নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বীপ বিভীষিকা

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪১

বহু দিন আগে কাজী আনোয়ার হোসেনের রুপান্তর করা সেবা প্রকাশনীর একটা বই পড়েছিলাম-দ্বীপ বিভীষিকা । গল্পটা এমন -পরষ্পর অপরিচিত দশজন ভিন্ন পেশার লোকের কাছে আলাদাভাবে দশটি আমন্ত্রণপত্র আসে, একটি দ্বীপে কয়েকদিনের জন্য অতিথী হবার আমন্ত্রন। আমন্ত্রণদাতাকে তারা কেউই চেনেন না তবুও নির্দিষ্ট দিনে দশজনই এসে হাজির হলেন ষ্টীমার ঘাটে। একটি স্টীমার তাদের পৌঁছে দিল ছোট্ট একটা দ্বীপে। যাত্রীরা জানলেন যে এটি নিমন্ত্রণদাতার ব্যক্তিগত দ্বীপ। ষ্টীমারের যাত্রী কেবল তারা দশজন -তাদের পৌঁছে দিয়ে ষ্টীমার চলে গেল। ছোট দ্বীপে একটিমাত্র বিশাল বাড়ি আছে দেখা গেল কিন্তু কোন মানুষজন দেখা গেল না। তারা সেই বাড়িতে পৌঁছালেন। তাদের স্বাগত জানিয়ে নিমন্ত্রণদাতা জানালেন তাদের প্রত্যেকের জন্য ঘর নির্দিষ্ট করা আছে, তাদের প্রয়োজনীয় সব কিছু রয়েছে বাড়িতে, তারা যেন উপভোগ করেন। নিমন্ত্রণদাতাকে দেখা গেল না, অদ্রিশ্য মাইক্রোফোনে কথা ভেসে আসছিল। নিমন্ত্রিত দশজন দেখলেন হলঘরের দেয়ালে একটা কবিতা টানানো
হারাধনের দশটি ছেলে ঘোরে পাড়াময়,
একটি কোথা হারিয়ে গেল রইল বাকি নয়।
হারাধনের নয়টি ছেলে কাটতে গেল কাঠ
একটি কেটে দুখান হল রইল বাকি আট
.সবশেষে
হারাধনের একটি ছেলে কাদে ভেউ ভেউ
মনের দুখখে বনে গেল রইল না আর কেউ।
সেদিনটা সবাই ঘুরেফিরে ভালই কাটালেন। পরদিন সকালে দেখা গেল একজন নেই (নাকি একজনের ম্রিতদেহ পাওয়া গেল মনে নেই)। এবার দেখা গেল কবিতা বদলে গেছে-
হারাধনের নয়টি ছেলে কাটতে গেল কাঠ###একটি কেটে দু খান হল রইল বাকি আট। " ###তার পর দিন আরেকজন নিখোঁজ ।###এবার কবিতার শুরু###"হারাধনের আটটি ছেলে বসল খেতে ভাত###একটি মোল বিষম খেয়ে রইল বাকি সাত। " ###এভাবে প্রতিদিন একজন করে নিখোঁজ হয় আর কবিতা বদলে যায়।যখন অতিথী কমতে কমতে তিন চার জন হয়ে গেল তথন বোঝা গেল এর মধ্যেই একজন নিমন্ত্রণদাতা-খুনী। কে সে? কেনোই বা সে এভাবে খুন করছে? গল্পের শেষে উত্তর আছে -কিন্তু আমি ভুলে গেছি।
কেউ বলতে পারবেন গল্পের শেষটা? অথবা বইটা কোথায় পেতে পারি।বা মূল ইংরাজি বইটার নাম? আছেন কেউ!
ব্লগে নতুন লিখছি। তাই বুঝতে পারছিনা আমার লেখার লাইন গুলো কিভাবে বদলে যাচ্ছে আর গাদা গাদা হ্যাশট্যাগ চলে আসছে!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০১

করুণাধারা বলেছেন: কোথাও কেউ নেই, হায়!

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

ঋতো আহমেদ বলেছেন: সরাসরি blog এ না লিখে word file এ লিখুন প্রথমে, তারপর blog এ past করুন। তাহলে আর হ্যাশট্যাগ ঝামেলা হবে না।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: খুব ভাল বুদ্ধি । তাই করব। অজস্র ধন্যবাদ

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: কিন্তু আপনার প্রশ্নের উত্তরটা এখনো এলোনা বলে দুঃখ বোধ করছি। কারণ, গল্পের শেষটুকু জানার জন্য আমিও কৌতুহলী হয়ে উঠেছি।
অসম্পূর্ণ পোস্ট, তবুও পড়তে ভাল লাগলো, তাই পোস্টে ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম। + +

০৫ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮

করুণাধারা বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ। কারো কাছ থেকে সাহায্য না পেয়ে অবশেষে গুগল থেকে সাহায্য পেয়ে আমার কাংখিত বইটি খুঁজে পেয়েছি।
এটা আগাথা ক্রিস্টির লেখা And then there were none.

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৮

করুণাধারা বলেছেন:

অনেক ধন্যবাদ। কারো কাছ থেকে সাহায্য না পেয়ে অবশেষে গুগল থেকে সাহায্য পেয়ে আমার কাংখিত বইটি খুঁজে পেয়েছি।
এটা আগাথা ক্রিস্টির লেখা And then there were none.

৫| ০১ লা মে, ২০১৯ দুপুর ১২:১৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বইটির নাম বলবো বলবো করছি আর উপরের কমেন্টে বলে দিলেন X((

০৫ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৯

করুণাধারা বলেছেন: আহা, আর একটু আগে বললেই হতো! তাহলে আমার আর খোঁজার কষ্টটা করতে হতো না :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.