নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাত নিরবতায় নির্ঘূম আমি এক যুবক বসে আছি ঘুম হীন কেন তার উত্তর খুজছি

খালেদ সময়

আমি তোমার মত আপন করে আর কারে পাই বল

খালেদ সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছুতেই ঘুম আসে না, তোমাকে দেখার পরে

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৫

‘কিছুতেই ঘুম আসে না, তোমাকে দেখার পরে।’ প্রথম শুনতে পাই সুরাইয়া শাকিলা শুক্লার কন্ঠে এনটিভির ক্লোজআপ ওয়ান কনটেষ্টে। পরে জানতে পারি শুক্লার কন্ঠের এই গানটির মূল গীতিকার কালো কোকিল বেবি নাজনীন। পরে বেবি নাজনীনের কন্ঠেও গানটি শুনেছি। ডাওনলোড করেছি। কিন্তু কেন যেন শুরু থেকে মনে গেথে যাওয়া গানটি শুক্লার কন্ঠেই বেশ প্রিয় লাগলো।



সত্যিই ঘুম আসে না। যখন থেকে তোমাকে বুঝতে শুরু করি তারপর থেকে বহু দিন বহু রাত কেটে গেছে। কিন্তু তোমাকে ভুলতেই পারি না। আসলে জানিনা আমার শেষ গন্তব্য পর্যন্ত তুমি পাশে থাকো কিনা। তবে এটা সত্য যে আমি আমার হৃদয় মননে উড়ন্ত ভাবনাকাশে তোমার রাজত্ব অস্বীকার করতে পারি না। বহুবার তুমি আমাকে ঠেলে বলতে যে, আমার জন্য যারা মনোযোগ দিতে চায় আমি যেন তাদের সাড়া দিই। কিন্তু সত্য কি, আমি তা পারি না। সত্যিই তোমাকে অবজ্ঞা করে অন্য কারো দিকে আমার দৃষ্টি নিপতিত হয় না।



আমার প্রতি তোমার খেয়াল

সকালে আমার ঘুম ভাংতো খুব ভোরে। আর মাঝে মাঝেই আমি হাটতে যেতাম তোমার কাছাকাছি কোথাও। ট্রাউজার, টিশার্ট, কেডসে আমি হাজিরা দিতাম সবুজ ক্যাম্পাসের কালো পিচপথে। তুমি জানতে আমি আসি নিয়মিত। কখনো কখনো এই সাত সকালে তুমি আমাকে হাজিরা দিতে ছুটে এতে ঘর থেকে। আসলে বাসায় তুমি মিথ্যে বলেই আমাকে দেখা দিতে। সেই সোনালী দিনগুলো ভুলার নয়। তুমি খুব ভালো ছবি আঁকতে। মনে আছে আমি তোমাকে একদিন বাসা থেকে বের হতে বলায় তুমি রাগ করলে। তুমি বললে আমি বুঁঝতে চাইনা তোমার সমস্যা। আমি রাগ করিনি। তুমি ভাবলে আমি রাগ করেছি। আমি দুষ্টুমি করে তোমাকে রাগালাম। তুমি হুট করেই দেখি আমার সামনে এসে হাজির। আসলে তোমার সাথে আমার প্রতি সেকেন্ডের শব্দ বিনিময় না হলেও মোবাইলের শর্ট ম্যাসেজ ছিল বাক যোগাযোগের বিকল্প।



তোমার সারপ্রাইজ। একদিন ব্যয়াম করতে বেরিয়ে একটি জায়গায় বসে তোমাকে ম্যাসেজ দিয়ে বললাম যদি একটি পাতা কাগজ ও একটি কলম হতো তবে আমি কিছু লিখতে পারতাম। তোমাকে বলার ঠিক কয়েক মিনিট পর (প্রায় ১০ মিনিট) তুমি আমাকে ম্যাসেজ দিলে আপনি যেখানে বসেন আছেন তার পিছনে যেখানে বাইকটি আছে তার উপর খেয়াল করেন। আমি দৌড়ে গেলাম। ওমা তুমি কখন এ কাজ করলে। আমাকে ডাকোনি কেন? তুমি এতো হাঁসছিলে সেদিন। যা আমাকে খুব আনন্দ দেয়।





আমি জানি, আমার মন খারাপ আর বিষন্নতা তোমার দৃষ্টি এড়াতো না। আমার মন যেন তোমার সাথে সংযুক্ত কোন নেটওয়ার্ক। আমি জানি তোমাকে নিয়ে আমার সামনে এগোবার পথ অনেক সুন্দর হবে, সে বিশ্বাসটাতে চির ধরিও না। তবে আমি হেরে যাবো আমার বিশ্বাসের কাছে। কারো কথায় প্রভাবিত হয়ো না। মনে রেখো জীবনটা শুধুই তোমার। আর তা বহন করতে হবে তোমাকে, তাই এর চ্যালেঞ্জও সব তোমার। এর মাঝে যারা হস্তক্ষেপ করবে তারা শুধু সামাজিক আচার পূর্ণ করার জন্য।



হঠাৎ বৃষ্টি ছবিটা দেখেছো। কেন্দ্রীয় চরিত্রের যুবক শেষ অবদি স্থির ছিল এক অচেনা অদেখা স্নিগ্ধ ফুলকলির জন্য। আমরা হয়তো তাদের মতো না হলেও তার চেয়ে ভালো জীবন উপভোগ করতে পারবো। এ বিশ্বাস আমার শুরু থেকে। তাই হতাশা ও ভীরুতা ঝেড়ে সাহস যোগাও সুন্দরের আগামী গড়তে।



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৭

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
পোস্ট দুইবার আসছে।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬

খালেদ সময় বলেছেন: ধন্যবাদ, আমার পিসিতে প্রবলেম ছিল
তখন বুঝতে পারিনি

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩০

অপ্রচলিত বলেছেন: হুমম বিরহের স্মৃতিচারণ :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.