নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয় বাংলাদেশ

আমি একজন অতি সাধারন বাংলাদেশের নাগরিক যে সপ্ন দেখে একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ।

সচেতন প্রহরী

আমি একজন অতি সাধারন বাংলাদেশের নাগরিক যে সপ্ন দেখে একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ।

সচেতন প্রহরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

" লেবু বেশি কচলাইলে তিতা হইয়া যায় " অতএব সাধু সাবধান !

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিগত কয়েকবছরে বাংলাদেশের অন্যতম আলোচিত একটা বিষয় । কোন সন্দেহ নেই বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ এর বিচার চায় । কিন্তু তারা এটাও চেয়েছিল যেন এই বিচার কখনোই যেন রাজনৈতিক বিবেচনায় না হয় । কিন্তু এখন জনগনের সে আশায় গুরেবালী । আজ যেন যুদ্ধাপরাধিদের বিচার বিরোধীদল দমনের হাতিয়ার হিসেবে ক্রমেই তার অবস্থান স্পষ্ট করছে । আজ অবস্থা এমন দারিয়েছে যে সরকার দলিয় রাজাকারদে বিরুদ্ধে যখন খুব সুনিদৃষ্টভাবেই ৭১ এ রাজাকারির অভিযোগ উঠেছে তখন যে বা যারা এই অভিযোগ তুলেছেন তাদের কে শাহবাগ থেকে গণহারে রাজাকার উপাধী দিচ্ছে এমনকি তাদের রাজাকার ট্যাগিং থেকে বাদ যায়নি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকিও , যিনি ৭১ এ পাক হানাদার দমনে গঠন করেছিলেন সেই বিখ্যাত কাদেরিয়া বাহিনী যে বাহীনি ছিল পাক হানাদারদের কাছে এক মূর্তিমান আতংক । এই তথাকথিত রাজাকার ট্যাগ মার্ক পাওয়ার পিছনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকির দোষ একটাই তিনি বর্তমান অনেক আওয়ামিলীগ নেতার মত বিবেককে বিসর্জন দিয়ে সত্য কথা বলা থেকে বিরত থাকতে পারেননি । তিনি স্পষ্ট ভাষায় বর্তমান ক্ষমতাশালী দলের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৭১ এ পাক বাহিনীকে সহায়তা করার অভিযোগ করেছিলেন । তাছারা কথায় কথায় বিভিন্ন বিষয়ের সাথে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে মিশ্রন করে বর্তমান ক্ষমতাশালীরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করে ফেলেছেন । এখন বিরোধি দলের যেকোন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে ক্ষমতাশীলরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার ষরযন্ত্রের গন্ধ পান । সরকারের এ অবস্থান আরো স্পষ্ট করেছে সরকারের সমর্থন পুষ্ট গনজাগরন মঞ্চ হেফাজতে ইসলামের অরাজনৈতিক কর্মসুচী ৬ এপ্রিল এর লংমার্চ কে প্রতিহত করতে ২৭ টি তথাকথিত প্রগতিশীল সংগঠনের ডাকা সেই ঐতিহাসিক সরকারী ছুটির দিনে হরতাল ডাকাকে সমর্থন দিয়ে । হেফাজতে ইসলামের ১৩ টি দাবির কোনটিতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার দাবি থাকা তো দূরে থাক এমনকী রাজনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোন দাবির নূন্যতম কোন সংশ্লিষ্টতাও তাদের ১৩ টি দাবির ভিতরে ছিলনা । আগে হলমার্ক দূর্ণীতি , পদ্মা সেতুর কেলেংকারি , কালো বেড়াল এর সহযোগি হিসেবে অভিযুক্ত সরকার এখন ৬ এ এপ্রিল এর লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের লংমার্চ কে বাধা দিয়ে ইসলাম বিরোধী একটা বিতর্কিত ভাবমূর্তি গড়ে তুলল । এভাবে বিভিন্ন বিষয়ের সাথে বর্তমান ক্ষমতাশীলরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে মিশিয়ে ফেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ব্যবস্থাকে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং এখনো করছে । তাই সর্বশেষ একটা কথাই বলতে চাই " লেবু বেশি কচলাইলে তিতা হইয়া যায় " অতএব সাধু সাবধান !

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

গেস্টাপো বলেছেন: আরে মিয়া জিন্দেগিডা পুরাই হেল কইরা দিছে এই বাল অপরাধিদের বিচার.এই গু আজমকে গুলি কইরা মার লেও আমার কোন আপত্তি ছিলো না

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

সচেতন প্রহরী বলেছেন: জাতি সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় । একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এই দাবি করা আমাদের সকলের দায়িত্ব ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.