নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসছে রমজান!!

১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৩



আবার আসছে রমজান- আবার ফিরে আসছে পেট ঠেসে খাওয়ার আনন্দ, দেদার শপিংয়ের আনন্দ, ভালোর সাথে পঁচা মিশিয়ে ভালো বলে চালিয়ে দেবার আনন্দ, চিনির দাম বাড়ানোর আনন্দ, বেশি বেশি লাভ করবার বেশি বেশি  আনন্দ........

আনন্দ সবার জন্য! ছাত্রদের আনন্দ স্কুল ছুটি ঘোষণায়, রোজাদারের আনন্দ রাস্তায় থুতু ফেলায়, রাস্তার আনন্দ তার বুক ভরে থেমে থাকা যানবাহনে, রিক্সাওয়ালার আনন্দ বেশি বেশি যাত্রী পরিবহনে, অজ্ঞান পার্টির আনন্দ বেশি শিকার ধরাতে, পুলিশের আনন্দ বেশি চাঁদা পাওয়াতে, ছেলের আনন্দ সেহরি পার্টিতে যাওয়া, বাবার আনন্দ ঈদের জন্য বেশি ঘুষ নেওয়া, ক্রেতার আনন্দ কেনাকাটায়, বিক্রেতার আনন্দ ক্রেতার গলাকাটায়.....

এই আনন্দময়  রমজান এল কিনা বোঝার জন্য আশপাশে একটু নজর ফেরালেই চলবে। অনেক কিছু বদলে যাওয়া দেখেই বোঝা যাবে রমজান এসেছে, রমজান এলেই  মানুষ, পরিবেশ, সব কেমন অন‍্যরকম হয়ে যাবে। বিটিভি চালালে যখন দেখা যাবে ঘোষিকা আর সংবাদ পাঠিকার মাথায় কাপড় দেয়া,তখন বুঝে নিতে হবে রমজান এসে গেছে, কারণ একমাত্র রমজান মাসেই তারা মাথায় কাপড় দেন।

চারপাশে যখন টুপি পরিহিত দের আধিক্য দেখা যায়, তখনও বোঝা যায় রমজান এসে গেছে। আবার এশার নামাজের সময় মসজিদে গিয়ে মুসল্লীদের আধিক্য দেখলেও বোঝা যায় রমজান এসেছে- কারণ তারাবির মাধ্যমে নেকি হাসিল করার উদ্দেশ্যে অনেকেই মসজিদে নামাজ পড়তে আসেন। একমাত্র এশার নামাজের সময়ই  এসব মুসল্লিদের মসজিদে দেখা যায়, বাকি নামাজের সময় না।

রাস্তায় বেরিয়েও পরীক্ষা করে দেখা যায় রমজান এসেছে কিনা। যদি রাস্তায় নানা ধান্ধায়, নানা ব্যবসার ফিকিরে লোকে ছুটতে থাকে, ছুটতে ছুটতে ক্রমাগত রাস্তায় থুতু ফেলতে থাকে, আরো ছুটতে থাকে শপিংমল মুখী মানুষ, তাহলে বুঝে নিতে হবে রমজান এসে গেছে।

সরকারি অফিসে কোনো কাজের জন্য গেলেও রমজানের আগমন বোঝা যায়। যখনই দেখা যাবে স‍্যার, কিংবা স‍্যারের পিএ মাথায় নতুন টুপি পরেছেন,আর আপনার কাজের কথা শুনে  হাসিমুখে বলছেন,
"খরচা একটু বেশি করতে হবে, বুঝতেই তো পারছেন এ মাসে কত খরচ"

তৎক্ষণাৎ আপনার মনে পড়ে যাবে, ওহ, বেশি খরচের মাস রমজান এসে গেছে!!

হয়ত বাজারে গেছেন, বিক্রেতা ৪০ টাকা কেজির মরিচ চাইল ২০০ টাকা কেজি, ৫০ টাকা কেজির বেগুন চাইল ১৮০ টাকা কেজি, রেগে যেতে যেতে আপনার মনে পড়বে, "আরে, এতো রমজান।" মনে পড়ার পর  বাড়তি দাম দিয়ে জিনিস গুলো আপনি কিনবেন, afterall, রমজানে সারাদিন না খেয়ে থাকার ক্ষতি ইফতারে তো পূরণ  করতেই হবে।

সন্ধ্যার দিকে, এই ধরুন মাগরিবের সময় মার্কেটে গেলে যখন দেখবেন মার্কেটের আশেপাশে সমস্ত খাবারের দোকানে মার্কেটে আগত লোকজন দিয়ে ভরা, অনেক দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতা একসাথে  খাবারের আয়োজন করছেন- আপনি হয়তো ভাববেন, "ব্যাপার কি, মাগরিবের সময় নামাজ না পড়ে এরা খেতে বসেছে কেন?" ভাবতে ভাবতেই আপনার মনে পড়ে যাবে, "আরে এ তো রমজান মাস, শপিং করতে গিয়ে অনেকে তো মাগরিবের নামাজ পড়েইনা!"

সামু ব্লগ থেকেও জানা যায় রমজান এল কিনা। যখন সামুর সর্বগুণী ব্লগার নাচা- গানা পোস্ট বাদ দিয়ে হরেক পদের ভার্চুয়াল খানা নিয়ে হাজির হবেন, তখনই বোঝা যাবে রমজান এসে গেছে!!
================================================================================

রমজান আসল বলে কি কারো কষ্ট হয়? হয়, রমজান মাস আসলেই বাড়ির গিন্নীর বাড়তি কাজের কষ্ট সইতে হয়। রমজান মাস আসার একমাস আগে থেকেই গিন্নী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন, লিস্ট মিলিয়ে বাজার করেন, ঘরে খাবার স্টক করতে থাকেন, যেন সারাদিন রোজা রাখার পর সকলে ইফতারে ভূরিভোজ করতে পারেন। নিজে রোজা রেখে বাড়ির গিন্নিকে খাটাখাটনি  করতে হয়, বাড়ির অন্যান্য রোজাদারদের রোজা রাখার কষ্ট কমাবার জন্য।

 রোজার দিনগুলোতে দুপুর থেকেই শুরু হয় গিন্নীর রান্নার প্রস্তুতি। প্রচন্ড গরম রান্না ঘরে রোজাদার গিন্নী ক্রমাগত রেঁধে চলেন নানা পদের ইফতারি। বিকাল নাগাদ শুরু হয় শরবত বানানো। টেবিল জুড়ে নানা আকারের বাসন সাজাতে সাজাতেই ইফতারের সময় শুরু হয়ে যায়!

মাগরিবের নামাজান্তে, সারাদিন রোজা রাখার পর ভুরিভোজের দরুন শ্রান্ত-ক্লান্ত সকলের ক্লান্তি দূর করার দায়িত্ব গিন্নীর। শুরু হয় চা বানানোর পালা। চায়ের পর গাদা গাদা হাঁড়ি, কড়াই, হাতা, খুন্তি, চামচ, থালা, বাটি, গ্লাস ধোবার পালা।   তারপর গিন্নীর ব্যস্ততা শুরু হয় রাতের খাবার আয়োজন করতে করতে। এক ফাঁকে ক্লান্ত দেহে তারাবির নামাজ পড়া শেষ করেন। কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে উঠি শুরু হয় সেহরির আয়োজন। পরদিন সকাল বেলা নিত্যকার গৃহকর্ম। অবশ্য কোনো কোনো গিন্নির ঘরের কাজে সহায়তা করার জন্য গৃহকর্মী থাকে। কিন্তু এই গৃহকর্মীদের সমঝে চলতে হয়, তারাতো আর বাড়ির গিন্নির মত বিনা বেতনের কর্মী না, যে রমজান মাসে দিনে ২০ ঘণ্টা কাজ করবে! তাই গৃহকর্মীরা মাঝে মাঝেই কাজে আসবে না, সেই সময়ে গিন্নির কষ্ট আরও বেড়ে যাবে।

রমজানে গিন্নীদের ইবাদত? এত কাজের মধ্যে ইবাদতের সুযোগ তারা কই  আর পাচ্ছেন!! দীর্ঘশ্বাস ফেলে তারা মনে মনে জপ করেন, 'পতির পুণ্যে সতীর পুণ্য', আর ভাবেন আগামী রমজানে নিশ্চয়ই কাজের বোঝা একটু হালকা হবে, তখন ইবাদত করার সুযোগ পাবেন।
=================================================================================

কাল, বা পরশু-  আসছে রমজান। ব্লগের সবার জন‍্য রমজানের শুভকামনা।




ইফতারের ছবি: গুগল।



 








মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপনি। রমজান এখন সংযমের মাস নয়। ভূড়িভূজের মাস।

১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, কাওসার চৌধুরী। রমজান এখন আর সংযমের মাস নয় শুধু ভুরিভোজ নয়, চলে লাখ টাকার পোশাক কেনা, পাখি ড্রেস, কিরণমালা জামা এগুলো না পেয়ে অনেকে আত্মহত্যা করেছে এই রমজানে।

২| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

ওমেরা বলেছেন: আহলান সাহলান মাহে রামাদান। আমাদের এখানে আজকে রাতে সেহেরী খেতে হবে, মানে আগামীকাল প্রথম রোজা।অবশ্য তূর্কীরা আজকেই শুরু করেছে ।

হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।' (সূরা বাকারা, ১৮৩ আয়াত)।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুন্দর ভাবে রামাদান মাসের রোজাগুলো পালন করার তৌফিক দান করুক । আমীন।

১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

করুণাধারা বলেছেন: আমাদেরও হয়তো আজ রাতে সেহরি খেয়ে কাল থেকে রোজা শুরু হবে।

রমজান মাস আসে আল্লার কাছ থেকে এক নেয়ামত হিসেবে, যেন এই মাসে আমরা বেশি করে এবাদত করে আমাদের নেক কাজের পাল্লা ভারী করতে পারি। কিন্তু এখন রমজানের রোজা রাখাটাও একরকম উপভোগের ব্যাপার।

আয়াত উদ্ধৃত করায় আরেকবার মনে পড়লো যে, রমযান মাসের উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন করা এটা কেউ মনে রাখতে চায় না।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ওমেরা।

৩| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনাকেও রমজানের শুভেচ্ছা আপু।
আপনার এই লেখাটি দেখে কিন্তু বুঝলাম রমাজান এসে গেছে ;)
একটি মুসলিম প্রধান দেশ হয়েও এ দেশে রমজান মাসে সাধারন মানুষের পকেট কাটতে সবাই ব্যস্ত!
এই তো কাল বাজারে গিয়ে দেখলাম ত্রিশ টাকার পেয়াজ ৪৫ টাকা! ৫৫ টাকার ছোলা ৭০ টাকা।
৫০-৫৫ চিনির দামও লাফিয়ে বেড়ে গেছে! সব কিছুর দামই উর্ধ্বমূখী।ওদিকে বানিজ্যে মন্ত্রী বলবেন কোন কিছুর ঘাটতি নাই তাই দাম বাড়ার কোন যুক্তি নাই।বানিজ্যে মন্ত্রীর যদি নিয়মিত বাজার করা লাগত তবে তিনি বুঝতেন দাম কেমনে বাড়ে।

১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১২

করুণাধারা বলেছেন: রমজানের শুভেচ্ছা, মোস্তফা সোহেল। দোয়া করি, সবাই যেন এই মাসে আল্লাহর ক্ষমা লাভ করতে পারি।

এখন বাংলাদেশের রমজান যেন ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় লাভ করার মাস। মুসলিমপ্রধান দরিদ্র (নাকি উন্নয়নশীল?) দেশে খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই দরকার এই রমজান মাসে, অথচ কখনোই সেটা হয় না। খুবই দুঃখজনক।

ভালো থাকুন, মোস্তফা সোহেল।

৪| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পবিত্র রমজানের শুভ কামনা আপু!

১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

করুণাধারা বলেছেন: আমারও শুভকামনা রইল, মনিরা। এই রমজানে যেন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি, আমরা সবাই।

৫| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সংযমের মাস রমজান, আমাদের দেশে সংযমহীনতার মাস রমযান।
সংযমের মাসে সংযমহীনতার কালচার আর গৃহকত্রীর কষ্ট, দু'টাই দারুনভাবে উঠে এসেছে আপনার লিখাতে।
দেশে থাকতে আম্মার কষ্ট বুঝতাম না, এখন সব নিজেকেই করতে হয়, তাই বুঝি কতো ধানে কতো চাল!! :(
পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা রইলো।

১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

করুণাধারা বলেছেন: ঠিক বলেছেন, ভুয়া মফিজ। আমাদের দেশে রমজান সংযম হীনতার মাস। এমন কি আর কোন দেশ আছে, যে দেশে রমজানে মানুষ রোজা না রেখে প্রতিবেশী দেশে যায় বাজার করতে? যে দেশের মেয়েরা টিভি সিরিয়ালের নায়িকার মতো কাপড় পড়ার জন্য আত্মহত্যা করে? অদ্ভুত রমজান মাস পালিত হয় আজকাল আমাদের দেশে!!

আপনার কথা শুনে মনে পড়লো, আমার প্রবাসী মেয়েও আজকে ফোনে বলছিল," রমজান মাসে তোমাকে এত কষ্ট করতে হয় তা আগে কখনো বুঝিনি" কেউ কখনও বোঝেনা রোজা রেখে সকালের খাবার মনের মত দেয়াটা একজনের জন্য কতটা কষ্টকর হয়।

ভালো থাকুন, প্রবাসের রমজানে।

৬| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: রমজানে এসব খাবার আমার একেবারেই অপছন্দ।

১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

করুণাধারা বলেছেন: এসব খাবার রমজান মাসে আমিও পছন্দ করি না। কিন্তু আমি পছন্দ না করলেও, বেশিরভাগ মানুষই রমজান মাসে উপবাসের পর হরেক রকম ইফতার করতে পছন্দ করেন। এটা জানেন ব‍্যবসায়ীরা, তাই তারা সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দেন।

৭| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আর বলবেন না,সেদিন বাজারে মুরগি কিনতে গিয়ে দেখি ২০০টাকার সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আমাদের আমাদের দেশে রমজান হচ্ছে কিছু মানুষের অধিক লোভ লালসা পুরনের মাস। আমরা রমজানের সংযমের শিক্ষাকে ভুলে গেছি। ভাল লাগলো রমজান বিষয়ক পোষ্ট। পোষ্টে লাইক।

১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

করুণাধারা বলেছেন: দেশ উন্নয়নশীল হলেও আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই দরিদ্র, এরা দিন আনে দিন খায়।এরা অধিকাংশই রোজা রাখে। রমজান মাসে যখন খাবারের দাম বেড়ে যায়, তখন এরা মুশকিলে পড়ে। জানিনা এভাবে রোজাদারদের কষ্ট দিয়ে ব্যবসায়ীরা কি আনন্দ পান!

আপনার মন্তব্য এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, তারেক_মাহমুদ। রমজানের নিয়ামত যেন পুরোপুরি অর্জন করতে পারেন, শুভকামনা রইলো।

৮| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। রমজান এখন অপচয়ের মাস, সংযমের নয়।

আল্লাহ আমাদের শুদ্ধ পদ্ধতিতে রোজা রাখার তৌফিক দান করুন। রমজানের উদ্দেশ্য অনুধাবন করার তৌফিক দান করুন।

১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১২

করুণাধারা বলেছেন: আল্লাহ আমাদের শুদ্ধ পদ্ধতিতে রোজা রাখার তৌফিক দান করুন। রমজানের উদ্দেশ্য অনুধাবন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

আমরা সবাই যেন রমজান মাসে আল্লাহর ক্ষমা আর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি।

শুভকামনা রইল, জুনায়েদ বি রাহমান।

৯| ১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: বাহ! রমজান নিয়ে খুব চমৎকার একটি লেখা।
আপনাকে মাহে রমজানের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:২২

করুণাধারা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, কথার ফুলঝুরি।

আপনাকেও শুভেচ্ছা, সুন্দরভাবে রমজান অতিবাহিত করুন।

১০| ১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:


সামু ব্লগ থেকেও জানা যায় রমজান এল কিনা। যখন সামুর সর্বগুণী ব্লগার নাচা- গানা পোস্ট বাদ দিয়ে হরেক পদের ভার্চুয়াল খানা নিয়ে হাজির হবেন, তখনই বোঝা যাবে রমজান এসে গেছে!!
-- হা হা হা শায়মা আপু কোথায় !!!

রমজান যে এসে গেলো সেটা অন্তত বোঝা গেল, মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

করুণাধারা বলেছেন: শায়মা এখন মহাব্যস্ত, নতুন কি কি ইফতার বানিয়ে তাক লাগিয়ে দেয়া যায় তাই ভাবছে। :) শায়মার ইফতার রেডি হলেই বোঝা যাবে, সামুতে রমজান শুরু হলো।

আমার তরফ থেকেও মাহে রমজানের শুভেচ্ছা, জাহিদ অনিক।

১১| ১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

হাঙ্গামা বলেছেন: আগে রমজান নিয়ে উচ্ছসিত থাকতাম, আর এখন আতঙ্কিত থাকি।
ব্যবসা, ভোগ আর টাকা ইনকাম নিয়া যে রমজান পালন হয় সেইখানে অংশগ্রহন করতে চাই না।

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

করুণাধারা বলেছেন: আমিও রমজান মাসে খুব আতংকিত থাকি। প্রতি রমজানে কেউ-না-কেউ সিরিয়ালের নায়িকার ড্রেস না পেয়ে আত্মহত্যা করে। খুবই অদ্ভুত লাগে ব্যাপারটা। রমজান মাস কি শুধুই ভোগের জন্য আসে?

১২| ১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

অনুতপ্ত হৃদয় বলেছেন: ঠিক বলেছেন …………রমাদান এখন খাবার মেন্যুর মাস

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

করুণাধারা বলেছেন: রমজান এখন নানা রকম খাবারের মাস। রেস্টুরেন্টগুলোতে নানারকম মেনু, নানা রকম অফার দেয়া থাকে। মানুষ ইফতারের দু-তিন ঘণ্টা আগে গিয়ে সেখানে ভিড় করে। ইফতার করতে গিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়া হয় না।

১৩| ১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

আবু আফিয়া বলেছেন: পবিত্র এ রমজানে আমাদের আত্মা হোক পরিশুদ্ধ

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

করুণাধারা বলেছেন: পবিত্র এ রমজানে আমাদের আত্মা হোক পরিশুদ্ধ আমিন।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, আবু আফিয়া।

১৪| ১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আইন করে অনেকগুলো অখাদ্য ভাজা-পোড়া বন্ধ করার দরকার; এগুলো মানুষের স্বাস্হ্যের জন্য খারাপ

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

করুণাধারা বলেছেন: ভালো বলেছেন, চাঁদগাজী। রমজানে যে ভাজাপোড়া গুলো করা হয় তার অধিকাংশই মবিল দিয়ে ভাজা হয়। এগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, চাঁদগাজী।

১৫| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: সব খাবো। কারো কোনো বাঁধা মানব না। গপ গপ করে খাবো।

১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২৬

করুণাধারা বলেছেন: নিশ্চয়ই খাবেন, যত খুশি খাবেন, কিন্তু সুরভীকে খাটানো চলবে না। একটানা খেতে থাকুন, মাগরিব থেকে শুরু করে ফজর পর্যন্ত

ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

১৬| ১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১০

জুন বলেছেন: করুনাধারা আপনি খুব সুন্দর করে লিখেছেন রমজান ও ঈফতারের আয়োজন নিয়ে। তুলে ধরেছেন রোজা রাখা বাড়ীর গিন্নীটির উপর বাড়তি কাজের বোঝা নিয়ে।
+

১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: জুন, রমজান মাসে বাসায় মেয়েদের খাটনি বেশি হয়- আমি ভাবতাম এটা বোধহয় শুধু আমাদের দেশেই হয়। আমার যুক্তরাষ্ট্রবাসী মেয়ে যে মসজিদে যায়, সেখানে একজন খুতবায় বলেছেন যেন রমজানে সকলে খাওয়া-দাওয়া একটু কম করে, তার ফলে বাড়ির মেয়েরা একটু রেস্ট নিতে পারে। শুনে বুঝলাম, সব দেশেই রোজা মাসে মেয়েদের খাটনি বেড়ে যায়। রোজার আর বাকি যেসব বর্ণনা দিয়েছি সেগুলো শুধু আমাদের দেশের জন্য বিশেষভাবে। আর কোন দেশের মানুষ কি ঈদের বাজার করতে অন্যদেশে ছুটে যায়?

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

১৭| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২৩

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আপনার জন্য চমৎকার একটা ইফতারের রেসিপি দিলাম , আশা করি আপনার ভাল লাগবে ।

২৮ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

রেসিপিটি ভালোলাগলো, আশাকরি ট্রাই করবো।

১৮| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

শামচুল হক বলেছেন: রমজানে বাড়তি ভুড়িভোজনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে বাড়ির গিন্নীর যে কাহিল অবস্থা হয় তা লেখায় তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

করুণাধারা বলেছেন: সত্যি, বাড়ির গৃহিণীর কথা কেউ ভাবেনা। সকলের জন্য ভুরিভোজের আয়োজন করতে, রোজা রেখে তারও যে ক্লান্তি লাগতে পারে এটা কেউ ভাবেনা!

মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, শামচুল হক।

১৯| ২৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: এবারের রোযা শুরুর প্রাক্কালে চমৎকার একটি পোস্ট লিখেছেন। ক্ষুরধার লেখনিতে অন্তর্ভেদী পর্যবেক্ষণের সংকলন।
আমি মাঝে মাঝেই রোযার মাসে করণীয় এবং আমাদের কৃত্কর্মের কিছু বৈপরীত্য নিয়ে ভাবি। প্রথমেই আসে সংযমের শিক্ষা। খাওয়া দাওয়া কমা তো দূরের কথা, এ মাসে তা অনেক বেড়ে যায়। সবচেয়ে খারাপ অভ্যাস রোযা শুর হবার ঠিক আগে আগে খাদ্য সামগ্রী মজুদ করার প্রবণতা। খুব বেশী হলে এক সপ্তাহের খাদ্যসামগ্রী কিনে রাখা যায়, পুরো মাসের নয়। তারপর ধরুন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি। এ মাসেই আমরা সবচেয়ে বেশী পথে ঘাটে থুথু ফেলি। অথচ এ মাসেই সবচেয়ে বেশী পাক পবিত্র থেকে সব সময় ইবাদতের একটা প্রস্তুতি নিয়ে থাকার কথা। পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কথাটা না হয় নাই বললাম। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের ধর্মীয় উৎসবের মাসে পণ্যমূল্যে ছাড় দেয়, আর আমরা তা বাড়িয়ে দেই কিংবা প্রতারণামূলক ছাড়ের ছদ্মাবরণে মুনাফা গুণি।
রোযার মাসে সবচেয়ে বেশী কষ্ট করেন বাড়ীর গৃহিণী। আগে দেখতাম মা বোনেরা কষ্ট করতেন, কিন্তু এখনকার বোনেরা ততটা রান্নাঘর মাড়ান না, তাই মায়েদের ঘাড়েই (গৃহকর্মীসহ) চাপটা বেশী পড়ে। তাদের অবস্থাটা সত্য করে তুলে ধরেছেন। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন তাদেরকে জাযা খায়ের দান করুন!
পাঠকের মন্তব্য অনেকগুলোই ভাল লেগেছে, তবে আলাদা করে ওমেরা এর নামোল্লেখ না করলেই নয়, তার ঐ ২ নম্বর অতি চমৎকার মন্তব্যটার জন্য। পবিত্র ক্বুর'আন থেকে নির্দিষ্ট আয়াতটির উল্লেখ করে তিনি আমাদেরকে রোযার মূল উদ্দেশ্য- 'তাকওয়া' অর্জনের কথাটা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। জাযাকুল্লাহি খাইরান!
আমি এতক্ষণ আপনার লেখা নিয়ে যা কিছু বলেছি, তা ভূয়া মফিজ এর একটি লাইনেই সংক্ষিপ্ত সার হিসেবে উঠে এসেছেঃ
সংযমের মাসে সংযমহীনতার কালচার আর গৃহকত্রীর কষ্ট, দু'টাই দারুনভাবে উঠে এসেছে আপনার লিখাতে।

০১ লা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: আপনার দীর্ঘ এবং চমৎকার মন্তব্যে আপ্লুত হলাম।

আমার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মেয়ে বলছিল, তাদের মসজিদে রমজানের প্রাক্কালে এক বক্তা আসন্ন রমজানে করণীয় সম্পর্কে বলছিলেন। সেখানে তিনি বলছিলেন, তাকওয়া অর্জন করতে হবে আর সেই সাথে যেন এ মাসে বাড়ির মহিলাদের কাজ একটু হালকা করা হয়, কারণ রমজান মাসে তাদের কাজের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। একথা শুনে আমি খুব আশ্চর্য হয়েছিলাম, আমি ভাবতাম শুধু আমাদের দেশেই গৃহিনীরা রমজান মাসে রান্না ঘরে খেটে মরেন। বুঝতে পারলাম, আসলে পৃথিবীজুড়ে মুসলিম মহিলাদের একই অবস্থা হয় রমজান মাসে। তখনই আমার এই পোস্ট লেখার ইচ্ছা হয়েছিল। আর বাকি যা লিখেছি, তা মনের ক্ষোভ থেকে লিখেছি। এই মাসে এত নিয়ামত, অথচ কত হেলাফেলায় আমরা মাস পার করি। এই যে সেহরি ইফতারে লিমিটেড- আনলিমিটেড নানারকম খাবারের অফার, এতে ব্যবসা হয়, হয়ত যারা খায় তাদের কিছু আনন্দও হয় কিন্তু সাথে সাথে প্রচুর অপচয় হয়। মাগরিবের নামাজ বাদ পড়ে যায়, যারা সেহেরি পার্টিতে যায় এরা অনেকে ফজরের নামাজ পড়েইনা- খুব খারাপ লাগে এসব দেখে এসব দেখে। আল্লাহ যেন এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটান।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। দোয়া করি, আল্লাহ এই মাসে আপনাকে
উত্তম নেয়ামত দান করুন।



২০| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:০৩

প্রামানিক বলেছেন: রোজার দিনে বাড়ির গিন্নীর উপর যে বাড়তি চাপ পড়ে তা সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। আসলেই তারা রোজা রাখা অবস্থায় অমানুষিক পরিশ্রম করে থাকে। ধন্যবাদ চমৎকার একটি পোষ্ট উপহার দেয়ার জন্য।

০১ লা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: আপনার উপলব্ধির জন্য অনেক ধন্যবাদ, আসলেই এই মাসে বাড়ির গিন্নির উপর অনেক চাপ পড়ে। অন্যদের মতো তাদেরও তো ইচ্ছা করে, ইফতারের পর একটু বিশ্রাম নিতে।

এই রমজানে ভালো থাকুন, দোয়া করি।

২১| ০১ লা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

শায়মা বলেছেন: আপুনি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

কেমন আছো?????????????????????

আমি তো ভয়ে ভয়ে আছি ........

আমার এত সাধের বানানো এবং সাজানো ইফতারগুলো নিয়ে পোস্ট দেবো কি দেবোনা ভেবে ভেবে!!!!!!

এবার সবাই মিলে যদি মাইর দেয়!!!!!!!!!! :( :( :(

০১ লা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

করুণাধারা বলেছেন: আরে শায়মা!!!! এতদিনে তোমার সময় হলো?

সামুতে যে সবাই অধীর আগ্রহে তোমার ইফতারের অপেক্ষায় বসে আছে! ঘ্রাণে যদি হয় অর্ধভোজন, তবে দর্শনে সিকি ভোজন আর ভার্চুয়াল দর্শনে ১% ভোজন- তাই বা কম কি? নিয়ে এসো, সাধের সব ইফতারি- এতদিন কি বানালে দেখি!!

তবে তোমার জিলাপির পোস্ট মাঝেমাঝে রিপোস্ট করতে পারো, ওটা দারুণ হয়েছিল। ওটা দেখে সেবার দারুন জিলাপি বানিয়েছিলাম। এবার আর তোমার জিলাপির পোস্টও নেই, আমারও জিলাপি বানানো নেই.......

২২| ০১ লা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

শায়মা বলেছেন: হা হা আপুনি!!!!!!!!

আরে জিলাপি বানিয়ে আমি তো নিজেই মুগ্ধ!!

তবে এবারে রেইনবো স্যান্ডুইচসহ আরও কিছু মজাদার আইটেম বানিয়েছি। ওকে আজকালের মধ্যেই তাইলে নির্ভয়ে নিয়ে আসছি মজাদার ইফতার পোস্ট। তুমি কিন্তু অভয় দিয়েছো! ডোন্ট ফরগেট...... :P

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

করুণাধারা বলেছেন: দারুন সব ইফতার! কিন্তু রেইনবো স্যান্ডউইচ মুখে পুরব কিভাবে তাই ভাবছি! দেখতে যেমন সুন্দর,খেতেও নিশ্চয়ই চমৎকার হয়েছে।

ভালো থেকো,দোয়া করি।

২৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

শায়মা বলেছেন: রেইনবো স্যান্ডুইচ আসলেই খাওয়া যায় না শুধু তাকায় তাকায় দেখতে ইচ্ছা করে। :)

২৪| ০৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৩

করুণাধারা বলেছেন: আচ্ছা, ফিরে এসে রেসিপিটা দাও, দেখি খাওয়া যায় কিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.