![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ, আমি বাঙালি। আমার মানবিকতা, আমার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানতে চাওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাওয়া প্রাণী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ। আমার দেশের উপর আঘাত হানতে চাওয়া প্রাণীদের পালনকারী, প্রশ্রয়দানকারী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ, রাক্ষস। হোক সে যে কোনো সাম্প্রদায়িক কিংবা ঢেঁড়স চাষ পরামর্শক।
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের কথা উঠলেই হঠাৎ করে কিছু রথী মহারথী গলা ফাটিয়ে চিৎকার শুরু করে দেন চেতনা ব্যবসা! চেতনা ব্যবসা!। মনে হয় দেশে আর কোনো ব্যবসা নেই শুধুই চেতনার দোকানপাট চলছে।
আচ্ছা ভাই, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা যদি চেতনা ব্যবসা হয়, তাহলে কি পাকিস্তানি প্রেমে গদগদ হয়ে দেশবিক্রি করা হলে তাকে কি বলবেন, দেশদ্রোহ ব্যবসা?
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করা যদি ব্যবসা হয়, তাহলে রাজাকারের বিচার চাইতে গেলে যাদের গায়ে কাঁটা দেয়, তারা কি রাজাকার লিমিটেড কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার?
এরা চায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলা না হোক, শহীদের রক্তের কথা না বলা হোক। কারণ ইতিহাসের পাতায় আলোকপাত করলে তাদের অন্ধকার বিশ্রী মুখটা স্পষ্ট হয়ে যায়। তাই তো এই চিৎকার , চেতনা ব্যবসায়ী!।
এরা আবার বড় জ্ঞানী সাজে। বলে, এত বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাতে হবে?।
হ্যাঁ, শোনাতে হবে! কারণ তুমি যতই কান চেপে ধরো, শহীদ মিনারের মাটির গন্ধ, যুদ্ধক্ষেত্রের রক্তের দাগ আর মুক্তিযোদ্ধার করুণ আর্তনাদ তোমাকে ছাড়বে না।
তাহলে প্রশ্ন হলো আসল ব্যবসায়ী টা কে?
যে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করায়, নাকি যে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে কলম চালায়?
যে স্বাধীনতার গল্প বলে, নাকি যে স্বাধীনতাকে পুরনো গল্প বলে গাল দেয়?
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে যারা ঠাট্টা করে, তারা বুঝুক জানুক এই চেতনা কোনো সস্তার সেলস প্রোডাক্ট নয়, বরং এই দেশের মুক্তিকামী মানুষের বুকের হাড় গোশত দিয়ে বানানো পরিচয়।
তাই তাদের বলি
চেতনা ব্যবসার বলার আগে আয়নায় একবার তাকাও। হয়তো দেখবে, আসল ব্যবসা তোমার গলায় ঝোলানো পাকিস্তানি ট্যাগেই চলছে।
৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৪২
কিরকুট বলেছেন: এর জন্য অতীতের সরকার দায়ী ।
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:২১
ধুলো মেঘ বলেছেন: চেতনা ব্যবসায়ী কোন মুক্তিযোদ্ধাকে থাপড়ালে তার বিচার হয়না। চেতনা ব্যসসায়ীরা শহীদ সেক্টর কমান্ডারের ছবি টাঙিয়ে তাতে জুতা মারলে কোন পাপ হয়না। এই চেতনা ব্যবসা আমাদের কি কাজে লাগে?
মুক্তিযুদ্ধ যারা করেছে, তারা অবশ্যই মহান। কিন্তু মায়া চৌধুরী আর কাদের সিদ্দিকির মত মুক্তিযোদ্ধা যারা মুক্তিযুদ্ধের পরে সীমাহীন আকাম করে কুখ্যাত হয়েছে - তারা কোন ভাবেই প্রাপ্য সম্মানের অধিকারী না।
আর রাজাকারেরা যদি কোন অপরাধ করে থাকে, তবে তাদের বিচার অপরাধের পর পরেই হওয়া উচিত। অপরাধের ৫০ বছর পরে যেগুলো ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়েনা, সেগুলোকে অপরাধ বানিয়ে আইন করে সেই অপরাধে বিচার করে ফাঁসি দিলে তা কোনভাবেই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেনা - তা হয় প্রহসন এবং এ ধরণের বিচার আয়োজনকারীরা হয় ফ্যাসিস্ট।
মুক্তিযুদ্ধের গল্প ৫০ বছর কেন, ৫০ হাজার বছর ধরেও চলতে পারে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যদি জাতিকে বিভক্ত করার হাতিয়ারে পরিণত হয় - তবে সেই গৌরবগাঁথা আমাদের জন্য কলঙ্ক হয়ে দাঁড়ায়।
৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৪১
কিরকুট বলেছেন: ধুলো মেঘ, আপনার কথার ভেতরেই ফাঁকফোকর আছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভুল থাকতেই পারে, কিন্তু তাতে মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা কমে না। রাজাকারদের বিচার ৫০ বছর পর হলেও অপরাধ তো সময়ের সাথে পবিত্র হয়ে যায়নি! ন্যায়বিচার দেরিতে হলেও ন্যায়বিচার। আর চেতনা ব্যবসার বুলি আসলে সেই মহলই তো তোলে, যাদের অস্তিত্ব শহীদের রক্তের কাছে আজও অপরাধী। মুক্তিযুদ্ধ বিভক্তির হাতিয়ার নয় বিভক্ত করে কেবল তারাই, যারা পাকিস্তানের কোলাহলকে আজও বুকের ভেতর লালন করে।
মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাস নয়, আমাদের পরিচয়। আর এই পরিচয় কোনো প্রহসন নয়, এটা শহীদের রক্তে লেখা চিরন্তন শপথ।
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আচ্ছা আপনাদের কেন মনে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ খাতরা মে হ্যায়? এখন দেশে রাজনৈতিক সমস্যা চলছে সেটা নিয়ে লিখেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখলে কি সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে?
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৮
কিরকুট বলেছেন: হ্যাঁ, সব সমস্যা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখলে সমাধান না হলেও ভুলে গেলে যে সমস্যা শুরু হয় সেটা অনেক বড়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলে যাওয়ার ফলেই তো আজ এত রাজনৈতিক অধঃপতন।
৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৩৩
মাথা পাগলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: এর জন্য অতীতের সরকার দায়ী ।
সহমত! তবে বিএনপি নিজেরাও দায়ী। শাহবাগ / রাজাকার বিরোধী আন্দোলনে তাদের সাপোর্ট ছিলো বিপরীতমুখী। লীগ সেই শূন্যতাকে কাজে লাগিয়ে জনগণের প্রথম দিকের একতরফা সমর্থন পেয়ে ইচ্ছামতো নিজের অপকর্মগুলো করতে পেরেছে। পংগু বিরোধী দল থাকলে দেশের এরকম ১২ টা বাজবেই।
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আচ্ছা আপনাদের কেন মনে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ খাতরা মে হ্যায়? এখন দেশে রাজনৈতিক সমস্যা চলছে সেটা নিয়ে লিখেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখলে কি সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে?
একদম, গত এক বছরে বর্তমান সরকারের মদতে তার ছানা-পোনারা সুযোগ পেলেই মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ব করেছে, ব্যঙ্গাত্মকরূপে প্রচার করেছে, ভাস্কর্য ভেংগেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের উপর আক্রমণ, নির্যাতন তো আছেই। এগুলো নিয়ে একদম কথা বলা যাবে। কারন সরকারের এই কর্মকান্ডগুলো হচ্ছে দেশপ্রেম!
এগুলো নিয়ে কথা বললে কুতুব ভাই মনে অনেক ব্যাথা পান, লজ্জা না পেয়ে কষ্ট পান, বুক ধর-ফর করে। নিজেও বলবে না আবার অন্যরা বললে, তাতেও তার মন খারাপ হয়ে যায়।
৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৫২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মাথা পাগলা @এই তো ধরতে পেয়েছেন।
৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:১৬
ধুলো মেঘ বলেছেন: আমি মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা কমার কথা বলিনি। যেসব মুক্তিযোদ্ধা দাবি করা ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সম্মান ভুলিন্ঠিত করার অবিরাম প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে, তাদের কথা বলছি।
আলোড়ন সৃষ্টিকারী ক্র্যাক প্লাটুনের মাষ্টারমাইন্ড কে? শাফি ইমাম? মোটেও না। এর নেতৃত্ব দিয়েছিল মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। কিন্তু কেউ তার নাম বলেনা কেন? কারণ সে নিজের ইমেজ নষ্ট করে ফেলেছে। মায়া চৌধুরী বলতেই মানুষ একজন দয়ামায়াহীন ক্রিমিনালকে বোঝে। সে যে একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিল - এটা মনে হলে মানুষের ঘৃণা হয়। তাই ক্র্যাক প্লাটুনের নামের সাথে শাফি ইমামের নাম আসে। সে যেহেতু নিহত হয়েছে, তার তার ইমেজ ক্লিন আছে। সেই সাথে ক্র্যাক প্লাটুনও কলঙ্ক মুক্ত থাকল।
৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৩৩
কিরকুট বলেছেন: ধুলো মেঘ, আপনি যেটা বলেছেন, সেখানে অর্ধসত্যকে পুরো সত্যরূপে দাঁড় করানোর চেষ্টা আছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার পরবর্তী জীবনের কর্মকাণ্ড যতই কলঙ্কিত হোক না কেন, তার মুক্তিযুদ্ধে অবদানকে মুছে ফেলা যায় না। ইতিহাসের বিচার হয় যুদ্ধক্ষেত্রের বীরত্ব দিয়ে, আর আইন ও নীতির বিচার হয় স্বাধীনতার পর করা অপরাধ দিয়ে।
মায়া চৌধুরীর পরবর্তী জীবন নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে, কিন্তু এজন্য ক্র্যাক প্লাটুনের নাম থেকে তাকে মুছে দেওয়া কোনো ন্যায়সঙ্গত ইতিহাসচর্চা নয়। আবার শাফি ইমামের মতো শহীদ মুক্তিযোদ্ধার অবদান খাটো করা অন্যায়। শাফি ইমাম কে কেউ কখনোই ক্রাক প্লাটুনের প্রধান বা কমান্ডার কেউই বলে নাই। তিনি একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং একজন বীরের মতো মৃত্যু কে বরন করেছেন।
আপনি ঠিক বলেছেন মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় তখনই, যখন কারও পরবর্তী অপরাধ দিয়ে তার মুক্তিযুদ্ধকালীন অবদানকে ঢেকে ফেলা হয়, অথবা কারও বীরত্বকে রাজনীতির সুবিধার জন্য আড়াল করা হয়। তাই ইতিহাসকে সৎভাবে বলা উচিত যেখানে বীরত্ব আছে, সেটা স্বীকার করতে হবে আর যেখানে অপরাধ আছে, সেটার বিচার ইতিহাস ও আইনকেই করতে হবে।
৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:১৪
কাঁউটাল বলেছেন: ইহা একটি হাউয়ামী ছাগলের নৃতকলা মূল পোষ্ট
৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:০৮
কিরকুট বলেছেন: কাউটাল, তোমার মন্তব্যটা পড়েই বোঝা যায় বুদ্ধি আর ভদ্রতার টেস্টে তুমি ডাবল ফেল। মুক্তিযুদ্ধ বা রাজনীতি নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে, কিন্তু তোমার মতো লোকেরা যুক্তি না পেয়ে গালাগালি দিয়ে নিজেদের আসল চেহারাই প্রকাশ করে।
তুমি যাকে “হাউামী ছাগল” বলছো, সেই আওয়ামী ছাগলরাই একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাদের দাঁত ভেঙে দিয়েছিল, দেশ স্বাধীন করেছিল। আর তোমার মতো কাউটালরা তখন ছিল লেজ গুটিয়ে, কারো জুতা চাটার দলে।
তাই অন্যকে ছাগল বলার আগে আয়নায় দাঁড়িয়ে একবার নিজের দিকে তাকাও দেখবে, আসল ছাগলের শিং তোমার মাথায় গজিয়েছে।
৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বিজ্ঞানকে কেউ খারাপ কাজে লাগায়, আবার কেউ ভালো কাজে লাগায়। কে কীভাবে কাজে লাগাচ্ছে, সেটা হলো বিষয়। খারাপ কাজে লাগালে দোষটা বিজ্ঞানের না, দোষ ব্যক্তির। একাত্তর শব্দটা শুনলে অনেকের গায়ে জ্বলুনি ধরে যায়, তখন উল্টাপাল্টা বকে।
৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:২৯
কামাল১৮ বলেছেন: নুরুর উপর মার দেখে বাকি সবাই ঘাবড়ে গেছে।ভাবছে তার পর হয়তো আমার পালা।
১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৩৭
নিমো বলেছেন: @ধূলো মেঘ, বিশ্বযুদ্ধের অপরাধের কারণে আজও অপরাধীর শাস্তি হচ্ছে। সেখানে ৫০ বছর পর করা যাবে না কেন? কোন গুহায় থাকেন? আপনার এই আজব-গজব যুক্তি ধরলেতো হাসিনারও শাস্তি দিতে পারবেন না। বাংলাদেশের বিচারিক প্রক্রিয়া যে ধীর গতির আর যে পরিমান মামলা তাতে ৫০ বছরেও কোন রায় আসবে না। আপনার কুযুক্তি অনুযায়ী হাসিনা নিস্পাপ হয়ে যাবে।
১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৪১
নিমো বলেছেন: @কুতুব, বাংলাদেশের প্রোফাইল দাঁড়িয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের উপর। তাই সেটা নিয়ে কথা চলবেই। আর বর্তমানের রাজনৈতিক সমস্যায় মুক্তিযুদ্ধ কোন ভাবেই অপ্রয়োজনীয় নয়। জা-শির বাড়াবাড়ি, পাকস্তানের সাথে মাখামাখি চললে মুক্তিযুদ্ধ অবধারিত ভাবে এসে যাবে। আপনার চাওয়া না চাওয়ায় কিছু যায় আসে না।
১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:২৮
আরইউ বলেছেন:
কিরকুট,
ভালো কথা লিখেছেন। মুক্তিযু্দ্ধ, '৭১ মানেই আ.লীগের সম্পদ নয়। মুক্তিযু্দ্ধ, '৭১-এর পক্ষে কথা বলা মানেই চেতনার ব্যবসা নয়।
@ধুলো মেঘঃ আপনি লিখেছেন "আর রাজাকারেরা যদি কোন অপরাধ করে থাকে, তবে তাদের বিচার অপরাধের পর পরেই হওয়া উচিত।" এটা পুরোই জামাত-শিবির-রাজাকার-এর কথার টোন। আপনার মনে সংশয় কেন, আপনি নিশ্চিৎ নন যে রাজাকার-আলবদর-আলশামস এরা অপরাধ করেছে কিনা? আমি বলছিনা আপনার বাবা, দাদা '৭১-এ হত্যাকারী-নারী ধর্ষণকারী, আমি বলছিনা আপনি রাজাকারের সন্তান, তবে '৭১-এর জামাত-রাজাকার-এর সন্তানেরা ঠিক আপনার ভাষায়-ই কথা বলে, '৭১-এ জামাত-রাজাকারদের অপরাধ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে।
১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৩০
কলাবাগান১ বলেছেন: "হ্যাঁ, শোনাতে হবে! কারণ তুমি যতই কান চেপে ধরো, শহীদ মিনারের মাটির গন্ধ, যুদ্ধক্ষেত্রের রক্তের দাগ আর মুক্তিযোদ্ধার করুণ আর্তনাদ তোমাকে ছাড়বে না।"
১৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৪৪
ধুলো মেঘ বলেছেন: নিমো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যাদের অপরাধের বিচার হয়েছে, তারা সবাই সামরিক বাহিনীর লোক। তাদের দ্বারা মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট তথ্য ও প্রমাণ আছে - যা এড়িয়ে যাবার কোন সুযোগ নেই।
কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে কে কোন অপরাধ করেছে - তার সুনির্দিষ্ট কোন প্রমাণ কি কেউ হাজির করতে পেরেছে? বাংলাদেশের বাস্তবতায় কি সেটা আদৌ সম্ভব? আরো কিনা ৫০ বছর পরে? কে কে সাক্ষী দিয়েছে? তারা যে সত্যি বলেনা - তার প্রমাণ তো বিবাদী পক্ষ অসংখ্যবার দিয়েছে। কিন্তু শাহবাগীদের কারণে বিচারালয়ে তা কোন পাত্তা পায়নি। কাদের মোল্লাকে যে অপরাধে ফাঁসি দেয়া হল - তা কোন অপরাধের পর্যায়েই পড়েনা। সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়া প্রতিটি সাক্ষী ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে - প্রতিটি মামলার বিচার কাজে সরকারী হস্তক্ষেপ হয়েছে - স্কাইপ কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছে। তারপরেও এই বিচারের গ্রহণযোগ্যতা আর কতটুকু থাকে?
কারাবন্দী এ টি এম আজহার সম্পর্কে আদালতের বয়ান তো একদম নগ্ন করে দিয়েছে এই সো কল্ড যুদ্ধাপরাধের বিচারের আসল উদ্দেশ্য কি ছিল।
১৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:১১
কলাবাগান১ বলেছেন: @ধুলোমেঘ ওরফে ঢাবিয়ান;
তো ১৯৭১ সনে পেয়ারা পাকিস্হান ভাংগার অপরাধে এখন তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার করা উচিত কি বলেন ঠিক কিনা....।
১৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:১৭
নিমো বলেছেন: @ধূলো মেঘ, সুনির্দিষ্ট প্রমান যদি নাই থাকে তাহলে শিশু ছিল, বয়স কম ছিল, নাম উহা ছিল না, অমুক ছিল এসব বাল ছাল যুক্তির দরকার হয় কেন? মুক্তিযুদ্ধ হয় নাই, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ করেছে, ৩০ লাখ শহীদ হয় নাই, শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কের বয়ান লাগে কেন? রাজাকার-আল বদর-আল শামস এসব বাহিনীর কাজ কী ছিল একটু জানাবেন। ৭১ এ এদের কেন দরকার হয়েছিল? একটা দলের পক্ষে ওকালতি করতে এসেছেন অথচ তাদের লেখা বইগুলো পড়ে দেখেন নি। কাদের, সাইদী, আজহার এদের কোন দোষই নেই, তা কী উদ্দেশ্য নিয়ে বিচার হয়েছিল একটু জানান। ব্লগের পাতিহাসবিদ মশিুরের মত আপনার ঝোলায় কোন রূপকথা আছে শুনি।
১৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৫৫
ক্লোন রাফা বলেছেন: যে দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি শহিদের রক্তে রঞ্জিত। সেই দেশে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা নাকি চেতনা ব্যবসা⁉️ যে কোন দল যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে । তার পক্ষের কথা অবশ্যই সেই দলের পক্ষেই যাওয়ার কথা।
এখন কোন দল যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন না করে / তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই তার পক্ষে যাবেনা।
এর দায় তো যারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তাদের নয়।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ বিপক্ষ’তো ছিলোই । এখনও আছে , কাজেই কারো না কারো বিপক্ষেও যাবে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস।সো রাজাকারের কথা শুনে আমরা চুপ করে থাকবো না। আরো বেশী করেই বলবো।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ✅
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১২
কিরকুট বলেছেন: একজন নব্য রাজাকার চেনার সহজ উপায় কি ?
মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদদের অবমূল্যায়ন করে , মুক্তিযুদ্ধকে অপ্রয়োজনীয়, অতিমূল্যায়িত, বা পুরনো গল্প বলে উড়িয়ে দেয়।
পাকিস্তানপ্রীতি দেখায় , পাকিস্তান শাসনামলকে ভালো সময় বলে মনে করে বা সে সময়ের প্রশংসা করে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলে, দেশ ভাগ না হলে ভালো হতো, বা স্বাধীনতা কি আদৌ দরকার ছিল?
রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নেয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে রাজনৈতিক প্রতিশোধ বলে মনে করে।
জাতীয় ইতিহাস বিকৃত করে প্রমাণিত ইতিহাস অস্বীকার করে, বিশেষ করে ১৯৭১ সালের গণহত্যা, মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা, এবং স্বাধীনতার নেতৃত্ব নিয়ে মিথ্যা ছড়ায়।
স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে সমর্থন করে যারা অতীতে বা বর্তমানে রাজাকারদের উত্তরসূরি হিসেবে পরিচিত, তাদের সাফাই গায়।
বাংলাদেশের প্রতীক ও সংস্কৃতিকে তুচ্ছ করে জাতীয় সংগীত, পতাকা, ভাষা আন্দোলন বা বিজয়ের দিনগুলোতে উদাসীনতা বা অবজ্ঞা দেখায়।
১৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের চেতনা থাকবে, আবেগ থাকবে। এটাই স্বাভাবিক।
১৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৮
হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: ৭১ এর চেতনা এ্ক্টা ডিভাইন বিষয়।কিন্তু 'উহা'কে এক্টা প্রোডাক্ট বানায়া আওয়ামিলীগ ব্যাবসা করে; সেল্ফ ডিক্লায়ার্ড সৌল এজেন্ট।একদিক দিয়া চেতনা চেতনা করবে আর অন্যদিকদিয়া চেতনা পরিপন্থী কাজ কর্ম করবে।এজন্যই এদের 'চেতনা ব্যাবসায়ী'বলে। এদেরকে ভন্ডও ডাকা উচিত। আর যারা যারা এই আওয়ামিলীগের জন্য ব্লগে ঘেউ ঘেউ করছে তারা সব দুষ্ট ইতর ,'ধোনগাজি'র মতো বেশরম।
২০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৬
বিজন রয় বলেছেন: কলাবাগান১ বলেছেন: @ধুলোমেঘ ওরফে ঢাবিয়ান; .............. তাই নাকি? ঢাবিয়ানই ধুলোমেঘ!!!!
২১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৪
আলামিন১০৪ বলেছেন: চেতনার দন্ড এখন ধ্বজভঙ্গ রোগাক্রান্ত..অতিরিক্ত ব্যবহারের ফল
২২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৩
নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের জনগনকে বিভক্ত করে রাজনিতিক ফয়দালুটছে সবাই।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করা যাবেনা। আয়ামীলীগ লেবুর মতন চিপড়ে তিতা বানিয়েফেলেছে। আর মুক্তিযুদ্ধ আয়ামীসম্পত্তি না সেটা করেই সর্বনাস করেছে। দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
আয়ামীলীগ রাজাকারের বিচারের নামে বিরোধীদল নিধোনের চেস্টা করেছে।
জনগন দেখেছে কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে ক্ষমতা আর টাকা কামানো যায় তাই তারা আয়ামীলীগের ভন্ডামীর কারনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
তার কারনেই শেখ হাসিনার এই পতন।
মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে কোন প্রশ্ন করা যাবেন। সেই সন্মানের স্থানে রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
সঠিক ভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জনগনের সামনে তুলে ধরলে। জনগন পাকিপন্হিদের গদামের উপরে রাখবে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৯
কিরকুট বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে কোন প্রশ্ন করা যাবেন। সেই সন্মানের স্থানে রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এটা আমারো ভাবনা
সঠিক ভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জনগনের সামনে তুলে ধরলে। জনগন পাকিপন্হিদের গদামের উপরে রাখবে । ইতিহাসের সঠিকতা বিচারের ভার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দিন । এই বিচার যদি রাজাকারে করে সমস্যা সৃষ্টি ওখানেই হবে ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:১৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
উদ্ভট মবের পিঠে চলেছে মবের রাজা।