![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেটাও মানবসমাজের জন্যে মন্দ নয়
*****
মানবসন্তানদের আচরণে পাশবিক হিংস্রতার প্রতিফলন ঘটুক- এমনটা নিশ্চয়ই কোনো ভদ্রজনের কাম্য হ’তে পারে না। মানবসন্তানদের কাছ থেকে যেকোনোভাবে মানবিক আচরণের প্রতিফলনটাই সকল বিবেচকদের কাম্য। হ’তে পারে ঐ প্রতিফলন স্বশিক্ষিত ব্যক্তিবিশেষের সহজাত ঐশ্বরীয় স্বভাব থেকে, কিম্বা হ’তে পারে ধর্মীয় শিক্ষায় দেখানো নরকাগ্নির ভয় থেকে। স্বর্গলাভের বিশ্বাসে বা বেহেস্ত অর্জনের লোভেও যদি উদ্ধত আচরণের স্বেচ্ছাচারী মানবসন্তানগুলো অবনত হ’য়ে মানবিক আচরণের চর্চায় আত্মনিবেদন করে, সেটাও মানবসমাজের জন্যে মন্দ নয়।
শান্তিপূর্ণভাবে সকলের সামাজিক সহ-অবস্থানটা সম্ভব হয়েছিল জন্যে বিশৃঙ্খলতাকে শেকলে বেঁধে জগৎটাকে জ্ঞানে বিজ্ঞানে আজকের অবস্থায় টেনে আনা সম্ভব হয়েছিল।
সামাজিক শান্তির বিরুদ্ধাচারীরা মানবসমাজে অতীতেও ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে। সমাজের শান্তি নষ্ট করাটাই এদের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য। বিশৃঙ্খলতা, ফ্যাসাদ বা অশান্তির চর্চা চালানোটাই এদের ধর্ম বা স্বভাবের বৈশিষ্ট্য।
প্রতিহিংসাপরায়ণ স্বঘোষিত মানবতাবাদি যারা নিজেদেরকে ধর্মদ্রোহী হিসেবে প্রকাশ করতে গর্ববোধ করে, এরা যেমন আছে এবং থাকবে, তেমনি আছে এবং থাকবে ধর্মব্যবসায়ীরা। প্রতিপক্ষ এই দুটো দলের কেহই সাধারণ শান্তিকামী ধার্মিকদেরকে সহ্য করতে পারে না। সমঝোতাবিরোধী ছিদ্রান্বেষী ভণ্ডুলকারী অতিচালাক তর্কপটু এই কলহকামী কোন্দলজীবীরা নিজেদের মধ্যে এবং অন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধিয়ে রাখার জন্যেই নিত্য নতুন বাহানা টেনে আনে, সম্ভবত নিজেদের অস্তিত্বের প্রদর্শনের স্বার্থে।
পাশবিক প্রবণতার মানবসন্তানগুলোকে জ্ঞান এবং শিক্ষা দিয়ে যারা সভ্য রূপে গ’ড়েও তুলছে না, আবার কেউ যদি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ঐশ্বরিক ধর্মগ্রন্থগুলোর নির্দেশ মেনে মেনে কোনো অদৃশ্যমানের ভয়ে নিজের পাশবিক আচরণ থেকে নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা চালিয়ে মানবতাবোধের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে, তা’ দেখলে- সেটাও সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না,- এমন কিছু কিছু সজ্জন স্বশিক্ষিত মানবতাবাদি চরিত্র যেমন আগেও সমাজে ছিল, কোনো ধর্মাচারে বিশ্বাসী না-হ’য়েও আত্মসাধুতায় গর্বিত ব্যক্তিত্ব, তাদের মতোই নীতিবান ভদ্রলোক আগামীতেও মানবসমাজেই পাওয়া যাবে এবং হয়তোবা দেখা যাবে, ওরা ওদের ধারণার প্রকাশে এখনকার মতোই তখনো বলতে থাকবে- ‘ন্যায়নিষ্ঠা-কর্তব্যপরায়ণতা-সাধুতা-মানবিকতায় সমৃদ্ধ মনুষ্য বিবেকগুলোকে যুগে যুগে ধর্ম এসে এসে পাশবিকতার দিকেই ঠেলে দিয়েছে,’- আর, ওরা কাছ থেকে সাধারণ ধার্মিকদেরকে না-দেখিয়ে, দূর থেকে দেখিয়ে দেবে ধর্মাবেগ-বিশ্বাস-মতাদর্শ ব্যবসায়ীদের অস্ত্রধারী ক্রীতদাসগুলোকে। অভিন্ন নাটকীয়ভাবে। সেটাও তো মানবসমাজের জন্যে মন্দ নয়।
দর্শক : আখতার২৩৯ ##### ২৫/১১/২০১৪খ্রি:
©somewhere in net ltd.