![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধার্মিকগণের সমাজবদ্ধতা
--------------------------------------
*****
সম্প্রদায়ের ভিন্নতায় একজন ধার্মিক কখনো ভিন্ন কোনো ধর্মাচারের ধার্মিকের ওপর আঘাত হানতে তো পারেই না, বরং সমঝোতার মাধ্যমে ধার্মিকগণ শান্তিপূর্ণভাবে পারস্পরিক সহযোগিতায় পাশাপাশি এবং সমাজবদ্ধ থেকে যেতে বাধ্য।
যেমনটা আমরা প’ড়ে দেখেছি- >>
সূরা বাকারা # ২/২৮৫ : তার প্রতিপালকের কাছ থেকে যা’ নেমে এসেছে রাসুল তার উপর বিশ্বাস করে এবং বিশ্বাসীরাও। তারা সকলেই বিশ্বাস করে আল্লাহ্-তে, তার ফেরেস্তাগণে, তাঁর কিতাবগুলোয় এবং তার রাসুলদের উপর,- ‘আমরা তাঁর রাসুলদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না,’- এবং তারা বলে,‘আমরা শুনি এবং মানি। হে আমাদের প্রতিপালক, আমরা তোমার নিকট ক্ষমা চাই, আর তোমার কাছেই আমরা ফিরে যাবো।’
সূরা বাকারা # ২/১৪৮ : আর প্রত্যেকের একটা দিক আছে, যার দিকে সে মুখ করে দাঁড়ায়। অতএব তোমরা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা করো। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন, আল্লাহ্ তোমাদের সকলকে একত্র করবেন। আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বক্ষমতাবান।
>>>>>
সূরা বাকারা # ২/২১৭ : সংবিধিবদ্ধ মাসে যুদ্ধ করা সম্পর্কে লোকে তোমাকে জিজ্ঞাসা করলে- বলো, তখন যুদ্ধ করাটা ভীষণ পাপ, সমধিক বড় অপরাধ আল্লাহ্-র রাস্তায় বাধা দেওয়া এবং তাঁকে অবিশ্বাস করা আর মাসজিদিল হারামে বাধা দেওয়া এবং সেখানকার বাসিন্দাদেরকে হটানো; আল্লাহ্-র কাছে, বিশৃঙ্খলতা- তার চেয়েও বড় পাপ, হত্যাকর্মের চেয়েও জঘন্য। তারা তো অবিরাম তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে-পর্যন্ত না তোমাদের ধর্ম থেকে তোমাদেরকে ওরা ফেরাতে পারে। তোমাদের মধ্যে যারা নিজ ধর্ম থেকে ফিরে যাবে এবং অবিশ্বাসী অবস্থায় মারা যাবে তাদের বর্তমান এবং আগামীর সঞ্চয় নষ্ট হয়ে যাবে এবং তারা আগুনে ঢুকে সেখানেই থাকবে।
সূরা আলে-ইমরান # ৩/৬৪ : বলো,‘হে গ্রন্থধারীরা, এসো সাধারণ শর্তাবলীতে যেগুলো আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে অভিন্ন; আমরা সার্বিক আল্লাহ্ ছাড়া কোনো উপাস্যের দাসত্ব করি না, তাঁর কোনো অংশীদার আনি না; আর আমাদের মধ্যে কেউ স্বয়ম্ভূ ছাড়া কাউকে প্রতিপালকরূপে গ্রহণ করে না।’ যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলো,‘তোমরা সাক্ষী থেকো শান্তিকামী আমরা।
*****
সূরা বাকারা # ২/৬২ : যারা বিশ্বাস করে এবং যারা ইহুদি এবং যারা নাছারা এবং যারা অগ্নিউপাসক, যারা আল্লাহ্ এবং শেষদিবসে বিশ্বাস করে এবং সৎকর্ম করে, তাদের জন্য নিজস্ব প্রতিপালকের কাছে পুরষ্কার আছে; তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। ...>> >..৫/৬৭-৭১..
সূরা হাজ্জ্ # ২২/১৭ : নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস রাখে এবং ইহুদি এবং ছাবেয়ি এবং খৃস্টান এবং অগ্নিপূজক এবং যারা অংশীবাদিদের অনুসারী উত্থানের দিনে আল্লাহ্ তাদের মধ্যে ফয়সালা ক’রে দেবেন; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সমস্ত কিছুর সম্যক দ্রষ্টা।
সূরা বাকারা # ২/১১৫ : পূর্ব এবং পশ্চিম সব দিকই আল্লাহ্র; আর তুমি যে-দিকেই মুখ ফেরাও সে-দিকই স্বয়ম্ভূ আল্লাহ্-র দিক; স্বয়ম্ভূতো সর্বব্যাপী উন্মুক্তজ্ঞান।
*****
সূরা বাকারা # ২/১৪৫-১৪৭ : যাদেরকে গ্রন্থ দেওয়া হয়েছে, তুমি যদি তাদের কাছে সব প্রমাণ পেশ করো, তবুও তারা তোমার কিবলার অনুসরণ করবে না, আর তুমিও তাদের কিবলার অনুসরণ করবে না। তারাও কেউ অন্যের কিবলা অনুসরণ করে না। তোমার কাছে জ্ঞান আসার পর তুমি যদি তাদের খেয়ালখুশির অনুসরণ করো, তবে তুমি তো সীমালঙ্ঘন করবে। আমি যাদেরকে গ্রন্থ দিয়েছি তারা তাকে তেমনি চেনে যেমন তারা চেনে নিজেদের সন্তানদেরকে; তবুও তাদের একদল সত্য গোপন করে, আর তা করে জেনেবুঝে। সত্য আসে তোমার প্রতিপালকের কাছ থেকে। সুতরাং যারা সন্দেহ করে তাদের দলভুক্ত হয়ো না।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
---------------------------------------------------------------
পাঠক : আখতার২৩৯
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। যথেষ্ট রেফারেন্সযুক্ত।
সব ধর্মের মানুষের বিশ্বাস যতই আলাদা হোক, স্রষ্টা একজনই সবার। তাই সবার উচিত ভেদাভেদ ভুলে মানবতার জন্য কাজ করা।