নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য ও সুন্দরের পক্ষে.........

খুর্শিদ রাজীব

নিজের সম্পর্কে কিছু বলা ধৃষ্টতা হবে বলে মনে করি। পথ চলাতেই আমাদের পরিচয় হবে...

খুর্শিদ রাজীব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাইথোলজি পর্ব ০২: বর্তমান ধর্মসমূহে মেসোপটেমিয় ধর্মের সাদৃশ্য আছে কি!

২৪ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৪৯


এই যে ৬০ সেকেন্ডে এক মিনিট, ৬০ মিনিটে এক ঘণ্টা, এই ধারণা এলো কোথা থেকে?

বিগত সহস্রাব্দের অসংখ্য বিজ্ঞানীর নিরলস প্রচেষ্টায় সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টা, দিন, বছরের হিসেব তথা সময়ের হিসাব নির্ধারণ করা হয়েছে বটে। তবে মজার ব্যাপার হলো, এই সময়ের হিসাবের রুট কিন্তু মেসোপটেমিয়া সভ্যতায়। এই সভ্যতার সম্মানিত এক দেবতা 'আন'র প্রিয় সংখ্যা ৬০। তাই পবিত্র ৬০ সংখ্যার থেকেই ৬০ সেকেন্ড ও মিনিটের হিসেবের গোড়া পত্তন ঘটে। রোর বাংলায় প্রকাশিত এস এন ক্রেমারের বইয়ের ভিত্তিতে লেখা একটি প্রবন্ধে এটা পেলাম।

সময়ের হিসেবের পাশাপাশি এই মেসোপোটেমিয়া সভ্যতার উদ্ভাবিত জোতির্বিদ্যা, কৃষি, চাকা, গণিত, নগরায়ণসহ কত কিছুর ধারণা যে এখনকার মানব সমাজে জ্ঞান-বিজ্ঞান হিসবে প্রচলিত রয়ে গেছে তার ইয়াত্তা নেই। শুধু তা-ই নয়, মধ্যপ্রাচ্যে গড়ে ওঠা আধুনিক ধর্মতত্ত্বগুলোতেও এই মেসোপটেমিয় সভ্যতার সৃষ্ট ধর্মের অমে আচার, বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও মিথেরও সাদৃশ্য দেখা যায়। সুমেরীয়রাই কিন্তু চন্দ্রবর্ষ গণনার প্রবর্তক, সেই চন্দ্রবর্ষ আজও মুসলিম বিশ্বে ইসলাম ধর্মীয় দিন-ক্ষণ গণনায় ব্যবহৃত হচ্ছে।

সামুতে এই সিরিজের প্রথম পর্বে বলেছিলাম, স্রষ্টা সম্পর্কিত ধারণায় প্রাচীন ইরানীয় ধর্ম জরথ্রুস্টবাদের সঙ্গে ইব্রাহিমীয় বা সেমেটীয় ধর্মগুলোর (ইহুদিবাদ, খ্রিষ্টানবাদ ও ইসলাম) অনেক মিল। রোর বাংলায় প্রকাশিত ওই লেখায় মেসোপটেমিয়া সভ্যতার প্রাচীন ধর্মসংক্রান্ত বিশ্বাস, আচার, মিথোলজিক্যাল কাহিনী, প্রচলিত মিথগুলো সেই ধারণা আরও পাকাপোক্ত করলো। যেমন- ইহুদিবাদ ও খ্রিষ্টানবাদে যা নোয়াহ, ইসলামে যা নূহ, প্রাচীন মেসোপটেমিয় মিথে তা জিশুদ্র। তফাৎটা কেবল স্রষ্টায়। মেসোপটেমিয় ধর্মে দেবতা একাধিক, সেখানে ইব্রাহিমীয় ধর্মসমূহ একেশ্বরবাদী।

(লেখা দুটোর লিংক নিচে সংযুক্ত আছে...)

রোর বাংলার ওই লেখায় মেসোপটেমিয়া সভ্যতায় প্রচলিত ধর্মসংক্রান্ত অনেক কথাবার্তাই উঠে এসেছে। মনুষ্যজাতি ও মহাবিশ্ব সৃষ্টি, বেহেস্ত-দোজখ, নূহের মহাপ্লাবন প্রভৃতি বিষয় আশয়ের মূল সুর প্রায় ৬ হাজার বছর পূর্বে গড়ে ওঠা মেসোপটোমিয়া সভ্যতার ধর্মব্যাখ্যার সাদৃশ্যপূর্ণ বলে এই লেখায় অনুভূত হচ্ছে। এও দেখা যাচ্ছে, মেসোপটোমিয়ার ধর্মীয় মাইথোলজি অনেকাংশে মিশরীয় ও গ্রীক মাইথোলজিকেও প্রভাবিত করেছে বলে মনে হচ্ছে। এই লেখায় যে সামান্য তথ্য দেয়া হয়েছে, তাতে গ্রীক দেবতাদের সঙ্গে মেসোপটেমিয়ান দেবতাদেরও খানিকটা সাদৃশ্য দেখা যাচ্ছে। (বিস্তারিত লিখলাম না, নিচে বিস্তারিত লেখাটির লিংক দেয়া আছে।)

সামাজিকবিজ্ঞানীরা বলেন, মানুষের জ্ঞান, মূল্যবোধ, বিশ্বাস, সংস্কৃতি বংশপরম্পরায় প্রজন্মান্তরে প্রবাহিত হয়। এটা কোনো বিশ্বাস-প্রসূত ধারণা নয়, দীর্ঘকালের সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণার ফসল। প্রজন্মান্তরের এই ধারণাটি ধরে যদি আমরা প্রাচীনকালে ধীরে ধীরে এগোতে থাকি, তাহলে হয়ত একটা সময় দেখা যাবে আসলে আমাদের বর্তমান পৃথিবীর যাবতীয় কিছুর মূলে আছে কোনো কোনো সমাজের জ্ঞানীয় উৎকর্ষ। প্রাচীনকালে গিয়ে এই উৎকর্ষতার বিবর্তন দেখতে পারাটাও একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার হবে। যেহেতু টাইমমেশিন বাস্তবে নাই, আপাতত প্রাচীণ পাঠ্যপুস্তক, লেখাজোখা, তাম্রলিপি, দেয়ালচিত্র, খোদাইচিত্র আর মাইথোলজি সংক্রান্ত বইপত্রই ভরসা।

[বিঃদ্রঃ মিথোলজি পর্ব ০১ এ পাঠকদের মন্তব্য ও উৎসাহে এই দ্বিতীয় লেখাটি প্রকাশে প্রেষিত হয়েছি। যদিও এটি একটি ক্ষুদ্র লেখা বটে, অত তথ্য সমৃদ্ধও নয়। তা সত্বেও সামুর পাঠকদের সঙ্গে ভাবনা বিনিময়ে লেখাটি প্রকাশ করলাম। ইচ্ছে আছে, এরকমভাবে ছোট ছোট ভাবনা হোক, বা বৃহৎ পরিসরে আরও তথ্য সমৃদ্ধ করেই হোক, মাইথোলজি সিরিজটা অব্যহত রাখবো।

খুর্শিদ রাজীব
২৩ জুলাই ২০২২


প্রথম পর্ব পড়তে চাইলে Click This Link

রোর বাংলার লেখাটি পড়তে চাইলে Click This Link

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:২৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

সভ্যতার এই সময়ে পূর্বের অনেককিছুর প্রভাব রয়েছে,রিফাইন হচ্ছে, পুরোপুরি বদলে যাচ্ছে।

২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:০১

খুর্শিদ রাজীব বলেছেন: বটে...

২| ২৪ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:২৯

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: হাইলি কম্পোজিট নাম্বারের একটা সিরিজ আছে, এদের এন্টি প্রাইম নাম্বারও বলা হয়। হাইলি কম্পোজিট নাম্বার হল এমন ইন্টিজার যাদের ভাজক বা ডিভিসর এর সংখ্যা হবে সেই ইন্টিজার থেকে ছোট ইন্টিজারগুলোর ভাজকদের সংখ্যা থেকে বেশি। যেমন ৬ এর ভাজক আছে চারটি, অন্যদিকে ১,২,৩,৪,৫ এর ভাজক সংখ্যা যথাক্রমে ১,২,২,৩,২ টি তাই ৬ একটি হাইলি কম্পোজিট নাম্বা।

এই সংখ্যাগুলোর আরো একটা এলিট ক্লাব আছে যাদের বলা হয় সুপিরিয়র হাইলি কম্পোজিট নাম্বার। এই সংখ্যাগুলোর সিরিজ হল ২, ৬, ১২, ৬০, ১২০, ৩৬০, ২৫২০, ৫০৪০,.......।

৬০ কে নানাভাবে ভাগ সহজেই ভাগ করা যায় আবার নাম্বার লাইনে পজিশন জাস্ট এবাউট রাইট, বেশি ছোট না যে ভাগ করতে অসুবিধা হবে আবার বেশি বড় না যে ভাগ করা কমপ্লেক্স হয়ে যাবে। এই কারণেই মনে হয় এটা আন এর প্রিয় সংখ্যা। :D

**১২ মাসের বছর, ৩৬০ ডিগ্রির বৃত্ত এগুলো নাকি মেসোপটেমিয়ান সভ্যতার ইনফ্লুয়েন্সে গ্রহণ করা হয়েছে এমন পড়েছিলাম কোথাও। তাদের সংখ্যার চয়েজ ভালো ছিল বলতেই হয়। =p~

২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:০২

খুর্শিদ রাজীব বলেছেন: তথ্যগুলোর জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ব্লগার নিরীক্ষক৩২৭ এর মন্তব্য ভালো লেগেছে।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

মেসোপটেমিয় এলাকা হচ্ছে - বর্তমান ইরাক ইরান, কুর্দি ও আজারবাইজানের কিছু অংশ।
মেসোপটেমিয় সহ বিভিন্ন অঞ্চল সংস্কৃতি থেকে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন পর্ব পার্বন ইসলামে যুক্ত হয়েছে।


নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত কোনটিই মুসলিমদের মৌলিক নয়।
পারস্য অঞ্চলের জোরাস্থোর (Zarathustra) ধর্ম থেকে নামাজের বিধান এসেছে। মেসোপটেমিয় কালচারে লালিত মুর্তিপুজক জোরাস্থোদের হাজার বছরের প্রাচীন নামাজ বর্তমান নামাজের হুবুহু সেইম।
রসুলের যোদ্ধা দলের অন্যতম ছিলেন পারস্যর জোরাস্থোরা ধর্মের সালমান পার্শি,
যাকে জোড়পুর্বক দাশ করেছিল একদল বেদুইন দস্যু, রসুলের দল মরুভুমিতে এক খন্ড যুদ্ধে তাদের পরাভুত করে, গনিমতের মাল হিসেবে সালমানও রসুলের দলে দাস হিসেবে যুক্ত হয়। কিন্তু সালমান ছিল একজন বিজ্ঞানমনষ্ক স্বশিক্ষিত ইঞ্জিনিয়র, রসুল চিনতে ভুল করেন নি। কিছুদিন থাকার পর রসুল এই সালমান পার্শির মাধ্যমেই নামাজের নিয়ম জেনে সেটা হুবুহু মুসলিম যুক্ত হয়েছিল। উল্লেখ্য কোরানে নামাজের নিয়মের কোন অহি নাজেল হয় নি। আর যতদুর যানা যায় সালমান পার্শিও রসুল দলের গুরুত্বপুর্ন সদস্য হলেও ওনার আদী ধর্ম পরিবর্তন করে নি।


ইসলামের আবির্ভাবের দুই হাজার বছর পূর্বেই ইহুদিদের স্রষ্টা যিহোভাহ, মুসা ইব্রাহিম ইহুদিদের জন্য জাকাত-সদকা বিধান চালু করেছিলেন । নবী মহম্মদ (স) মদিনার ইহুদিদের সাথে থেকে জেনে পরে কিছু সমন্যয় করে ইসলামে যুক্ত করেছেন।
রোজাও আরব ও এশিয়া অঞ্চলের প্রাচীন বিধান, সেটা একটু কাটছাট করে ইসলামে এড হয়েছে।

হজের বিধান আর চেইঞ্জ করার দরকার হয় নি,
প্রাচীন মক্কাবাসি মুর্তিপুজক প্যাগান ও অন্যান্নরা যেভাবে যে কায়দায় কাবায় হজ করতো রসুলের দল মক্কা দখলের পর হুবুহু সেটাই বহাল রাখে। এর ৩ মাস পর মুসলিমদের নামাজের কেবলাও জেরুজালেমএর দিক থেকে কাবার দিকে করা হয়।

৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:২৪

কোনেরোসা বলেছেন: হাসান বালবৈশাখিরা যখন ধর্ম বিশারদ হয়

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৫

খুর্শিদ রাজীব বলেছেন: আমার জানাশোনার অনেক কিছুই আপনার মন্তব্যের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। যদিও এখানে রেফারেন্সগুলো উল্লেখ করেন নি। জরথ্রুষ্টবাদ নিয়ে আমার আরও বিস্তারিত জানার আগ্রহ আছে। আপনি এই তথ্যগুলোর সোর্স উল্লেখ করলে উপকৃত হতাম। আরও উপকৃত হবো যদি এই সংক্রান্ত কিছু বই সাজেস্ট করেন।

৬| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:২৫

কোনেরোসা বলেছেন: তখন ব্লগে এই লেখার মত ছিন্ন হওয়া গুপ্তকেশ হাওয়ায় ভেসে আসে

২০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০৭

খুর্শিদ রাজীব বলেছেন: বটে। তারপর আবার কিছু কিছু গুপ্তকেশী আপন গুপ্তকেশ মগজেও ভরে আর হাওয়ায় মলের গন্ধ ছড়ায়...

৭| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৩৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: অনুমান করে নিলেই তো হয় না। বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা। মেসোপটোমিয়া সভ্যতা নিয়ে কোরআনে অনেক কথা আছে। ইহুদীওল্ড টেষ্টাসেমন্টে ও খ্রীষ্টানদের নিউটেষ্টামেন্টে বলা আছে। অনেকটা ইহদীদের এনখ পুথিতে বিষয়টি বলা আছে। মুসলিমিদের ইদ্রিস আঃ এর সময়কাল এর সময়। মেসোপটেমিয়া সভ্যতায় দুজন ফেরেস্তা পাঠানো হয়েছিলো। তারা মেসোপটেমিয়া সভ্যতার বিকাশে যথেষ্ঠ এগিয়ে গিয়েছিলো মানবজাতিকে। জোহরা নামের একজন রানী এখনে ফ্যাক্ট। যাই হোক। আপনি যে অংকের হিসাবটা তুলে ধরেছেন ৬০ এটা যেমন মেসোপটেমিয়া সভ্যতা মানবজাতিকে ‍দিয়েছিলো। বাইবেল থেকে অর্জিত খ্যাতি (কিংবা কুখ্যাতি) ছাড়াও ব্যাবিলন শহরটির বিশ্বব্যাপী বিশেষ পরিচিতি রয়েছে এর অসাধারণ সব দালানকোঠা, দেয়াল ও অবকাঠামোর জন্য প্রত্নতাত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠায়। এছাড়াও প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং আইনের পথপ্রদর্শক হিসেবে মানবজাতিকে এগিয়ে দিয়েছিলো। তবে যে কারণে ব্যাবিলনের নাম সর্বাধিক উচ্চারিত হয়, তা হলো এর বিস্ময়কর ঝুলন্ত উদ্যান।

ধমীয় দৃষ্টি ভঙ্গিতে বলা হয় দুজন ফেরেস্তা তখন পৃথিবীতে অবতরণ করলেন। তাদের কাজ ছিল সকাল থেকে সন্ধ্যা জনগণের সমস্যার সমাধান করা, বিচার-ফয়সালা করা ইত্যাদি। সন্ধ্যা হলে তারা আবার আকাশে ফেরত যেতেন, এবং সে কাজে তারা ব্যবহার করতেন ইসমে আজম- স্রষ্টার যে পবিত্র নাম উচ্চারণ করার পর যেকোনো অসাধ্য আকাঙ্ক্ষা সাধন করা যায়। ইসমে আজম ব্যবহারের কারণ ছিল, ফেরেশতাদের সাধারণ ক্ষমতাগুলো তাদের ছিল না তখন। (ধর্ম বিদ্বেশের কারনে ফেরেস্তাদের কথা বললে অনেকে নাক সিটকায় কিণ্তু যদি বলতামে এলিয়ান তাহলে অনেকে বলতেন হতে পারে।)

এই দুই ফেরেস্তাদ্বয় মানবজাতির উন্নয়নের সোপান এনেছিলো। পৃথিবীর ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় ধর্মই মানবজাতির উন্নয়নের সোপান। মানুষ সভ্যতা বিকশিত করাটা সর্ম্পূন ভাবে আল্লার কৃতিত্ব। নগর গোত্র গঠন। নগর সভ্যতা বিকশিত করা। নগর সভ্যতা এ্যাস্টিরয়েডের আঘাতে ধ্বংশ করা। অসভ্য জাতি স্বত্তা ধ্বংস করে বাজে বা অসভ্য ডিএনএ বিলুপ্ত করে নতুন ডিএনএ সম্প্রসারন ঘটানো এ সমস্ত ঘটনার মধ্য দিয়েই মানব সভ্যতাকে বিকশিত করা হয়েচে।। জেনিটেক্যালি মানব জাতিকে উন্নত করার পিছনে ইন্টেলেকচুয়েল একটি স্বত্ত্বার হস্তক্ষেপ ছিলো সর্বদাই। যুগে যুগে সভ্যতার বিকাশে অলৌকিক একটি বিষয় ছিলো। কিন্তু আমরা কেনো যেনো মানতে পারি না।

এবার আসি আল কোরআনের ভাষ্যগত মতে ফেরেস্তারা মানব জাতিকে লিখন পদ্ধতি শিখিয়েচে। যে শিক্ষা মানব জাতি চুড়ান্ত উন্নয়নের শিখরে পৌছে দেয়। সেই লিখন পদ্ধতিও নাকি আল্লাহই মানুষকে শিখেয়েছে। “আমি মানুষকে লিখিতে শিখিয়েছি-াাল কোরআন” আল কোরআনের এত বড় মাপের চ্যালেঞ্জ। নিশ্চয় যুক্তসংগত। নইলে এতবড় অহং বোধ নিয়ে মানবজাতিকে দেওয়া ঘোষনা অমূলক হয়ে পড়তো। আল কোরআনে সরাসরি বলছে “আল্রাহ মানুষ জাতিকে লিখিতে শিখিয়েছে যা মানুষেরা জানতো না। প্রকৃতপক্ষে মানুষের শ্রেষ্ঠ জীব হওয়ার মূলে যে বৈশিষ্ট্যটি খুবই গুরুত্বের দাবীদার তা হলো জ্ঞান। তিনি মানুষকে জ্ঞানের ভান্ডার দান করেছেন, শুধু তাই নয়, এ জ্ঞানের দ্বারাই মানুষ ফিরিশতাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। এ মর্মে তিনি ইশরাদ করেন: ‘‘পাঠ কর, আর তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।’’ হাইরোগ্রাফিক্স শব্দের অর্থ নিশ্চয় বোঝেন। যার বাংলা অর্থ পবিত্র বর্ণমালা। মিশরীয়রা জানে দেবতারা আকাশ থেকে এসে মানুষকে লিখতে শিখিয়ে দিয়ে গেছে। প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় হায়ারোগ্লিফকে 'মেদু নেতজার' নামে ডাকা হতো, যার অর্থ 'দেবতাদের শব্দ'। কারণ বিশ্বাস করা হতো যে লেখা সরাসরি দেবতাদের কাছ থেকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে। মিশরীয় পুরাণ অনুযায়ী, দেবতা 'থট' মিশরের বাসিন্দাদের মাঝে জ্ঞানের জ্যোতি ছড়িয়ে দেয়া এবং স্মৃতিশক্তিকে শান দিয়ে ধারালো করে তোলার জন্য তাদেরকে লিখন পদ্ধতি শিখিয়েছিল।

আল কোরআন বলে আল্লা মানুষকে কথা বলা শিখিয়েচে। মানুষের কথা বলার জন্য দায়ী এফওএক্সপিটু নামের একটি জিন। স্তন্যপায়ী প্রায় সকল প্রাণীর শরীরেই আছে এই জিন। কিন্তু মানবদেহে যেটি আছে সেটি এর রূপান্তরিত জিন," মানুষের কথা বলার জন্য এই রুপান্তরিত জীনটি কৃতিত্ব বহন করছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো মানব দেহে এই জীনটি রুপান্তরিত হলো কি করে? কথা বলা ও ভাষার বিকাশে এই জিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কারণ যেসব মানুষের শরীরে এই জিনটি রূপান্তরিত অবস্থায় থাকে না, তাদের কথা বলতে অসুবিধা হয়।" আর যাদের মধ্যে রুপান্তরিত অবস্থায় থাকে তারাই কথা বলতে পারে। কোন না কোন ভাবে কোন মিউটিশন মানব দেহে এই জীনটিকে রুপান্তরিত অবস্থায় পরিবর্তন করেছিলো। অতএব আল্লার কথাই সত্য আল্লাই মানুষকে কথা বলিতে শিখিয়েছে।

"কথা বলার জন্য আমাদের বক্ষ এবং উদরের মাঝখানে যে ঝিল্লির পর্দা সেটি অন্যদের থেকে আলাদা। আমাদের কাছাকাছি যে প্রাণী, অর্থাৎ বানর বা এইপ, যারা কথা বলতে পারে না, তাদের ঝিল্লির তুলনায় আমাদের ঝিল্লিতে নার্ভের সংখ্যা বহুগুণে বেশি।" এসব নার্ভের অর্থ হচ্ছে "আমাদের স্পাইনাল কর্ড এইপের স্পাইনাল কর্ডের চেয়ে মোটা এবং আমাদের ভার্টিব্রাল কলামও একটু বেশি প্রশস্ত। নিয়েন্ডারথালরা যারা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, যারা ছ'লাখ বছর আগেও পৃথিবীতে বেঁচে ছিল, তাদের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে তাদের স্পাইনাল কলামও প্রশস্ত ছিল। অতএব মানুষ সৃষ্টিটাও পরিকল্পিত। অধ্যাপক ফোলি বলছেন, "কথা হচ্ছে একধরনের শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া। এটা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই আমরা শব্দ তৈরি করে থাকি।" হয়তোবা এই শব্দ তৈরী করার পদ্ধতিটা প্রকৃতিগতভাবে কোন মানুষ উৎপাদিত করে। অথবা ত্রিমাত্রিক রুপি বিরাজ হওয়া কোন ফেরেস্তা জীবরাইলের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছিলো কোন নবী । যার মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার প্রতিনিধি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছিলো।

ভাইগো যুগে যুগের এসব সভ্যতায কেন্দুবিন্দু কোন মহামানব মানবজাতিকে এই উন্নযেনের শিক্ষা দিয়েচে। সেখানে কোন মানব মানবজাতিকে পথ দেখিয়েছে অথবা আকাশ থেকে আসা দেবতারা মানবজাতিকে শিখেয়েছে। সকল সভ্যতা একটি পরিকল্পত বিষয়। একটি ভিডিও গেম। একেক বার একেকজন অবতার বা নবী মূল ক্যালেকটার হিসেবে গেমকে প্রতিষ্টিত কেরেছে।


৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২২

খুর্শিদ রাজীব বলেছেন: অনেক সুন্দর করে আপনি মন্তব্য তুলে ধরেছেন। এর জন্য ধন্যবাদ।

আপনার অনেক কথার প্রত্যুত্তর দেয়া যায়। অনেক কিছু বিকৃত করে উপস্থাপন করেছেন। বিশেষত অধ্যাপক ফোলি ও নিয়েন্ডারথাল বিষয়ক আলোচনাটা খণ্ডিত আকারে উল্লেখ করেছেন। এটা নিয়ে বিস্তারিত বলা যেত। নিয়েন্ডারথালের প্রসঙ্গ আসলে বিবর্তনবাদের জন্য আরেকটি যুক্তি, ধর্ম বিষয়ক আলোচনা এখানে থেমে যায়।

কিন্তু সমস্যা কোথায় জানেন কি! ধর্মগ্রন্থের উল্লিখিত কথাগুলোর সামাজিক-বৈজ্ঞানিক প্রমাণ বের করা বেশ কঠিন, কারণ ধর্ম হলো ব্শ্বিাস। যেখানে বিশ্বাস চলে আসে সেখানে যুক্তি আর কাজ করে না। তাই আমিও আর যুক্তি দিলাম না।

শুভেচ্ছা জানবেন।

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

খুর্শিদ রাজীব বলেছেন: বটে। মানবসভ্যতার বিবর্তন তো ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি!

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১০

খুর্শিদ রাজীব বলেছেন: অনুগ্রহ করে তথ্যসূত্রগুলো দিলে উপকৃত হই। আগাম ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.