নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা যারা ঢাকা শহরে বাস করছি প্রতিদিন নানা ঝঞ্ঝাট ঝামেলার পর ঘরে ফিরে নিশ্চিন্ত হই এই ভেবে- যাক আরেকটা দিন কাটল ভালোভাবে! আমরা কখনো ভাবতেই পারি না, এই নিরাপদ দিনের আড়ালে আমাদের সামনে একটা বড় বিপদ ঘাপটি মেরে আছে - আমরা জানিই না যে, অল্প অল্প করে আমাদের পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে!
এই মাটি সরে যাওয়া, যাকে ইংরেজিতে বলে subsidence, তা হচ্ছে ভৌগলিক আর মানব সৃষ্ট- এই দুই কারণে। দুটো টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে আমাদের দেশের অবস্থিতির কারনে প্রতিবছর ভূমির ৩.৫ মি. মি. অধোগমন (subsidence) হচ্ছে। ঢাবির ভূগোল বিভাগের এক পর্যবেক্ষণে (https://www.thedailystar.net/news-detail-217458) দেখা গেছে, ঢাকার ভূমি (land mass) প্রতিবছর আধোগমন হচ্ছে ১৩.৯১ মি. মি.। এই যে বাড়তি ১০.৪১ মি. মি. সাবসিডেন্স, এটা হচ্ছে ঢাকার শহরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে। ভূগর্ভস্থ পানি বিপুল পরিমাণে প্রতিদিন তোলা হচ্ছে তার কারণ ঢাকার বিপুল জনসংখ্যা। ঢাকার আয়তন চারশো পঞ্চাশ বর্গ কিলোমিটারেরও কম, অথচ এই নগরে বাস করে প্রায় দুই কোটি মানুষ, প্রতিবছর আরো প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ বাড়ছে, সুতরাং এই বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য পানির প্রয়োজন কেবলই বেড়ে চলছে। ঢাকার পানি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে ঢাকা ওয়াসা। পানির চাহিদা মেটাতে ওয়াসা সবচাইতে সহজ পথটি বেছে নিয়েছে, তারা ক্রমাগত মাটির নিচের পানি ঢাকাবাসীর ব্যবহারের জন্য উত্তোলন করে চলেছে। এভাবে বেহিসেবি পানি তোলার ফলে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে, বছরে তিন মিটার বা দশ ফিট করে- আশির দশকে এই হার ছিল বছরে এক ফুট। পানি তুলতে তুলতে অনাবদ্ধ একুইফারের শতকরা ৮০-৯০ ভাগ পানি শেষ হয়ে যাবার পর ওয়াসা হাত বাড়িয়েছে আবদ্ধ একুইফারের দিকে, ঢাকার ৭০টি পয়েন্টে তারা এখন আবদ্ধ একুইফার থেকে পানি তুলছে। এই কর্মকান্ড ঢাকাবাসীর জন্য বিপদ বয়ে আনতে পারে, এটা জেনেও তারা একাজ করছে
https://www.thedailystar.net/news-detail-83387
অনাবদ্ধ একুইফারে বৃষ্টির পানি বা জলাভূমির পানি ঢুকতে পারে, ফলে এরকম একুইফার থেকে যে পানি উত্তোলিত হয় তা আবার পূরণ (recharge) হতে পারে। আবদ্ধ একুইফার রিচার্জ হয় দূরের কোন জলাশয়ের পানি দিয়ে, বা বৃষ্টির পানি দিয়ে, যদি সেখানে অভেদ্য স্তর না থাকে। যখন নলকূপ দিয়ে পানি বের করে নেয়া হয় তখন একুইফারের মাটির ভিতরের সূক্ষ্ম রন্ধ্র থেকে পানি বেরিয়ে তা বাতাসে পূর্ণ হয়, ফলে মাটির স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়, আস্তে আস্তে
মাটি দেবে যেতে থাকে।
এখন যখন ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর বছরে তিন মিটার করে নামছে তখন কিন্তু ভূগর্ভে পানি রিচার্জ হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় খুব, খুব কম। কারণ রিচার্জ হতে পারতো তিন ভাবে-
১) বৃষ্টির পানি দিয়ে।
২) ঢাকার চারপাশ দিয়ে বয়ে চলা নদী বুড়িগঙ্গা তুরাগ বালু শীতলক্ষ্যা এই চার নদী, ঢাকা শহরের লেক, খাল ইত্যাদি দিয়ে ।
৩) ঢাকা ও এর আশেপাশের জলাধার ও বন্যাপ্রবাহ এলাকার মাধ্যমে।
রিচার্জ হতে পারত, কিন্তু তা হচ্ছে না। বৃষ্টির পানি চুইয়ে মাটিতে ঢোকার মতো খোলা জায়গা ঢাকাতে খুবই অল্প আছে। খোলা জায়গা ঢেকে অপরিকল্পিতভাবে কেবলই দালানকোঠা তোলা হচ্ছে। দুটি বাড়ির মধ্যে কয়েক ফিট ঘাসওয়ালা জমি দেখা গেলেও সেখান থেকে পানি চুইয়ে ঢোকা সম্ভব নয়, কারণ এর নীচে থাকে বাড়ির ফাউন্ডেশনের অভেদ্য স্তর। ফলে বৃষ্টির পানি মাটিতে না ঢুকতে পেরে জমা হতে থাকে। এই পানি বৃষ্টির পানি যাবার নালা দিয়ে নিকটস্থ খাল, লেক বা জলাভূমিতে গিয়ে পড়ার কথা, কিন্তু পড়ে না কারণ এখন অধিকাংশ স্টর্ম সোয়ার ড্রেন আবর্জনা দিয়ে বন্ধ থাকে। আবার খাল, লেক বা নদীর অধিকাংশই ভরাট হয়ে গেছে, তাই বৃষ্টির পানি এগুলোতেও যেতে পারেনা। তাই গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তা ঘাটে পানি জমে যাচ্ছে। এই পানি পরে পয়োনিষ্কাশন নালা দিয়ে নিষ্কাশন করা হয়। তাই বৃষ্টির পানি ভূমিতে ফিরে যেতে পারে না, ভূমিতে পানির রিচার্জও হয় না। অথচ ভূগর্ভস্থ পানি যাতে ঠিকমতো রিচার্জ হতে পারে সেজন্য আমাদের আছে জলাভূমি সংরক্ষণ আইন। এই আইন বলে, ঢাকার ভূমির দশ থেকে তের শতাংশ ভূমিতে জলাধার থাকা উচিত, কিন্তু আছে মাত্র চার শতাংশ।
জলাধার সংরক্ষণ আইন করার পাশাপাশি ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছিল যাতে ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমির শ্রেণী বিভাগ করা যায়, আবাসিক কৃষি, শিল্পাঞ্চল এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ জলাধার ও বন্যাপ্রবাহ এলাকা হিসেবে। জলাধার সংরক্ষণ আইন ও ড্যাপ কার্যকর হলে বর্ষাকালে বাড়তি পানি প্রথমে বন্যাপ্রবাহ এলাকায় ও সেখান থেকে নদীতে যাবার কথা, সেখান থেকে ভূগর্ভস্থ পানিস্তরে। কিন্তু জলাধার ও বন্যাপ্রবাহ এলাকা ভরাট করে ব্যাপকভাবে আবাসিক ভূমি তৈরি হচ্ছে, ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে পানি রয়েই যাচ্ছে, ভূমিতে রিচার্জ হচ্ছে না। পানি রিচার্জ না হলেও ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বেড়েই চলেছে। ২০০৯ সালে ঢাকায় ওয়াসা পানি তুলত ৪৮২টি গভীর নলকূপ দিয়ে, নয় বছর পর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১৯টিতে। Click This Link অথচ ভূমিধস ও ভূমিকম্পের কথা বিবেচনা করে পরিকল্পনা করা হয়েছিল ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার ৮৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশে নামানো হবে আর বাকি পানির চাহিদা মেটানো হবে নদীর পানি শোধন করে। এজন্য সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার এর দ্বিতীয় পর্ব চালু হলেও, সেটা চাহিদা মেটাতে পারে মাত্র ২২ শতাংশের। আসলে নদীর পানি এতোটাই দূষিত যে তা শোধন করে খাবার উপযোগী করাটা দুষ্কর।
এই পানি কে খাবার উপযোগী করা কি সোজা কথা?
তাই নদীর পানি শোধন করার চিন্তা বাদ দিয়ে আরো ১০০০ অবৈধ গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। https://www.thedailystar.net/news-detail-83387 ঢাকা শহরে অনেক বহুতল ভবন আর প্রাইভেট হাসপাতালেই অবৈধ গভীর নলকূপ আছে। এত এত গভীর নলকূপ এর কারনে ঢাকা শহরে এখন আর আগের মতো পানি সমস্যা হয়না কিন্তু মাটির গভীরে যে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে তাতো আমরা দেখতে পাচ্ছি না! Study on groundwater depletion and land subsidence in Dhaka city শিরোনামে বুয়েটের এক পেপারে বলা হয়েছে, 'ঢাকার কোন কোন এলাকায় subsidence ৪.৯ সে. মি. পর্যন্ত।
এর ফলে ধস নামলে তাতে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি পারে। তাই প্রয়োজন জরুরি ভিত্তিতে নীতিমালা প্রণয়নের যেন ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়িয়ে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানো হয় এবং বৃষ্টির পানি যাতে ভূমিতে ফিরে যেতে পারে সেই মতো ব্যবস্থাদি নেওয়া।' Click This Link
মাটির অধোগমনের হার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনেক বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হয়। এই বিপদ এড়াতে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করা কমাতে হবে। তার জন্য দরকার:
১)ঢাকা ঘিরে রাখা চার নদীর পানির দূষণ কমানোর ব্যবস্থা করা, যেন সহজে শোধন করে এই পানি ব্যবহারযোগ্য করা যায়।
২)নদী ও খাল দখলমুক্ত করা এবং ভালোভাবে খনন করা।
৩)জলাধার ভরাট করার অনুমতি আর না দেয়া, (২৩ এপ্রিল,২০১৮র প্রথম আলোয় দেখা যায়, কয়েকদিন আগে ৩৪টি জলাধার ভরাটের অনুমতি দেয়া হয়েছে) এবং ভরাট হয়ে যাওয়া জলাধার কে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়া।
৪)বৃষ্টির পানি যাবার নালাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা, যাতে এই নালা দিয়ে পানি জলাশয়ে পৌঁছাতে পারে।
৫)বাড়ির ডিজাইনে বাধ্যতামূলকভাবে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থা (rainwater harvesting) রাখা।
কাজগুলো করা কঠিন নয়, কঠিন হচ্ছে অর্থের লোভ দমন করে ভালো কাজ করা!
ভূমিধস ছাড়াও আরেক বিপদ ঘাপটি মেরে আছে- একে বলে ভূগর্ভস্থ পানিতে লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কমতে কমতে যদি গড় সমুদ্রতলের নিচে চলে যায়, তবে সমুদ্রের পানি মিলিত হবে ভূগর্ভস্থ পানির সাথে, তখন ভূগর্ভস্থ পানি লবনাক্ত হতে থাকবে। সারাদেশেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কমে যাচ্ছে- কারণ অব্যাহতভাবে গভীর নলকূপ বসানো চলছে সারাদেশে। পদ্মা, তিস্তাসহ চুয়ান্নটি অভিন্ন নদীর উজানে ভারত বাঁধ নির্মাণ করায় এদেশের অনেক নদীর পানি প্রবাহ কমে গেছে আর নদী দখলের ফলে অনেক নদী মরে গেছে। সুতরাং পানীয় আর কৃষিকাজের জন্য প্রয়োজনীয় পানি পেতে এখন গভীর নলকূপই ভরসা, সারা দেশে এখন প্রায় ৫০ লাখ গভীর নলকূপ পানি তুলে চলেছে। Click This Link তাই ঢাকার মত এত দ্রুত না হলেও সারা দেশেরই পানি স্তর নামছে, আমাদের খাদ্য-উৎপাদন,পরিবেশ,জনস্বাস্থ্য সমস্ত কিছুই বিপদের মুখে আছে, আমরা জানতে পারছি না।
অপরিণামদর্শিভাবে ভূগর্ভের পানি তোলা যদি বন্ধ না হয় তবে বিপদ একদিন আসবেই, যেমন এসেছিল মেক্সিকোর মেক্সিকো সিটি, আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডার অনেক অঞ্চল আর আফ্রিকার অনেক দেশে। ভূগর্ভস্থ পানি তোলার ফলে এসব অঞ্চল দেবে গিয়েছিল।
এই ছবিতে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কৃষিজমি দেখানো হচ্ছে। কৃষিকাজের জন্য এখানে বিপুল পরিমাণ ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করার ফলে ভূমি ক্রমশ দেবে গেছে। খুঁটিতে তিনটি বছর লেখা সাইনবোর্ড আছে। এই সাইনবোর্ড গুলি ওই বছরগুলিতে ওই জায়গায় ভূমির উচ্চতা নির্দেশ করছে।
আশাকরি ঢাকায় এমন বিপদ আসতেই দেবেন না আমাদের সুদক্ষ কর্তৃপক্ষ!!
০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: আসলে সমস্যাটা চোখে দেখা যাচ্ছে না, যেমন দেখা যায় বাজারদরের বৃদ্ধি, যানজট, জলাবদ্ধতা ইত্যাদি। কিন্তু এটা নিয়ে প্রায়ই পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়, এরপর সবাই ভুলে যায়। কিন্তু, অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?
যাহোক, যেমন প্রলয় নেমে এলে আশাকরি সহব্লগারদের স্মরণ করবেন, দুঃখ ভরে। আর আপনি থাকুন নিরাপদে, বহুদূরে, শুভকামনা।
২| ০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭
শাহ আজিজ বলেছেন: কদিন আগে ভুমির নিচে মহাদেশীয় ফাটল দেখালে আশ্চর্য হয়ে দেখলাম সিলেট - ময়মনসিংহ - ঢাকা - ফরিদপুর থেকে সুন্দরবন অবধি একটি ফাটল পাওয়া গেছে । বছর দুয়েক আগে হাল্কা ভুমিকম্পের পর উৎস খুজতে বা এপিসেন্টার পাওয়া গেল নবাবগঞ্জ এলাকায় । চোখ কপালে উঠল । গেল সপ্তাহে এর পূর্ণ মানচিত্র পাওয়া গেল । এখন আমরা আপনার বর্ণিত সমস্যার সাথে ৮ মাত্রার ভুমিকম্পের ফাটলের উপর বসে । নদীর পানি ব্যাবস্থাপনা নিয়ে আগেও আলাপ হয়েছে বিশেষ করে ৭/৮ এর সেনা সমর্থিত সরকারের সময় । ৭৬ সালে ঢাকায় পড়তে আসা আমি দেখতাম আমিন বাজার এলাকায় নদী ও খালের সমাহার যার ওপর বিদঘুটে আকারের সিমেন্ট ব্রিজ বেশ দর্শনীয় ছিল । সেই বিপুল পরিমান খাল / ছোট নদীর জায়গা আর খুজে পাওয়া যায় না। একমাত্র সাভারে তার অস্তিত্ব আছে কিন্তু তা বুড়িগঙ্গায় আসার সকল পথ রুদ্ধ করেছে । এই পানির ধারা যা মানিকগঞ্জ থেকে আসত তা ওই সময় দেখা টলটলে পানির বুড়িগঙ্গা গোটা ঢাকা শহরের পানির সমস্যা সমাধান করত । জানতে ইচ্ছে করে সাভার থেকে আমিনবাজার হয়ে গাবতলি পর্যন্ত খাল/ জলাশয় কে বা কারা দখলের অনুমতি দিলো তাও প্রবাহমানতা রুদ্ধ করে? যতই এরিয়া প্লান হোক কোন কাজেই দেবেনা তা এক দুর্নীতিতে নিমজ্জমান প্রশাসন আর রাজনিতিক দুর্বৃত্ত দের যৌথ অপরাধের খেলায় । ঢাকা শহরের দালান গুলো তৈরি হয় আল্লার ওয়াস্তে । মাত্র ১২ ফিট গভীর থেকে ৬ তালার প্লান নিয়ে করেছে ৯ তালা। পেছনে স্থানীয় এম পি । এই ঝুঁকিপূর্ণ দালান মানুষ কিনছে কোটি টাকা দিয়ে ফাপা ভুমি আর ইউরোশিয়ার সংযোগ ফাটলের ওপর ঘুমিয়ে থেকে । আমি আপাত দৃষ্টিতে এর কোন সমাধান দেখিনা এই নির্বোধ সরকারগুলোর উদাসীনতায় । ধন্যবাদ জনকল্যাণমূলক নির্দেশিত লেখার জন্য।
০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:০৮
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনি যে ফাটলের কথা বলছেন তা জানা ছিলনা, জানার পর মনে হচ্ছে যেন আমরা এক ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির চূড়ায় উঠে বসে আছি- নিশ্চিন্ত মনে!
যে যেভাবে পারে অর্থ লুট করছে, তাই ক্ষতি ও বিপদের সম্ভাবনার কথা জেনেও জলাভূমি ভরাট করার অনুমতি দিচ্ছে। হয়তো এই অনুমতি দেবার বিনিময়ে কানাডায় তাদের একটি প্রাসাদ তৈরী হয়ে যাবে। ঢাকার শহর নিয়ে দায়িত্ববান কর্তৃপক্ষ যারা অর্থাৎ ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা সিটি করপোরেশন, এবং রাজউক- প্রতিটি একেকটি দুর্নীতির আখড়া। শহরের উন্নয়নের বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা এরা করেন না। আজকের প্রথম আলোয় দেখলাম, ওয়াসার এমডি বলেছেন বলেছেন তারা ড্রেন পরিষ্কার করেন না কারণ করলেই আবার আবর্জনা জমে যায়!!
আমার মনে আছে, গাবতলি থেকে সাভার পর্যন্ত এত জলাশয় ছিল যে আমার পরিচিত একজন আশির দশকে সাভারে জমি না কিনে টঙ্গীতে জমি কেনেন, কারণ তার যুক্তি ছিল এই জলাশয় পেরিয়ে আগে কক্ষনোই locality গড়ে উঠবে না। কোথায় আজ জলাশয়! আমাদের দেশে এতো পানি সম্পদ আছে, এত বৃষ্টিপাত হয়, কিন্তু তার কিছুই আমরা কাজে লাগাইনি।
নাহ, আমিও কোন সমাধান দেখি না। অনুরোধ করছি, ঘাপটি মারা বিপদ-১ পড়ার জন্য। Click This Link
৩| ০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: আগামী ৫০ বছরের মধ্যে ঢাকা ডেবে যাবে। ডেবে যাওয়া শুরু করবে মতিঝিল থেকে।
০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:১৩
করুণাধারা বলেছেন: শুনেছি নৌকায় করে মাটি নিয়ে মাটি ফেলে ফেলে মতিঝিল ভরাট করা হয়েছিল। তাই মতিঝিলের ভূমি মোটেও ভালো নয়- বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে সব উচু বিল্ডিং।
ধন্যবাদ রাজীব নুর, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৪| ০৩ রা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। মাত্রাতিরিক্ত পানি উত্তোলন এবং সেগুলো পুনরায় পানির প্রবেশের মাধ্যমে পূরণ না হলে তা বিপদ ডেকে আনতে পারে ।
০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:১৭
করুণাধারা বলেছেন: আমার পোষ্টে আপনার মন্তব্য দেখার আগেই আমি সালমানের ছবি দেখছিলাম আর ভাবছিলাম এই নিস্পাপ শিশুদের জন্য আমরা কি দেশ রেখে যাচ্ছি!
যা করছি, তাকে groundwater abuse বলা যেতে পারে। এ পাপের ফল কখনও ভাল হতে পারে না।
৫| ০৩ রা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭
দয়িতা সরকার বলেছেন: সত্যই খুবই চিন্তার বিষয়। সরকার গুলো শুধু নিজেদের নিয়েই ভাবে , দীর্ঘ মেয়াদী কোন প্লান নেই । একটাই চিন্তা কিভাবে ৪১ পর্যন্ত ক্ষমতার থাকা যাবে আর নিজেরাই বলবে দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে।
০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:২৩
করুণাধারা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম, সালু সরকার।
দায়িত্ববানেরা যখন দায়িত্ব পালন করে না তখন আমাদের আমজনতার জন্য দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিইবা থাকতে পারে!! নিজেদের বিদেশবাসের ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করে দেশটাকে তলানোর ব্যবস্থা করছেন তারা।
ভালো থাকুন।
৬| ০৩ রা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮
প্রামানিক বলেছেন: এতটুকু খালি জায়গা নাই ঢাকায় বৃষ্টির চুষবে কিসে? সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:২৯
করুণাধারা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। ঢাকায় কেবল রাস্তা আর বাড়িঘর, খোলা মাঠ কোথায়? বাড়িঘরের ফাঁকে ফাঁকে দুয়েক হাত জমি দেখা যায়, কিন্তু সেই জমির নিচেই আছে ফাউন্ডেশনের কঠিন স্তর। দুঃখ হয়, বৃষ্টির পানির এই অপচয় দেখে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্রামানিক। ভালো থাকুন, সবসময়।
৭| ০৩ রা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯
প্রামানিক বলেছেন: এতটুকু খালি জায়গা নাই ঢাকায় বৃষ্টির পানি চুষে নিবে কিসে? সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: আমাদের এত খাল নদী জলাশয় ছিল, কোথায় গেল সব? সাগরের পানিকেও desalination করে খাবার উপযোগী করা যায়। এত বৃষ্টি হয় আমাদের দেশে, সেই পানিটাও যদি ব্যবহার করা যেত তবে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা অনেকটা কমে যেতো। কিছু করা হয় না, দায়িত্ববানদের এসব ভাবার সময় কই!!
৮| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আতঙ্কজনক হলেও সময়োপযোগী পোস্ট। ধন্যবাদ করুণাধারা।
০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:৪২
করুণাধারা বলেছেন: জানি, এসব লেখা অর্থহীন, তবু লিখি। আশা রাখি, যা আশঙ্কা করছি তার কিছুই ঘটবে না।
আপনাকেও ধন্যবাদ, আমার ব্লগে পদার্পণের জন্য। ব্লগে আপনি আজকাল খুবই অনিয়মিত- নাতনির নিষেধ আছে নাকি ব্লগে সময় কাটাবার বিষয়ে?
৯| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৮
শাহিন বিন রফিক বলেছেন:
ঢাকার মূল সমস্যা মনে হয়- অতিরিক্ত জনসংখ্যা, এখনো প্রতিদিন হাজার হাজার লোক ঢাকামূখী হচ্ছে।
ঢাকার উপর নির্ভর কমিয়ে, প্রশাসন বিন্যাস করে বিভিন্ন বিভাগে সেগুলো করলে ঢাকার উপর অনেক চাপ কমবে।
০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: হ্যা, জনসংখ্যার ঢাকার একটা বড় সমস্যা। এই সমস্যার কারণেই ঢাকা দিনে দিনে অচল হয়ে যাচ্ছে। বিকেন্দ্রীকরণ না করলে অবস্থার কোন উন্নতি হবে না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, শাহিন বিন রফিক। ভালো থাকুন।
১০| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:২২
সৈয়দ তাজুল বলেছেন: ঢাকার ভেতর আজাইরা সামরিক বাহিনীর এতো মোডামোডা অফিস।বানাই রাখছে। এগুলোরে শহরের বাহিরে নিয়ে যেতে পারতো। আর কিছু কল কারখানাকেও পারতো বাহিরে নিতে। এছাড়াও অনেক সমস্যা আছে।
আপনার লেখায় উত্তাপিত সমস্যাগুলো আসলেই মারাত্মক আশঙ্কাজনক। যদি সরকারের প্রশাসনের একটু অদৃষ্টিগোচর হয়!
০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:০৭
করুণাধারা বলেছেন: সৈয়দ তাজুল, ঢাকার যানজট কিংবা নগর পরিকল্পনা প্রধান বাধা কোথায় সেটা আমরা সবাই জানি, কিন্তু আমরা সে কথা মনে মনে বলি। আপনি ব্লগে সেটা সজোরে বলছেন!! সাবধান! সব ধারা কিন্তু করুণাধারা নয়।
আমার লেখা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হবে না। প্রশাসন দেশের কথা ভাবে না, মালয়েশিয়া ও কানাডাকে দেশ বানানোর কথা ভাবে।
ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন নিরাপদে থাকুন, ভালো থাকুন।
১১| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: করুণাধারা,
আপনার লিখা খুব ভালো লেগেছে। সম্পদ ব্যবস্থপনা সম্পর্কিত যে কোন পোষ্টই মন ছুঁয়ে যায়!
ভূগর্ভস্ত পানির অতি ব্যবহার, অশোধন যোগ্য সারফেইস ওয়াটার, একুইফার ওয়াটার নির্বিচারে ব্যবহার,ভূমির দেবে যাওয়া এবং ভুকম্প ঝুঁকি ইত্যাদি নিয়ে অত্যন্ত রিচ কন্টেন্টে লিখেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই কন্টেক্সট গুলোতে আমার কিছু লিখা আছে, সময় পেলে দেখতে পারে-
পানির জন্য নাগরিক ভাবনাঃ বাঁচার জন্য পানি ব্যবস্থাপনা, পানির জন্য অবিরত সংগ্রাম!
সামু পোষ্ট-
পানির জন্য নাগরিক ভাবনাঃ বাঁচার জন্য পানি ব্যবস্থাপনা, পানির জন্য অবিরত সংগ্রাম!
http://www.somewhereinblog.net/blog/fateee/30189978
২। আরবান রান অফ কমানঃ রাজধানীর ভূমিতে ওয়াটার ফিল্ট্রেশন বাড়াতে ঢাকার লেইক গুলোকে সংযুক্ত করুন!
৩। ভূমিকম্প প্রস্তুতির কারিগরি ও প্রশাসনিক দিক সমূহ!
ভালো থাকবেন, নিরন্তর! এই দোয়া করি!
০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:১৮
করুণাধারা বলেছেন: আমি আপনার সকল পোষ্টের একনিষ্ঠ পাঠক, যদিও সব সময় মন্তব্য করা হয় না নানা অসুবিধার কারণে। আমার লেখা আপনার ভালো লেগেছে, আপনার এই মন্তব্যে তাই অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য পাবার সাথে যেতে আমি লিংকগুলো পড়তে চেষ্টা করেছি, কিন্তু প্রথমদুটো পড়তে পারিনি। শেষটা আগেই পড়েছিলাম, আরেকবার পড়লাম। আপনার সুলিখিত পোস্টগুলো বারবার পড়ার মত।
আপনার জন্যও দোয়া রইল, ভালো থাকুন সবসময়।
১২| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রায় সব দিক থেকে ই ঢাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে দেখছি
০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:২৭
করুণাধারা বলেছেন: ঠিক বলেছেন মনিরা সুলতানা, ঢাকা দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। যে পথ আমি হেটে যেতে পারি ২০ মিনিটে, সেই পথ গাড়িতে যেতে লাগে এক ঘন্টা। ইদানিং আমি হাটা শুরু করেছি কিন্তু কোথায় হাটবো! ফুটপাত নেই রাস্তা দীর্ঘদিন থেকে খুড়ে রেখেছে, শীতে প্রচন্ড ধূলা,বর্ষায় রাস্তায় পানি। জানিনা কোনদিন এ থেকে মুক্তি পাব কিনা!!
ভালো থাকুন, শুভকামনা।
১৩| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:০৬
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: করুণাধারা,
আপনার লিখা খুব ভালো লেগেছে। সম্পদ ব্যবস্থপনা সম্পর্কিত যে কোন পোষ্টই মন ছুঁয়ে যায়!
ভূগর্ভস্ত পানির অতি ব্যবহার, অশোধন যোগ্য সারফেইস ওয়াটার, একুইফার ওয়াটার নির্বিচারে ব্যবহার,ভূমির দেবে যাওয়া এবং ভুকম্প ঝুঁকি ইত্যাদি নিয়ে অত্যন্ত রিচ কন্টেন্টে লিখেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই কন্টেক্সট গুলোতে আমার কিছু লিখা আছে, সময় পেলে দেখতে পারেন-
১। পানির জন্য নাগরিক ভাবনাঃ বাঁচার জন্য পানি ব্যবস্থাপনা, পানির জন্য অবিরত সংগ্রাম!
১ম ভার্শন, Click This Link
২। আরবান রান অফ কমানঃ রাজধানীর ভূমিতে ওয়াটার ফিল্ট্রেশন বাড়াতে ঢাকার লেইক গুলোকে সংযুক্ত করুন
https://www.facebook.com/notes/ফাইজ়-তাইয়েব-আহমেদ/আরবান-রান-অফ-কমানঃ-রাজধানীর-ভূমিতে-ওয়াটার-ফিল্ট্রেশন-বাড়াতে-ঢাকার-লেইক-গুলোকে-সং/1903815399661118/
(লিখাটা পুরোপুরি শেষ করতে পারিনি, ফলে পত্রিকায় পাঠানো হয়নি বা ব্লগেও আনা হয়নি)
৩। ভূমিকম্প প্রস্তুতির কারিগরি ও প্রশাসনিক দিক সমূহ!
৪। পানি ব্যবস্থাপনা ও বাঁধ নির্মাণের অস্থায়িত্বশীল দিকগুলো
ভালো থাকবেন, নিরন্তর! এই দোয়া করি!
০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: শুধু বণিক বার্তার লিংকটা কাজ করছে না, এক নজর চোখ বুলিয়ে পরে পড়বো বলে রেখে দিতে হলো।
আগেই বলেছি আমি আপনার লেখার একনিষ্ঠ পাঠক। একসাথে এতগুলো লেখার লিংক দেয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি একে একে সব পোস্ট পড়ব।
আপনার জন্য আমার দোয়া, ভালো থাকুন সবসময়।
১৪| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভয়ংকর ঘটনা!!!!!
অথচ কি নিশ্চিন্তে আমরা বহুতল বানিয়েই যাচ্ছি!
আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন
০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: সত্যি ভয়ঙ্কর ঘটনা ভৃগু। আমরা সাধারণ মানুষেরা না হয়েই বিপদের কথা না জানতে পারি, কিন্তু নীতিনির্ধারকরা তো জানেন। তারা কি করে কোটি কোটি মানুষকে বিপদে ফেলার ব্যবস্থা করে নিশ্চিন্তে ঘুমান! আজকের পত্রিকায় পড়লাম জলাবদ্ধতার কারণ যে আবর্জনা জমার কারণে ড্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়া- সেটা ইচ্ছে করে সৃষ্টি করা হয়। কারণ এরফলে নতুন করে বরাদ্দ পাওয়া যায়!!
আল্লাহ ছাড়া আর কার কাছেই বা এখনো সাহায্য চাইব! তিনি যেন আমাদের সময় সবাইকে নিরাপদে রাখেন।
ভালো থাকুন, বিদ্রোহী ভৃগু।
১৫| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:২৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: Click This Link
আরবান রান অফ কমানঃ রাজধানীর ভূমিতে ওয়াটার ফিল্ট্রেশন বাড়াতে ঢাকার লেইক গুলোকে সংযুক্ত করুন!
নোট দেখা না গেলে, কমেন্ট মুছে দিন প্লিজ!
০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: আরেকবার ধন্যবাদ, এটা দেখতে পেরেছি। ইনশাআল্লাহ, আগামীকাল পড়ব।
মন্তব্য মোছার দরকার নেই, আমি নোট দেখতে পাচ্ছি।
ভালো থাকুন, এক নিরুদ্দেশ পথিক।
১৬| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৪১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: গত কয়েক বছরই এ ব্যপারে রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে। যদিও ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন কমানোর ব্যপারে সরকারের কোন উদ্যোগ এখনো চোখে পড়েনি। হয়তো শেষ মুহূর্তে কোন একটা বিকল্প বের করবে! যেমন আমাদের রাস্তার কাজ করা হয় কোন বিকল্প রাস্তা না রেখে...
০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: বিকল্প পথ অনেক আছে। আমাদের সমুদ্রের পানি desalination করে ব্যবহারযোগ্য করা যায়, যেমন মধ্যপ্রাচ্যে করছে। আমাদের দেশে যে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয় সেই পানিটাও harvesting করা যায়। অনেক কিছুই করা যায়, সদিচ্ছা থাকলে।
হ্যাঁ, আমি এখানে নতুন কিছুই বলিনি, বিভিন্নজনের লেখা পড়ে কিছুটা কপি-পেস্ট ধরনের পোস্ট দিয়েছি। তবে নিয়তে বরকত, আমার নিয়ত ছিল ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার সম্পর্কে জানানো। কারণ আমি ঢাকার অনেক বহুতল ভবনে দেখেছি deep tubewell দিয়ে পানি তোলে। শুনেছি ওয়াসাকে মাসে মাসে কিছু টাকা দিলেই ডিপ টিউবওয়েল বসানো যায়। এমন হওয়া উচিত ছিল না।
ভালো থাকুন, শুভকামনা।
১৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ৩:১১
সিসৃক্ষু বলেছেন: কাজগুলো করা কঠিন নয়, কঠিন হচ্ছে অর্থের লোভ দমন করে ভালো কাজ করা! এই কথাটাই সবচেয়ে দারুন কথা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ছবিটার কথাটা বিশ্বাস হয়? অত উঁচু ছিল জমিটা?
০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৯:২১
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ সিসৃক্ষু, মন্তব্যের জন্য।
এই ছবিটা নিয়ে আমারও সন্দেহ হয়েছিল, কিন্তু যে প্রবন্ধে ছবিটা দেয়া হয়েছে সেই প্রবন্ধকে নির্ভরযোগ্য মনে হয়েছে, তাই আমিও ছবিটা দিয়েছিলাম। এই যে লিঙ্ক প্রবন্ধের: Click This Link
ভালো থাকুন, সিসৃক্ষু।
১৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৫
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার লেখা আর শাহ আজিজভায়ের কমেন্টে যা জানলাম তাতে রিতীমত ভয় জাগলো। এসব নিয়ে যথাযত মানুষদেরকে ব্যাবস্থা নিতে হবে অতি শিঘ্রী। আর নিজেদের কি করার আছে সেটাও ভাবনার বিষয়।
০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯
করুণাধারা বলেছেন: না, তেমন ভয়ের কিছু নেই রাজকন্যা। ভূমিকম্পকে আটকানোর ক্ষমতা কারো নেই, সেটা যেকোনো সময়ই আসতে পারে। কিন্তু land subsidence ঠেকানো যেতে পারে যদি ভূ-গর্ভস্থ পানিতে রিচার্জ করা যায়। আশা করব কর্তৃপক্ষ সচেতন হবেন এই বিপদ সম্পর্কে।
১৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১১
এজাজ ফারিয়া বলেছেন: অবস্থা বেগতিক, তবুও ভালোবাসি ঢাকাকে
০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২
করুণাধারা বলেছেন: আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ, এজাজ ফারিয়া।
অবস্থা বেগতিক ঠিকই, তবুও আমরা আশান্বিত। কারণ সেটাই, আমরা ঢাকাকে ভালবাসি, ঢাকাতেই থাকতে চাই।
২০| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০২
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ঘাপটি মারা বিপদ সিরিজটি খুব ভালো হচ্ছে, কন্টিনিউ করবেন প্লিজ।
০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১১
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আমি অনুপ্রেরণা পেলাম। আমি চেষ্টা করব আরও লেখার, ইনশাল্লাহ।
২১| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঢাকা একটি বিপজ্জনক শহর। আমরা এটাকে নিয়ে শঙ্কিত।
০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: ঢাকা এক বিপজ্জনক শহর। এখানে ঘর থেকে বের হলে ঘরে ফেরার নিশ্চয়তা থাকে না।
অবশ্য আমি যে সমস্যার কথা বলেছি, সদিচ্ছা থাকলে তার সমাধান সম্ভব। কিন্তু যারা সমাধান করতে পারতেন, তাদের সদিচ্ছার বড় অভাব। কারণ তাদের অর্থলোভ বড় বেশি!!
২২| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ৯:৪১
শাহজাহান মুনির বলেছেন: ভাই মনে ভয় ধরাইয়া দিছেন কিন্তু! এমনিতেই কতশত ঝামেলা চারিদিকে। লেখা অনেক ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ।
০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: এমন প্রশংসা করে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ, শাহজাহান মুনির। আমি কিন্তু মনে ভয় ধরাতে চাইনি, আমরা তো সেই মহাবীর জাতি যে জাতি প্রতিদিন বিষাক্ত খাবার, বিষাক্ত বাতাস খেয়ে, হজম করে দিব্যি বেঁচে আছি। অতএব মনে সাহস রাখুন।
ভালো থাকুন, সবার মতো, সব সময়।
২৩| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:১৬
সোহানী বলেছেন: ও মাই গড....... আমরাতো দেখি চারপাশ থেকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। কেউ কি নেই একটু হলে ও এ নিয়ে মাথা ঘামাবে!!!
যার যেমন খুশি চলছে দেশ, কোন প্লান নেই, কোন দায়িত্ব নেই, কোন চিন্তা নেই, যেন চলছে তো চলছেই........................
চমৎকার লেখনিতে ভালোলাগা আর ভয় ধরিয়ে দেবার জন্য
০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: ও মাই গড..........ধ্বংস কোথায়? আমরা তো মহাউন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি ।
উন্নয়নের কাহিনী শুনে চোখে, কানে ধাঁধা ঝিঁঝি সব লেগে যাচ্ছে। কদিন আগে শুনলাম আজকাল গ্রামে-গঞ্জে এক নতুন পেশার উদ্ভব হয়েছে- কেমিক্যাল স্প্রে করার পেশা! এখন ধনেপাতা থেকে শুরু করে কাঁঠাল পর্যন্ত সমস্ত কিছুতে ওষুধ স্প্রে করার কাজটা একটা পেশা। তার মানে শুধু ফরমালিন নয়, অনেক কীটনাশকও আমরা নিয়মিত খাচ্ছি- এসব খেয়েইতো বেঁচে আছি! যেহেতু এসব নিয়ে ভাবার কেউ নেই, দেখার কেউ নেই, আমাদের এরই মধ্যে বেঁচে থাকতে হবে। হঠাৎ হয়ত কখনও দেখব একটি ম্যালিগনেন্ট টিউমার হয়েছে পেটে কিংবা বাড়ি দেবে গেছে! ভয় পেয়ে কিংবা ভেবে কোন লাভ নেই
এই ভয় ধরানো লেখা ভালো লাগলো? অসংখ্য ধন্যবাদ, সোহানী।
২৪| ০৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭
জসীম অসীম বলেছেন: অজানা অনেক কিছুই জানলাম। আমাদের এই পৃথিবীকে আসলে আমরাই হত্যা করছি। হয়তো কোনোদিন প্রলয় হবে। কিন্তু তার আগেই আমরা তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আনছি। এ যে ভয়াবহ মরণব্যাধি। এর থেকে পরিত্রাণ দ্রুত কিভাবে সম্ভব?
ছবি: ছোট্ট শহর কুমিল্লার স্বচ্ছ টলটলে জলের পুকুরগুলোও এভাবে ময়লা ফেলে ভরাট করছে দুর্বৃত্ত মানুষ। তারপর ওখানে বহুতল ভবন নির্মাণ হচ্ছে। গন্তব্য ওই একই রকম কিন্তু। মৃত্যুরই দিকে ধাবমান।
০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১১
করুণাধারা বলেছেন: আপনার সাথে আগে পরিচয় হয়নি, তাই আমার ব্লগে আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগলো, জসীম অসীম। আশা করি এরপর থেকে ব্লগে নিয়মিত হবেন।
প্রতিদিন আমরা নানা ঝুঁকি নিয়ে বাস করি। রাস্তায় বের হওয়ার ঝুঁকি আছে, বাতাসে এত দূষিত যে হাঁপানি বেড়ে যাচ্ছে, দুধ- মিষ্টি- ফল-সবজি সব কিছু বিষময়। এই বিষয়ে খেয়ে, ঝুঁকি নিয়ে, আমরা বেঁচে আছি।
পুকুরের ছবির জন্য ধন্যবাদ। আমার ধারণা ছিল ঢাকার বাইরের শহর গুলো পরিবেশ এভাবে দূষিত হচ্ছে না। দেখছি ভুল ভেবেছিলাম। এভাবে পুকুর বন্ধ করলে একদিকে যেমন ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কমতে থাকবে, তেমনি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। যারা এই কাজগুলোর দায়িত্বে আছে তারা কেবল নিজের লাভটাই দেখে। আমরা হতভাগা জনগণ!
ভালো থাকুন।
২৫| ০৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: শুনেছি নৌকায় করে মাটি নিয়ে মাটি ফেলে ফেলে মতিঝিল ভরাট করা হয়েছিল। তাই মতিঝিলের ভূমি মোটেও ভালো নয়- বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে সব উচু বিল্ডিং।
ধন্যবাদ রাজীব নুর, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
একজন গবেষক একদিন আমাকে বললেন, ঢাকা শহর ডেবে যাবে। ঢাকা শহরের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ। উনি অনেক নগরবিদ আর সিটি কর্পোরেশনের সাথে আলোচনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৪
করুণাধারা বলেছেন: আরেকবার ধন্যবাদ রাজীব নুর, আরেকবার ফিরে এসে নতুন তথ্য দিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
হ্যাঁ, এটা খুবই অবাক করা ব্যাপার যে, যারা এই অবস্থার পরিবর্তন করতে পারেন তারা এটা পরিবর্তন করতে চান না। তাদের একটু সদিচ্ছাই ঝুঁকি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারত।
শুভকামনা আপনার জন্য।
২৬| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সত্যি খুবই চিন্তার বিষয়। কে আছে খেয়াল করার!সরকার গুলো শুধু নিজেদের নিয়েই ভাবছে , দীর্ঘ মেয়াদী কোন প্লান নেই। আছে শুধু নিজেকে বুয়া প্রচারে ব্যাস্ত।
০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৭
করুণাধারা বলেছেন: সত্যিই চিন্তার বিষয়, মাহমুদুর রহমান সুজন। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান যাদের হাতে তাদের কোনো আগ্রহ নেই সমস্যা সমাধানে। আমাদের ঝুঁকি নিয়েই বাঁচতে হবে। অসুবিধা কি, অনেক ঝুঁকির মধ্যেই তো বেঁচে আছি!!
ভালো থাকুন।
২৭| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অবস্থা দেখি সত্যি অনেক ভয়াভয়ো!
আমরা মানুষ নিজেরাই নিজেদের মৃত্যুর কূপ খনন করে চলেছি প্রতিদিন।
সাময়িক লাভের আশায় সবাই দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার দিকে ধেয়ে চলছে সেটা বুঝতেই পারছে না।
মহান আল্লাহই পারেন আমাদেরকে অনাহুত সমস্যা থেকে মূক্ত করতে।
০৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২
করুণাধারা বলেছেন: মহান আল্লাহই পারেন আমাদেরকে অনাহুত সমস্যা থেকে মুক্ত করতে। এটাই আমাদের ভরসা। চারপাশে এতো অস্থিরতা, এত অন্যায়, এত খাই খাই, নদী খাই, পুকুর খাই, ব্যাংক খাই, ব্যবসা খাই- এর মাঝে থেকে আমরা আর ভালো কি আশা করতে পারি?
ভালো থাকুন মোস্তফা সোহেল, শুভকামনা।
২৮| ১১ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩
জাহিদ অনিক বলেছেন:
ঢাকা আমার প্রানের ঢাকা ! আমি যে ঢাকাকে ভালোবাসি প্রেমিকার মত !
২৯| ১১ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২
করুণাধারা বলেছেন: ঢাকা আমার জন্ম-শহর। আমিও খুব ভালোবাসি ঢাকাকে।
ঢাকাকে রক্ষা করতে আমাদেরও কিছু করণীয় আছে। শুরুটা করা যায় পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে দিয়ে। আজকাল পলিথিনের ব্যবহার খুব বেড়ে গেছে। এই পলিথিন biodegradable নয়। ফলে ড্রেন বন্ধ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির জন্য এই পলিথিন অনেকখানি দায়ী। আজ সকালে বাজারে গেছিলাম দোকানি প্রতিটি সবজি আলাদা আলাদা পলিথিন প্যাকেটে ভরে দিল। দেখে এসব কথা মনে হল, আগে কিন্তু কাগজের ঠোঙা ব্যবহৃত হতো।
আমাদের একটুখানি সদিচ্ছাই ঢাকার অনেকখানি উন্নয়ন এনে দিতে পারে।
ভালো থাকুন, জাহিদ অনিক।
৩০| ১৯ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভয়ে শিউরে ওঠার মত সব তথ্য দিলেন, যদিও জানি সব তথ্যই সত্য!
পরিবেশবাদীদের আন্দোলনের ফলে পলিথিন একদিন উধাও হয়েছিল বাজার থেকে। কালো টাকার জোরে আবার ফিরে এসেছে সদর্পে। জলাশয় বদ্ধ করার কারণ হিসেবে পলিথিন এক অন্যতম কালপ্রিট।
চমৎকার একটি জনসচেতনতামূলক পোস্ট উপস্থাপনার জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
সাবধান! সব ধারা কিন্তু করুণাধারা নয় -
২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৬
করুণাধারা বলেছেন: এই পোস্টটি মূলত আপনার অনুরোধে লেখা। ঘাপটি মারা বিপদ-১ লেখার পর আপনি কোন এক মন্তব্যে ঘাপটি মারা বিপদ-২ লিখতে বলেছিলেন। অবশেষে লিখে ফেললাম, যদিও জানি এইসব লেখায় কিছু হবে না। আমাদের ঢাকার অবস্থা দিন দিন খারাপ হতেই থাকবে, কারণ আমরা অসচেতন। কিছুদিন আগেও একজন পরিবেশ আইনজীবী ঢাকার আশেপাশের জলাশয় ও নিম্নভূমি সংরক্ষণের জন্য উঠে-পড়ে লেগেছিলেন, জলাশয় বন্ধ করে, ভূমি ভরাট করে, যেসব ভূমিদস্যুরা ব্যবসা করছিল বিভিন্ন সিটি বানাবার নাম করে তিনি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন এবং মামলায় জিতেও ছিলেন- যে এভাবে জলাশয় ভরাট করা যাবে না। তার পরপরই সেই আইনজীবীর স্বামী অপহৃত হলেন। তিনি ফিরে এলেন, কিন্তু সেই আইনজীবী একেবারেই সমস্ত কর্মসূচি থেকে হাত গুটিয়ে নিলেন। তারপর থেকে চলছে জলাশয় ভরাট করা, বৃষ্টির পানি কোথাও যাবার জায়গা না পেয়ে রাজপথে ঢেউ তুলে রাজপথেকেই জলাশয় বানিয়ে দিচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে, আগামী ১০ বছর পর ঢাকার অবস্থা কি হবে!!
আমরা একটু সচেতন হলেই পলিথিন ব্যবহার রোধ করতে পারি। যদি আইন করা হয়, তবে বিক্রেতারা কাঁচাবাজারে আগের মতো কাগজের ঠোঙায় শাকসবজি ভরে দিত, পলিথিন ব্যবহার করত না, আমরাও আর যেখানে সেখানে পলিথিন ফেলতাম না। পানি নিষ্কাশন লাইন বন্ধ হবার সবচেয়ে বড় কারণ পলিথিন, এটা অনেকেই জানেন না।
ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য। মন্তব্য ও প্লাস্ আমার জন্য অনুপ্রেরণা।
৩১| ০১ লা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: মাটির স্তরের অবনমন কি বলা যায়?
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। তবে কারো টনক নড়ে না।
Scientists find “biodegradable” bags perfectly usable after three years in dirt
০৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১১
করুণাধারা বলেছেন: আপনি দেখছি চমৎকার বাংলা জানেন! হ্যাঁ, অবনমন বলা যায়, কিন্তু এখন আমার আর এডিট করতে ইচ্ছা করছে না........
লিংক ধরে পড়লাম। আমাদের পলিথিন সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার, এখনই। যেভাবে সব চলছে, কবে কি বিপর্যয় আসে তাই ভাবি।
মন্তব্য আর প্লাস এর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: এডিট করে আপনার দেয়া শব্দ ব্যবহার করলাম। অনেক ধন্যবাদ।
৩২| ০১ লা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: উপরের পলিথিন বিষয়ক আর্টিকেলটা কয়েকদিন আগেই পড়লাম
০৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১৩
করুণাধারা বলেছেন: সুলিখিত। লিংক দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩৭
শের শায়রী বলেছেন: অপ্রিয় বিষয় কিন্তু পোষ্ট প্রিয়তে তথ্যর জন্য। আবারো পড়ে দেখব।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: এত পুরানো পোস্টে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো। আমাদের উদাসীনতায় ঢাকা ধীরে ধীরে ধ্বংস হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঢাকার মানুষ ও সরকার এগুলো নিয়ে আপাতত: মাথা ঘামাচ্ছে না; সমস্যা সহসা ভয়ংকর রূপ নেবে।