নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনের অসুখ

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

আমাদের যখন কোন শরীরের রোগ ধরা পড়ে যেমন ডায়বেটিস, ব্লাড প্রেসার বা হ্রদরোগ, আমরা চিন্তিত হই, লজ্জিত হই না। চিকিৎসা শুরুর আগে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় পরিজন, প্রতিবেশি সবার কাছে অসুস্থতার খবর জানাই, দোয়া চাই। কিন্তু যখন মনে হয় নিজের বা কোন কাছের মানুষের মনের অসুখ হয়েছে তখন আমাদের প্রথম প্রতিক্রিয়া হয় অসুখের সম্ভাবনাকে অস্বীকার করা, তারপর চেষ্টা করতে থাকি যেন কেউ না টের পায় এই মনের অসুখের কথা। অথচ মনের লুকিয়ে রাখা অসুখ বাড়তে থাকে, যেমন কালবোশেখির ঝড়ের সময় যেমন ছোট্ট একখন্ড মেঘ ঈশান কোন থেকে পুরো আকাশে ছড়িয়ে যায়, তারপর সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দেয় তেমনি লুকিয়ে রাখা মনের রোগ ধীরে ধীরে বেড়ে গিয়ে জীবনকে লণ্ডভণ্ড দেয়, কখনো জীবনটাই শেষ হয়ে যায়। তাই মনের রোগ হলে আমাদের তা মেনে নিতে হবে, শরীরের রোগ হলে যেমন চিকিৎসা করাই তেমনি চিকিৎসা করাতে হবে।######মনের অসুখ এর মধ্যে সবচাইতে বেশি দেখা যায় ডিপ্রেশন - যাকে বাংলায় বলা হয় বিষন্নতা। অথচ বিষণ্ণতা না বলে একে মনের শুন্যতা বলাটাই যুক্তিযুক্ত। কারণ ডিপ্রেশন হলে মনে আনন্দ, ভাললাগা, প্রেরণা, অহংকার, ক্রোধ এধরনের অনুভূতি থাকে না বলেই যে বিষন্নতা এদের জায়গা দখল করে, তা ঠিক নয়। বরং ডিপ্রেশন হলে মন হয় অনুভূতি শুন্য, বিনা চিকিৎসায় শুন্যতার অনুভুতি বাড়তে থাকে। তখন তা থেকে বেরোনো খুব কষ্টকর হয়ে যায়। তাই বলা হয় যে একজন ডিপ্রেশন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন বুঝতে পারে যে সে ডিপ্রেশনে ভুগছে তখন সে রোগমুক্তির দিকে অনেকখানি এগিয়ে যায়। আবার যখন আমরা অন্য কাউকে ডিপ্রেসড হতে দেখি তখন মনে হয় সে ইচ্ছা করে ডিপ্রেশন পুষছে।######২৯ তারিখে সামুতে একজন তার কষ্ট এবং আত্মহত্যার প্রবনতা নিয়ে লিখেছিলেন। তার কথা ভেবে আমি ডিপ্রেশন নিয়ে দীর্ঘ ব্লগ লিখি, জীবনের প্রথম ব্লগ। আগে লগ ইন করেছিলাম, তাই লেখা শেষ করে বামপাশের টিকমারক দেয়া শেষ করে লেখা পোস্ট করতেই লেখা উধাও হয়ে গেল। আবার লগ ইন করে অটো ড্রাফট করে লেখা শেষ করে পোস্ট করতে গেলাম- বলল লগ ইন করা নেই। সামুর প্রথম পাতায় গিয়ে লগ ইন করে আর আমার লেখা খুঁজে পেলাম না। কিভাবে ব্লগ লিখব? সাহায্য করুন প্লিজ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

করুণাধারা বলেছেন: পোস্ট প্রকাশ কেন হয় না?

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

বিজন রয় বলেছেন: লিখতে থাকুন।

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

করুণাধারা বলেছেন:

প্রতিমন্তব্য করতে সবুজ তীরে ক্লিক করতে হয় এটাই জানতাম না। যখন শিখলাম ততদিনে পোস্ট অনেক পেছনে চলে গেছে তাই আর প্রতিমন্তব্য করি নি।

এতদিন পর ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার পোস্টে প্রথম মন্তব্য করার জন্য। জানিনা আপনার চোখে পরবে কিনা।

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই তো, লেখাটা তো এখানে প্রকাশ হয়েই গেল! এভাবেই লিখতে থাকুন!

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২২

করুণাধারা বলেছেন:

ধন্যবাদ। প্রথম দিকে লগ ইন থেকে পোস্ট করা সবকিছুতেই ঠেকে যাচ্ছিলাম। ঠেকতে ঠেকতে এখন কিছুটা শিখতে পেরেছি, সাহস যুগিয়েছে আপনাদের অনুপ্রেরণা। তাই এখন লিখে চলেছি।আবারো ধন্যবাদ, আমার প্রথম পোস্ট খুঁজে বের করে মন্তব্য করার জন্য।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি আপনার সবগুলো পোস্ট নীচ থেকে পড়ে যাবো। খেয়াল রাখবেন।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫০

করুণাধারা বলেছেন:
নিশ্চয় খেয়াল রাখব।
এগিয়ে যেতে যেতে থেমে গিয়ে পশ্চাদবর্তী কারো জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া- এটা আপনার থেকেই শিখলাম। আমিও আমার পেছনে যারা আছেন তাদের এভাবে সাহায্য করতে চেষ্টা করব।

আমার পোস্টগুলো এমন উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। তবু আপনি পড়বেন বলেছেন- আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.