![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রেণী নির্ভরতা
*****
ধনাঢ্যরা খুন করে না। কাউকে খুন করার সামর্থ্য সাধারণ গরীবদেরও নেই।
ধনহীনদের মধ্যে কিছু লোভী আছে, নিজেদের যোগ্যতাবলে ধন অর্জনের চেয়ে ধনাঢ্যদের পা-চাটা ক্রীতদাস হওয়াকে যারা ধনাঢ্য হওয়ার সহজ পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করে এবং আধিপত্য লাভের লোভে ধনাঢ্যদের আশ্রিত হয়। নিজেদের স্বার্থেই তারা ধনাঢ্যদের পাহারাদার রূপে থাকে এবং নিজেদের সমমনাদের মধ্যে খুনোখুনিতে লিপ্ত হয়। এমনকী, তাদের ধনাঢ্য পালকপিতাদের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা লোভের বশীভুত থেকেই গোপনে নিজেদের মধ্যে হানাহানি চালিয়ে যায়।
অন্যের অর্জিত সম্পদের দিকে তাকিয়ে আনন্দিত হবার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি, এমন কেউ যদি অন্যদের দিকে তাকায়, সেতো হতাশায় আক্রান্ত হবেই, যদি না সে বুঝতে পারে যে, তার যা’ আছে অন্যের তা’ নেই।
একের দোষ অন্যদের উপর চাপানোর চেষ্টার মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই।
লোভীদের ধর্ম বা প্রকৃতিকে কোথাও মানুষের ধর্ম হিসেবে সমর্থন করা হয়নি। এমন কোনো সামাজিক বা সাম্প্রদায়িক ধর্ম জগতে প্রতিষ্ঠিত নয়, যেখানে লোভীদের লালসাময় কর্মকাণ্ডকে শান্তিকামী সামাজিক মানুষের ধর্মাচার হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
এক অর্থে প্রায় প্রত্যেকেই এখানে গরীব। কেবল আত্মসম্মানিতরাই ধনবান এখানে, যারা নিজেদের ধারণ ক্ষমতার বেশি কিছু বহনের লোভে নিজেদেরকে ক্রীতদাস বানানোর চেষ্টাকে আত্মঘাতি চেষ্টা হিসেবে গণ্য করে।
ধর্মগ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত এবং সামাজিকভাবে মান্যতার দাবি নিয়ে আগত নির্দেশগুলো সামাজিকদেরকে মনস্তাত্ত্বিক ক্রীতদাসত্ব থেকে মুক্তির দিক-নির্দেশনা দেয় জন্যেই ধর্মব্যবসায়ীরা ধর্মগ্রন্থগুলোকে নিজেদের দখলে নেয় এবং নিজেদের মনগড়া ব্যাখ্যাকে ধর্ম হিসেবে চালায়। কেউ নিজের ভাষায় নিজের সম্প্রদায়ের ধর্মগ্রন্থ পড়ছে দেখলেই যেকোনো ধরণের ধর্মব্যবসায়ীকে আৎকে উঠতে দেখা যায়।
যারা নিজেদের যোগ্যতাবলে ধনার্জন করেছে, তাদেরকেই ধনী হিসেবে গণ্য করা হ’লে,- যারা অন্যের অর্জিত ধন কেড়ে নিয়ে ধনী সাজে তাদেরকে দখলদার বলতেই হয়। দখলদাররাই নিজেদের মধ্যে কামড়া-কামড়ি করতে পারে, তবে,- ধনীরা কখনোই গরীবের হাতে খুন হওয়ার স্তরে পৌঁছানোর ক্ষমতাপ্রাপ্ত নয়।
করণিক: আখতার২৩৯ ##### ০৭/১১/২০১৪খ্রি:
###############################################################
সুযোগ
------------------------------
সুযোগ সকলের জন্যেই উন্মুক্ত।
প্রত্যেকেই নিজে নিতে পারে, কোনো ব্যক্তি অন্যকে সুযোগ দিতে পারে না।
কোনো ব্যক্তি বা বস্তু নিজে কোনো সুযোগ শূন্য থেকে সৃষ্টি করে নিতে পারে না।
সুযোগ ছিলই, সুযোগ আছে এবং সুযোগ থাকবে, --কেবল পাওয়া আর নেওয়ার অপেক্ষায়।
সুযোগ কখনোই ফুরায় না কিম্বা কমে না, সুযোগ অফুরান।
যে যত সুযোগ নেয়, তার বরাদ্দে সুযোগ ততই বেড়ে যায়।
ভিন্ন ভিন্ন ধরনের সুযোগের সমষ্টি থেকে নিজের মানানসই কিম্বা বেমানান সুযোগ প্রত্যেকে যেমন পাওয়ামাত্র নিতে পারে, তেমনি প্রত্যেকের জন্যে যেকোনো সুযোগ গ্রহণ করা থেকে দূরে সরে গিয়ে সুযোগ-বর্জনকারী হওয়ার সুযোগও সর্বকালেই ছিল, আছে এবং থাকবে।
অন্যদের ধাঁচের কিম্বা অন্যের প্রাপ্য সুযোগ ছিনিয়ে নিয়ে অথবা নিজের কোনো ভালোতে কাজে লাগে না এমন কোনো সুযোগের দিকে হাত বাড়িয়ে, অসভ্যের মতো নিজেকে অপদস্থ করার সুযোগও যেমন আছে, তেমনি, সভ্যদেরও আছে সভ্যদের জন্য মানানসই, আত্মমর্যাদা আর আত্মসম্মান ধ’রে রাখার সুযোগ, অন্যকে তার প্রাপ্য সুযোগ পাওয়ানোতে সহযোগিতার মাধ্যমে।
কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কোনো সুযোগ শূন্য থেকে নিজেরা সৃষ্টি করতে পারে না।
সুযোগ ছিলই, সুযোগ আছে এবং সুযোগ থাকবে, --কেবল পাওয়া আর নেওয়ার অপেক্ষায়।
অন্যের প্রাপ্য সুযোগের দিকে ঝুঁকে বুঝলে, নিজের সুযোগগুলোকে চিনে নেওয়া যায়।
গণকরণিক : আখতার২৩৯
সুযোগ
শ্রেণী নির্ভরতা
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৪৮
খাটাস বলেছেন: ভাল কিছু কথা আছে যা সহজ করে লিখলে মূল বক্তব্য পালটাত না,
আপনার বোধের মূল্যায়নও কমত না।
তবে মাঝ খান দিয়ে সহজেই বোঝা যেত।