![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোকা একজন মানুষ। খুব সহজেই যে কাউকে বিশ্বাস করে ফেলি। ভালো মানুষ ছিলাম না কোন কালেই, তবে নিষ্ঠুর মানুষ হওয়ার চেষ্টারত........।
এক অন্তহীন শুন্যের মাঝে পড়ে আছি আমি।পারিপার্শ্বিকতা আমাকে দেখে বিদ্রুপ করে হাসছে।যে অন্তহীন শুন্যের মাঝে আমি পড়ে আছি তার নাম অভিশাপ,বেকারত্বের অভিশাপ।কিন্তু না আর নয়,আমাকে এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে হবে।আমাকে কিছু করতে হবে পরিবারের জন্য,নিজের জন্য।এভাবে সমাজের বোঝা হয়ে থাকা আর না।চাকুরী......??সেতো সোনার হরিণ।কারণ আমার নেই মামা চাচা।আমার মত মেট্রিক কিংবা ইন্টারমিডিয়েট পাশ করা ছেলেকে দিয়ে কি হবে এদেশে?সামনে আমার একটাই পথ খোলা আছে-আর তা হল বিদেশ।আমার এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ভাগ্যের চাকা পরিবর্তনের জন্য আমি বিদেশ যাব।
না আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত সঠিক নয়,আমি বলব আপনার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভুল।আপনি বিদেশ গিয়ে যে ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করতে পারবেন তার কি কোন নিশ্চয়তা আদৌ দিতে পারবেন?একবারও কি ভেবে দেখেছেন এদেশ আপনার জন্মভূমি,নিজের ভাষা-এদেশে যদি কোন কিছু করার যোগ্যতা আপনার না থাকে,তাহলে অপরিচিত ভাষা,অন্য দেশে গিয়ে আপনি কি করবেন?অন্যদিকে পৈত্রিক ভিটে মাটি বিক্রি করে পড়তে পারেন দালালের খপ্পরে।সর্বস্ব হারিয়ে আবার বেকার জীবন।হারাবেন মাথা গোঁজানোর শেষ সম্বলটুকু।আর আপনি কেন বিদেশ যাবেন?যার এদেশে মাথা গোঁজানোর মত অবস্থা নেই।বিদেশ যাবে যে দেশে শ্রম বিক্রি চলে।বিদেশ গিয়ে শ্রম বিক্রি করে দেশে করবে মাথা গোঁজানোর এক টুকরো সম্বল।আপনার তো সেই সমস্যা নেই,মাথা গোঁজানোর মত অবস্থান আপনার আছে।তাহলে বিদেশ গিয়ে শ্রম বিক্রি কেন?যে শ্রম বিদেশ গিয়ে দিবেন তার অর্ধেক শ্রম যদি এদেশে দেওয়া হয়,তাহলে দেশে থেকেই বিদেশের চেয়ে বেশী উপার্জন করা সম্ভব।বহিঃরাষ্ট্র গুলো আমাদের দেশ থেকে শ্রমিক নেয় কেন জানেন?সস্তায় শ্রমিক পাওয়া যায় বলে।তার মানে আপনি আপনার শ্রম সস্তায় বিক্রি করছেন,পাচ্ছেন না শ্রমের ন্যয্য দাম।মানে সেখানেও হচ্ছেন প্রতারণার শিকার।
এদেশ অপার সম্ভাবনার দেশ,এদেশেই অনেক কিছু সম্ভব।বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগ।পৃথিবী যতদিন থাকবে -ততদিন থাকবে এই প্রযুক্তির ব্যবহার।বিজ্ঞান নিয়ে আসছে প্রতিদিন আমাদের জন্য নতুন সব প্রযুক্তি।যেমন-কম্পিউটার,ল্যাপটপ,মোবাইল ইত্যাদি।আপনি চাইলে কাজ করতে পারেন এ সকল প্রযুক্তি নিয়ে।শহরে বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় কম্পিউটার,ল্যাপটপ,মোবাইল,ফ্রিজ,প্রিন্টার,ফটোস্ট্যট মেশিন সহ বিভিন্ন জিনিসের উপর স্বল্প খরচে ট্রেনিং দেওয়া হয়।আপনি চাইলে এসবের যে কোন একটি বা একাদিক বিষয়ের উপর ২/৩ মাসের কোর্স সম্পূর্ণ করতে পারেন।তারপর নিজ এলাকায় একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারেন।আমি আপনাকে আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখাবোনা,মাসে কত উপার্জন করবেন তা নির্ভর করবে আপনার পরিশ্রমের উপর।তবে সেটা পঁচিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকার কম না।যাহা প্রবাসের তুলনায় অনেক বেশী।মনে রাখবেন আপনি যে প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবেন তার ব্যবহার কমবেনা,বরং প্রতিদিন চাহিদা বাড়বে।
অথবা সরকারী ভাবে প্রতি বৎসর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর মাধ্যমে মৎস,হাস-মুরগী,গবাদি পশু ইত্যাদির উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।আপনি চাইলে এখানেও অংশ গ্রহণ করতে পারেন।প্রশিক্ষণ শেষে সার্টিফিকেট সহ দেওয়া হয় নগদ অর্থ ঋণ।প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে শুরু করতে পারেন হাঁস-মুরগী,গবাদি পশুর খামার অথবা মৎস হ্যাচারী।শুধু অর্থ প্রদান নয়,এর পরও সার্বিক সহায়তা দেবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর।বেকার দেশের সমাজের অভিশাপ নয়,অপার সম্ভাবনা।
যারা প্রবাস জীবন যাপন করছেন তাদের জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবেন প্রবাস জীবন কতটা কষ্টের ও দুর্বিষহ।আর কেউ যদি বলে- না দেশের চাইতে প্রবাসে বেশ ভাল আছি।তাহলে আমি বলব- সে আপনাকে লেজ কাটা শিয়ালের গল্প শুনাচ্ছে।প্রবাসী ভাইদের জন্য আরেকটা দুঃসংবাদ হল কোন সচেতন অবিভাবক প্রবাসী পাত্রের কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে চাইনা।
অবশেষে একটি জোকস দিয়ে শেষ করছি......
বাংলাদেশ চিড়িয়াখানা কতৃপক্ষের দুর্নীতি দেখে এক বাঘ সিদ্ধান্ত নিল এদেশে আর না,বিদেশ চলে যাবে।ভাল ভিসা নিয়ে পাড়ি জমাল দুবাই চিড়িয়াখানা,পরদিন চিড়িয়াখানা কতৃপক্ষ বাঘের জন্য খাবার নিয়ে আসল এক ঝুড়ি কলা।খাবার দেখে বাঘ রেগেমেগে আগুন।
বাঘ-আমি হলাম বাঘ,আমি খাব মাংস,আমাকে কলা দিলে কেন?
কতৃপক্ষ-বাঘ মামা আপনি যে ভিসায় আমাদের চিড়িয়াখানায় এসেছেন তা হল বানরের ভিসা,অতএব আপনাকে কলাই খেতে হবে।
২| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১২
কলমি লতা বলেছেন: ধন্যবাদ বেলা শেষে
৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০৯
সুমন কর বলেছেন: দেশে থাকতে চাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১০
বেলা শেষে বলেছেন: ভাল লিখেছেন।