নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করণিকা-২৩৯

করণিক: আখতার২৩৯

করণিক আখতার

পরমতসহিষ্ণুতা শান্তিধর্মীদের শনাক্তিচিহ্ন।

করণিক আখতার › বিস্তারিত পোস্টঃ

উদ্ধত থেকে অবনত

১০ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২৩

উদ্ধত থেকে অবনত

*****

(অন্যদের ওপরে নির্দেশদাতা হওয়ার সহজাত আবেগের প্রবণতাটিকে স্বেচ্ছায় দমিয়ে প্রত্যেকে অন্যদের নির্দেশ পালন করতে ইচ্ছুক হ’তে পারলে, বিবেকবানেরা নীরব থাকতে পারতেন এবং কোনো জনসমষ্টিতে ধর্মের শাসন কিম্বা কোনো ধরণের বিধান প্রচার বা প্রবর্তনের সমকালীন ধকল সহ্য করার অনিবার্যতাও থাকতো না কোনো পরিণামদর্শীর বরাদ্দে।)



মানবসন্তানেরা সাধারণত স্বভাবজাতভাবে নিজেকে শ্রেষ্ঠতম ভাবার উদ্ধত প্রবণতা ধারণ করে। ঐ প্রবণতাটি কোনো ব্যক্তিকে অন্য কারো চেয়ে ছোট ভাবতে বাধা দেয়। ‘আমার নির্দেশ অন্যেরা মেনে চলবে’ এবং ‘আমি অন্যের নির্দেশ মেনে চলবো’,- এই দুটোর মধ্য থেকে যেকোনো একটিকে নিজের ইচ্ছেমতো বেছে নিতে দেওয়া হ’লে নির্দেশদাতা বা নির্দেশক হওয়াটাকেই স্বাভাবিকভাবেই বেশিরভাগ মানুষ পছন্দ করবে। কোনো মানবসন্তান, নত বা নিচু অবস্থানে নিজেকে আজ্ঞাবাহী তথা নির্দেশ মান্যকারী দাস বা কর্মী রূপে দেখার চেয়ে বরং প্রত্যেকেই নিজেকে মালিক নির্দেশক বা কর্তা রূপে ভাবতেই বেশি পছন্দ করে তার ঐ শ্রেষ্ঠতার প্রবণতাটির প্রভাবে।

এ জগতে যোগ্য-অযোগ্য নির্বিশেষে সকলেই স্বেচ্ছাচারী নির্দেশদাতা সাজলে পরে, যদি নির্দেশ পালনকারী কর্মী কেউ না-থাকে, নিত্য পরনির্ভরশীল মানবসমাজের অগ্রগতি থেমে যেতে বাধ্য। সঙ্গত কারণেই সমাজের অস্তিত্বের স্বার্থেই এখানে নির্দেশ পালনকারী অবনত কর্মী বা চাকর হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করাটা মানবসমাজের প্রত্যেক সদস্য বা সভ্যের কর্তব্য।

ফারসি ‘নামাজ’ শব্দটির মতো দাসত্ব, চাকুরি, ইবাদত, আরাধনা, প্রত্যাশা, ছালাত, উপাসনা এবংবিধ শব্দগুলো অবনতদের যেকোনো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কাজ বা চেষ্টার সমার্থক।



ধর্মগ্রন্থগুলোতে আমরা পাই, ‘উপাসনাকে দাঁড়া করানো’ (আকিমুছ্ ছালাত) যা’ কেবল কোনো দিকে মুখ ফিরিয়ে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিক উঠবস গ্রন্থপাঠ আর কিছু মন্ত্র উচ্চারণ-এর মধ্যে সীমিত নয়, বরং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ প্রার্থনার বাস্তবায়ন, যেগুলোকে কাজে প্রতিফলন ঘটিয়ে দেখানোর চেষ্টাটুকুই সকল বিশ্বাসধারী অবনতদের কর্তব্য।



--ভালো কাজ বা ভালো ‘নামাজ’-গুলো যায় সর্বময়ের দিকে,

খারাপ নামাজ বা কাজগুলো যায় সর্বক্ষয়ের দিকে।

নিয়্যতটাই নিয়তির বাহন, কিম্বা প্রতিজ্ঞাই পরিণতির বাহন, --




আরবীয় ‘রুকু’ এবং ‘সেজদা’ শব্দদ্বয় যথাক্রমে বাংলার ‘অর্ধাবনত’ এবং ‘পূর্ণাবনত ’ শব্দদ্বয়ের সমার্থক।

প্রার্থনাকে প্রতিষ্ঠিত করিয়ে দেখানোর নির্দেশ যেমন পাওয়া যায় ধর্মগ্রন্থে, বিশ্বাসীদের জন্যে তেমনি আছে নিজেকে উদ্ধত না-রেখে অবনত হওয়ার নির্দেশও। নির্দেশ অমান্যকারীদের জন্যে ভয়াবহ পরিণতি ভোগের পূর্বাভাস দেওয়া আছে যেন তারা সতর্ক হয়। আরও দেখা যায়, বিভিন্ন ভূখণ্ডের ঐশী বাণীবাহক তথা রাসুলদেরকেই বলা হচ্ছে, ‘তোমরা রুকুকারীদের সাথে রুকু করো এবং সেজদাকারীদের সাথে সেজদা করো।’

বাংলায় অনুবাদ এভাবেও হ’তে পারে- ‘তোমরা অর্ধ-অবনতদের সাথে অর্ধাবনত হও এবং পূর্ণাবনতদের সাথে পূর্ণ-অবনত হও।’



গণকরণিক : আখতার২৩৯ ##### ০৯/০৭/২০১৪খ্রি:

বিশ্বাসীদের দ্বিতীয় খুঁটি

বিধানের সংযম # !? সমকালে শয়তানের অবস্থান ...

কাজের বিচার

প্রসঙ্গ : ‘তাফসীর’-এর কোন্দল থামাতে ‘তরজমা’র ভূমিকা

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.