![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জনগণের চাহিদাপত্র, ১৩/১১/২০১৩, বাংলাদেশ
=============================
গণতন্ত্রে, জনগণ, রাষ্ট্রের মালিক হিসেবে, মালিকের মতোই মালিকের চাওয়া চাইতেই পারে। কোনো পূর্বঘোষণা না-দিয়েও মালিকের ক্ষমতায় মালিকেরা ইচ্ছেমতো চাইতে পারে। ক্যানো চাইবে বা ক্যানো চাইবে না, কিম্বা যা’ অতীতে চায়নি জন্যে আগামীতে তা’ চাইতে পারবে না, এ ধরণের কোনো বাধ্যবাধকতায় কোনো মালিক কখনোই আবদ্ধ নয়।
যদি বলা হয়, এখানে জনগণ চাচ্ছে, আপাতত, নির্বাচন, মনোনয়ন কেনা-বেচা, সংসদ, যাবতীয় দাপ্তরিক কাজ, সকল প্রকারের ব্যবসা-বাণিজ্য, ছোট-বড় সকল হাট-বাজার, শৃঙ্খলা-প্রতিরক্ষা বাহিনী, বিচার সালিশ কেচ্ছা কাহিনি, এমনকী আইন আদালত সংবিধান সব কিছুকেই কিছুদিনের জন্যে থামিয়ে রেখে আবার সবগুলোকেই সমধিক গতিশীল করার আগে, প্রত্যেকে স্বেচ্ছায় তার দখলের বৈধ সম্পত্তির হিসেব দেবে। এখানে হিসেব বোঝাতে সাধারণ অর্থেই জনসাধারণ বলতে চাচ্ছে, ব্যক্তির মালিকানাধীন সম্পত্তির পরিমাণ এবং অর্জনের উৎসের বিবরণ। রাষ্ট্র যেন প্রত্যেক ব্যক্তির বৈধ সম্পদকে পাহারা দিতে পারে এবং সুরক্ষা ক’রে যেতে পারে, জনগণ চাচ্ছে, সম্পদের মালিকানার দাবিদার নিজেই নিজের স্বার্থে তার হিসেবের বিবরণ রাষ্ট্রের সামনে খুলে মেলে ধরবে। যেগুলোকে হিসেবের মধ্যে পাওয়া যাবে না, হিসেবের বাইরের সম্পদগুলোকে রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে ধ’রে নেওয়া হবে, বৈধ অধিকারের দলিলপত্র না-দেখালে পরে কেউ ওগুলোকে নিজের ব’লে দাবি করতে পারবে না।
যদি বলা হয়, জনগণ চাচ্ছে, কোনো বৈধ ব্যক্তি-মালিকানাধীন সম্পত্তি রাষ্ট্রকে বাজেয়াপ্ত করতে দেওয়া হবে না, বরং অবৈধ দখলদারেরা যদি কোথাও কোনো ব্যক্তির সম্পত্তি জবরদখল ক’রে থাকে, তবে রাষ্ট্র সেখানে কেবল ঐ সম্পত্তি উদ্ধার-ই করবে না, উদ্ধারকর্মে রাষ্ট্রের যা’ ব্যয় হবে রাষ্ট্র তা’ ঐ দখলদারদের কাছ থেকে তুলে নেবে, সেই সাথে বৈধ মালিককে ক্ষতিপূরণ সহ তার সম্পত্তি ফিরিয়ে দেবে।
যদি দলাদলিতে লিপ্ত দলোগণকে কখনো এখানে বলা হয়, ওহে দলোগণ, এখানে জনগণ তো এভাবেই চাচ্ছে, আপনাদের কিছু বলার থাকলে বলুন। জনগণ যে এভাবে বলতে চাচ্ছে, তা’ যদি দলোগণ বিশ্বাস করতে না-পারে, তবে এই ধরণের একটি চাহিদাপত্রের ফটোকপি জনে জনে ধরিয়ে দিয়ে, প’ড়ে প’ড়ে শুনিয়ে শুনিয়ে যদি দলোগণ দেখেন যে, হ্যাঁ, জনগণ এমন কিছুই চাচ্ছে, তখন দলোগণ এখানে কী বলবেন, সেটাই দেখার জন্যে ধৈর্য ধ’রে আমরা অপেক্ষমাণ।
প্রায়শ্চিত্তের বোঝাবহনে এবং আত্মশোধনের ধকলে শ্রান্ত জনগণ গণপিটুনিদাতার ভূমিকায় নামার আগে চূড়ান্ত ধৈর্যশীলতার পরিচয় দেয়। কোথাও আমি যদি গণপিটুনির শিকারে পরিণত হই, কোনোভাবেই আমি জনগণকে অপরাধী ভাবতে পারি না এ জন্যেই যে, সকলেই জানে, জনসাধারণ কখনোই অবিবেচক নয়।
গণকরণিক : আখতার২৩৯ রঙ্গপুর : ১৩/১১/২০১৩খ্রি:
©somewhere in net ltd.