![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রস্তাবনায় নতুন দুটো অনুষদ :
‘ঠিকাদারিতে নেগো ও লটারি’ এবং ‘রাজনীতি’
--------------------------------------------------------------------------
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত কোনো দাবি বা অভাব-অভিযোগ মিটিয়ে দেওয়াটা তাদের-ই প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলারক্ষী বিভাগের কর্তব্য। শিক্ষার্থীরা সংখ্যায় কম,- এমন সব প্রতিষ্ঠানে সবাইকে একসঙ্গে ডেকে নিয়ে সহজেই সমাধানে পৌঁছোনো যায়। তবে, শিক্ষার্থীরা সংখ্যায় যেখানে খুব বেশি এবং কোনো প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা নষ্টের আশঙ্কার জন্যে ঐ সংখ্যাটি যেখানে যথেষ্ট, সেখানে সকল শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে শিক্ষার্থীদের-ই মনোনীত একটা ক্ষুদ্র দল, যারা সকল শিক্ষার্থীর পক্ষ হ’য়ে কথা বলবে এবং কখনোই এর বাইরে যাবে না, -এমন কিছু একটাকে ‘ছাত্রসংসদ’ নামকরণে রাখা হ’লে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়।
অভিভাবকেরা প্রত্যেক সন্তানকে তার পছন্দমতো যেকোনো বিষয়ের উপর প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যেই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দেন। বাইরের কোনো দল বা সংগঠন কোনো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ছাত্রসংসদের ওপরে প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের দলের ক্রীতদাসে পরিণত করবে,- এমনটা নিশ্চয়ই কোনো সচেতন অভিভাবকের কাম্য নয়।
সময়ের সংগত দাবিতে, ‘ঠিকাদারিতে নেগো ও লটারি’ নামে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন একটা বিভাগ বা অনুষদ খোলা যেতে পারে, যেখানে শিক্ষার্থীদেরকে শেখানো হবে,- কীভাবে রাষ্ট্রের তহবিল থেকে বাহান্ন টাকা তুলে নিয়ে রাষ্ট্রের উন্নয়নের কাজে একুশ টাকার কম মূল্যের মাল সরবরাহ করা যায়। ঐ অনুষদে ‘লুটপাট’, ‘টেণ্ডারবাজি’, ‘দলের নামে চাঁদাবাজি’, ‘হাঙ্গামা’ ইত্যাদি বিষয়গুলোতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদেরকে তুখোড় বানানোর উদ্দেশ্যে পারদর্শী অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যেও প্রস্তাব রাখা যেতে পারে। এছাড়াও, প্রাসঙ্গিক প্রয়োজনে, যোগ্য নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় শূন্যতার আতঙ্কে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত দলগুলোর প্রত্যাশাকে সামনে রেখে ‘রাজনীতি’ নামকরণেও একটা অনুষদ খোলার প্রস্তাব রাখা যেতে পারে, যেখানে ‘ফলিত রাষ্ট্রনীতি’ থাকবে আবশ্যিক পাঠ্য হিসেবে।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা ওগুলোর কোনোটিতে তাত্ত্বিক এবং বস্তুজাগতিক জ্ঞান স্বেচ্ছায় নিতে চাইবে, অভিভাবকদের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত নতুন অনুষদ দুটো তাদের জন্যে। কোনো সংগঠন বা গোষ্ঠী কিম্বা কোনো অনুষদের শিক্ষার্থীরা যেন কোনোভাবেই নিজেদের দলীয় আধিপত্যের মিশ্রণ ঘটিয়ে সাধারণ ছাত্রসংসদের পবিত্রতা নষ্ট করতে না-পারে, অভিভাবকেরা সেটাই চান শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোর শৃঙ্খলার স্বার্থে।
ছাত্র রাজনীতি
©somewhere in net ltd.