নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুঁয়োপোকা

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১২

আজ সকাল সাতটা। জরুরী কাজে বাড়ী থেকে বের হয়ে মিরপুর রোডে পৌঁছাতেই দেখলাম ঝকঝকে রোদে মিরপুর রোড ভেসে যাচ্ছে, রাস্তায় কোন গাড়ী নেই। ফুটপাতে, রাস্তায় অজস্র মানুষ, বুড়ো,বাচ্চা, সুস্থ, অসুস্থ - কারো হাতে ভারি ব্যাগ কোথাও যাবে বলে হয়ত বেড়িয়েছিল। এখন কোথাও যাওয়া যাবে না- তাই তারা দাঁড়িয়ে আছে, কেউ হাটছে। ভাল করে তাকালাম, মানুষ কই এত কেবল কিছু পোকামাকড় । পোকামাকড় এর আবার জীবন কিসের। এরা কেন হাসপাতালে যাবে কিছুক্ষণ পর বউএর এঞ্জিওগ্রাম হবে বলে, কেন বুয়েট যেতে হবে আটটাতে সিটি বলে, কেন গাবতলি যাবে বাস ধরতে অসুস্থতা মাকে দেখতে যাবে বলে। এদের কারুর কোন জরুরী কাজ থাকতেই পারেনা তাই ইচ্ছে হলেই যা কোন রাস্তা নোটিস ছাড়াই বন্ধ করে দেয়া যায়। মানুষ নয় তাই এদের কোন বিরক্তি, রাগ, কষ্ট থাকতেই পারেনা। আমারো কোন রাগ বা বিরক্তি লাগল না - কারন আমিও তো এক পোকা ছাড়া কিছু নই। এক শুঁয়োপোকা যে গুটির মধ্যে গুটিয়ে থাকে। এই শুঁয়োপোকা আমার খুব বিপদ, একজায়গায় যেতেই হবে। তাই গুটি গুটি এগিয়ে চললাম। রাস্তা পার হব দেখি ডিভাইডারের উপর বেড়া দেয়া, ওভারব্রিজ দিয়ে পার হতে হবে। গেলাম ওভারব্রিজ এর কাছে। দেখি এক মস্ত মানুষ, সবুজ জামা নীল প্যান্ট পরে ওভারব্রিজের সিঁড়ীর কাছে দাঁড়িয়ে পোকামাকড়দের আটকাচ্ছেন। ব্রিজে ওঠা গেল না। তাই ভারী ব্যাগ হাতে আমি হাটতেই থাকি, দেখি কতদূর গিয়ে রাস্তা পার হতে পারি। আমি তো এক পোকা - আমার কিবা কাজ আর কিবা কষ্ট!

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

ঋতো আহমেদ বলেছেন: কাফকা'র লিখা গল্প মনে পরে গেল।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার ভাবনার জন্য।
ভি আই পি যাবার দুই তিন ঘন্টা আগে থেকে রাস্তা খালি রাখার অজুহাতে যখন আমার রাস্তায় চলাচলের অধিকার ক্ষুন্ন হয় তখন নিজেকে আতি হীন আর ক্ষুদ্র মনে হচ্ছিল, আমি যেন এক শুয়োপোকা যাকে ইচ্ছে হলেই পায়ে পিষে মারা যায়। সেই ক্ষোভ কমাতেই এই পোস্ট । হয়ত অবচেতনে কাফকা ছিলেন।

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই, ছোট সে তরী

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:১৮

করুণাধারা বলেছেন: জানি ঢাকার বিপুল জনসংখ্যাই সবচেয়ে বড় সমস্যা । রাস্তা জনশূন্য রাখতে ভি আই পি আসলে দুদিন ছুটি দিয়ে দেয়া হলে আর মানুষকে এত যন্ত্রণা পোহাতে হত না।

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সাধারণের আজ বড্ড অসমায়।
ক্ষোভটা দারুণ ভাবে তুলে ধরেছেন।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৪

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমার যন্ত্রণা আর ক্ষোভটা পুরোপুরি যদি বোঝাতে পারতাম!

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সাধারণের আজ বড্ড অসমায়।
ক্ষোভটা দারুণ ভাবে তুলে ধরেছেন।

৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২৮

টমাটু খান বলেছেন: পড়ে খুব ভালো লেগেছে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ, টমাটু খান। আপনার নিক বড় মজাদার হয়েছে।

৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:৫৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ক্ষোভ আর ক্ষোভ। ছোট্টলেখার পুরোটাই ক্ষোভে ভরা।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪০

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ রক্তিম দিগন্ত । ক্ষোভ তো মনের ভিতরে রাখতে চেয়েছিলাম, আপনি কি করে বুঝে গেলেন! এমন অভিজ্ঞতা তো প্রায়সময় হয়। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এর আগের দিন ঢাকার সমস্ত পাব্লিক পরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ক্ষোভ প্রকাশ করতে ভয় পাই, কখন না জানি কেউ পোকামাকড়ের মত পিষে মারে।

৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের দেশে আম জনতার প্রায়োরিটি সবার নীচে। অতি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের গমনাগমন যে আম জনতাকে কিভাবে পিষ্ট করে যায়, তা যদি তারা একটিবারের জন্যেও ভাবতেন! নিরাপত্তার উদ্বেগ তাদের থাকতেই পারে, কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মীদের কখনো খামখেয়ালীপনা, কখনো বাড়াবাড়িই জনগণের ভোগান্তির জন্য অনেকাংশে দায়ী। আমরাও চাইনা, কোন অতি বিশিষ্টজন কখনো নিরাপত্তা পরিস্থিতির সম্মুখীন হোন, কিন্তু আম জনতাকে কিছুটা রেহাই দিয়েও কি তা সুষ্ঠুভাবে নিশ্চিত করা যায়না? সেখানেই তো পেশাগত দক্ষতার প্রমাণ মেলে। আসলে এটা যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যেখানে জনগণের স্বার্থ আর কল্যানই মুখ্য হবার কথা, নিরাপত্তা কর্মীদের মাঝে এ চেতনাটুকু একেবারেই অনুপস্থিত বলে মনে হয়। চীনা প্রেসিডেন্টের সফরকালে ঢাকাবাসী জনগণ চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছেন। আমিও তাদের একজন। তখন আপনার মত আমিও নিজেকে শুঁয়োপোকার মত মনে করেছি। দারুণ এক্সপ্রেশন দিয়েছেন!

ক্ষোভ প্রকাশ করতে ভয় পাই, কখন না জানি কেউ পোকামাকড়ের মত পিষে মারে। (৬ নং প্রতিমন্তব্য)-- বাষ্পরুদ্ধ প্রেসার কুকারের ছিপি হঠাৎ খুলে গেলে তা বিকট শব্দে দুর্ঘটনা ঘটায়।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

করুণাধারা বলেছেন: খায়রুল আহসান,
আমার পোস্টে আপনার দীর্ঘ মন্তব্য -খুব ভাল লাগল। অজস্র ধন্যবাদ।
স্বদেশী এবং বিদেশি ভি আই পি দের আগমন কিংবা নির্গমনের সময় চরম ভোগান্তি হয় সাধারণ মানুষের। এই অবস্থা থেকে কবে মুক্তি পাব জানি না।

আপনিও কালকে ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছেন? যাক, তবু একজন পাওয়া গেল। ব্লগে, নিউজ পোর্টাল কোথাও কাউকে বলতে শুনি নি কাল কোন কষ্ট হয়েছে। আমি ভাবছিলাম পুরোটাই হয়ত আমার দুঃস্বপ্ন ।

৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা ,




যে আক্ষেপ নিয়ে লিখেছেন তার পেছনের কার্য্যকরনগুলো প্রকারান্তরে সহব্লগার খায়রুল আহসান সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বলেছেন ।
এসবের পেছনে বালামুসিবতগুলোর চেহারা উনি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন এখানে --- আসলে এটা যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যেখানে জনগণের স্বার্থ আর কল্যানই মুখ্য হবার কথা, নিরাপত্তা কর্মীদের মাঝে এ চেতনাটুকু একেবারেই অনুপস্থিত বলে মনে হয়।
তবুও আপনার ক্ষোভ প্রকাশ করতে পেরেছেন বলে সাধুবাদ জানাতেই হয় ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ আহমেদ জী এস,
আপনি, খায়রুল আহসান দুজনেই দীর্ঘ মন্তব্য করেছেন যা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া, অনেকখানি অনুপ্রেরণা । সেজন্যে আবারো ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকারভাবে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।

আমরা সত্যিই অভাগা জাতি মানুষের মৌলিক অধিকার বা সুস্থভাবে বেচে থাকার জন্যেও আমাদের লড়াই করতে হয় ।
ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন করতে হয় কিন্তু এগুলোতো এমনিতেই পাবার কথা ! ফুটপাতে হাটার উপায় নেই, জ্যামে জনজীবন বিধবস্ত । কত সমস্যা বলে শেষ করা যাবে নাহ !

+++++

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯

করুণাধারা বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ কাছের মানুষ।

অনেক কারণে ক্ষোভ হতে পারে। গতবছর মেডিকেলে প্রশ্ন ফাঁসেরর কারণে অনেক ভাল ছাত্র নানা ভাবে মনের ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল কিন্তু কোন লাভ হয় নি। রাস্তায় গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করার চাইতে সামুর পাতায় করা নিরাপদ। আমি তাই করলাম। আরেকবার ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.