা নোটবুকে নামগুলো টুকে রাখতাম। উত্তম কুমার অভিনীত ছবির সংখ্যা ১২০ টি। আমার যদ্দুর মনে পড়ে ৯০ এর কাছাকাছি এসে তালিকা থেমে গিয়েছিলো। কিছু ছবির ক্যাসেট পাওয়া যাচ্ছিলো না। আর ততদিনে বাসায় ডিস এন্টেনা চলে এসেছে।
এভাবে দেখতে দেখতেই আমিও বনে গেলাম মহানায়কের ভক্ত। সে হিসেবে আমার ছেলেবেলার নায়ক উত্তম কুমার। তখন দেখা উত্তম কুমারের ছবির কথা আসলে তেমন কিছুই মনে নেই আমার। শুধু মনে আছে ' সপ্তপদী ' ছবিটির কথা। ছবিতে ওথেলো অংশে উত্তমের অভিনয়ের কথা। বাইকে চড়ে উত্তম-সূচিত্রার ' এ পথ যদি না শেষ হয়' গানের কথা। অদ্ভূত ভালো লাগা কাজ করে এই ছবিটার প্রতি। আমার কাছে আজও উত্তম-সূচিত্রার প্রিয় ছবির নাম সপ্তপদী।

চাকরির বেতনের টাকা দিয়ে আব্বুকে দেয়া প্রথম উপহার ছিলো ' উত্তম-সূচিত্রা ' অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর ডিভিডি কালেকশন :)

২৪ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:০৮

কাউসার রুশো বলেছেন:



:) :) :)

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৫১

পুশকিন বলেছেন: আপনার কমেন্টের গল্পটা পড়ে বাবার কথা মনে পড়ে গেলো।প্রথম হলে গিয়ে মুভি দেখি বাবার সাথে মনে হয় ক্লাস সেভেন এর দিকে।আর ছোট বেলায় বাবা মা মুভি দেখতে যেতো পাস্ কেটে।বাংলা ছবির মারামারি আর কাটাকাটির ভয়ে তখন মায়ের আঁচলে মুখ লুকাতাম।আহ,ছোট্ট বেলার সেই দিন গুলো কত নিঃচিন্তের।

ভালো থাকবেন রুশো ভাই, লেখার জন্য ধন্যবাদ।

২৪ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৫৭

কাউসার রুশো বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো পুশকিন ভাই :)
আমি এখন পর্যন্ত হলে বাংলা ছবি দেখেছি মোটে তিনটা
শঙ্খনীল কারাগার (এটাই শুধু বাবা-মার সংগে)
মনপুরা
হাজার বছর ধরে

ধন্যবাদ :)

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৫৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট রুশো ভাইয়া। উনার মতো অভিনেতা এখনও বাংলা সিনেমায় এখন পর্যন্ত আসেনি আর আসবেও কিনা সন্দেহ আছে!

২৪ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৫৮

কাউসার রুশো বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপু :)

অনেক ধন্যবাদ :)

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:০৯

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মহানায়কের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলী!

২৪ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:০৫

কাউসার রুশো বলেছেন: মহানায়কের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলী!

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:০৯

আইজউদদীন বলেছেন: ঐদিন ইন্ডিয়ান ইটিভি চ্যানেলে একটা অনুষ্ঠান দেকতাছিলাম। ঐটা উত্তম কুমাররে নিয়া। দেখাইলো ওখনকার পুলাপান তারে চিনেই না। :( :( তারা বেশি চিনে হিন্দি চিনেমা :P :P :|| :|| :#> :#> আফসুস :| :|

২৪ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:১১

কাউসার রুশো বলেছেন: হিন্দি সিনেমার রথী মহারথীরা তারে গুরু মানে...

শুনেন রাজেশ খান্না কী কয়-

যদিও আমার সঙ্গে উত্তমদাদার কোনো তুলনা হওয়া উচিত নয় কারণ দুজনে দুই ঘরানার, দুই ভাষার, দুই মেজাজের নায়ক, তবু একই ছবির রিমেক (উত্তমকুমারের ‘নিশিপদ্ম’ ছবির রিমেক ‘অমর প্রেম’) হলে স্বাভাবিকভাবেই তুলনা এসে যায়। অন্তত দর্শক তো করেই। এখানে অবশ্য দায়িত্বটা আমার উপর পড়ায় একটু বেশি কঠিন হয়ে গেল কাজটা। তা কী আর করা যাবে। ‘অমর প্রেম’ সুপারহিট হয়েছিল সবাই জানে, অনেকেই হয়তো বলবে আমি দূর্দান্ত অভিনয় করেছি, কিন্তু আমি নিজে জানি উত্তমকুমার আমার থেকে একশো মাইল এগিয়ে ছিলেন।’’

আর শশী কাপুর কয়----

‘‘লাল পাথর’-এর সেই চিৎকার করে বলা ‘আমাকে মুক্তি দাও’, সংলাপ বলার অনবদ্য সেই কায়দাটা আমি কোনোদিন ভুলতে পারব না। সেই যে উন্মাদ প্রেমিক, যে প্রেমিকার খুন-রাঙা বেদি মুছত আর হাহাকার করনত দিনরাত, উত্তমকুমার কী অপূর্ব ফুটয়েছিলেন! উতেপুর সিক্রির দেয়ালে দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে ফেরা, তার আর্তনাদ আজও কানে বাজে। বাংলা আর হিন্দি দুভাষাতেই ছবিটা হয়েছিল। দুটোই দেখেছি আমি। তবে ‘লাল পাথর’-এর উত্তমকুমার আর ‘লাল পাথর’-এর রাজকুমারের কোনো তুলনাই চলে না। রাজকুমারের অভিনয় প্রতিভা সম্পর্কে পুরোপুরি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে পারি, উত্তমকুমার অতুলনীয়।’’

৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:১৮

একুয়া রেজিয়া বলেছেন: আমার প্রিয় অভিনেতা ও নায়ক উত্তম কুমার।
সেই পিচ্চকাল থেকে মার সাথে উত্তম সুচিত্রার ছবিগুলো দেখেছি।
ভাল লাগল লেখাটা পড়ে।
প্রিয়তে নিলাম।:)

২৪ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:১২

কাউসার রুশো বলেছেন: বাহ! আপনার সাথেতো এটা মিলে গেলো।
এ পোস্টের প্রথম কমেন্টটাই আমার :P
সেখানেই এ বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেছি।

৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:১০

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

মহা নায়কের প্রতি শ্রদ্ধা।

আপনার মুভির পোকাটি বেশ পুরোন বোঝা গেল ।

২৪ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:১৩

কাউসার রুশো বলেছেন: মহানায়কের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:১৬

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

ভিডিও এর লিংকটি ঠিক করে দিন ।

২৪ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:১৪

কাউসার রুশো বলেছেন: দুইবার ঠিক করলাম কিন্তু সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে ধরতে পারছিনা :(

৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:৪৬

মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: অনেকদিন পর কোনও পোস্ট প্রিয়তে নিলাম। :)

২৪ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:১৫

কাউসার রুশো বলেছেন: :!> :#> :) :D

১০| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:০৪

সরলতা বলেছেন: রার জেগে জেগে মা আর আমি উত্তম-সূচিত্রার সিনেমা দেখতাম। সেই সিনেমা গুলো এখন অনেক কম দেখায়। মহানায়কের প্রতি শ্রদ্ধা।

পোষ্টটি প্রিয়তে নিয়ে যাচ্ছি। :)

২৪ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:১৬

কাউসার রুশো বলেছেন: মহানায়কের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
ধন্যবাদ :)

১১| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৫

মে ঘ দূ ত বলেছেন: উত্তম কুমার সম্পর্কে সত্যজিত রায়ের কথাটায় শেষ কথা -

"It is the demise of a leading light of the Bengali film industry...There isn't - there won't be another hero like him."

২৪ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:১৮

কাউসার রুশো বলেছেন: বাংলা চলচ্চিত্রের শিল্পের দিকপালের নাম উত্তম কুমার। তার চলে যাওয়া ছিলো বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের আলোকবর্তিতার মৃত্যু। তার মত অন্য কোন নায়ক বাংলায় আসেনি আর আসবেওনা কোনদিন।

১২| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:১০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: মহানায়ক সম্বন্ধে আর কি বলব! উত্তম কুমার একজনই।

২৪ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:১৮

কাউসার রুশো বলেছেন: বাংলা চলচ্চিত্রের শিল্পের দিকপালের নাম উত্তম কুমার। তার চলে যাওয়া ছিলো বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের আলোকবর্তিতার মৃত্যু। তার মত অন্য কোন নায়ক বাংলায় আসেনি আর আসবেওনা কোনদিন।

১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:০১

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
মহানায়ক উত্তম কুমারের ৩১তম মৃত্যুবার্র্ষিকীতে ওনার প্রতি বিনর্ম শ্রদ্ধা।

আমারও খুব প্রিয় নাটক ছিলেন উনি। আমার বড় ভাইদেরও।


খুব সুন্দর লিখেছ।
++

২৪ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:০৮

কাউসার রুশো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :)

১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:১৪

আলআমিন মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ মহানায়ক উত্তম কুমারের কথা শরণ করিয়ে দেয়ার জন্য। পোস্টটিতে খুব ভাল লাগলো।

২৫ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:৫২

কাউসার রুশো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই :)

১৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:০১

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: লেখক বলেছেন : চাকরির বেতনের টাকা দিয়ে আব্বুকে দেয়া প্রথম উপহার ছিলো ' উত্তম-সূচিত্রা ' অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর ডিভিডি কালেকশন

%% চমত্কার এক স্মৃতি আপনার

২৫ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:৫২

কাউসার রুশো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :)

১৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:৩৫

মনে নাই বলেছেন: মহানায়ককে এতটা ভালো লাগে যা বলে বুঝাতে পারবোনা, তার ডায়লগগুলা সবসময় মধুর হয়ে কানে বাজতে থাকে, "আরে পুরুষ মানুষের আবার চরিত্র আছে নাকি", বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই মহানায়ককে।

২৫ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:৫২

কাউসার রুশো বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই মহানায়ককে

১৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:০৮

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: আমি একটা মুভিও দেখি নাই :|

২৫ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:০৭

কাউসার রুশো বলেছেন: কও কী!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! B:-) B:-) B:-)

১৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:০১

বাদ দেন বলেছেন: : লেখক বলেছেন : চাকরির বেতনের টাকা দিয়ে আব্বুকে দেয়া প্রথম উপহার ছিলো ' উত্তম-সূচিত্রা ' অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর ডিভিডি কালেকশন

আমার পাওয়া ডিভিডি কালেকশনের অনেক গুলা জায়াগাই ছিল রীড এরর খাওয়া X(

২৫ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৩৪

কাউসার রুশো বলেছেন: আমারটাতেও এ প্রবলেম ছিলো :( :((

১৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৩৫

আকাশটালাল বলেছেন: উত্তম কুমার। সরি, মনে হয় না আমি উনার ব্যাপারে কিছু বলার যোগ্যতা রাখি, উনাকে শত সহস্রকোটি সালাম। এখনো উনার মুভি গোগ্রাসে গিলি। প্রায় সব মুভিই দেখা। কোন মুভির কথা বলবো - সাড়ে চুয়াত্তর, অগ্নিপরীক্ষা, সাঁঝের প্রদীপ, সাগরিকা, চিরকুমার সভা, পৃথিবী আমারে চায়, পথে হল দেরী, ভ্রান্তিবিলাস উফ........

তবে সত্যজিত রায়ের কাছে উনার থেকে সৌমিত্রর গ্রহনযোগ্যতা বেশি ছিলো। এই কারনে মাত্র দুটি মুভিতে উত্তমকুমারকে নিয়েছেন উনি নায়ক আর চিড়িয়াখানা.........

২৫ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৩৬

কাউসার রুশো বলেছেন: সত্যজিত রায় আসলে জানতেন উত্তমকে কী ধরনের চরিত্রে অভিনয় করানো উচিত।
যার ফলাফল হিসেবে আমরা পাই নায়ক আর চিড়িয়াখানার মত দুটি গ্রেট মুভি।
ছবি দুটোর জন্য উত্তম ও সত্যজিত দুজনই জাতীয় পুরষ্কার পান।

২০| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪১

চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। বাংলা চলচিত্রে উনার অবদান অনস্বীকার্য।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৪০

কাউসার রুশো বলেছেন: নি:সন্দেহে :)

২১| ২৪ শে জুন, ২০১২ ভোর ৪:২৫

তিতলী বুড়ি বলেছেন: amar priyo nayak...

২৪ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৩:১৫

কাউসার রুশো বলেছেন: আমারও :)

২২| ২৫ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৩০

আরজু পনি বলেছেন:

অভিনয়তো সার্বজনীন
আমার চোখে সত্যি অসাধারণ ব্যক্তিত্ব!
১৬ +

২৫ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ৮:৫৭

কাউসার রুশো বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৬:০২

পুরান ঢাকাইয়া বলেছেন: সুন্দর লেখা। +

আসলেই এই মহানায়কের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু পেয়েছি যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বাংলা চলচিত্রে।

২৫ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ৮:৫৮

কাউসার রুশো বলেছেন: সত্যিই তাই।
ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.