নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরুষ,রমণী ও সন্তান; সম্পর্কের যোগ-বিয়োগ

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২৫



আজকাল পরিবারের মধ্যে নানা টানাপোড়েন, মা-বাবা সন্তানের সম্পর্কের নানাদিক দেখতে দেখতে বারবার আমার দেখা দুটো সিনেমার কথা মনে পড়ছে। প্রথম সিনেমাটার নাম মাসুম,  আশির দশকে মুক্তি পাওয়া হিন্দি ছবি, যার মূল কাহিনী এরিক সেগালের Man, woman, and child নামের গল্প থেকে নেয়া হয়েছে। সিনেমাটির কাহিনী এরকম:

ছবির নায়ক ডিকে (নাসিরুদ্দিন শাহ) একজন স্থপতি। স্ত্রী ইন্দু, (শাবানা আজমি) এবং এবং দুই কন্যা নিয়ে তার সুখী স্বাচ্ছন্দ্যময় সংসার। এই সুখের সংসার প্রায় ভাঙ্গনের মুখে পড়ে যখন ডিকে ইন্দুকে জানায় যে, তার একটি ছেলে আছে। নয় বছর বয়স্ক এই ছেলের কথা ডিকে নিজেই জানতো না একেবারে, জানতে পেরেছে তখনই যখন ছেলেটির মা মারা গেছে। ছেলেটির জন্ম ডিকের একটি সংক্ষিপ্ত এ‍্যাফেয়ারের ফলে। ইন্দু যখন তাদের প্রথম  সন্তান জন্ম দিতে বাবার বাড়িতে গেছিল, সেইসময় ডিকে নৈনিতালে তার পুরনো শিক্ষায়তনে অল্প কয়েক দিনের জন্য যায়। সেখানে তার শিক্ষকের মেয়ে ভাবনার সাথে এক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সম্পর্ক হয় ঠিকই, কিন্তু দুজনেই জানত, এই সম্পর্কের কোনো ভবিষ্যত নেই, কারন ডিকে বিবাহিত। দুঃখ পেলেও, তারা দুজনেই এটা মেনে নেয় আর সংক্ষিপ্ত সম্পর্ক স্থাপন শেষে ডিকে ফিরে আসে তার পরিবারের কাছে। ভাবনা হয়তো ডিকের ক্ষণিকের মোহ ছিল, তাই নৈনিতাল থেকে ফিরে ভাবনার সাথে সে আর কখনোই যোগাযোগ করেনি, বরং ইন্দুর সাথে সুখের সংসার গড়ে তোলে, সেই সংসারে যোগ হয় আরেকটি কন্যা। এদিকে ভাবনা আর কখনোই ডিকের সাথে যোগাযোগ করেনি, কারণ ডিকের সুখের সংসারে ভাঙন ধরুক এটা সে চায়নি। তাই ডিকে কখনো জানতে পারল না যে, ভাবনার সাথে এই সংক্ষিপ্ত সম্পর্কের ফলে সে এক ছেলের পিতা হয়েছে, ছেলের নাম রাহুল। নয় বছর বয়সের রাহুলকে একা করে দিয়ে যখন তার মা মারা যায় তখন ভাবনার বাবা, ডিকের বৃদ্ধ মাস্টারজী, অনন্যপায় হয়ে রাহুলের কথা ডিকে কে জানান।  মাথার উপরে আকাশ ভেঙ্গে পড়া ডিকে, রাহুলের কথা জানায় ইন্দুকে। বিশ্বাস ভঙ্গের বেদনাক্লিষ্ট ইন্দু- কষ্ট সত্বেও রাজি হয় রাহুলকে বাসায় আশ্রয় দিতে, ততদিন পর্যন্ত যতদিন না ডিকে রাহুলের থাকার কোন ব্যবস্থা করতে পারে। রাহুলের অপাপবিদ্ধ (মাসুম) চেহারা মাঝে মাঝে ইন্দুর মাতৃহৃদয়কে উদ্বেলিত করে তুললেও সেই আবেগকে সে দমন করেই রাখত; কারণ রাহুল ছিল ডিকের পরকিয়ার স্মারকচিহ্ন।

এরপর সিনেমা চলতে থাকে। ঘটনার উপর হাত না থাকা ডিকের অসহায়ত্ব, পিতৃস্নেহ প্রকাশ করতে না পারা, আবার ইন্দুর মনোবেদনা, টানাপোড়েন। সবকিছুর সুখের সমাপ্তি ঘটে ইন্দু যখন রাহুলকে ডিকের সন্তান হিসেবে তাদের পরিবারের একজন বলে মেনে নেয়।

 
দ্বিতীয় সিনেমার নাম ক্রেমার ভার্সেস ক্রেমার। এই ছবিটাও সন্তান নিয়ে পুরুষ ও রমণীর টানাপোড়েন বিষয়ক। টেড  একজন কোম্পানি এক্সিকিউটিভ, এবং ওয়ার্কাহোলিক। এমন নয় যে সে স্ত্রী জোয়ানার উপর কোনরকম অত্যাচার করে, তবু জোয়ানা সিদ্ধান্ত নেয় সে টেডকে ছেড়ে যাবে- কারণ টেডের উদাসীনতা জোয়ানার মনে অনিশ্চয়তার জন্ম দিয়েছিল। কোন ঝগড়া ঝাটি, কোনো আগাম আভাস ছাড়াই জোয়ানা একদিন টেড আর তাদের পাঁচ বছরের সন্তান বিলিকে ছেড়ে চলে যায়। নতুন জীবনের খাপ খাওয়াতে টেড আর বিলির কিছুটা কষ্ট হয়, তবু কিছু গ্রহণ আর কিছু বর্জনের মধ্যে দিয়ে এক সময় তারা দুজন জোয়ানা বিহীন নতুন জীবনে অভ্যস্ত হয়ে যায়। গ্রহণ, অর্থাৎ সংসারের নানা কাজে কর্ম দক্ষতা অর্জন আর বর্জন- সংসারের কাজ করতে গিয়ে  অফিসে টেডের পদাবনতি।

বাড়ি ছেড়ে যাবার পনের মাস পরে জোয়ানা টেডের কাছ থেকে বিলির কাস্টডি দাবি করে। টেডও বিলিকে রাখতে চায়, তাই কাস্টডির জন‍্য কোর্টে মামলা হল। কোর্টের হুকুম- বিলির জোয়ানার কাছেই থাকা উচিত, কারণ জোয়ানা তার মা। টেড এই রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারত, কিন্তু করল না যখন তার উকিল বল্লেন- এমনক্ষেত্রে বিলিকেই কোর্ট বলবে মা-বাবার মধ্যে একজনকে বেছে নিতে । এটা বিলের উপর চাপ সৃষ্টি করবে, এ কথা ভেবে টেড বিলিকে জোয়ানার কাছেই দিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেয়।

ছবির শেষ অংশে এসে আসন্ন বিচ্ছেদে পিতা-পুত্রের গভীর বেদনাময় অভিব্যক্তি দেখা যায়। বিলিকে নিতে জোয়ানার আসার সময় হলে দুজনেই প্রস্তুত হয়- একজন বিদায় দিতে আরেকজন বিদায় নিতে। কিন্তু বিলিকে নিতে এসেও জোয়ানা বিলিকে নেয় না, বরং টেডকে জানায় যে, সে মনে করে বিলি তার নিজের বাসাতেই ভালো থাকবে। এখানেই সিনেমার সমাপ্তি হয়।

 এই সিনেমা দুটোর আগে পরে আমি আরও অনেক পরিবারভিত্তিক সিনেমা দেখেছি- তবু এই সিনেমা দুটোর কথা বিশেষভাবে মনে থাকার কারণ সম্ভবত সিনেমা দুটির মধ্যে তিনটি মিল আছে। প্রথমত অসাধারণ সুন্দর নিষ্পাপ দুটি শিশুর মুখ, দ্বিতীয়তঃ দুটি সিনেমাতেই আছে মাতৃ হৃদয়ের টানাপোড়েনের পর সন্তানের কল্যাণে মায়ের আত্মত্যাগ, এবং তৃতীয়তঃ পারিবারিক বন্ধন। দুটি ছবিই আমাকে ভাবতে শিখিয়েছে সন্তানের প্রতি মায়ের ভূমিকা কি হওয়া উচিত তা নিয়ে। মাসুম-এ ইন্দু স্বামীর বিশ্বাসঘাতকতায় প্রচন্ড আঘাত পায়, আত্ম মর্যাদা রক্ষার জন্য স্বামীকে ছেড়ে চলে যাওয়াটাই তার জন্য স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু কেন সে গেল না, এ প্রশ্ন দীর্ঘসময় ধরে আমার মনে ছিল। ইন্দুর মনে বসত করে কয়জনা তা জানিনা- কিন্তু মনে হয় সব কয়জনার ওপরে  প্রবল ছিল ইন্দুর মাতৃস্নেহ। ইন্দু ডিকের ঘর ছেড়ে গেলে তার আত্ম মর্যাদা রক্ষা হত ঠিকই, কিন্তু ব্রোকেন ফ্যামিলিতে তার মেয়েদের জীবন আগের মতো আনন্দময় থাকত না। ইন্দুর অপত্য স্নেহ এমন যে স্বামীর পরকীয়ার প্রমাণ রাহুলের উপরও তা বিস্তৃত হয়, সিনেমার অনেক দৃশ‍্যে ইন্দুর অপত্য স্নেহ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শেষ অবধি ইন্দু রাহুলকে সন্তানস্নেহে মেনে নেয়।

ইন্দু কি হারল, নাকি জিতলো?

 ক্রেমার ভার্সেস ক্রেমার-এ অবশ্য মা সন্তানকে ছেড়ে যায়। পরে জোয়ানা নিজের পায়ের নিচে শক্ত মাটি খুঁজে পাবার পর ফিরে এসেছিল সন্তানের দাবি নিয়ে। জোয়ানার সাথে ইবসেনের নোরার মিল আছে, আত্ম মর্যাদার প্রশ্নে নোরাও তার সংসার ছেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু জোয়ানার সাথে নোরার পার্থক্যও ছিল- জোয়ানা ছিল একজন মা, কিন্তু নোরা তা ছিল না। তাই আমি নোরার গৃহত‍্যাগ সমর্থন করলেও জোয়ানার গৃহত‍্যাগ  সমর্থন করি না। সিনেমাতে যতবার বিলির মন মড়া, সুন্দর মুখটা দেখেছি, ততবার মনে হয়েছে এভাবে এত ছোট সন্তানকে ফেলে যাওয়া মায়ের ভীষণ অনুচিত কাজ। টেড জোয়ানাকে সময় দিত না, কিন্তু কোন অমর্যাদা তো করেনি! অবশ্য এমনও সংসার আছে যেখানে মাকে মর্যাদা দেয়া হয়না, অত‍্যাচার করা হয়- তেমন সংসারে সন্তানরা কখনো ভালোভাবে বড় হয়ে উঠতে পারে না, অতএব সেই সংসার ছেড়ে যাওয়াই মায়ের জন্য ভালো, মর্যাদাকর- কিন্তু সন্তানদের সাথে নিয়ে যেতে হবে।

এই দুই সিনেমার দুই মায়ের মধ‍্যে ইন্দুকেই আমার পছন্দ, তাতে কেউ আমাকে নারী স্বাধীনতার বিরোধী বলে ভাবলেও ভাবুন।

আমার মনে হয় নয় মাস সন্তানকে গর্ভে ধারণ করার পর যখন মা সন্তানকে জন্ম দান করেন তখনই মায়ের আসল দায়িত্ব শুরু হয়- সন্তানের একটি সুন্দর শৈশব গড়ে তুলে তার জীবনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার মাধ্যমে। কেন মা এ দায়িত্ব পালন করবেন? কারণ সন্তান তার নিজের ইচ্ছায় পৃথিবীতে আসেনি। অতএব নিজের সুখের জন্য সন্তানকে অসুখী করে তোলার অধিকার কোন মায়ের নেই, যেমন অধিকার নেই কোন বাবার। সন্তান নেবার আগে তাই সবদিক ভেবে সন্তান নেয়া দরকার।

 ইদানিং একটা জিনিস ভেবে আমার খুব অবাক লাগে, মায়েরা কিভাবে নিজের পরকীয়ার জন্য সন্তানকে অবলীলায় হত্যা করে- বিষ খাইয়ে গলাটিপে, এমনকি পুড়িয়ে!! এরা মা নামের কলঙ্ক। এমন মায়ের জন্ম যেন আর না হয়, যাদের জন্ম হয়েছে তারাও যেন বেচে না থাকে।

পৃথিবীর সব মায়েরা ভালো থাকুক, সব সন্তানেরা ভালোবাসুক তাদের মাকে- মা দিবসে এইই প্রার্থনা।






মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মা দিবসে আপনার প্রার্থনাটি মহান আল্লাহর দরবারে কবুল হোক।

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ, মোস্তফা সোহেল।

প্রথম মন্তব্যকারীর জন্য চা পরিবেশন করাটাই রীতি, কিন্তু আমি এখনো মন্তব্যের ঘরে চা দেয়াটা শিখে উঠতে পারলাম না। :( তাই শুধুই ধন্যবাদ, আর শুভকামনা।

২| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:১২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার রিভিউ লিখেছেন আপু!
চমৎকার শুভ কামনা সব মায়ের জন্য :)

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্য আর প্লাস- দুটোতেই অনুপ্রাণিত হলাম মনিরা। অসংখ্য ধন্যবাদ।

অল্প কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া সব মায়েরা একই রকম, সন্তানের জন্য ভালবাসায়, উদ্বেগে, সহিষ্ণুতায় আর ত‍্যাগে। এইসব মায়েরাই একেকজন মানুষ গড়ার কারিগর। তাই সব মায়েদের জন্য শুভকামনা, নিজেদের সহ :)

৩| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মা- মানুষ। বাবা- মানুষ। সমাজের কিছু মা অথবা বাবা
এক সময় শয়তানের কু-ম ন্ত্রণায় পড়ে তাদের মানুষিক অবস্হার বিচ্যুতি ঘটে।

১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)। বিশেষ করে ধন‍্যবাদ আমার ব্লগে আসার জন‍্য।

শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহ আমাদের সবাইকে বাঁচিয়ে রাখুন।

ভালো থাকুন, শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)।

৪| ১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৩৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সময় না দেয়ার জন্য স্বামী ছাড়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বরং সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আরো ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত...

১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: আমি একটি সিনেমার গল্প বলেছি, স্বামী সময়ই না দেওয়ায় মা তার সন্তানকে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু বাস্তব আরো নির্মম, কিছুদিন আগে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী তার দুটি পুত্রসন্তানকে পুড়িয়ে মারেন। আমি বলতে চেয়েছি যে, মা হয়ে যাবার পর নিজের কামনা-বাসনাকে বিসর্জন দেওয়া, উচিত সন্তানদের কল্যানের জন্য। আল্লাহ মায়েদের উচ্চমর্যাদা দিয়েছেন, তাই মা হলে দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করা উচিত।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, বিচার মানি তালগাছ আমার।

৫| ১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মা দিবসের চমৎকার লেখা। ভাল লেগছে পড়ে।

১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে আমারও ভালো লেগেছে, কাওসার চৌধুরী।

ভালো থাকুন, সর্বদাই।

৬| ১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটি আমার পছন্দ হয়েছে।

১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, রাজীব নুর। লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

ভাল থাকুন, শুভকামনা রইল।

৭| ১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মাসুম দেখিনি, ক্রেমার ভার্সেস ক্রেমার দেখেছি। আপনার বিশ্লেষনধর্মী লেখাটা খুবই ভালো লাগলো। 'মা' শব্দের বিশালতা যেসব মা বুঝতে পারে না, তাদের জন্য করুণা আর প্রকৃত 'মা' দের প্রতি বিশ্ব মা দিবসে আন্তরিক শ্রদ্ধা।

১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে ভালো লাগছে, ভুয়া মফিজ।

ছবি দুটো এমন যে, দেখার পর দীর্ঘ সময় আমি সন্তানের জন্য মায়ের ভূমিকা নিয়ে ভেবেছি। শাবানা আজমি, মেরিল স্ট্রিপ দুজনই মায়ের ভূমিকায় খুব ভালো অভিনয় করেছেন। ক্রেমার ভার্সেস ক্রেমার আপনি দেখেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো, অ্যাপ নিবে নিশ্চয়ই ছোট্ট বিলির জন্য দুঃখবোধ করেছিলেন।

আপনার মন্তব্য এবং লাইক আমায় অনুপ্রাণিত করেছে। ভালো থাকুন, ভুয়া মফিজ।

৮| ১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৫১

ওমেরা বলেছেন: লিখাটা যখন পোষ্ট করেছিলেন তখনই পড়ছি খুব খুবই ভাল লেগেছিল কিন্ত ব্যাস্ত থাকার জন্য কমেন্ট করা হয়নি । আমি মুভি তেমন দেখা হয় না , কিন্ত আপনার বর্ননা এত ভাল লেগেছে আমার মনে হয় না মুভিগুলো দেখলেও আমার এতটা ভাল লাগত ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

করুণাধারা বলেছেন: এই সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ,ওমেরা। আমার উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল কারণ রমজান মাসে সময় পাওয়াটা খুব মুশকিল।

দোয়া করি, রমজান মাসের নেয়ামত যেন ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেন। ভালো থাকুন সবসময়।

৯| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'মা দিবস' দুটো মুভি'র সার সংক্ষেপ তুলে ধরে অসাধারণ একটা আলোচনা রেখে গেলেন! প্রথমোক্ত ছবিটা আমি দেখেছিলাম, পরেরটা দেখা হয়নি, তবে দুটোর আলোচনাই অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে। মাসুম ছবিটিতে মায়ের অপত্য স্নেহ এবং স্বামীর পরকীয়াজনিত অন্তর্বিরোধ শাবানা আজমী অত্যন্ত নিখুঁতভাবে উচ্চমানের অভিনয়শৈলী দিয়ে পর্দা জুড়ে দৃশ্যমান করে তুলেছিলেন।
'ইন্দু কি হারলো, না জিতলো?' - ইন্দুর হারার কোন প্রশ্নই উঠেনা। ইন্দুর সাথে সাথে মাতৃস্নেহের জয় হয়েছে, এ জয় চিরভাস্বর হয়ে থাকুক!
'এমন মায়ের জন্ম যেন আর না হয়, যাদের জন্ম হয়েছে, তারাও যেন আর বেঁচে না থাকে' - তাই হোক, একমত। :)
Most women are loving women by nature, but not all.
Most mothers are good to their children, but not all.

১৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০২

করুণাধারা বলেছেন: আমাকে লেখা জড়তায় পেয়ে বসেছিল, তাই এই চমৎকার মন্তব্যের উত্তর করতে এত দেরী হলো।

অনেক সময়ই আমি যা বলতে চাই, লেখায় তা প্রকাশ করতে পারিনা। এই লেখাটিতেও তেমন হয়েছে। তবু আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম, সন্তানের জন্য মায়েদের অনেকখানি ত্যাগ করতে হয়। আত্ম অহমিকা, অনেক চাওয়া বিসর্জন দিতে হয়, যদি তা সন্তানকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। আল্লাহ কোরআন শরীফে মায়েদের বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন, তাই সন্তানকে গড়ে তোলার দায়িত্ব মায়েরই- যদিও এ কথাটা অনেকেই পছন্দ না করতে পারেন।

আপনার মন্তব্যে শেষ দুটো লাইন চমৎকার। অজস্র ধন্যবাদ মন্তব্য ও প্লাসের জন্য।

১০| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার উপলব্ধি আর দর্শনকে স্যালুট জানাই!

১৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো, সম্রাট ইজ বেস্ট। এযুগে আমার দর্শন অনেকেরই পছন্দ হবে না জানি, তবু আমি আমার নিজের দর্শন পাল্টাব না।

১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, রাজীব নুর। লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ভাল থাকুন, শুভকামনা রইল।

মুভিটা দু'টা দেখা হয়নি।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩

করুণাধারা বলেছেন: খুঁজে নিয়ে দেখে ফেলুন, ভালো লাগবে।

ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.