নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“কলিমদ্দিকে আবার দেখা যায় ষোলই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাজারের চা স্টলে। তার সঙ্গীরা সবাই মুক্তি, সে-ই শুধু তার পুরনো সরকারি পোশাকে সকলের পরিচিত কলিমদ্দি দফাদার।”

কলিমুদ্দি দফাদার

“ঘুরছি আমি কোন প্রেমের ই ঘুর্নিপাকে, ইশারাতে শিষ দিয়ে কে ডাকে যে আমাকে”

কলিমুদ্দি দফাদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'জীবন থেকে নেওয়া\'

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৯

ভারতের পুনে থেকে কলকাতা আসবো! সময় ২০১৮, সেপ্টেম্বরে মাস। চলে আসলাম পুনে রেল স্টেশন এ। বিশাল বড় রেল জংশন; কয়েক রাজ্যের ট্রেন এখানে এসে অদল-বদল হয়। প্রথম ভারত সফরে গোয়া থেকে পুনে হয়ে কলকাতা আসছিলাম। সেবার প্রপার রিসার্চ না থাকায় অর্থ সংকটে পুনে থেকে কলকাতা হাওরা দুরন্ত এক্সপ্রেসের সেকেন্ড ক্লাস করে আসতে হয়েছে। আহ! কি দুর্বিসহ সেই জার্নি? শুনলে এখন ও 'গা শিউরে' উঠে। যাক এবারে আর সেই ভুল করলাম না।

ফিরে আসার পথে রেল বিরতি তে কোন এক প্লাটফর্মে।

পুনে এসেছিলাম একটা কাজ+ঘুরাঘুরি। কলকাতা থেকে আসছি বাই এয়ারে। পুনে খুবই সুন্দর চমৎকার পরিকল্পিত ইকোফ্রেন্ডলি একটি ‌শহর; রাস্তার ধারে সারি সারি সবুজ গাছ। শুধুই তাই না, পুনেতে মাষ্টার কার্ড সহ মাল্টিন্যাশনাল অনেক কোম্পানির অফিস দেখে বেশ অবাক হয়েছি। ছিল স্টারবাক্স সহ অন্যান্য ইন্টারন্যাশনাল ফুড ও ফ্যাশন চেইন ও। পুনে এয়ারপোর্টে ও ছিল শহরের খুব কাছেই। অটো তে হোটেল পর্যন্ত ভাড়া মনে হয় ৪০ কি ৬০ রুপী। মুসলিম বয়স্ক ড্রাইভার, মাথায় হিন্দি ছবির আলী ভাইয়ের মত টুপি। তখন একটু মানুষিক ডিস্টার্ব ছিলাম আর একটু পর পর সিগারেট ধরাতাম। হোটেল এ চেক ইন করে সেই অটো দিয়েই সিগারেট কিনতে গেলাম। মালবরো গোল্ড ৪০০ রুপির কাছাকাছি দাম নিল, ভারতে সিগারেট এর দাম অনেক বেশি। সেখানকার বেশিরভাগ মানুষ খায় "পান মসলা" যারা বিড়িখোড় তাড়া ও খায় গোল্ড ফেল্ক ৪০ রুপি প্যাকেট। কলকাতার অবস্থা আরো ভয়াবহ; সেখানে পাতার বিড়ি ও চলে। অটো ড্রাইভার আমার থেকে নিয়ে একটা সিগারেট ধরালো।

নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু এয়ারপোর্ট, দমদম কলকাতার ভিতরে একটি স্থাপত্য। ঢাকা থেকে কলকাতার এয়ার পোর্টে এতো বড় আর সুন্দর হয় কিভাবে?


পুনেতে তখন গনেশ পুজা চলছিল। হোটেলের বাইরে রাস্তায় বিশাল‌ এক গনেশ প্যান্ডেল। সারারাত ঢোল ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে পোলাপান যে কি উৎসব আর নাচানাচি করলো!!! কি যে বিভৎস আওয়াজ বলার মতো না! তাঁদের পুজার আয়োজন, আনন্দো দেখলাম অন্য লেভেলের; মানুষিক ভাবে ডিস্টার্ব থাকায় যে একটু নাচানাচি করবো, ওই ইচ্ছাটা আর হচ্ছিলো না। হোটেলে রুমের টিভিতে কিছুক্ষণ বাংলাদেশ- ভারতের সেই ঐতিহাসিক এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচটা দেখলাম। পুনেতে প্রথম ব্রেকফাস্টে দোসা খাইছি; তেমন আহামরি কিছু না!



একদম অথেনটিক ইন্ডিয়ান দোসা।

দ্যা গ্রেট ইন্ডিয়ান ভেজ থালি।

মহারাষ্ট্রে স্টাইল বিড়িয়ানি। দেশি কাচ্চির ধারে কাচে ও না।

ফিরে আসবো! ফাষ্ট ক্লাস এসি কম্পার্টমেন্ট বসলাম, মোটামোটি সবটাই খালি। আমারা সাথে বসলো কিছু ভারতীয় জাওয়ান। এদের পোস্টিং সম্ভবত কলকাতায়। চমৎকার আলাপচারিতায় পরিচয় হলো এদের সাথে। জাওয়ানদের রেলের টিকিট অনন্যা সরকারি অনেক কিনাকাটায় সরকারী ভৌতুকি দেওয়া হয়; কোন প্রকার জিএসটি বা ট্যাক্স কাটে না। আরো জানতে চাইলাম যারা কাশ্মীর সহ ঠান্ডা বা অন্যান্য ওয়্যারজোন ডিউটি করে তারা ও কি সমান সুযোগ সুবিধা ভোগ করে নাকি? তারা জানালো না!!! এই সমস্ত এলাকায় কর্মরত জাওয়ানদের লাইফ রিস্কের মতো বেতন ও সুযোগ-সুবিধা ও কয়েকগুণ বেশি। আলাপচারিতায় একজন কইলো আমার কাছে ইউএস ডলার আছে কিনা? সে জীবনে ডলার দেখে নাই। মানিব্যাগ থেকে অবশিষ্ট থাকা ৫০ ডলারের একটা নোট দেখাইলাম তারে। আরেক স্টেশন এক ফ্রেন্চ সলো ট্রাভেলার সাথে ও পরিচয় হইলো।

ভিতর থেকে এমন মনোরম অনেক দৃশ্য বেশ উপভোগ করলাম। বৃটিশরা যে কি সবের মধ্যে দিয়ে রেললাইন বানাইছে! হায় আল্লাহ!!! পাহাড়,‌ জংগল।

ট্রেনের ভিতরে বিক্রি করা এই সিংগারার প্রশংসা না করলেই না! সাথে pickled গ্রীন চিলিস।

ভারতের রেল বা প্লাটফর্ম বিড়ি খাওয়া নিষেধ; অনেক টাকা ফাইন করে শুনছি। আমি সহ ভুটানের দুই পুলিশ লুকায়ে ট্রেনের ওয়াশ রুমে বিড়ি খাইতাম। ভুটানীরা আসছে ট্রেনিং নিতে; তাঁদের পুলিশরা নাকি ভারতেই ট্রেনিং করে। এসি কেবিন আরামদায়ক জার্নি হওয়ায় ২৮ ঘন্টার লম্বা পথ বেশ স্বস্তিতে চলে এলাম। আর হ্যাঁ!! ট্রেনের ফাষ্ট ক্লাস এ টিকিটের সাথে খাবার ফ্রি। মান বেশ ভাল! নামার কয়েক ঘন্টা পুর্বে স্টাফরা সবাই মিলে বকসিস নেয় আর কি? :-B


মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৩

শায়মা বলেছেন: বাহ মজাদার খানাপিনা আর ঘোরাফেরা!!!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪৫

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
আপুমনি গো তোমার জমকালো ঘোরাঘুরি :D আর খাওয়া-পিনার ধারে কাছে যাইতে পারি নাই।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩০

সামরিন হক বলেছেন: আনন্দিত হলাম ভ্রমণকাহিনী জেনে।
কলকাতা এয়ারপোর্ট হওয়ার পর গিয়েছিলাম ।খুব সুন্দর এয়ারপোর্ট।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫০

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কলকাতা এয়ারপোর্টে ছিল বিয়ন্ড মাই ইমাজিনেশন! এতো সুন্দর ইন্টোরিয়র আর আলো ঝলমলে চিন্তা ও করতে পারি নাই। বাংলা বর্ণমালার কারুকাজ আর বাঙালীর জীবন-আচার চিত্রের যেভাবে তুলে ধরেছে, মনে হয়েছে তারাই জেনুইন বাঙালী আর আমরা ডালভাত। ঢাকার নতুন এয়ারপোর্টে চালু হলে অবশ্য আমরা তাদের ছাড়িয়ে যাবো।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৫

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



পুনায় কি ধরণের কাজ ছিলো?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৬

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
একটি নারী পাচারকারী দলের সাথে যুক্ত। বাংলাদেশ থেকে ভারতে তারপর মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপ। নিউইয়র্কে লাগলে বলবেন।;সেখানে ম্যানেজ করে দেওয়া যাবে।

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পড়লাম। আপনার ঘোরাঘুরির হেবিট আছে দেখছি।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
কিসের আবার ঘোরাঘুরি! কাজ-কাম কইরা কূল পাই না আবার ঘুরাঘুরি!
কুতুব সাহেব সামুর ইন্টারফেস নিয়েই বড়ই বিড়ম্বনায় আছি। ডেক্সটপ মুড দিয়ে যেমন ব্যবহার করি একটু রিফ্রেশ করার পর পর আবার মোবাইলে ভার্সনের ইন্টারফেস চলে আসে। খুবই বিরক্তিকর!!!

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:




মানুষ ভ্রমণ করে বিবিধ কারণে, যারা সেটাকে সুন্দর করে লিখতে পারেন, তাদের কাহিনী সবাই পড়েন।

সামুতে যারা বিদেশ ভ্রমণ করেন, হজ্বে যান, তাদের অনেকে লেখেন; প্রায় লেখা খাওয়া-দাওয়া, হোটেল, টিকেট, এসব অপ্রয়োজনীয় বিষয় লিপিবব্ধ করে; গার্বেজ!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৩

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:


এক এক জনের ন্যারেট করার ক্ষমতা এক এক রকম। সবাই একই স্টাইল লিখলে সব পানসে হয়ে যাবে। ব্যক্তিগত কাজ-কাম ব্লগে আলাপ না করাই ভাল। বলার মতো ইচ্ছে থাকলে পোষ্ট ইং লিখতাম।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:২২

কামাল১৮ বলেছেন: আমি টাটা গাড়ির যে পার্সটি আমদানি করতান সেটা প্রোডাকশন হতো পুনায়।এই কারনে আমি কয়েকবার পুনায় গেছি।এটা ৮০/৯০ দশকের কথা।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:


ওয়াও! জেনে ভাল লাগলো। টাটার প্রাইভেট কার কি বাংলাদেশে খুব চলে? দেখি না তো তেমন? গুলশান ১ নিটল গ্রুপের শোরুমে টাটা ন্যানোর গাড়ি দেখা যাইতো আগে। বেশি চলে না দেইখা ব্যাবসা গুটায়া পালাইছে। তবে এদেশে তাঁদের বাস, ট্রাক আর পাহাড়ী অঞ্চলে চাঁদের গাড়ির চাহিদা আছে খুব ভালো।

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৩০

আলামিন১০৪ বলেছেন: আমি অনেক দেশ ঘুরেছি কিন্তু ভারত যাওয়ার সৌভাগ্য এখনো হয় নি। তারা কি এখন বাংলাদেশীদের টুরিস্ট ভিসা দিচ্ছে?

দেখা হয় নাই চক্ষূ মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দু’পা ফেলিয়ােএকটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
প্রথমে টাকা খরচ করে ভারতে দেখার ইচ্ছে আমার ও ছিল না। কাজটাই ছিল মূখ্য; আর আপনার ইচ্ছা যদি থাকে শুধু কলকাতা থাকবেন তাহলে ভারত যাওয়ার রুচি চলে ও যেতে পারে। তবে আমার শুরুটা অন্য রাজ্যেগুলো থেকে হওয়ায় ভারতীয় সংস্কৃতি, খাবার, সাধারণ মানুষের আচার-ব্যাবহার খুব ভাল লেগেছে। এতো বড় দেশ তাদের এতো এতো ভিন্নতা থাকা স্বত্ত্বেও একসাথে জুড়ে বসবাস করার ব্যাপারটা আমাকে বেশ অবাক করে।

ভারতের পর্যটন ভিসা খুব সম্ভবত এখন বন্ধ বাংলাদেশীদের জন্যে। মন্তব্যর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২৫

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: ভাই ধোনগাজীরে কি উত্তর দিলেন??ক্লাসিক =p~ আমিতো হা হা প গে =p~ সেরা কমেডি,হাসতেই আছি =p~

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
এই বা*ছা* আমার জানা আছে! সুন্দর করে যদি বলি কি কাজে গেছি; এগুলো ইস্যূ বানায়ে পড়ে আবার খোঁচাখুঁচি করবে। এইসব বদ! পোষ্ট কিরাম হইছে সেইটা বলেন?

৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: ২৮ ঘণ্টা ট্রেনে। আমি হলে ধম বন্ধ করে মরে যেতাম।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২৬

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
মোবাইলে ডাটা থাকলে সময় চোখের পলকের মতো উড়ে চলে যায়। আর সাথে এসির ঠান্ডা হলে তো কথাই নেই! ইন্ডিয়ান রেলের সাইট সিং গুলো বেশ উপভোগ্য সাথে কয়েকটি রাজ্যের মধ্যে দিয়ে বেশ ইন্টারেস্টিং।

১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার ভ্রমণবৃত্তান্ত বেশ ভালো লেগেছে।

লেখার ভেতরে বেশ কিছু কৌতূহলোদ্দীপক ঘটনা আছে, যেমন অটো ড্রাইভারের আপনার কাছ থেকে সিগারেট নিয়ে খাওয়া, মার্লবোরো সিগারেট আর গোল্ড ফ্লেক সিগারেটের দামের পার্থক্য, গণেশ পুজোর বর্ণনা, ট্রেনে বিএসএফ জওয়ানদের সাথে আপনার কথোপকথনের বিষয়টি ইত্যাদি। আবার লেখাটায় আপনি একাধিকবার উল্লেখ করেছেন যে এই ভ্রমণের সময় আপনি মানসিকভাবে কিছু বিপর্যস্ত ছিলেন।

খাবারের ছবিগুলোর মধ্যে শুধু শেষের সিঙারার ছবিটাই বেশ সুস্বাদু মনে হয়েছে। :)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৭

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:

ধন্যবাদ শ্রাবণধারা, বেশ ভালো একটি মন্তব্য করেছেন। মন্তব্যর কৌতুহলী হওয়াতে শার্লক হোমসের একটু গন্ধ পেলাম মনে হয়, তাই আমাকে একটু আত্মপক্ষ ব্যাখা করতে হবে।

গোল্ড ফেল্ক সম্ভবত ভারতীয় নিজস্ব কোম্পানি। আপনি এই সিগারেট দেখেছেন কিনা জানিনা, সাইজে এইটা মার্লবোরো সিগারেটের প্রায় অর্ধেক আর এক প্যাকেট মনে হয় ৫-৬ টা সিগারেট থাকে, তাই হয়তো দাম কম! ভারতীয়দের চাহিদার কথা মাথায় রেখে মনে এমনভাবে কাস্টমাইজ করা। অটো ড্রাইভার না শুধু; থাইল্যান্ডের শুকুমভিত এরিয়াতে এক ভারতীয় ছেলে ও আমার কাছে চেয়ে সিগারেট নিয়েছে। চলার পথে এমন উদাহরণের অভাব নেই। যারা বাজেট ট্রাভেলার আবার বিড়িখোর তাদের এই অভ্যাসটা আছে।



ট্রেনে বিএসএফ জাওয়ান নয়, আর্মি জাওয়ান সাথে পরিচয় হয়েছিল। কাশ্মীর একটি সংবেদনশীল উত্তেজনাপূর্ণ এলাকা হওয়াতে এর নিরাপত্তা ও বর্ডার দেখভালের দায়িত্ব ইন্ডিয়ান আর্মির হাতে। আর হ্যাঁ ব্যাক্তিগত কারনে একটু বিরক্ত ছিলাম, এই আর কি?

খাবারের ছবিগুলোর মধ্যে শুধু শেষের সিঙারার ছবিটাই বেশ সুস্বাদু মনে হয়েছে। ইন্ডিয়ান খাবার আমার কাছে এমনিতে পানসে আর নিরামিষ মনে হইছে। ভাজাপোড়া,‌ বার্গার-টার্গার খেয়ে ছিলাম। যেইসব ইন্ডিয়ান খাবারের একটু নামডাক, রাখঢাক বেশি সেগুলো ট্রাই করা হইছে। দেশি খিচুড়ি মতো দেখতে আরো একটি ডিশ ট্রাই করছিলাম "পোহা" একদম স্বাদগন্ধহীন‌ নিরামিষ। ২০১৮ সালের পিক হওয়াতে ছবিগুলো লাইট একটু ডিম লাগছে। গতবছর এর থেকে মজাদার সিঙাগারা খাইছি সাথে আচারি কাঁচামরিচ আর পাইনা সস। :P মন্তব্যের বেশি ছবি দেওয়া যায় না, তাই নিচে দিচ্ছি।


২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০১

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
নিবু পানি :-P

১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: সবধরনের ভ্রমনেই অনেক নতুন কিছু জানা ও শেখা যায়। ভাল লাগা রইল।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪০

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ শেরজা! ভুল করে না থাকলে আমার কোন পোষ্টে হয়তো এইটা আপনার প্রথম মন্তব্য। সেন্ট অগাস্টিন একটি উক্তি আমার খুব মনে টানে "পৃথিবী একটি বই এবং যারা ভ্রমণ করে না তারা কেবল একটি পৃষ্ঠা পড়ে"। সেন্টাল আর ল্যাটিন আমেরিকা আমার খুব দেখার ইচ্ছে; ল্যাটিন কালচার আমাকে খুবই টানে।

আর মুক্তিযুদ্ধ তার পরবর্তী সময় নিয়ে আপনার দেওয়া পোষ্ট খুবই ভাল লেগেছে। এভাবে চালিয়ে যান।

১২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: আপনার লেখায় একটা আকর্ষন আছে।
টেনে ধরে।

ব্যাপারটি ভালো।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:

আপনার কথায় খুব সম্মানিত বোধ করলাম। চেষ্টা করি নিজের মনের ভাবনা গুলো প্রকাশ করার। আজকে পোষ্ট করা কবিতা কিছু বুঝিনি কিন্তু কবিতার শব্দচয়ন মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো! কতটা মেধা, জ্ঞান , পড়াশোনা আর অনুশীলন থাকলে থাকলে এতো সুন্দর করে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করা সম্ভব?

১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৮

জনারণ্যে একজন বলেছেন: ভ্রমণকাহিনী ভালো লেগেছে @কলিমুদ্দি। এবং বেশ উপভোগ্য ছিল আপনার এবং চাঁদগাজীর আলাপচারিতা। অফলাইনে থেকেও মাঝে মাঝে আপনাদের দুজনের মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য পড়ি। দু'জনেরই সেন্স অফ হিউমার ভালো।

পুনে কখনো যাওয়া হয়নি আমার। অনেক আগে অন্যান্য কিছু জায়গাতে গেছি। তবে তা বলার মতো কিছু নয়। তবে ভবিষ্যতে যদি সময়-সুযোগ হয়; কুলু-মানালি ভ্রমণের একটা ইচ্ছা আছে।

খাওয়া-দাওয়া তেমন একটা পছন্দের নয়। তারপরেও বিরিয়ানির ছবি দেখে জিভে পানি চলে এসেছে। ছোটবেলার অভ্যাস বলে কথা! আর ওখানে যখন বেড়াতে গেছিলাম - আমিও গোল্ড ফ্লেক টেনেছিলাম, মনে আছে।

যাই হোক, ভালো থাকবেন। আর শুনলে এখনো 'গা শিউরে' উঠে - এটা মনে হয় "ভাবলে" হবে।

শুভকামনা রইলো।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
ভ্রমণ বিষয়ক পোষ্ট গুলোতে আপনার করা মন্তব্যে খুব উৎসাহ যোগায় এবং আপনি খুব চমৎকার মন্তব্য করে থাকেন। ভ্রমণ ছাড়া রাজনৈতিক ও অনন্যা বিশেষ করে রাজীব নুরকে রোষ্ট করে যে মন্তব্য করেন আমি তো হাসতে হাসতে শেষ। =p~ আর এ আই বিষয়ে আপনি যথেষ্ঠ পারদর্শী, এ আইয়ের সাহায্য নিয়ে লেখাগুলো দেখি স্পট করতে পারেন।

অফলাইনে থেকেও মাঝে মাঝে আপনাদের দুজনের মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য পড়ি। দু'জনেরই সেন্স অফ হিউমার ভালো। হা হা হা। যাক শুনে বেশ ভালো লাগলো।

পুনে কখনো যাওয়া হয়নি আমার। অনেক আগে অন্যান্য কিছু জায়গাতে গেছি। মহারাষ্ট্রের পুনে, মুম্বাই অন্যান্য রাজ্যের গোয়া, ব্যাঙ্গালুরু সহ অনেকগুলো স্টেট মোটামোটি দেখা হয়েছে; বেশ ভালো ও লেগেছে। তবে কলকাতার মানুষ কে আমার বরাবরই চাড়াল মনে হয়েছে; হয়তো আমাদের ভাষা এক; ওদের কথাবার্তা গুলো বুঝি।

এখন ইন্ডিয়ার অরুনাচল প্রদেশ "জিরো ফেষ্ট" নামে একটি উৎসব হচ্ছে। ফোক, ফকিরি, ফিউশন, বাউল রক, ব্যান্ড সব ধরনের গান হয়; দিল্লির যে মেয়েটির সাথে পরিচয় হয়েছিল ও প্রতিবার ই যায়; আমার ও খুব ইচ্ছে ছিল যাওয়ার কিন্তু ব্যাক্তিগত কারনে সম্ভব হচ্ছে না। গরিবের টুমুরোল্যান্ড আর কি! হ্যাঁ হ্যা।

ইন্ডিয়ান বিরিয়ানি টেষ্ট খুবই লাইট আর মসলার গন্ধ লাগে বেশি; আমার কাছে দেশি কাচ্চি বেষ্ট লাগে; আপনার জন্য দেশি কাচ্চি।


গোল্ড ফেল্ক আমি ও টানছি একদম খারাপ না। বেশি টানলে প্রেসার হাই হয়ে যায় আর কি! আর শুনলে এখনো 'গা শিউরে' উঠে - এটা মনে হয় "ভাবলে" হবে। আচ্ছা! তাই! ঠিক করে নিব। আপনার এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ।‌

১৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.