![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
: ও-ও-ও আমার অবুঝ নাতনি! কিছুই যেন বুঝে না। ডুব দিয়ে জল খায়, এখন আবার দরবেশ সেজেছে।
: না-নি! আসলে আমি সায়েমকে চিনি না। তুমি কার কথা বলছ?
: ওই যে হুজুর মানুষটা, যার সাথে তোর বিয়ের কথা চলছে।
: না-নি! তুমিও আবার বিয়ে বিয়ে শুরু করেছ। তাও আবার হুজুর-টুজুর। না আর শান্তিতে থাকতে পারলাম না।
সায়মার নানিও সায়মাকে খুব করে বুঝালো। কিন্তু কে শুনে কার কথা।
সায়মার সেই এক কথা, আমি হুজুর-টুজুর বিয়ে করব না।
সায়মা বিরক্ত হয়ে ঢাকাতে তার বড় খালার বাসায় যাওয়া জন্য প্রস্তুতি নিল।
আসরের একটু পর নানিকে না বলেই সে ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেল।
বাড়ির লোকেরা অনেক খুজেও সায়মাকে না পেয়ে সায়মার নাম্বার ফোন দিল। সায়মা ফোন রিসিব করে বলল,
: নানি! আমি ঢাকা চলে যাচ্ছি। বড় খালার বাসায় যাব।
: তা তুই বলে যাবি না। আমরা সবাই তোকে খুজে পেরেশান। ওদিকে তোর বাবা-মা এ কথা শুনে তো প্রায় বেহুশ। বাসায় ফোন দিয়ে জানিয়ে দে, আমি ঢাকা আসছি।
সায়মা কিছু না বলে ফোন রেখে দিল। সাথে সাথে ফোনটাও বন্ধ করে দিল।
এদিকে সায়মার বাবা-মা মেয়ের ফোন বন্ধ দেখে আরো বেশি পেরেশান হলেন।
তখনই সায়মার বাবা-মা পরামর্শ করে হুজুর ছেলের কাছে সায়মার বিয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করলেন।
বংশের বড় মেয়ে বলে কথা। কিছু হলে মান সম্মানের বিষয়।
সায়মা টিকিট কেঁটে গাড়িতে গিয়ে বসল। কন্টাক্টারকে বলল, এই ভাই, কোন মহিলা উঠলে আমার পাশে সিট দিয়েন। লোকটি বলল, ঠিক আছে আফা। সায়মার ভাগ্যটা ভাল। একটু পর এক বৃদ্ধ মহিলা গাড়িতে উঠল। কন্টাক্টার বৃদ্ধ মহিলাকে বলল, খালাম্মা মাঝামাঝি একটা সিট আছে। সেখানে বসেন। বৃদ্ধা সায়মার পাশে গিয়ে বসল। সায়মা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করল।
সিট ফিলাপ হওয়ার পর গাড়ি ছাড়ল।
তখনও আকাশ খুব পরিষ্কার।
পশ্চিম আকাশের সূর্য এখনও তার কিরণ বিলিয়ে যাচ্ছে।
সায়মা জানালা দিয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে।
গাছপালার দৃশ্য মন ভরে দেখছে।
গাড়ি ময়নামতি বাস স্টেশন পাড় হওয়ার পরই আকাশ কালো হয়ে বৃষ্টি শুরু হল।
সেকি তুমুল বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে গাড়ি খুবই আস্তে আস্তে চলতে লাগল। ক্রমেই বৃষ্টি বাড়ছে।
চারদিক অন্ধাকার হয়ে গেছে।
সায়মার কেমন যেন ভয় ভয় লাগছে।
সে মনে মনে দোয়া-দুরুদ পড়ছে।
রাগ করে এভাবে চলে আসাটা তার ঠিক হয়নি, এখন সে তা বুঝতে পারছে।
গাড়ি আস্তে আস্তে চলছে।
তুমুল বৃষ্টির কারণে মাঝে কতক্ষণ গাড়ি চলা বন্ধ ছিল।
ড্রাইভার রাস্তায় সাইড করে গাড়ি থামিয়ে রেখেছিলেন।
এ অবস্থায় গাড়ি চালালে বিপদের সম্ভাবনা আছে।
রাত তখন প্রায় ৮ টা।
চলবে
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫০
কিতাব ভুবন বলেছেন: বিশেষ কোন কারণে বললেন? না এমনিতেই। কারণটি জানালে খুশি হব।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখার সময় তাড়াহুড়া করবেন না।