নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করণিকা-২৩৯

করণিক: আখতার২৩৯

করণিক আখতার

পরমতসহিষ্ণুতা শান্তিধর্মীদের শনাক্তিচিহ্ন।

করণিক আখতার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্ত্রাসকে সমূলে উচ্ছেদে সদিচ্ছুকদের প্রতি ..

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২৯

সন্ত্রাসকে সমূলে উচ্ছেদে সদিচ্ছুকদের প্রতি ..
-------------------------------------------------------------------------
এখানে সন্ত্রাসকর্মীদের নৃশংস নাশকতা, যেমন, হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে থেকে বেরিয়ে এসে অনির্দিষ্টভাবে কোনো গাড়িতে, কোনো বাড়িতে কিম্বা জন-মানবের কোনো অসতর্ক সমাবেশে প্রাণঘাতী ঝটিকা আক্রমণ,- কখনোই দলীয় সংঘর্ষের সহিংসতা হিসেবে বিবেচিত হ’তে পারে না।

প্রতিপক্ষ দলকে পাল্টা-আক্রমণ বা প্রতিঘাতের ঘটনাটি না-থাকলে, সেটা দলীয় সংঘর্ষের দলাদলি কোন্দল বা আন্দোলন হিসেবে গণ্য হ’তে পারে না।

সন্ত্রাসজীবীদেরকে দলজীবীরূপে দেখানোর চেষ্টা করাটা, নিঃসন্দেহে যা’ ঘৃণ্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নোংরা কূটকৌশল, -আত্মপ্রতারিতদের জন্যেই শোভনীয়।

দলীয় সংঘর্ষে প্রতিপক্ষ দলগুলোর মধ্যে যেমন পাল্টা-আক্রমণের দৃশ্যটি থাকে, তেমনিভাবে, সন্ত্রাসকর্মীরাও কোথাও যদি পাল্টা-আক্রমণের শিকারে পরিণত হ’তো, অর্থাৎ, জনসাধারণ কখনো যদি পাল্টা-আক্রমণে স্বেচ্ছাচারী সন্ত্রাসকর্মীগুলোকে ধ’রে ধ’রে আগুনে পুড়ে মারতো, তখন বলা যেত যে, সন্ত্রাসকর্মীরা জনসাধারণের সাথে সহিংস প্রাণঘাতী সংঘর্ষে মেতেছে।

দলীয়দের মধ্যে দলাদলি, কোন্দল বা দলো-আন্দোলনে সহিংস প্রাণঘাতী সংঘর্ষ হ’লে পরে সেখানে এমন ঘটনাই ঘটবে যে, কখনোই জনসাধারণ নয়, বরং যেকোনো সহিংস সংঘর্ষে আক্রোশের আগুনে প্রকাশ্যে জ্বলবে, পুড়বে, আঘাতে পঙ্গু হবে, মরবে কিম্বা বিজয়ীর পদক গলায় ঝুলিয়ে বেঁচে থাকবে বিবাদমান দলোগণ।

দলজীবী দলোগণের ঘরোয়া সমাবেশের আস্তানাগুলো জনগণের দৃষ্টির আড়ালে নয়। আত্মরক্ষার স্বার্থেই দলজীবীরা কখনোই জনসাধারণের ওপর প্রাণঘাতী আঘাত হেনে আত্মঘাতী হবার ঝুঁকি নিতে পারে না।

গণ-আন্দোলনের গণরোষের বিশালত্বের বিপক্ষে গুটিকতক সন্ত্রাসকর্মী তাদের নাশকতার সমস্ত আয়োজন সাথে নিয়েও এতোই তুচ্ছ যে, তারা কখনোই সহিংস সংঘর্ষে জনসাধারণের প্রতিপক্ষ হিসেবে গণ্য হ’তে পারে না। সুস্থ শৃঙ্খলিত সামাজিক পরিবেশে গণরোষের গণপিটুনির ভয়ে আতঙ্কিত সন্ত্রাসকর্মীগুলো, নির্লোভ নিরীহ প্রভূভক্ত কিছু প্রাণীর মতোই আশ্রয় পেয়ে পেয়ে সভ্য ভদ্রদের সঙ্গেই বেঁচে থাকে সমাজে।

এটা নিশ্চিত যে, দলোগণের মধ্যে সহিংস প্রাণঘাতী সংঘর্ষে একটি, দু’টো কিম্বা সবগুলো দলও যদি ধ্বংস হ’য়ে যায়, কিম্বা কখনো ভিন্ন-মতাবলম্বী দলোগণ সকলেই সমঝোতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সহ-অবস্থান করার মতো সভ্য হয়েছে দেখা গেলেও,- তাতে সন্ত্রাসজীবীদের কোনো লাভ বা ক্ষতি নেই। দলজীবীদের কোনোকিছুর সাথেই নিত্য-নতুন ধরণের সন্ত্রাসকর্মীদের নানাবিধ নাশকতার ঘনত্বে বেড়ে ওঠার বা তীব্রতায় হ্রাস পাওয়ার কোনোই সম্পর্ক নেই।

যেমন ঘরে তেমনি বাইরেও, আপনারা দেখে দেখে এসেছেন বুঝে নিয়ে আমরাও দৃঢ়বিশ্বাসে যেকোনো মুক্তাঙ্গনে প্রকাশ্যে বলতে পারি,- মানবসমাজে সভ্যদের মধ্যে পক্ষপাতদুষ্টতা বৃদ্ধির সম-হারে মানবজাতিতে সন্ত্রাসকর্মীরা সংখ্যায় বাড়ে।

রাষ্ট্রের বেতনজীবী শৃঙ্খলা এবং শান্তিরক্ষী কর্মী-বাহিনীকে যতই শক্তিশালী করা হোক্,- যতক্ষণ তারা সন্ত্রাসের সাথে জড়িতদেরকে দলীয় কর্মীদের মর্যাদা দিয়ে দিয়ে যাবে, ততক্ষণ সন্ত্রাসীদের বেশির ভাগটাই রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবার সুযোগ পাবে, এমনকী যন্ত্রণা-দগ্ধ অত্যাচারিত তাদের অপদস্থ বিরক্ত অভিভাবকেরা তাদেরকে ধরিয়ে দিতে চাইলেও।

গণকরণিক : আখতার২৩৯ ##### ২৯/০১/২০১৫খ্রি:

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪২

তাহের অন্তরা বলেছেন: ভালো লাগলো।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০

ডেড আকাশ বলেছেন: ভালো লাগলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.