নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই যখন যন্ত্রণা

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৮


ছোটবেলা থেকেই জোরকরে গেলানো জিনিসে আমার খুব ভয়, অভিজ্ঞতায় জেনেছিলাম জোর করে গছানো বা গেলানো জিনিস কখনও ভাল হয় না। ফেব্রুয়ারি মাস এলেই এই ভয়টা বেড়ে যায়, কারণ এটি বই গছানোর মাস। জানিনা  কেন, ফেব্রুয়ারি মাস এলেই কিছু পুরোনো পরিচিতের সাথে নতুন করে পরিচিত হই- বেশিরভাগেরই নতুন পরিচিতি কবি বলে, কারণ বইমেলায় তাদের কবিতার বই বের হয়েছে। অবশ্য কেউ কেউ আত্মজীবনী বা ইতিহাসও লিখে থাকেন। এই মাসে এহেন লেখকদের সাথে দেখা হলে অনিবার্য এক ঘটনা ঘটে- তিনি তার ঝোলা থেকে অথবা মস্ত বড় ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নিজের লেখা বইটি বের করে বইয়ে স্বাক্ষর দিয়ে হাসিমুখে বইটি বাড়িয়ে দেন।
--এই যে, এটা আপনার জন্য।

একটা বই উপহার পেলেও আরও অন্তত একটি বই নিতে হয় মূল্য চুকিয়ে, সৌজন্য বলে তো একটা ব্যাপার  আছে! এভাবে জোড়া জোড়া গছানো বইয়ে প্রায় একবস্তা ভরে গেছে, ঠিক করেছি কোনদিন ঘরে গ্যাস না থাকলে এগুলো দিয়ে খিচুড়ি রেঁধে খাব।
 
গছানোর আরো তরিকা আছে। একদিন বিয়ে বিয়ে বাড়িতে গেছি,  স্বামীর বন্ধু- পত্নীর সাথে দেখা।
-- কি খবর? কেমন আছেন?
-- আছি ভালোই, কিন্তু খুবই ব্যস্ত । প্রতিদিন বইমেলায় যাওয়া লাগছে, আমার আবার এবার দুটো বই বের হলো কিনা।

ভয়ে ভয়ে হাতের দিকে তাকালাম, নাহ্, হাতে শুধু  বিয়ে বাড়ির উপযোগী একটা ছোট ব্যাগ, এর ভিতর কোন কবিতার বই রাখা সম্ভব নয়। অতএব কবিতার বইয়ের প্রসঙ্গ ভুলে গিয়ে নিশ্চিন্তে অনেক রকম গল্প করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর তিনি স্বামীকে ডেকে বললেন,

--এই, গাড়ি থেকে ভাবীর জন্য ক'টা বই নিয়ে এসো না, প্লিজ।
বই!!! আবার একটা না, ক'টা!! ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে বাড়িতে আসাও দেখছি বিপদজনক। ক্ষীণ স্বরে বললাম,

-- ও আপনার কবিতার বই? তাতো পড়তেই হবে। এক কাজ করি, যাবার সময় নিয়ে নেব।
--না না, পরে আবার ভুলে যেতে পারি। এইতো সেদিন একজন বই নেবেন বলে হঠাৎ করে কার সাথে কথা বলতে বলতে হারিয়ে গেলেন, পরদিন আমাকে তার বাসায় বইগুলো পৌঁছাতে হলো।

আজ্ঞাবহ স্বামী গিয়ে দুহাতে যতগুলো বই ধরে নিয়ে এলেন, দুই বইয়ের অনেকগুলো করে কপি। আরেকজন, বন্ধুপত্নীর  কাব‍্য প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বললেন,
--সেকি! আপনি এত বই লিখেছেন! ঠিক আছে আমি বেশ কয়েকটা নেব। আপনার এমন প্রতিভা, আমাদের তো উৎসাহ দেওয়া উচিত।

 আমাকে এবার কথা বলতেই হল,
--এই বিয়েবাড়িতে কিন্তু আমি বই হাতে করে ঘুরতে পারবো না, বই তোমাকে বইতে হবে।

এবার তার উৎসাহে একটু ভাটা পড়ল। বিয়ে বাড়িতে একগাদা কবিতার বই হাতে নিয়ে থাকাটা খুব উৎসাহ ব্যঞ্জক মনে হলো না হয়তো। তাই বললেন,
--ঠিক আছে, আপাতত দুটো বই নেই।
 ভাবির অনেক আপত্তি সত্বেও বইয়ের দাম ৪০০ টাকা জোর করে দিয়ে দিলেন। আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম-  হায়! আমার কাব্য প্রতিভা যদি আমাকে ছেড়ে না যেত!! মনে পড়ল, এক সময় আমিও কবিতা লিখতে পারতাম, তখন খুব কবিতা লিখতাম। এক দুঃখজনক ঘটনা আমার কাব্যপ্রতিভার সমাপ্তি টেনে দেয়। প্রায় ৩০-৩৫ বছর আগে আগের ঘটনা, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। হঠাৎ করে জানলাম আমাদের দুই সেমিস্টার পরীক্ষা একবারে দেওয়া লাগবে। এর আগে প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষার আগে ছাত্ররা পরীক্ষা পিছানোর আন্দোলন করেছিল। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেবার প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা বাতিল করে দেয়। পরে দেখা গেল বাতিল করেনি, বরং পরীক্ষা পিছিয়ে দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষার সাথে  মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক সেমিস্টার পরীক্ষা দিতেই নাভিশ্বাস, দুই সেমিস্টার  একসাথে দিতে হবে শুনে মাথাটা কেমন হালকা হয়ে গেল। পড়াশুনা বাদ দিয়ে আমি দিনরাত কবিতা লিখতে লাগলাম। বেশিরভাগই গণিত বিষয়ক কবিতা যেমন,

ল্যাপলেস ফোরইয়ার
দুইয়ে দুইয়ে হয় চার।

আমাদের ছাত্রীবাসে একটা নোটিশ বোর্ড ছিল। সেটা ভরে গেল আমার লেখা কবিতায়। একদিন খেয়াল করলাম অন্য মেয়েরা আমার দিকে কেমন অদ্ভুতভাবে তাকাচ্ছে। কারণ জানতে চাইলে বনি আপা বলল,

--দুই সেমিস্টার এর দুঃখে অনেক ছেলেই পাগল হয়ে গেছে, মেয়েদের মধ্যে তুমিই একমাত্র।

কথাটা শুনে  মাথায় প্রচন্ড ঝাকি লাগলো। আমি কবিতা লেখা বন্ধ করলাম, আবার পড়াশোনা শুরু হল। কিন্তু খাতায় লেখা শেষ কবিতাটা খাতাতেই রইল, ছিড়েও ফেললাম না বা নোটিশ বোর্ডেও দিলাম না। জীবনের সেই শেষ কবিতাটি এতবার পড়েছি যে একেবারে মুখস্থ হয়ে গেছে। এই সেই কবিতা:

 কেন দুটি হাত,
 দিলে নাথ?
এ যেন বৃক্ষ শাখা,
তাইতো প্রশ্ন রাখা,
তোমার কাছে
পার্থক্য কি আছে
মানুষে ও গাছে?

যারা এ পর্যন্ত সাথে আছেন, ইতিমধ্যেই তারা আমার লেখা শেষ কবিতাখানা গিলে ফেলেছেন!
ধন্যবাদ সামু ব্লগ কে, আমার কবিতা প্রকাশের সুযোগ করে দেবার জন্য।

যাহোক, ফিরে আসি সেই বই গছানোর গল্পে। এবছর ফেব্রুয়ারিতে ভাই এসেছে বিদেশ থেকে, বইমেলায় গিয়ে ফিরল এক গাদা বই নিয়ে।
-- এত বই কিনেছিস কেন?
-- অনুরোধে। মেলায় এত চেনা মানুষের সাথে দেখা হল, তারা যখন তাদের লেখা বই কিনতে অনুরোধ করলো তখন না করি কি করে বল? এত বই তো আমি নিয়ে যেতে পারবো না,  তুই কিছু নিয়ে নে।
-- তুইও আমাকে বই গছাবি?

 ভাই বই উপহারও পেয়েছে। বন্ধুর বাড়ি গেছে দাওয়াত খেতে, খাবার পরে বন্ধুর বউ নাম স্বাক্ষর করে ভাইকে একটা বই দিলেন- তার নিজের লেখা কবিতার বই। ভাই বইয়ের দুয়েক পাতা উল্টে কিছু প্রশংসা করতেই তার বন্ধুপত্নী জানালেন বইমেলা উপলক্ষে তার মা একখানা আত্মজীবনী  লিখেছেন, আর তার বোন একখানা ভ্রমন কাহিনী  লিখেছেন। সেই দুখানা বইও পেল ভাই- বিনি পয়সায়।

যে হাতে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে সেই হাতে আবার কবিতাও লিখে- এই তথ্যটা জানা হল সেই বই গছানোর সূত্রেই। ভাগ্নের একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দরকার, তার বাবার সাথে সে গেল পুলিশের দপ্তরে। ক্লিয়ারেন্স দেবার আগে পুলিশ সাহেব বইমেলায় প্রকাশিত নিজের একটা বই দিলেন, দু'শ টাকা দিয়ে বইটা কিনতে হল। এরপর তিনি সেই বইয়ের আরেক কপি বের করে ভাগ্নেকে বললেন,
--শুধু কি পড়ার বই পড়বে? মাঝে মাঝে অন্য বই ও পড়া দরকার। আমার এই বইটা পড়লে চিন্তার অনেক খোরাক পাবে। ওই বই তো তোমার আব্বু পড়বে- এটা তোমার জন্য।

আরো দু'শ টাকা গেল। উপায় নেই, ক্লিয়ারেন্সের কাগজ তো পেতে হবে!

বই গছানোজনিত যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবার কোন পথ তো আপাতত দেখতে পাচ্ছিনা। কি করা যায় ভেবেই চলেছি।






মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

শামচুল হক বলেছেন: হে হে হে এ যন্ত্রণায় আমিও আছি - -- - - যতই লেখি আমার বই নাই- - - -

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

করুণাধারা বলেছেন: কোন যন্ত্রণায় আছেন? আপনি তো বেশ ভালো লিখেন। যদিও সবসময় মন্তব্য করা হয় না, কিন্তু আমি আপনার সব লেখাই পড়ি। ভালো থাকুন।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

করুণাধারা বলেছেন: জেনে আমারও ভাল লাগল। ভালো থাকবেন সোহাগ তানভীর সাকিব।

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমি বই গছানো একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম পুশিং সেল নামে,আপনার আমার অভিজ্ঞতা প্রায় একই রকম। বেচারারা কষ্ট করে বই বের করেছে খিচুড়ি রান্না করার জন্য হলেও একটা বই কেনা উচিত।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

করুণাধারা বলেছেন: আপনার পোস্টটা এখন গিয়ে পড়ে আসলাম। মজার পোস্ট, অনেকটা আমার মতো অভিজ্ঞতা। আমার পোস্টের নামও আমি দিতে চেয়েছিলাম পুশিং সেল। ভাগ্যিস দেই নি, তাহলে আবার শিরোনাম চুরির দায়ে পড়তাম!

ঠিকই বলেছেন, এদের বই কেনা উচিত। সমস্যা হচ্ছে আমি খুব বেছে বেছে বই কিনি কারন ঘরে জায়গার স্বল্পতা। এর মধ্যে এই পুশিং সেলের বই এত জমে যায় যে মাঝে মাঝে প্রচন্ড বিরক্তি লাগে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আমার তিন বস্তা বই রাখার জায়গা ছিল না। মা খুব চিল্লাচিল্লি করতো। একদিন এমন মেজাজ খারাপ হলো- তিন বস্তা বই ঠেলে ঠুলে রাস্তায় ফেলে দিলাম। বাড়ির সামনে এক ভাঙ্গারির দোকান বই গুলো নিয়ে গেল। এবং পরের দিন সে আমার হাতে ২৭ শ' টাকা ধরিয়ে দিল। প্রায় ১৭ বছর আগের কথা।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

করুণাধারা বলেছেন: আপনার লেখা যেমন মজাদার মন্তব্যগুলোও তেমনি। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

সতের বছর আগে বই বেচে সাতাশ' শ টাকা পেয়েছিলেন এতে অনেক টাকা!

যতদূর মনে পড়ে, কোন এক বই মেলায় আপনার বইও প্রকাশিত হয়েছিল, রবীন্দ্রনাথের উপর কি? কেমন হলো তার বিক্রি?

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভাল মানের বই পড়া উচিৎ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: তাই চেষ্টা করি। কারন এখন আর সময় নষ্ট করবার মত এত সময় হাতে নেই যে ভালো না লাগলেও কোন বই জোর করে পড়ব।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপু আগে হেসে নেই।সত্যি ভালই যন্ত্রনায় পড়েছেন।
নতুন লেখকদের বইতো তেমন কেউ কিনে না তারা আর কি করবে বই গছানো ছাড়া?
আমি বই গছানোদের পাল্লায় পড়িনি কখনও।ভাগ্যবানই বলতে হবে নিজেকে তাহলে।
তারপরও তারা কত আশা নিয়ে বই গছিয়ে দেয় তাই সময় করে একটু পড়ে নিয়েন।আমি নতুন কিছু লেখকের বই পড়েছি কি যে কষ্ট করে পড়তে হয়।
তবে নতুনরা সবাই যে খারাপ লিখেন তা নয়।অনেকে খুব ভালও লিখেন।
সুন্দর মজার একটি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
আর অবশ্যই প্লাস +++

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, মোস্তফা সোহেল।

আমি নতুন যে লেখকদের কথা বলছি তারা বয়সে কেউ নবীন নন। চল্লিশ/ পঁয়তাল্লিশ কিম্বা ষাট বছর বয়সে এসে তাদের বই লেখার ইচ্ছে জাগে। নিজেদের অর্থে বই ছাপান, অজস্র ভুলে ভরা বই- বেশিরভাগ ঘরের মধ্যে স্তূপাকারে থাকে, এর চার ভাগের এক ভাগ পুশিং সেলের মাধ্যমে বিক্রি হয়। সাধারণত এদের কবিতা ভালো হয়না। তবে জীবনী বা ভ্রমণ কাহিনী আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়ি।
আমার বিরক্তি লাগে এটা ভেবে, বই লেখার খেয়াল পূর্তির জন্য এরা যে টাকা অপচয় করেন সেই টাকা দিয়ে একটা মানুষকে সাহায্য করতে পারতেন, প্রবীণ বয়সে তাদের এইটুকু বিবেচনাবোধ আশা করতেই পারি।

নবীন লেখকদের উৎসাহ দিতে আমি স্বেচ্ছায় বই কিনি, যেন তারা লেখার অভ্যাস চালিয়ে যেতে পারেন। হয়তো ভবিষ্যতে তাদের কেউ বড় লেখক হয়ে উঠবেন!

নাহ, আমি সবকিছু ঠিক লিখিনি- আসলে প্রতিটা বই আমি কিছুদূর পর্যন্ত পড়ি, ভাল লাগলে পুরোটাই পড়ি। কোয়ালিটি যেমনই হোক না কেন, বই আমার খুব প্রিয়। কোন বই আমি নিজে নষ্ট করতে পারি না।

এত কথা লিখলাম কারণ আমার মনে হল নবীন লেখকদের জন্য আপনার হৃদয়ে বেশকিছু জায়গা আছে। এটা আমার খুব ভালো লেগেছে। ভালো থাকুন। প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম নতুন লেখার জন্য।

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

*** হিমুরাইজ *** বলেছেন: যারা নিজের টাকায় বই বের করেন তারাই অন্যকে বই গছিয়ে দেন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম, *** হিমুরাইজ ***। ঠিক বলেছেন, যারা নিজের টাকায় বই বের করেন তারাই অন্যকে বই গছান। কি দরকার এভাবে বই লেখার! এই টাকাটা অন্য কোন ভাল কাজে ব্যবহার করতে পারতেন!

আপনার মন্তব্য এবং প্লাসের অনুপ্রাণিত, *** হিমুরাইজ ***। অসংখ্য ধন্যবাদ।

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:

হা হা, বই যখন যন্ত্রণা!
ভালো লেগেছে পড়তে। কি আর করা বলেন, কেউ কেউ দু'চার লাইন লিখতে পেরেই বই বের করে ফেলে। তা সেই বেচারাদেরও বা আর কি দোষ ! বইগুলো তো কাউকে না কাউকে দিয়ে চালাতে হবে! বিদ্যা অমূল্য ধন বলে কথা।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: শিশুদের আঁকাবাঁকা হাতের লেখা দেখতে খারাপ লাগে না, কিন্তু বড় মানুষ যখন এভাবে লিখে তখন সেটা হয় বিরক্তিকর। ঠিক সেভাবে নবীন লেখকরা খারাপ লিখলেও সেটা খারাপ লাগে না কারণ তাদের সামনে সময় পড়ে আছে নিজেকে ঘষামাজা করবার জন্য। কিন্তু প্রবীণ কেউ কেন হঠাৎ করে কবি হয়ে ওঠেন এটা আমি কিছুতেই বুঝতে পারিনা। এই প্রবীণ ব্যক্তিরা যখন জোর করে বই গছান তখন বিরক্ত লাগে। তবে সত্যি সত্যি আমি কারো বই নষ্ট করি না, বইয়ের মান যেমনই হোক না কেন!

মন্তব্য এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, জাহিদ অনিক। ভালো থাকুন।

৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাগ্যিস আমি দেশে নেই /:)
তবে অনলাইনে ও এ যন্ত্রণার সীমা নেই :(
চলেন একদিন খিচুড়ি পার্টি করে ফেলি আপু !!!!
কারন !!!
কারন হচ্ছে আপনার লেখা শেষ কবিতা টা পড়ে ফেললাম বলে :P

চমৎকার লিখেছেন আপু!!

তবে সব চাইতে মজা হচ্ছে আজকাল বই লেখা বা প্রচারনার জন্য অনলাইনে সেলিব্রেটি ভাব ধরা B-)) লিস্ট এর কিছু আইডি কে আনফলো করে রাখতে হয় ,এদের এসব ফ্যান ধরে রাখার আজাইরা পোষ্ট এর জন্য।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

করুণাধারা বলেছেন: এমন মন্তব্য ও প্লাস- দারুন অনুপ্রাণিত হলাম।
আসলে একটা সিরিয়াস পোষ্ট লিখে আর তার প্রতিক্রিয়া দেখে মাথাটা ভারী হয়ে গেছিল। তাই এই পোস্ট। আমি কারুর প্রয়াসকে ছোট করতে চাইনি। যে কথাটি পোস্টে বলিনি, আমি অনেক তরুণ লেখকদের বই কিনি কেবল উৎসাহ দেবার জন্য। তবে আমাদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মত বুড়ো বয়সে যারা হঠাৎ কবি হতে চান, তাদের বই লেখা আর বই বেচা আমি মোটেও সমর্থন করিনা।

অনেক অনেক বছর আগে আমার ভাই বইমেলা থেকে কেমন লম্বাটে পাতলা একটা বই কিনে এনেছিল। বুয়েটের একটা ছাত্র নাকি খুব অনুরোধ করেছিল তার বইটা কেনার জন্য। সেই ছাত্র আজকের লেখক আনিসুল হক।

অনলাইনের অভিজ্ঞতা অবশ্য আমার হয়নি- ভাগ্যিস।

ভালো থাকুন, শুভকামনা।

১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই আপনার বইয়ের ভয়বেড়ে যায়, ঘরে গ্যাস না থাকলে বই পুড়িয়ে খিচুড়ি রান্না করবেন--আপনি ঠিক কোন ধরণের পাঠক বোঝা যাচ্ছে না।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

করুণাধারা বলেছেন: হা হা, এস এম মামুন অর রশীদ, আপনি আমাকে ভুল বুঝেছেন। আমি বেশ ভালোই পাঠক। সমস্যা হচ্ছে খাবার খাওয়া আর বইপড়া- এই দুটো আমি নিজের পছন্দমত করতে ভালবাসি। কেউ যদি জোর করে একটা বই গছায়, তাহলে সেই বইটা আমাকে পড়তেই হবে। বইটা ভালো না লাগলে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, কারণ বই আমি ফেলতেও পারবোনা। বই পোড়ানোর কথাটা ঠাট্টা। আমি কি বলেছি আমি বই পুড়িয়েছি?

ভালো থাকুন,সব সময়।

১১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

সুমন কর বলেছেন: হাহাহাহা.........অনেক দিন পর সামুতে বেশ মজার একটি লেখা পেলাম। তা খিচুড়ি রান্না করলে, আমাদের একটু আওয়াজ দিয়েন।
আর এতো বিষয় থাকতে গণিত নিয়ে কবিতা লিখতে গেলেন ক্যান !! ;) তাও আবার ফুরিয়ার !!

লেখায় ভালো লাগা রইলো।

০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

করুণাধারা বলেছেন: নানা অসুবিধায় উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল। দুঃখিত, সুমন কর।

প্রিয় কবি যদি আমার লেখা পড়ে মজা পান তবে তো আমার লেখা সার্থক! বই জ্বালিয়ে ন
না হলেও আমি প্রায়ই খিচুড়ি রান্না করি, ভালো খিচুড়ি। দেখি আপনাকে আমন্ত্রণ করার কথাটা মাথায় থাকলো।

ওই ফুরিয়ের সিরিজ মাথা খারাপ করে দিচ্ছিল যে! গণিত নিয়ে কবিতা না লিখে উপায় আছে!! তবে ছন্দ মেলাতে ফুরিয়ের হয়ে গেল
ফোরইয়ার। আমিতো আর আপনার মত কবি নই যে আপসে ছন্দ মিলাবো। খুব দোষ করেছি বলে মনে হচ্ছে না। দেখুন, একখানা গছানো বইয়ের কবির ছন্দ মেলানোর নমুনা:

মা, চলেই যদি যাবে তুমি
গেলেনা কেন বলে
আগের দিনও কথা হল
ওভার টেলিফোনে।

দুঃখের কবিতা, কিন্তু ছন্দ মেলানো দেখে আমি হাসতে হাসতে শেষ। ভালো থাকুন, সুমন কর।

১২| ০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

আমি অনার্সের পর একটি বৃত্তি নিয়ে যখন দেশের বাইরে পড়তে যাচ্ছি, দেখি আমার টেবিলের উপর নিচ, বেডের উপর নিচ বই, ঘরে বই আর বই। এতসব বই কি করি। শেষে বন্ধু-বান্ধবদের ওদের চাহিদামত বস্তাখানেক গছিয়ে দিলাম। প্রায় ২৬শ টাকার পুরান মাল হিসেবে বিক্রি। কিছু মূল্যবান বই দেশের বাড়ির নিজের পার্সোনাল লাইব্রেরীতে পাঠিয়ে দিলাম। :D

তবে ভালো মানের বই কেউ উপহার দিলে খুশি হই। আর খারাপগুলো বাদামওয়ালাদের হাতে। :P

০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

করুণাধারা বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আখেনাটেন, এমন অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্য করার জন্য।

আসলেই, বই অনেক সময় বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়ায়। অবশ্য ভালো বই সবসময়ই অসময়ের বন্ধু, কিন্তু not so good বই সবসময়ই বোঝা। না যায় ফেলা,না যায় গেলা।

বই নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করায় ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, শুভকামনা।

১৩| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০৭

নীহার দত্ত বলেছেন: মন যদি হয় অবস্থা তাহলে তো অবশ্যই বলতে হয় বই এর অপর নাম প্যারা।
এমনিতে আমি আমরা সবাই বই এর প্রতি যত্নশীল। আমি তো আমার বই কাউকে ধরতে দেই না ;)

২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

করুণাধারা বলেছেন: আসলেই, জোর করে কেউ অখাদ্য খাওয়ালে যেমন খারাপ লাগে তেমনি জোর করে খারাপ বই পড়তেও খারাপ লাগে। যেহেতু অনেক বই পড়ে ভাল বই সম্পর্কে একটা রুচি তৈরি হয়ে গেছে আমার। আর এমনিতে আমি বই পড়তে খুবই ভালোবাসি এবং বইয়ের যত্ন নেই। আপনিও বই পড়তে ভালোবাসেন শুনে খুব ভালো লাগলো।

আমার ব্লগে স্বাগতম, নীহার দত্ত। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো। উত্তর দিতে দেরি হয়ে যাওয়ায় দুঃখিত।

ভালো থাকুন, সবসময়।

১৪| ২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার এ লেখাটা পড়ে যুগপৎ আমোদিত এবং আড়ষ্ট বোধ করলাম।

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

করুণাধারা বলেছেন: না,না আপনি আড়ষ্ঠ বোধ করবেন কেন, আপনি ভালো লেখক। আপনার সবরকম লেখা সামুতে আমরা যেমন আগ্রহ নিয়ে পড়ি, আশাকরি আপনার বইও সকলেই তেমন আগ্রহ নিয়ে পড়েন, এবং পড়বেন।

অনেকেই স্মৃতিকথা ভ্রমণকাহিনী ইত্যাদি লিখেন, সেগুলোতে যতই বানান ভুল থাকুক বা বাক্যবিন্যাসে ভুল থাকুক, পড়তে ভালই লাগে। আমার সমস্যা হয় কবিতার বই নিয়ে। অধিকাংশ হঠাৎ বনে যাওয়া কবি যে কবিতাগুলো লেখেন তা পড়তে গেলে মাথা এলোমেলো হয়ে যায়। যেমন ধরুন,
অন্ধকার পূর্ণিমা রাত
বসে বসে খাই ভাত।

এই ধরনের কবিতা :) আমি এই কবিদের বই নিয়েই বলতে চেয়েছি। আমার কাছে যা বলতে বই জমা আছে তার অধিকাংশই কবিতার বই।

১৫| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি আপনার মূল লেখায় এতটুকুও মিথ্যে বলেন নি, প্রতিমন্তব্যগুলোতেও না।
আমার আড়ষ্ট বোধ করার কারণ, এ যাবত প্রকাশিত আমার তিনটে বই এর মধ্যে দুটোই কবিতার, বাকীটি আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা। এবারের বই মেলায় আমি একদিনও যেতে পারিনি নানা কারণে। আগের দু'বারে মাসের প্রায় দশ বার দিন উপস্থিত থাকতাম, প্রধানতঃ বিকেলে ও সন্ধ্যায়। নিজের বই প্রকাশের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, একেবারে আনকোরা নতুন। সৃষ্টির উল্লাস ও উন্মাদনায় কখন কাকে কী অনুরোধ করে বসেছি, খেয়াল নেই। হয়তো পরিচিত কারো কারো কাছে ঠিক গছিয়ে না দিলেও, তিনি আমার একটা বই কিনুন, এ ইচ্ছেটা কোন না কোনভাবে অভিব্যক্ত হয়ে গেছে, এখন আপনার লেখাটা পড়ে এটা ভেবেই আড়ষ্ট বোধ করেছি।
তবে বইমেলায় সময় ব্যয় করে অনেক মূল্যবান সঞ্চয়ও হয়েছে। ঢাকা ভার্সিটির এক ছাত্র, যাকে দেখে মনেই হয়নি ও ঢাকা ভার্সিটির ছাত্র, যখন শুনলো আমিই ঐ বইটির (আমার একটি কবিতার বই এর) রচয়িতা, বিন্দুমাত্র ইতস্ততঃ না করে বইটি হাতে নিয়ে বললো, 'এ বইটি আমি কিনলাম'। আমি তাকে ধন্যবাদ জানালে সে নিজে থেকেই বললো, সে কবিতা ভালবাসে, তাই সবসময় মেলা থেকে নতুন কবিদের বই কেনে। সেই সাথে সে একটা বাক্য উচ্চারণ করে যা এ যাবত কবিদের সম্বন্ধে শোনা আমার কাছে মধুরতম বাক্য। সাদামাটা ভাষায় সে আমাকে বললো, 'কবিরা ভাল মানুষ না হয়ে পারেনা। ভাল মানুষ ছাড়া কবিতা লেখতে পারেনা।' কবিদের সম্বন্ধে তার এ উচ্চ ধারনার ব্যত্যয় কোনদিন না ঘটুক, এই কামনাই করি।
তবে আপনার অভিজ্ঞতাগুলোও সত্য। এরকম গছিয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতা নিজ চোখে দেখেছি। এ ছাড়াও, মেলায় উপস্থিত থেকে দেখেছি, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, জাপান, এসব দেশের কিছু প্রবাসী বাঙালী একেকজন নিজের নামে একাধিক বই ছাপিয়ে সবান্ধবে, সোল্লাসে, অকাতরে, অত্যন্ত উদারভাবে তাদের বই অটোগ্রাফসহ 'বিতরণ' করেছেন, তবে 'গছিয়ে' দেন নি।

২৮ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩

করুণাধারা বলেছেন: আপনার আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথাতো ব্লগে হিট, সবার মত আমারও খুব ভালো লেগেছে সেটা পড়তে। তাই যারা বই-এ সেটা পড়বেন তাদেরও যে ভালো লাগবে তা বলাই যায়। আর আপনার কবিতার বইও নিশ্চয়ই সুখপাঠ্য হবে ভবিষ্যতে পড়ার আশা রাখি।
কেউ বই প্রকাশ করেন নিজের ভাবনাকে অন্যের মনে ছড়িয়ে দিতে, আবার কেউ বই প্রকাশ করেন নিজের নাম ছাপার অক্ষরে দেখবেন বলে- অযত্নে, তাড়াহুড়া করে লেখা। আপনি তো প্রথম দলের লেখক, আপনি কাউকে বই গছিয়ে দিতে পারেন না; গছান মানে ভার লাঘব, এটা দ্বিতীয় দলের লেখকেরা করে থাকেন।

নিশ্চিন্ত মনে লিখতে থাকুন, এবার আনায়ার জন্য। ওর কাছে পৌঁছে দেবার জন্য নিশ্চয়ই আপনার অনেক কথা জমা আছে।

ভালো থাকুন।

১৬| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

শিখা রহমান বলেছেন: ফেব্রুয়ারী মাস এলে মন খারাপ হয় বইমেলায় যেতে পারিনি বলে। একই সাথে শান্তি লাগে যে চেনা আধচেনা মানুষদের বই অনিচ্ছাস্বত্বেও কিনতে হচ্ছে না বলে।

আপনার পোষ্ট গুলো মাঝে মাঝে পড়া হলেও মন্তব্য করা হয় না সময়ের অভাবে। এই পোষ্টটা ভালো লেগেছে। আর পোষ্টটা পড়ে বুঝতে পেরেছি আপনি কে এবং আমাকে কিভাবে চেনেন।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা। হয়তোবা দেখা হতেও পারে।

২৮ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

করুণাধারা বলেছেন: তা তো বুঝতেই পারবে, তুমি বুদ্ধিমতি মাশা!

আমি ডোরা আপাকে একদিন ফোন করেছিলাম বলার জন্য, কিন্তু উনি খুব ব্যস্ত ছিলেন তাই আর বলা হয়নি। তারপর ভাবলাম তুমি আসলে একদিন যাবো, দেখাও হবে বলাও হবে। যাকগে, তার আগেই তুমি বুঝে গেছো আমি কে! ভালোই হলো।

ভালো থেকো, সবসময়।

১৭| ২৭ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

ভাসমান মাইন বলেছেন: চমৎকার লেখা--প্রচুর হাসলাম। আর আপনার ভাইদের বন্ধুভাগ্য তো বেশ ভালো :D

২৮ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

করুণাধারা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম, ভাসমান মাইন। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

ঠিকই বলেছেন ভাসমান মাইন, আমার ভাইদের বই ভাগ্য খুবই ভালো- ওরা প্রচুর বই উপহার পায় মানুষের থেকে।
আপনার ব্লগের একটি মন্তব্য রেখে আসছি, দেখে নেবেন।

ভালো থাকুন, সব সময়।

১৮| ০৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

নিয়াজ সুমন বলেছেন: বই গছানো অভ্যাস টা খুব খারাপ, হোক সেই তরুন কিংবা প্রবীণ, লেখা ভালো হলে বই গছাতে হয় না, পাঠক নিজেই বই খোঁজ করে পড়তে চাই।

০৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২০

করুণাধারা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম, নিয়াজ সুমন।

আসলে খাওয়া এবং পড়া, দুটাই নিজের পছন্দমত করার অধিকার থাকা উচিত। তাই বই গছানো একেবারেই ঠিক না, যত নতুন লেখক হয়ে থাকুন না কেন।

ভালো থাকুন, সবসময়।

১৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার লেখা যেমন মজাদার মন্তব্যগুলোও তেমনি। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সতের বছর আগে বই বেচে সাতাশ' শ টাকা পেয়েছিলেন এতে অনেক টাকা!
যতদূর মনে পড়ে, কোন এক বই মেলায় আপনার বইও প্রকাশিত হয়েছিল, রবীন্দ্রনাথের উপর কি? কেমন হলো তার বিক্রি?

আমি কিন্তু টাকার জন্য বই বিক্রি করিনি।
জ্বী বিকল্পহীণ রবীন্দ্রনাথ নামে আমার একটা গবেষনা ধর্মী বই বের হয়েছে। বইটা চলে নি। সব মিলিয়ে ৫২ কপি বিক্রি হয়েছিল।
এরপর টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা নামেও একটা গল্পগন্থ বের হয়েছে। এটা বিক্রি হয়েছিল ২৯ কপি।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২

করুণাধারা বলেছেন: আমি কিন্তু টাকার জন্য বই বিক্রি করিনি।

জেনে খুব ভাল লাগল। কিন্তু আপনার ব্লগ এত কম বিক্রি হবে কেন? সামুতে লেখা আপনার টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা পড়তে তো বেশ লাগে।

শুভকামনা।

২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার তো দেখি বই লেখা লাগবে B-))

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪

করুণাধারা বলেছেন: রাজীব নূরের অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়।

একটা বই বিক্রি হয়েছে ৫২ কপি, আরেকটা ২৯ কপি। :P

২১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৩৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: বেশ বিড়ম্বনাময় অভিজ্ঞতা। আমার ভাগ্য ভালো যে এমন অভিজ্ঞতায় আমি এখনো ঋদ্ধ হই নি। যেকোনো জিনিস গছিয়ে দেয়া বিরক্তির উৎপাদন করে। কয়েকদিন আগে আমার বাবা পড়েছেন এমন বিড়ম্বনায়।তিনি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলেন একটা কাজে। সেখানকার টাইপিস্ট বাবাকে তার বই গছিয়ে দিয়েছে।

০১ লা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:১৬

করুণাধারা বলেছেন: ইউনিয়ন পরিষদের টাইপিস্টের লেখা বই- খুব আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে। B-)

অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য অনেক ধন্যবাদ মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল। উত্তর দিতে দেরি হলো, আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.