![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজা সৃষ্টির প্রক্রিয়ার ইতিহাস
=========================
আমাদের জ্ঞাতিহিংসাই আমাদেরকে একত্রিত হ’তে দেয় না।
নিজেদের মধ্যেই বিচ্ছিন্ন হ’য়ে থাকার অভিশাপ আমরা বহন করি এবং প্রায়শ্চিত্তের ঘানিটানাটাই আমাদের বরাদ্দে লেগে থাকে।
আমাদের জ্ঞাতিহিংসাজনিত বিচ্ছিন্নতার সুযোগেই দলবদ্ধ অন্যান্যরা আমাদের ওপর তাদের তন্ত্র খাটাতে এসে সফল হয়। আমরা অভিশপ্ত বিচ্ছিন্নরা আমাদের স্বত্বাধিকার হারিয়ে তাদের আদেশের মান্যকারী হ’য়ে তাদের দখলে চ’লে যেতে বাধ্য হই। দখলদারদের দলনেতাটি নির্দেশদাতার আসনটি পেয় রাজার সম্মান ভোগ করতে থাকে এবং তা’ চলতে থাকে তার পারিবারিক থেকে বংশানুক্রমের ধারাবাহিকতায়। রাজার যেকোনো খেয়ালখুশি, যেকোনো ধরণের অদেশ নির্বিচারে মেনে নিয়ে নিয়ে আমরা রাজার ইচ্ছেমতো রাজতন্ত্রে চলতে বাধ্য হই।
আমরা যাকে সৃষ্টি করি, আমাদেরকে আঘাত করার ক্ষমতা আমরা তাকে দেই না। কেবল আমরাই আমাদেরকে আঘাত করতে পারি।
প্রজার আঘাতেই প্রজা ক্ষত-বিক্ষত হয়। রাজতন্ত্রে কোনো অবাধ্য প্রজাকে রাজদ্রোহী হিসেবে ধরিয়ে দেবার কাজে রাজার দলীয় বাহিনীর সহযোগিতা করাকে দায়িত্ব হিসেবে মেনে নিতে প্রজারা বাধ্য। আত্মঘাতী অভিশপ্তরা জ্ঞাতিহিংসামুক্ত না-হওয়া পর্যন্ত প্রায়শ্চিত্তের ঘানি টানাকে কর্তব্য হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য।
আমাদের রাজা আমাদের জ্ঞাতিহিংসার মাঝখানের ফল বা ফসল।
রাজা অত্যাচারী না-হওয়া পর্যন্তই রাজার অস্তিত্ব টিকে থাকে। রাজা যখন অবিবেচক হয় কিম্বা তার সীমালংঘন করে, প্রজারা তখন সাময়িকভাবে জ্ঞাতিহিংসামুক্ত হয়। ঐক্যবদ্ধ প্রজাদের ফুৎকারেই যখন রাজা উড়ে যায়, প্রজারা তখন প্রজা থেকে জনগণে পরিণত হয়।
জনগণের গণতন্ত্রে জনসাধারণ যাদেরকে প্রতিনিধি হিসেবে সীমাবদ্ধ কিছু দায়িত্ব পালনের জন্যে নির্বাচন করে, তারা ভালোভাবেই জানে যে, তারা কখনোই রাজাও নয়, রাজার মতো বহিরাগতও নয়।
জ্ঞাতিহিংসার অভিশাপের প্রায়শ্চিত্ত হিসেবেই আমরা অন্যের অধীনস্ত হয়ে তার করুণাপ্রার্থীতে পরিণত হই।
আমরা প্রজায় পরিণত হ’য়ে বহিরাগত দখলদারকে সুযোগ দিয়ে আমাদের মাঝে তাকে রাজা বানাই। রাজার সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় স্মরণকাল থেকে আজ পর্যন্ত ভিন্নতর কোনো গ্রহণযোগ্য ইতিহাস এখানে পাওয়া যায়নি।
গণকরণিক : আখতার২৩৯ রঙ্গপুর : ২৫/১১/২০১৩খ্রি:
রাজতন্ত্র থেকে গণতন্ত্র
যদিও ‘গণতন্ত্র চাই’ চাওয়াটা আত্মপ্রতারণা ...
©somewhere in net ltd.