নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করণিকা-২৩৯

করণিক: আখতার২৩৯

করণিক আখতার

পরমতসহিষ্ণুতা শান্তিধর্মীদের শনাক্তিচিহ্ন।

করণিক আখতার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইজ্রাইলের নৃশংসতা ঠেকাতে.. # জুলাই, ২০১৪

১৫ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:২৩

ইজ্রাইলের নৃশংসতা ঠেকাতে.. # জুলাই, ২০১৪

*****

আশীর্বাদপুষ্ট ইয়াকূবের প্রজন্ম মুসার কালের বারো গোত্রে বিভক্ত ইয়াহুদিরা ধনে-জ্ঞানে-চেহারার সৌন্দর্যে অন্যান্য মনুষ্য প্রজাতির চেয়ে শ্রেষ্ঠতর এবং তারাই আবার অভিশপ্ত যখন তারা নিজেদের প্রতি অত্যাচারী। মানবসমাজে তারা শ্রেষ্ঠতম নিদর্শন। সকল বিশালাকৃতির বাণিজ্যজীবীরাই ইয়াহুদিদের অনুসারী যারা বিশ্বের সবখানে ছড়ানো। ভারতীয় ভাষায়, গণপতি গণেষীয়রাই ইয়াকূব বা য্যাকবের অনুসারী, কোনো নির্দিষ্ট একটি এলাকায় বসতিতে যারা আগ্রহী নয় বরং বহুজাতিক বাণিজ্যজীবী যাযাবরীয় জীবন যাপনেই তারা সন্তুষ্ট।



যেখানে ইয়াহুদিরা বসতি স্থাপন করতে যাবে, সেখানে পূর্বে অবস্থানকারী কোনো মানবসন্তানকে জীবিত রাখা ওদের ঐশীজ্ঞানে বিধানবৈধ নয়। (‘সম্পূর্ণভাবে নির্বংশ না-হওয়াতে ফারাওয়ের (ফেরাউন) পরিবারেই মুসা সুরক্ষা পেয়ে ফারাওদের সর্বনাশ ঘটিয়েছিল আর সেখান থেকেই এই ইজরাইল সন্তানেরা (বনি-ইজ্রাইল উপাধিধারীরা) বেরিয়ে আসতে পেরেছিল’- এটা নিশ্চয় ইয়াহুদিদের জন্যে ভুলে যাবার মতো ইতিহাস নয়। ফারাওদের অনুসরণ করাটা ওদের ঐশীজ্ঞানে অবৈধ এবং ফেরাউন পরিবারের মতোই আত্মঘাতী হওয়ার সমতুল্য।)



ইয়াহুদিরা যখন ফিলিস্তিনিদেরকে উদ্বাস্তু বানিয়ে নিজেদের বসতি গড়তে যায়, তখন তারা সেখানে তাদের ধর্মজ্ঞানের বাইরে তো যেতে পারে না। এমনকী নিষ্পাপ কোলের নিরস্ত্র শিশুটিকেও দয়া দেখিয়ে জীবিত ছেড়ে দেওয়াটাও বনি-ইজ্রাইল উপাধিধারীদের জন্যে ধর্মীয়ভাবেই বৈধ নয়, বরং তারা নিজেদের তৌরাত এবং নবি মুসার মাধ্যমে পাওয়া ঐশী নির্দেশেই নিজেদের স্বার্থে দখলকৃত এলাকার সকল বাসিন্দাকে হত্যা করতে বাধ্য।



প্রতি চল্লিশ বছর পর বনি-ইজ্রাইল উপাধিধারীদের নৃশংসতা দেখতে না-চাইলে জাতিসংঘের কর্তব্য হবে, -কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ইত্যাদি যেগুলো দেশে অভিবাসীদেরকে স্থান দেওয়ার মতো যথেষ্ট চাষাবাদযোগ্য বিরানভূমি আছে, -ফিলিস্তিনিদেরকে নিরাপদে সরিয়ে সেখানে নিয়ে যাওয়া এবং তাদের জন্যে সুস্থ আবাসনের বন্দোবস্ত করা, যেন তারা নৃশংসতার শিকারে পরিণত হওয়া থেকে মুক্তি পেয়ে সসম্মানে শিক্ষায় দীক্ষায় ধর্মে কর্মে আচরণে শান্তিধর্মী সচেতন মানুষ রূপে পরিচিত হবার সুযোগ পায় মুক্ত বিশ্বসমাজে।



‘কোনো দেশের কোনো সম্প্রদায় ইয়াহুদি মালিকানাধীন কারখানার কোনো যুদ্ধাস্ত্র কিনবো না’ -এমন কোনো সমন্বিত সিদ্ধান্ত যদি আত্মকলহকামী যুদ্ধবাজরা নিতে পারতো, তাহলেও ইজরাইল-সন্তান বা বনি-ইজ্রাইলদেরকে অর্থিকভাবে সংকটে ফেলা হয়তোবা সম্ভব ছিল।



পণ্য ব্যবহারকারীরা তো কেবল ক্রেতাই নয়, পণ্যের গুণোমানের বিচারকও তারা। কেউ যদি ইয়াহুদি নৃশংসতা ঠেকাতে বহুজাতিক শিল্প-কারখানার মালিকদের বাজারজাত পণ্য বর্জন করার প্রস্তাব দিতে চায়, নিঃসন্দেহে প্রস্তাবটি মন্দ নয়, তবে প্রস্তাবকারীদেরও ভেবে দেখা উচিত, নৃশংসতা বন্ধের পবিত্র লক্ষ্যে ঐ প্রস্তাবটা তার পরিবারের এবং তার প্রতিবেশী নিকটজনদের মধ্যেই কতজন ক্রেতাকে তারা মানাতে পারবে। আবেগ-সর্বস্ব প্রস্তাবটি তখনি গ্রহণযোগ্য হবে, যখন বহুজাতিক শিল্প-কারখানা থেকে নিচু মানের পণ্য বাজারে ছাড়া হবে, অথবা, ক্রেতারা নিজেরাই যখন উন্নততর পণ্য উৎপাদনে তাদের চেয়ে বেশি যত্নবান এবং নিষ্ঠাবান হ’তে পারবে।





গণকরণিক : আখতার২৩৯ ##### ১৩/০৭/২০১৪খ্রি:

ইজ্রাইলের নৃশংসতা ঠেকাতে.. জুলাই, ২০১৪

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:০৭

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: ইহুদীরা শিক্ষিত ও পরিশ্রমী।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:২০

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: ইহুদীদের শত্রু মনে না করে তাদের অনুসরন করার চেষ্টা করা উচিত...(অতিরিক্ত ধর্মানুভুতিই আমাদের শত্রু) ....তানাহলে পৃথিবীর জনসংখ্যার ১% চেয়েও কম হয়ে তারাতো পুরা পৃথিবীই শাসন করছে............টেকনোলজী-আবিষ্কার-অষুধপত্র-বড় বড় ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানী......কি নেই তাদের........ওরা বসে বসে ঠিক করে দেয় মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে কে ক্ষমতায় থাকবে........আমেরিকাতে কে মনোনয়ন পাবে না পাবে........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.