নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“কলিমদ্দিকে আবার দেখা যায় ষোলই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাজারের চা স্টলে। তার সঙ্গীরা সবাই মুক্তি, সে-ই শুধু তার পুরনো সরকারি পোশাকে সকলের পরিচিত কলিমদ্দি দফাদার।”

কলিমুদ্দি দফাদার

“ঘুরছি আমি কোন প্রেমের ই ঘুর্নিপাকে, ইশারাতে শিষ দিয়ে কে ডাকে যে আমাকে”

কলিমুদ্দি দফাদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈশ্বরের দর্শনে.....

১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:২১



চীন, কোরিয়া,‌ জাপান এই তিন দেশের ধর্ম ও সমাজ ব্যবস্থা আমার কাছে খুবই জটিল মনে হয়। যেমন কনফুসিয়াসজম, সিন্টো, টাও, বৌদ্ধ, শ্যামান, নাস্তিক এতগুলো ধর্ম ও দর্শন এখনো বিদ্যামান। একজন মানুষ একাধারে কনফুসিয়াসজম দর্শনে অনুসরণ করতে পারে একই সাথে বৌদ্ধ ও শ্যামানিজম বিশ্বাস করতে পারে। এর কোনটি ই একটির সাথে আরেকটি সাংঘর্ষিক না। কি অদ্ভুত তাই না!

বর্তমানে সমাজ ব্যবস্থায় এই দেশগুলো তে ধর্মের উপস্থিতি একদমই কম। হয়তো এইজন্য দেশগুলো এতো উন্নত! কাজ, যৌন্যতা এবং মদ এটাই তাদের ধর্ম; এটা আমার ব্যাক্তিগত উপলব্ধি।



সিউলের মধ্যে যুগে নির্মিত প্রসিদ্ধ একটি বৌদ্ধ মন্দির দেখার সুযোগ হয়েছিল একবার। এক শীতের সন্ধ্যায় ইচ্ছে হলো ঈশ্বর কে দেখার; ঈশ্বর অবশ্য বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের। কোরিয়ান প্রাচীনকালে নির্মিত কাঠের প্রাসাদ, মন্দির আর্কিটেকচারের খুবই ভক্ত আমি। মন্দিরটি এভাবে ই নির্মিত সাথে এখন আধুনিকতার ছোঁয়া আরো বেশি ভালো লাগে।




সন্ধ্যায় মন্দিরে প্রবেশ করায় ওয়ার্ম লাইট আর আলোকসজ্জা এতো সুন্দর একটা পরিবেশ আর স্বর্গীয় একটা অনুভুতি দিচ্ছিল।‌ এর আগে ও প্রথম রাঙামাটি বৌদ্ধবিহার এক বিকালে ছিলাম। সেটি ও অসাধারণ অভিজ্ঞতা। বৌদ্ধ ধর্ম ও মনে হয় একদা শান্তির ধর্ম‌ ছিল, বুদ্ধ বলতেন "সকল জীবে দয়া করো"


অন্যান্য সব বৌদ্ধ মন্দিরের মতো সেখানে ও মানুষ মোমবাতি জ্বালায়, আগরবাতি ধরায়। আগরবাতি জিনিসখান মনে হয় সকল ধর্মের মানুষের কাছে প্রিয় ও আধ্যাত্মিক কোন বস্তু। যে কোন ধর্ম সত্যি হলেই আগরবাতি অবশ্যই পরকালে বেহেশতে, স্বর্গ বা হেভেনে যাবে; তার কোন চিন্তা নাই।



গাছের নিচে আলোকসজ্জা সাথে মন্দির ঘন্টা এবং প্রাচীন কোরিয়ার বিশ্বাস দৈত্য-দানবের ছবি গুলো বেশ সুন্দর। শীতের প্রকোপ বেশি‌ থাকায় একটু পড় গিয়ে ঢুকলাম মন্দিরের। পাশাপাশি গোল্ডেন‌ কালারের বিশাল তিনটা বুদ্ধের মূর্তি‌ প্রথম ছবি। কিছু কোরিয়ান সাদা মৌজা পড়া বসে বসে কিছু একটা পড়ছে। বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান গ্রন্থ মনে হয় ত্রিপিটক যা পালি ভাষায় লিখা। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জীবন আচার খুবই সুন্দর। জীবনের মোহ-মায়া ত্যাগ করে তারা মাথা ন্যাড়া করে, অহংকার যাতে না আসে সেজন্য ভিক্ষাবৃত্তি করে খায়। ভিক্ষুদের সাথে যেয়ে কিছুদিন থাকার থাকার ইচ্ছে আছে দুনিয়ায় মোহ-মায়া ত্যাগ করে। যাক মন্দিরের ভিতরটা উষ্ণ আর আরামদায়ক সিট থাকায় আমি ছিলাম আরো কিছুক্ষণ।

ঈশ্বর দর্শনের সময়কাল ২০১৬।
ছবি: আইফোন ৬ তাই ফোকাস, ব্রাইটনেস কিছুটা এলোমেলো।
প্রথমটি বাদে সবগুলোই নিজের তোলা।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:০৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এদের লাইফে কোনো আলো নাই কারণ এরা ইসলামিক লাইফ লিড করে না । :-B

১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:৩৬

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
চীন অলরেডি জামাতের সাথে চুক্তি করেছে। জামাতের আমির হামজা আর তারেক মনোয়ার সেদেশে যেয়ে বয়ান করবে চীনাদের মনে আলো ফুটাতে।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:২২

বাজ ৩ বলেছেন: কি শিখলেন এসব দেখে ভাই :>

১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:৩৯

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি'
'ধম্মং শরণং গচ্ছামি
'সংঘং শরণং গচ্ছামি'

আমি ইহা শিখেছি। ইহা দৈনিক দশবার জপ করবেন; বড় বড় সর্প পাবেন বাজ পাখির মতোন।


৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:৫৭

বাজ ৩ বলেছেন: সাপ দিয়ে বাজপাখীর কোনো কাজ নেই ভাই।ভালো কিছু পাইলে জপতাম।কারন শব্দসমূহ জপা আমার ভালো লাগে
আচ্ছা দফাদার ভাই?আপনি মূলত কেন ভ্রমন করেন, উদ্যেশ্য আছে কোনো

১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:৩১

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:

আচ্ছা দফাদার ভাই?আপনি মূলত কেন ভ্রমন করেন, উদ্যেশ্য আছে কোনো খুব বেশি ভ্রমন করি না, ভ্রমন নিয়ে বেশি পোষ্ট করি বিধায় এমন মনে হয়। উদ্দেশ্য বলতে নতুন সংস্কৃতি, কৃষ্টি, মানুষ, খাদ্যাভাস সম্পর্কে জানা হয় সাথে অভিজ্ঞতা ঝুলি সমৃদ্ধ হয়; নতুন নতুন আইডিয়া আসে। মানুষিক ভাবে একগুঁয়ে যে ভাব থাকে; সেইটা আর থাকে না।

হাজারো বছর ধরে আমি হাটিতেছি পৃথিবীর পথে পথে .......
আর্থিক অবস্থা ভালো থাকলে সবার ই বিশ্ব দেখা উচিত।

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:২২

কামাল১৮ বলেছেন: আপনাকে বাদ দিয়ে আপনার উপলব্ধি না।আপনি যেমন আপনার উপলব্ধি তেমন।ব্যক্তির থেকে তার চিন্তাকে আলাদা করা যায় না।

১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:৫১

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
ব্যাক্তির চিন্তা-ভাবনা অনেকটাই নির্ভর করে পারিপার্শ্বিক অবস্থা, জীবন-যাপন সামাজিক বাস্তবতার উপর। চিন্তা এবং উপলব্ধিই সত্তার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৩:২৫

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



কাজ (কর্ম ), যৌনতা ( কাম ) মদ (সুরা ), এগুলো সামন্তবাদীদের জীবনের মুল চালিকা শক্তি ছিলো; আধুনিক বিশ্বের জন্য নতুন ১টি বিষয় যোগ হয়েছে "জ্ঞান{।

১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০১

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
২০ ডলারের ক্যাপসুল হোস্টেলে থেকে কোরিয়া-জাপানের সমাজ ব্যবস্থা আপনার উপলব্ধি করা সম্ভব না।

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমার মতে আপনি এই সময়ে ব্লগের সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্লগারদের একজন।

তবে প্রথম কথা হলো, বৌদ্ধ ধর্মে কিন্তু ঈশ্বরের ধারণা নেই। অতএব, বৌদ্ধ মন্দিরে আপনি কীভাবে ঈশ্বরের দর্শন করবেন? হা হা!
তবে আত্মদর্শনের জায়গা হিসেবে বৌদ্ধ মন্দির খুব উপযুক্ত স্থান। বৌদ্ধ ধর্মে দেব-দেবীর ধারণা আছে বটে, মহাযান বৌদ্ধমতে বোধিসত্ত্ব বা ঐশ্বরিক বুদ্ধের ধারণা আছে, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা হিসেবে ঈশ্বর নেই।

মজার বিষয় হলো, আপনি অন্য যে ধর্মগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন শিন্টো, টাও, কনফুসিয়ানিজম এদের কোনোটিতেই সৃষ্টিকর্তা হিসেবে ঈশ্বরের ধারণা নেই। আর সেকারণেই, এগুলো একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে।

আপনাকে জানিয়ে রাখি যে, বৌদ্ধ ধর্মের ধম্মপদ, টাও টে চিং আর কনফুসিয়াসের শিক্ষা আমার জীবনে পড়া শ্রেষ্ঠ বইগুলোর মধ্যে কতগুলো।

১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩১

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ বেশ চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্যে।‌

বৌদ্ধ ধর্মে কিন্তু ঈশ্বরের ধারণা নেই। আপনি শতভাগ সঠিক। এইভাবে তো আসলেই ভেবে দেখিনি? তবে বৌদ্ধরা কিন্তু গৌতম বুদ্ধ কে ভগবান বলে ডাকে; শুনেছি ও বোধহয়। বুদ্ধের নির্মাণ লাভের দিন মনে হয় তাদের প্রধান উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা উৎসবে পালন করে। আর মন্দিরে তো ঈশ্বরের মুর্তি ই থাকে!!! তাই না! হা হা হা।

তবে আত্মদর্শনের জায়গা হিসেবে বৌদ্ধ মন্দির খুব উপযুক্ত স্থান। আপনার মতো এতো গভীর ভাবে তো চিন্তা করিনি! তবে আমার মন্দিরে পরিবেশ বেশ ভালো ও উপভোগ্য লাগে। শুধু নিজের ভিতর আর অন্তরকে পরিস্কার রাখার চেষ্টা করি; এটা অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা স্থল, সম্মানের জায়গা। এখানে "শিরক হয়" গজবের এলাকা এসব ভাবনা দুরে রাখতে।

আপনাকে জানিয়ে রাখি যে, বৌদ্ধ ধর্মের ধম্মপদ, টাও টে চিং আর কনফুসিয়াসের শিক্ষা আমার জীবনে পড়া শ্রেষ্ঠ বইগুলোর মধ্যে কতগুলো। বাহ! জেনে বেশ‌ ভালো। শিন্টো ও টাও মতবাদের উপস্থিতি জাপানে বেশ দেখা যায়। যদি ও আমি এই দর্শন সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানি না। তবে "কনফুসিয়াস" দর্শন প্রভাব এর কিছু মতবাদ সম্পর্কে কিছুটা পড়েছিলাম। এর প্রভাব চীন,‌জাপান,‌কোরিয়া তে ব্যাপক। তাঁদের শেষ কৃতের আচার-অনুষ্ঠান এখনো সেই কুনফুসিয়াস সময়কার রীতিনীতি থেকে চলমান।
তবে আপনার মতো "কনফুসিয়াসের" এই মতবাদ টি আমি বেশ প্রভাবিত।
"ন্যায়পরায়ণ ও সৎ শাসক ছাড়া কোনো আইন, শাসনব্যবস্থা বা প্রতিষ্ঠান কার্যকর হতে পারে না"

আসলেই তো তাই! রাষ্ট্রপরিচালনার যত সংস্কার, ঐশ্বরিক বানী, স্বর্গীয় দূত বসিয়ে দেন না কেন; রাষ্ট্রপ্রধান যদি সৎ ন্যায়পরায়ণ না হয় কোন কিছু কাজে দিবে না। এই ধারনা দিয়ে গেছেন বোধহয় খ্রিষ্টের জন্মের ৪০০-৫০০ বছর পুর্বে।

৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:২৯

বিজন রয় বলেছেন: বেশ কয়েকদিন পর পোস্ট দিলেন।

কেমন ছিলেন, আছেন?

ভালো পোস্ট।

১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:০৯

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:

জ্বি ভালো‌।
আপনি কেমন আছেন বিজন রয়?

৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:৩২

অপু তানভীর বলেছেন: বৌদ্ধ ধর্মের জীবন দর্শন আমার বেশ চমৎকার লাগে। আমার বেশ অনেকবার পাহাড়ে যাওয়া হয়েছে। কাছ থেকে এমন অনেকের সাথে কথা হয়েছে। শিক্ষা জীবনে দুজন বন্ধুও ছিল।
আরও কয়েকটা ছবি যোগ করে দিতেন!

আইফোন সিক্সটা কি এখনও টিকে আছে? 8-|

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:৫৭

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
দেশে বান্দরবান বৌদ্ধ "স্বর্ন মন্দির" আর রাঙামাটিতে "বৌদ্ধ বিহার" দুটো দেখা হইছে। রাঙামাটিতে বেশি ভালো লাগছে, লেকের পাশে অনেক বড় এরিয়া আর সুন্দর মনোরম স্বর্গীয় পরিবেশ। ঢাকা এসে একবার ভাবছিলাম কিছু টাকা পয়সা নিয়ে রাঙামাটিতে যেয়ে টং এর দোকান দিবো আর উপজাতি বিয়ে করে সেখানে সংসার পাতবো। :-P

ফোনটা মনে হয় ভালোই আছে, তবে অনেক বছর অব্যবহৃত অবস্থায় কোথায় যেন আছে!!!
ছবি আরো ছিল কিন্তু তখন আইফোনের ক্যামেরায় নাইট মুড ফিচার যুক্ত হয় নাই।
তাই ছবিতে পর্যাপ্ত লাইট নাই।




৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ওস্তাদের কাছে ক্ষমা চান। তার বশ্যতা মেনে নিন। তাতে আপনার মঙ্গল হবে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:২৭

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
খাঁটি দুধের সন্ধানে আছি! ইহা পেলেই স্নান করে পুত: পবিত্র হয়ে ওস্তাদের কাছে বায়াত গ্রহন করবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.