![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সায়মার তো ভয়ে অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা। সে বৃদ্ধা মহিলাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কষ্টে বলল,
: আমার কাছে যা কিছু আছে তোমরা সব নিয়ে যাও। আমাকে ছেড়ে দাও।
: এই মেয়ে উঠে আয় বলছি। নইলে অবস্থা কিন্তু খারাপ হবে। ওঠে আয় বলছি।
একথা বলে ডাকাতটা সায়মার হাত ধরতে যাবে। তখনই সায়মা বলল,
: এই থাম। আমি আসছি। আমার শরীরে হাত দিবি না।
এ বলে সায়মা গাড়ির সামনের দিকে দরজার কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়াল। সায়মা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করছিল, হে আল্লাহ! আমাকে তুমি বিপদ থেকে রক্ষা কর। তুমিই শুধু পার আমাকে এ বিপদ থেকে রক্ষা করতে। তুমিই আমার আশ্রয়স্থল।
সায়মা নিজের মনকে শক্ত করল। সাহস জোগানোর চেষ্টা করল। সায়মা মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল, যা হওয়ার তো হবেই। হাত গুটিয়ে বসে থেকে লাভ নেই। কিছু একটা করতে হবে।
সে দরজায় দাড়িয়ে থাকা আর বাহিরে থাকা ডাকাত দুটোকে আড় চোখে দেখে নিল। সায়মা দেখল দরজায় দাড়িয়ে থাকা ডাকাতটা একটু অন্যমনস্ক। বাহিরের ডাকাতটা হাটতে হাটতে একটু দূরে চলে গেছে।
সুযোগ বুঝে সায়মা ডাকাতটাকে এক ধাক্কায় গাড়ি থেকে ফেলে দিল। ডাকাতটা অপ্রস্তুত এই ধাক্কা সামলাতে না পেড়ে পিচঢালা রাস্তায় আঁছড়ে পড়ল। সাময়া এক লাফে গাড়ি থেকে নিমে দৌঁড় দিল। বাইরে তখনো বৃষ্টি। নিকষকালো অন্ধকার। ডাকাতটা উঠে সায়মার পিছু নিতে নিতে সায়মা অন্ধকারে মিলিয়ে গেল।
সায়মা কতক্ষণ দৌড়ানোর পর দেখল ছোট একটি রাস্তা গ্রামের দিকে চলে গেছে। সেই রাস্তা ধরেই দৌড়াতে লাগল সায়মা। গ্রাম বেশ দূরে তারপরও গ্রামের আলো দেখে সায়মার সাহস বাড়ল।
হঠাৎ সায়মা পা পিছলে পড়ে গলে। তেমন ব্যাথা পায়নি। পিছন ফিরে তাকাল, কেউ আসছে কিনা। না, কেউ তার পিছু নিচ্ছে না। সায়মা মনে মনে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করল, আলহামদুলিল্লাহ। বৃষ্টি বেড়েই চলল। সায়মার বুক ধুক ধুক করছে। ঠান্ডায় তার শরীর ও পা থর থর করে কাঁপছে।
সায়মা খুব সাবধানে সামনের দিকে হাঁটতে লাগল। রাস্তায় খুব কাদা। আর বৃষ্টিও হচ্ছে তুমুল। কিছুক্ষণ হাটতেই সায়মা দেখল সামনে একটু আলো দেখা যাচ্ছে। সায়মার মনেও আশার আলো জাগল। সায়মা দ্রুত পদে আলোটির দিকে হাটতে লাগল।
সামনে গিয়ে সায়মা দেখল, এটি একটি মসজিদ। তাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে কেউ একজন পড়ছে। সায়মা মসজিদের গেটের পাশে গিয়ে দাঁড়াল। এখানে তার গাঁয়ে বৃষ্টি পড়ছে না।
চলবে ...
©somewhere in net ltd.