নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাসপোর্ট - এর মেয়াদ শেষ। রিনিউ করতে কি করতে হবে জানতে গুগলে এম এর পি বাংলাদেশ লিখে সন্ধান লাগালাম। লাভ হল না। যা আছে কেবল বিদেশি দূতাবাসের জন্য তথ্য। জানতে পারলাম যে,অনলাইন এপ্লিকেশন মানে পাসপোর্ট - এর ফর্ম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে হাতে ফিলাপ করে লাইনে দাঁড়িয়ে এপ্লিকেশন জমা
দেওয়া। তার আগে ব্যাংক - এ লাইনে দাঁড়িয়ে ফিস জমা দিতে হবে। গেলাম সোনালি ব্যাংকে- অনেকগুলো লাইনে লোকেরা টাকা জমা দিচ্ছে । এরমধ্যে পাসপোর্ট - এর ফিসের লাইন কোনটা কেউ জানে না। ফিস জমার কাউন্টারে জমা নেবার লোক তখনো আসেন নি । গাদাগাদি ভীড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে অবশেষে জমা দিতে পারলাম। আগে মেয়াদ শেষে পুরানা পাসপোর্ট - এ পরবরতী মেয়াদ লিখে দিয়ে মেয়াদ।বাড়াত। এখন নতুন পাসপোর্ট দেবে তাই পাসপোর্ট রিনিউ করতেও নতুন পাসপোর্ট করার সমান টাকা দিতে হবে। অথচ অনেক বড়লোকের দেশেও শুনেছি একই পাসপোর্ট এ মেয়াদ বাড়য়ে দেয়, তাতে কিছু টাকা বাঁচে।
জৈষ্ঠ মাসের এক সকালে গেলাম আগারগাওয়ের পাসপোর্ট অধিদপ্তরে। সকাল দশটাতেই লম্বা লাইন। আগেই তথ্য ও অনুসন্ধানে সব কাগজ দেখিয়ে নিলাম যে।কাগজপত্র সব ঠিক আছে কিনা। মাঝে মাঝেই একেকজন লোক কাছে আসছেন, যদি কোন সাহায্য লাগে তারা করে দেবেন। কিছু অতি অসুস্থ মানুষ দেখলাম ধুকছেন। এরা কঠিন অসুখে ভুগছেন- চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চাচ্ছেন। এত প্রচন্ড অসুস্থ মানুষের জন্য কি সহজ কোন ব্যবস্থা করা যেত না?
ভিতরে গিয়ে আবার লাইন। অবশেষে কাগজ জমা দিতে পারলাম। দুই মিনিটেই কাগজ ফেরত। আগের পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হবার পর রিনিউ করছি তাই সোনালী ব্যাংকে গিয়ে ফাইন দেবার রশিদ যুক্ত করে সব কাগজ জমা দিতে হবে। পাসপোর্ট অফিস থেকে বের হতেই দালাল। একজনকে দিলাম টাকা জমা দিতে। শেষ পরযন্ত অবশ্য সেদিনই সব কাগজ জমা দিতে পেরেছিলাম ।
আর্জেন্ট রিনিউ ছিল। সাত দিনের জায়গায় বারো দিনে পাসপোর্ট পেলাম। এই প্রথম মনে হল যদি অন্য কোন দেশের একটা পাসপোর্ট থাকত!
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১১
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩
মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: আপনার সামান্য ভোগান্তি হয়েছে,সাধারন বেশিরভাগ মানুষের ভোগান্তি চরমে।আমি নিজেও প্রচুর ভুগেছি!
৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২
করুণাধারা বলেছেন: আপনার বয়স কি ৫৫র বেশী? কষ্ট বয়স আর অসুস্থতার সমানুপাতিক। ধন্যবাদ
৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৯
জাহিদ হাসান মিঠু বলেছেন: এটাইতো ডিজিটালের নমুনা !
৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই প্রথম মনে হল যদি অন্য কোন দেশের একটা পাসপোর্ট থাকত! -- জনসংখ্যার চাপের কারণেই এমন হয় কিনা জানিনা।
কেন যে আমরা ব্যবস্থাপনাকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারিনা! ইউজার ফ্রেন্ডলী করতে পারিনা! অন্যান্য দেশের তুলনায় টাকা কিন্তু আমরা কম দেই না।
২২ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭
করুণাধারা বলেছেন:
ধন্যবাদ খায়রুল আ্হসান!
এই দুর্ভোগ সবাইকে পোহাতে হয় না, এটা শুধু আমার মত আমজনতার জন্য। ছবি তোলার জন্য ছ' জন থাকার কথা, থাকেন মাত্র দু'জন, যার জন্য আমাদের সংকীর্ণ একটা ঘরে দু/ তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। আমি হিসাব করতে খুব ভালবাসি, হিসাব করে দেখেছি প্রতিদিন অন্তত পাঁচশো জন পাসপোর্ট রিনিউ করেন, প্রতিজন অন্তত ৩৪৫০ টাকা করে দিলে প্রতিদিনের আয় সতের লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা, নতুন পাসপোর্ট আর আর্জেন্ট পাসপোর্ট এর হিসাব বাদ দিয়েই। আরো কয়েকজন লোক নিয়োগ দিলেই এটা সহজ হয়ে যেত। হয়না, কারন অধিকাংশ আবেদনকারীই প্রবাসী শ্রমিক।
৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: হয়না, কারন অধিকাংশ আবেদনকারীই প্রবাসী শ্রমিক -- জ্বী, এটাও একটা কারণ। আর তা ছাড়া, জাতি হিসেবে আমরা বোধহয় একটু বেশীই সর্বংসহা! সময়মত, জায়গামত প্রতিবাদ করতে পারিনা। আর সব কিছুতেই পেছনের দরজা খুঁজি।তাই সব কিছুতেই এত মধ্যসত্ত্বের ছড়াছড়ি, সব কিছুতেই এত দালালের আনাগোনা!
নোটিফিকেশন যায় না। আশাকরি, তবুও আমার এ মন্তব্যটা কোন না কোনদিন আপনার চোখে পড়বে। যেমন আপনারটা আমি দেখলাম এই এতদিন পর।
৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭
করুণাধারা বলেছেন:
আমি কিছুটা ধীরগতিসম্পন্ন, বুঝতে- শিখতে সময় লাগছে। তাই হয়ত আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে দেরি হয়েছে। আমি সত্যিই খুব দুঃখিত।
আপনাকে দেখতে পাই সকলের ব্লগবাড়ীতে, নবীন প্রবীণ সকলের বাড়ীতে। এ যেন পাড়ার সকলের বাড়ী বাড়ী গিয়ে খোঁজ খবর করা! এটা দেখে আমার প্রিয় কবির কবিতা মনে পড়ে গেল-
প্রাচীরের ছিদ্রে এক নাম গোত্র হীন
ফুটিয়াছে ফুল এক অতিশয় দীন।
ধিক ধিক করে তারে কাননে সবাই
সূর্য উঠে বলে তারে ভাল আছ ভাই!
নবীন সকল ব্লগারদের জন্য আপনি প্রেরণা। শুভকামনা আপনার জন্য।
৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকে দেখতে পাই সকলের ব্লগবাড়ীতে, নবীন প্রবীণ সকলের বাড়ীতে -- আসলেই আমি ব্লগে নবীন প্রবীণদের ব্যাপারে কোন বাছ বিচার করিনা। যাদের লেখা সামনে আসে, তাদের লেখাই পড়ি। ভাল লাগলে মন্তব্য করি, বা কিছু বলার থাকলে বলি। তবে যারা আমার লেখা পড়ে মন্তব্য করে যান, কিংবা শুধুই 'লাইক' দিয়ে যান, তাদেরও কিছু লেখা পড়ার ব্যাপারে একটা তাড়না তো থেকেই যায়। সে তাড়না থেকেই তারা অগ্রাধিকার পান, যদিও ব্লগিংটা কোন লেনদেনের বিষয় নয়।
আপনার উদ্ধৃত এ চারটি পংক্তি খুবই ভাল লাগলো। মনে হয় কোন বিখ্যাত কবির কবিতা, আমার এ অজ্ঞতাটুকু মার্জনা করবেন। যদি কবি ও কবিতার নাম জানাতে পারেন, বাধিত হবো।
আমরা ছোটবেলায় প্রায়ই পরীক্ষায় একটা ভাব সম্প্রসারণ পেতামঃ
কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে,
ভাই বলে ডাকো যদি, দেব গলা টিপে।
হেনকালে গগনেতে উঠিলেন চাঁদা,
কেরোসিন শিখা বলে এসো মোর দাদা! ------
নবীন সকল ব্লগারদের জন্য আপনি প্রেরণা। শুভকামনা আপনার জন্য -- অনেক অনেক ধন্যবাদ এ কথাগুলোর জন্য। খুবই অনুপ্রাণিত বোধ করছি নিজেই এ কথা শুনে।
২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: আমি যদি কোন ভাবে আপনাকে অনুপ্রাণিত করতে পারি তবে সত্যিই বাধিত হই। যে চার পঙক্তি উল্লেখ করেছিলাম সেটা ভাব সম্প্রসারণ এর জন্যই ব্যবহৃত হয়। আপনি এর ভাব সম্প্রসারণ ভাল ভাবেই করতে পারবেন।
এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কণিকা কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া, নাম উদারচরিতানম। আপনি যে চার পঙক্তি উল্লেখ করেছেন, যার নাম কুটুম্বিতা, তা এই বইয়ে উদারচরিতানম এর ঠিক আগের কবিতা। কণিকাতে সব দুই চার পঙক্তির কবিতা। রবীন্দ্রনাথের সঞ্চয়িতা কাব্যগ্রন্থে কণিকা পাবেন।
বহুদিন পর আপনার এই পঙক্তিগুলো পড়ে মনে পড়ল স্কুলে থাকতে না বুঝেই এর ভাব সম্প্রসারণ লিখতাম আর এখন তারপর জীবনের চলার পথে এই কেরোসিন শিখার মত কত মানুষ দেখলাম!
ভাল থাকুন সতত।
১০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে প্রীত হ'লাম, সেই সাথে আপনার জ্ঞানের পরিচয় পেয়ে চমৎকৃত।
জীবনের চলার পথে এই কেরোসিন শিখার মত কত মানুষ দেখলাম! - আপনার এ কথাটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে আমি একই ভাবনায় উদবুদ্ধ হয়ে"কণিকা" থেকে তিনটে উদ্ধৃতি আমার ফেইসবুক ওয়ালে পোস্ট করলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক শুভেচ্ছা...
১১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৪
করুণাধারা বলেছেন:
শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ আপনাকেও।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভোগান্তির আর শেষ নেই! এসব শুনে খুব কষ্ট লাগে ভাই!