নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার আমিত্বে আমি

বোকা একজন মানুষ। খুব সহজেই যে কাউকে বিশ্বাস করে ফেলি। ভালো মানুষ ছিলাম না কোন কালেই, তবে নিষ্ঠুর মানুষ হওয়ার চেষ্টারত........।

কলমি লতা

বোকা একজন মানুষ। খুব সহজেই যে কাউকে বিশ্বাস করে ফেলি। ভালো মানুষ ছিলাম না কোন কালেই, তবে নিষ্ঠুর মানুষ হওয়ার চেষ্টারত........।

কলমি লতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা হঠাও-হাতিয়া বাঁচাও

০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৩


রোহিঙ্গা একটি সমস্যার নাম।আর সহসা এই সমস্যা ভর করতে যাচ্ছে হাতিয়ার উপর।ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি সরকার হাতিয়ার একটা অংশে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করার উদ্যেগ নিয়েছে এবং তারই লক্ষ্যে হাতিয়ার অংশ ঠ্যাংগার চরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প গঠন করেছে।হাতিয়ার চরাঞ্চলে রোহিঙ্গা পুনর্বাসন হাতিয়াবাসির জন্য মোটেও সুখকর নয়। পূর্বের ইতিহাস বলে এদেশে রোহিঙ্গা পুনর্বাসন আমাদের জন্য অভিশাপ স্বরূপ।গত কয়েক দশেক কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলে রোহিঙ্গারা সামাজিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা সৃষ্টি করেছে তা ভুক্তভোগীরাই ভালো জানেন।তাই হাতিয়া দ্বীপের শান্তি রক্ষার্থে রোহিঙ্গা পুনর্বাসন করা উচিৎ হবেনা।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা এখনকার না।বাংলাদেশ জন্মের আগে এমনকি ভারতের জন্মের থেকেই এই সমস্যা।তারা এদেশের নাগরিক নয়।শত শত বছর ধরে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বসবাস।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে রোহিঙ্গারা আরাকানে আলাদা রাষ্ট্র দাবি করে।পরক্ষনে রোহিঙ্গারা সফলতা ক্ষীণ মনে হলে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর কাছে পূর্ব পাকিস্তানের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে।কিন্তু জিন্নাহ তা প্রত্যাখ্যান করে। ১৯৪৮ সালে আরাকান (বর্তমানে রাখাইন) বার্মার সাথে যুক্ত হয়।অতঃপর রোহিঙ্গারা আলাদা রাষ্ট্রের দাবিতে মুজাহিদ পার্টি গঠন করে এবং সশস্র বিদ্রোহ করে।মূলত। ইহাই রোহিঙ্গাদের জন্য কাল হয়ে দাড়ায়।তারপর ১৯৬২ সালে বার্মার ক্ষমতা সামরিক বাহিনী দখল করার পর প্রথম ঘোষনা ছিলো-রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বাতিল।সেই নাগরিকত্ব পরবর্তীতে রোহিঙ্গাদের আর ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।প্রশ্ন হলো-বাঙ্গলাদেশে শান্তি বাহিনী যদি আলাদা রাষ্ট্র দাবি করে আপনি কি তা সমর্থন করবেন...??

-রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে পারলে মানবিক জাতি হিসেবে ভালো বোধ করতাম।কিন্তু যেখনে হাতিয়ার মানুষের সমস্যার শেষ নেই সেখানে অন্যের সমস্যার সমাধান করতে যাওয়া শ্রেফ বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়।অনেকেই ১৯৭১ সালে ভারতের আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার কথা বলছেন।রোহিঙ্গা সমস্যা একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা,স্বাধীনতার যুদ্ধ নয়।ভারত আমাদের শুধু মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়নি, ভূরাজনৈতিক স্বার্থ না থাকলে তারাও এই যুদ্ধে জড়াত না।আমরা যদি ১৯৭১ এ যুদ্ধ না করতাম,ভারতে থেকে যাওয়ার ইচ্ছে পোষন করতাম তাহলে ভারত আমাদের কখনোই শরণার্থী হিসেবে গ্রহন করতো না এটা নিশ্চিত।সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দীর্ঘ সময় চলেনা,এক সময় থিতিয়ে আসে।উল্লেখ্য বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার কোন লক্ষণই পরিলক্ষিত হয়না।তাছাড়া এটা আমাদের সমস্যা না,তাহলে আমারা কেন এর দায়ভার নেব?এমন তো নয় আমাদের উস্কানিতে তারা আজ দেশ ছাড়া।এছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আছে,জাতিসংঘ আছে,তারা নেবে রোহিঙ্গাদের দায়ভার,আমরা নয়। একবিংশ শতাব্দীতে রাজনৈতিক আর কূটনীতিতে মানবতা অনেকাংশে অপ্রাসঙ্গিক।আজকাল মানবতার খাতিরে জায়গা দেওয়া শুরু করলে নিজ পরনের কাপড় পর্যন্ত খুলে দিতে হয়,তার উপর ওই এক কাপড়ই আমাদের শেষ সম্বল।একবার যদি হাতিয়ার সীমান্তে রোহিঙ্গা পুনর্বাসন করা হয় তাহলে দেখবেন স্বল্প সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গার সংখ্যা হাতিয়ার মূল ভূখন্ডের জনসঙ্গখ্যা কে সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।

রোহিঙ্গাদের কারণে সম্প্রতি দেশে অপরাধ কর্ম বেড়েই চলছে।বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক,অস্র ও মানব প্রাচারের অভিযোগ।হাতিয়া রোহিঙ্গা পুনর্বাসন করা হলে যে সমস্যা সৃষ্টি হবে তার ফল ভোগ করবে হাতিয়ার জনগণ।কক্সবাজার কিংবা পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলের লোকদের জিজ্ঞাসা করলেই জানতে পারবেন গত কয়েক দশক তারা কতটা লাঞ্চিত হয়েছে রোহিঙ্গাদের দ্বারা।তারা কেন রোহিঙ্গাদের প্রতি বিরূপ,তারা কেন রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবতা দেখায়না?তাছাড়া সম্প্রতি মানব প্রাচার কে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী যে তোলপাড় চলছে তাতেও আমাদের ভাবা দরকার।কারণ এই মানব প্রাচারের মূলে রয়েছে রোহিঙ্গা।আর এই রোহিঙ্গা হাতিয়া পুনর্বাসিত হলে মানব প্রাচারের হাত থেকে হাতিয়াবাসীও রেহাই পাবেনা।আর রোহিঙ্গাদের মাদক,অস্র,চোরাচালানী সহ বিবিধ ক্রাইম সম্পর্কে আশা করি সবারই কম বেশী শোনা আছে।সর্বোপরি হাতিয়ার মঙ্গলার্থে আমরা হাতিয়াবাসী রোহিঙ্গা পুনর্বাসন চাইনা।

বাংলাদেশের সরকারের ঘাড়ে এখন প্রায় ১৭ কোটি ঊর্ধ্ব জনগণের ভার।যাদের মানবতার নিশ্চয়তা কোন সরকরই এখনো প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই দেখা যায় বাংলাদেশের মানুষের মানবতা বিপন্ন হওয়ার চিত্র। যে দেশের কোন সরকার আজো পর্যন্ত তার নিজের জনগণের মানবতা রক্ষা করতে সামর্থ্য হয়নি- সেই দেশের সরকারের কাছে আবার বাহির থেকে মানবতা ধার করে আনা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই না।তার উপর তাদের যদি আশ্রয় দেওয়া হয় হাতিয়ার মত দ্বীপাঞ্চলে।যে দ্বীপাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠী দারিদ্র সীমার নীচে।যেখানে দ্বীপের অধিকাংশ মানুষ মানবেতর জীবন জাপন করছে,সেখানে আমরা অন্যের প্রতি কিভাবে মানবতা দেখাই...?? নিজেদের ক্ষতি করে রোহিঙ্গাদের মত উগ্র জাতিকে পুনর্বাসন করে আমরা নিজেদের বিপদ ডেকে আনতে পারিনা।হয়তো রোহিঙ্গা পুনর্বাসন করলে সাময়িক ভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হবনা।কিন্তু আমাদের পরবর্তী বংশধরদের এর খেসারত দিতে হবে যুগের পর যুগ,প্রজন্মের পর প্রজন্মকে।অর্থাৎ হাতিয়া রোহিঙ্গা পুনর্বাসন মানে আমরা প্রজন্মের জন্য বিষবৃক্ষ রোপন করে গেলাম।আমরা চাইনা হাতিয়া রোহিঙ্গা পুনর্বাসন করে শান্তির দ্বীপ হাতিয়ায় অশান্তি ডেকে আনতে।তাই সবাই একসাথে আওয়াজ তুলুন- শান্তির দ্বীপ হাতিয়ায়,রোহিঙ্গাদের ঠায় নাই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

ভয়ংকর বিশু বলেছেন: রোহিংগারা মিয়ানমারের শান্তির জন্য বড় হুমকি। গতবারের দাংগার কারন রোহিংগাদের দ্বারা কয়েক বৌদ্ধ নারী ধর্ষন সুত্র:http://www.bbc.com/news/world-asia-18395788
এদেরকে কোনো ভাবেই বাংলাদেশে ঢুকানো যাবে না। এরা জংগী জনগোষ্ঢী। এরা যেকোনো উপায়ে বাংলাদেশে ঢুকতে চাচ্ছে। বড়ই বদমাইশ এই জাতি বাংলাদেশে জামাতের হয়ে কাজ করে।আমাদের দেশে জংগীদের কোনো জায়গা নেই।মুখে লাথি মেরে ভাগানো হোক। তবে নারী ও শিশুদের সাহায্য করা যেতে পারে।

২| ০৩ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

কলমি লতা বলেছেন: ধন্যবাদ ভয়ংকর বিশু ভয়ংকর মতামত প্রকাশের জন্য।আবার আসবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.