নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয় বাংলাদেশ

আমি একজন অতি সাধারন বাংলাদেশের নাগরিক যে সপ্ন দেখে একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ।

সচেতন প্রহরী

আমি একজন অতি সাধারন বাংলাদেশের নাগরিক যে সপ্ন দেখে একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ।

সচেতন প্রহরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়াল ২৫ মার্চ ও কোটি মানুষের জেগে উঠা ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:১৭

১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের মাধ্যমে যে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল সেই সূর্‍্য আবার আলো ছড়াতে প্রয়াসী হয় ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ'র দ্বিজাতি তত্বর ভিত্তিতে দুইটি আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে । এর মধ্যে মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ পাকিস্তানের ছিল দুইটি অংশ একটি অংশ হলো পশ্চিম পাকিস্তান ও আরেকটি অংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তান যা বর্তমানে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি স্বাধীন বাংলাদেশ । ১৭৫৭ সালে স্বাধীনতার অস্তমিত হয়ে যাওয়া সূর্যটা আবার আলো ছড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েও আর আলো ছড়ায়নি , ততকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের শাষক গোষ্ঠিরা বাংলার জনগনকে তাদের নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে বাংলার শান্তি প্রিয় জনগনের বুকে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে দেয় । বাংলার জনগন দীর্ঘ প্রায় ২৭ টি বছর অধিকার আদায়ের এক রক্তস্নাত সংগ্রামে নিয়োজিত থেকেও যখন নিজেদের ন্যায্য অধিকার পশ্চিমাদের কাছ থেকে আদায় করতে পারেনি তখন তাদের মনে জেগে উঠে স্বাধীনতার তীব্র আকাংখা । আর সেই আকাংখারই প্রতিফলন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই বিখ্যাত ৭ ই মার্চের ভাষনে আমরা দেখতে পেয়েছিলাম । বাংলার লাখকোটি জনতা সেদিন সত্যিকারের স্বাধীনতার সপ্নে বিভোর হয়ে নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের সপ্ন দেখা শুরু করে । কিন্তু পশ্চিমা শকুনেরা এবার মেতে উঠে আর এক হিংস্র খেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সমস্যা নিরসনের জন্য আলোচনার নাটক করে ততকালীন পশ্চিমা শাষকগোষ্ঠি বাংলার স্বাধীনতার আকাংখাকে চিরতরে নিঃশেষ করে দেওয়ার নীল নকশা আঁকতে থাকে । আর এই নীল নকশারই প্রতিফলন ঘটে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ভয়াল রাতে পাকিস্তানি হানাদারেরা অপারেশন সার্চলাইট এর মাধ্যমে । মাঝরাতে কাপুরুষের মত পাকিস্তানি হানাদারেরা ঘুমন্ত নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নানান অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে । মেশিন গানের ভারি বুলেটের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হতে থাকে মানবতার শেষ চিহ্নটুকুও । ট্যাংকের ভারি গোলার শব্দের সাথে নিরীহ নিরপরাধ বাঙালির বাচার তীব্র আকুতি বাতাসে মিশে যেতে থাকে । কি করুণ সে দৃশ্য ! পাকিস্তানি শকুনের বুলেট ও গোলার আঘাতে মারা পড়ে হাজার হাজার নিরীহ নিরপরাধ বাঙালি । মানব ইতিহাসের পাতাতে সেই দিন পাকিস্তানি হায়েনারা এক কলংকজনক অধ্যায়ের সূচনা করেছিল যার রেশ ধরেই শান্তি প্রিয় জনতা জেগে উঠেছিল নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বসস্ত্র আন্দোলনে । অবশেষে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে ৩০ লক্ষ তাজা প্রাণ ও ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পাই এই লাল সবুজে ঘেরা ১৪৭৫৭০ বর্গকিলোমিটারের এই স্বাধীন ভূমি । আবার নতুন করে ২১৪ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া স্বাধীনতার সূর্য তার আলো ছড়াতে শুরু করে এই বাংলায় ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২৪

বোকামন বলেছেন: দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে ৩০ লক্ষ তাজা প্রাণ ও ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পাই এই লাল সবুজে ঘেরা ১৪৭৫৭০ বর্গকিলোমিটারের এই স্বাধীন ভূমি

“আমরা তোমাদের ভুলবনা”

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

সচেতন প্রহরী বলেছেন: তারা ভুলার মতো নয় । তাদের ভুলে গেলে যে আমরা আমাদের অস্তিত্ব কে ভুলে যাব ।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: লক্ষ প্রানের বক্ষ রঙিন
রঞ্জিত বাংলার মাঠ ,ময়দান
বুক ফাটা আর্তনাদ আজও
গর্জে উটে আঁধারিয়া মৃত্যুর শ্মশান ।
শক্ত হাতে অশ্র ধরে বাংলার দামালেরা
অগ্নিঝরা উত্তাল দিনের বজ্র সে নিনাদ
কানে বাজে বিভীষিকায় অতি ভয়ংকরে
তবুও শপথ আঁকে বীর বাঙ্গালী
রক্ত দিয়েও স্বাধীনতা আনবে বিজয় করে ।

সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের
রক্তিম শুভেচ্ছা

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

সচেতন প্রহরী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । আপনার প্রতিও রইলো স্বাধীনতা দিবসের রক্তিম শুভেচ্ছা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.