![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্রাহ্মণ প্রসঙ্গে
-------------------------------
তফসিলীদের মধ্য থেকে কেউ জ্ঞানার্জন ক’রে জ্ঞানী হ’য়ে উঠুক কিম্বা ব্রাহ্মণ হিসেবে পরিচিতি লাভ করুক, জ্ঞাতিহিংসাপরায়ণ তফসিলী (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) পরিচয়ধারীরাই তা’ চায় না জন্যেই হ’তে দেয় না। তাদের নিজেদের ভিতর থেকেই কেউ সৃষ্টিশীল জগতের তাত্ত্বিক জ্ঞানে বিজ্ঞানে সমতালে বাস্তব প্রয়োগে জ্ঞানী হ’য়ে উঠলেও তাকে তফসিলীরা ব্রাহ্মণের মর্যাদা দিচ্ছে না।
নিজেদের জ্ঞাতিহিংসাকে ভালোবেসে প্রাধান্য দিয়ে লালন করার লক্ষ্যেই, তফসিলীরা ব্রাহ্মণ (ব্রহ্মজ্ঞানধারী)-এর আদলে ধার্মিকের বহিরাবরণে যে-ই অজ্ঞটিকে মর্যাদা দিয়ে ‘ব্রাহ্মণ’ সাজিয়ে জ্ঞানীর আসনটি পেতে দেয়, তার আচরণ চিন্তা-চেতনা কখনোই একজন সভ্য ভদ্র মানবসন্তানের মতো হ’তে পারে না।
পরিবার শর্তে ব্রাহ্মণ ঐ অজ্ঞগুলোর সাথে ধর্মগ্রন্থের কোনোই সম্পর্ক নেই। এরা ব্রাহ্মণ (ব্রহ্মজ্ঞানধারী) সেজে শুধু যে নিজেদের বানানো ব্রাহ্মণ্যবাদীতা চালায়, তাতেই শেষ নয়,- সুযোগপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণ পদবীধারীরা নিজ পরিবারের অজ্ঞ নির্বোধ, এমনকী, নোংরা চরিত্রের সন্তানটিকেও উত্তরাধিকার সূত্রে ব্রাহ্মণ সাজিয়ে ব্রহ্মজ্ঞানধারীর প্রাপ্য মর্যাদার আসনটি পাইয়ে দেবার জন্যে নিজেদের মনগড়া প্রথা বানিয়ে চালু রেখেছে।
ব্রাহ্মণ্যবাদীরা ধর্মগ্রন্থগুলোকে দখলে নিয়ে বগলদাবা ক’রে সাধারণের অস্পৃশ্যতার মধ্যে রাখতে বাধ্য হয়েছে নিজেদের উগ্র অস্তিত্বের স্বার্থেই।
ধর্মে, কোনো ধরণের কর্মজীবীকে, উচ্চ বা বড় রূপে মর্যাদাও যেমন দেওয়া হয়নি, তেমনি ছোট বা তুচ্ছ হিসেবে অসম্মানও করা হয়নি।
প্রচলিত মনগড়া প্রথাতেও ব্রাহ্মণ্যবাদীতার লালনকারী পরিবারগুলোতে এমনও অনেক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়, যারা নিজ চেষ্টায় জ্ঞানার্জন করেছে এবং ব্রাহ্মণ হ’তে পেরেছে। তারা যেকোনো নৃ-গোষ্ঠী (মানবগোষ্ঠী) থেকে গ’ড়ে ওঠা কোনো ব্রাহ্মণকে ব্রাহ্মণের মর্যাদা দিতে গিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে না, বরং নিজেদের ব্রহ্মত্বের দৃঢ়তাই তাতে বাড়ছে ভেবে তারা তৃপ্তি পায়। শাশ্বতিক বিবেচনার বিচারে দেখা যাচ্ছে, মানব সমাজে যোগ্যতায় এবং আচরণে এরাই সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত ব্রাহ্মণ।
গণকরণিক : আখতার২৩৯ ##### ১৫/০৯/২০১৪খ্রি:
©somewhere in net ltd.