![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রসঙ্গ : দাতাদের মর্যাদা
---------------------------------
ভিক্ষার পাত্র মেলে ধরলে সেখানে দাতারা দান করতেই পারে, এজন্যে কোনো দাতাকে দোষী ভেবে ক্ষেপে ওঠা সভ্যদের জন্যে শোভনীয় নয়।
আত্মমর্যাদাবোধ জেগে উঠলে পরে অপদস্থতার স্মৃতিচারণে যেকোনো ধরণের ভিখারি তার দাতার উপর ক্ষেপে উঠতেই পারে। ভিখারিদের ক্রোধান্ধ হওয়ার বৈধ অধিকারও আছে।
কিন্তু, -যারা সভ্যসাধারণ, দায়িত্বশীল, বিনিময়ের জীবিকায় চলে, -কর্মস্থলে শ্রম এবং মেধাকে খাটানোর মাধ্যমে উপার্জন করে, -সম্মানিত বিনিময়জীবীরা তো কোনো ভিখারির মতো করুণাজীবী নয়। এমনকী, নোংরা দেহকর্মী এবং জঘন্য চুরিকর্মীরাও আচরণে বিশাল ধনাঢ্য ভিখারির চেয়েও আত্মমর্যাদাবান।
নিশ্চয়ই ভিখারিরা জঘন্যতম নিকৃষ্ট মানবসন্তান, ক্রয়যোগ্য ক্রীতদাস সমতুল্য।
ভিখারিদের অনুকরণে কোনো দাতার প্রতি অন্ধভাবে ক্রোধে ক্ষেপে ওঠা কিম্বা ভিখারিদের পক্ষ নিয়ে দাতাদের মর্যাদায় আঘাত হানা কখনোই সভ্যসাধারণের উচিত নয়, বরং নিজেদের দানশীলতাকে জাগিয়ে দাতা হওয়ার চেষ্টা চালানোটাই সভ্যদের জন্যে মানানসই।
গণকরণিক : আখতার২৩৯ রঙ্গপুর : ০৬/১২/২০১৩খ্রি:
০৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:০৩
করণিক আখতার বলেছেন: --‘আত্মমর্যাদাবোধ জেগে উঠলে পরে অপদস্থতার স্মৃতিচারণে যেকোনো ধরণের ভিখারি তার দাতার উপর ক্ষেপে উঠতেই পারে।’ -- ভিখারির প্রজন্ম কখনো নিজ যোগ্যতায় ধনাঢ্য হ’লেও তার পিতৃ-পরিচয় মুছে ফেলতে পারবে না, এই বোধটুকু জেগে উঠলেই দাতার উপর ভিখারি ক্ষেপে উঠতে পারে।
ভিক্ষা পাবার আশায় নয়, বরং ক্যানো তাকে পরিশোধযোগ্য ঋণ না-দিয়ে ভিক্ষা দিয়েছিল ঐ ভিক্ষাদাতা,- এই অপদস্থতার স্মৃতিচারণে ঐ ভিখারির সপরিবারে ক্ষুব্ধ হ’য়ে ওঠাটা যেমন অন্যায় নয়, তেমনি ক্ষেপে ওঠার বিষয়টাও নিশ্চয়ই অস্বাভাবিক নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৮:১০
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: এ কথা প্রচলিত আছেই- যে ভিক্ষার চাল কাড়া আর আকাড়া।
কেবল ভিক্ষা নয়- যারা ঋণ দেয় তারা নিজস্ব দৃস্টিভঙ্গী থেকেই ঋণ দেয়।ন অতএব ঋণ না পাওয়া বা ভিক্ষা না দেয়া সবটাই দাতার নিজস্ব ব্যাপার। প্রাপকেরা আশাহত হতে পারে- কিন্তু ক্ষুব্ধ হওয়ার বিষয় নয়।