নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনে চলার পথে কত রকম মানুষের সাথে দেখা হয়ে যায়। কারো সাথে শুধু ক্ষনিকের দেখা, কারো সাথে কিছুক্ষণ একসাথে পথ চলা। কেউ আজো স্মৃতিতে উজ্জ্বল, কেউ বিস্মৃতির পর্দা ঠেলে হঠাৎ মুখ বাড়ায়। অনেক কাল আগে দেখা এমন তিনজন মানুষকে মনে করে আজকের পোস্ট।
হিউম্যান কম্পিউটার
তখন শুধু বিটিভি ছিল। একদিন দেখি খবরে এক ছেলের সাক্ষাৎকার দেখাচ্ছে- ছেলেটি নাকি হিউম্যান কম্পিউটার! সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটরের অনেক ফাংশন সে মুখে মুখে করে ফেলতে পারে- যেমন কোন সংখ্যার পজেটিভ এক্সপোনেন্ট টু দি পাওয়ার এগার আর নেগেটিভ এক্সপোনেন্ট টু দি পাওয়ার আট পর্যন্ত, লগ, লন ইত্যাদি সে মাথার মধ্যে হিসাব নিকাশ করতে পারে। ছেলেটি বুয়েটে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
বেশ অবাক করা ঘটনা- তাই ইচ্ছে হলে যাচাই করে দেখবার, সত্যি নাকি বুজরকি! কয়েকদিন পর যাচাই করার সুযোগও পেয়ে গেলাম- পোস্ট অফিসের বারান্দায় তাকে দেখতে পেয়ে বললাম, আমরা তার কেরামতি দেখতে চাই। তিনি রাজি হলেন, আমরা চারজনে ক্যালকুলেটর বের করলাম পরীক্ষা নেবার জন্য। প্রথমে বড় সংখ্যার গুন-ভাগ। আমরা যখন মুখে সংখ্যাটা বলে ক্যালকুলেটর টিপছি, তখন আমাদের হিসেব শেষ হওয়ার আগেই তিনি উত্তর বলে দিচ্ছিলেন- একেবারে সঠিক উত্তর। এরপর শুরু এক্সপোনেন্ট, যত বড়ই হোক না কেন সেগুলো তিনি করতে পারছিলেন, শুধু এবার একটু সময় লাগছিল আর কেমন যেন দাঁত কিড়মিড় করছিলেন। এক সময় আমাদের পরীক্ষা নেয়া শেষ হলো। এতই অবাক হয়েছিলাম যে, কোন ধন্যবাদ টন্যবাদ না দিয়েই আমরা চলে এসেছিলাম। কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না, কি করে ক্যালকুলেটর ছাড়া এই সব হিসাব করা সম্ভব হল!!
এরপর আবার উনি খবর হলেন, এবার পত্রিকার পাতায়। ততদিনে উনি পাস করে বের হয়ে চাকরি করছেন। একদিন দেখি পত্রিকায় একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বুয়েট কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে যে, উনার বুয়েটের সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে উনি বুয়েটে ভর্তির সময় যে মার্কশীট দিয়েছিলেন তা আসল নয়, সম্ভবত ফিজিক্স বা কেমিস্ট্রির নাম্বার বাড়িয়ে তিনি জাল মার্কসিট জমা দিয়েছিলেন যাতে ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে পারেন।
মার্কসিট জাল করে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন, কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। তাই তার এ পরিনতি দেখে বেশ দুঃখ পেয়েছিলাম। কিন্তু বুয়েট কর্তৃপক্ষ কি করে জানল যে, তার মার্কসিট জাল!?
শুনলাম তার কোন এক "বন্ধু" বুয়েটে জানিয়ে দিয়েছিল মার্কসিট জালের কথা।
এরপর হিউম্যান কম্পিউটারের কোন খবর আর কখনোই জানতে পারি নি।
ছোটবোন
তখন আমরা নানা বাড়ি থাকি। এক সন্ধ্যাবেলায় দুজন অচেনা অতিথি এলেন। আমার বয়সী এক কিশোরী মেয়ে, আর তার বাবা। শুনলাম ওরা আমাদের দূরসম্পর্কের আত্মীয়, ভারত থেকে এসেছেন, কিন্তু কেন এসেছেন সেটা জানতে পারলাম না। পরদিন সকালে দেখি ওদের সাথে যোগ দিয়েছে এক তরুণ, শুনলাম তরুণটি ওই মেয়েটির ভাই। ভাই, বোন, বাবা তিন জন এক ঘরে বসে সারাদিন কথা বলছিল। আমার খুব কৌতুহল হচ্ছিল, তাই মাঝে মাঝেই গিয়ে দাঁড়াচ্ছিলাম, কিন্তু কোন কথা শুনতে পাচ্ছিলাম না। জানালা দিয়ে দেখতে পাচ্ছিলাম মেয়েটি ভাইয়ের দুহাত ধরে অনর্গল কথা বলছে, আর ভাই হাসিমুখে সব শুনছে, মাঝে মাঝে কথা বলছে। বাবা চুপচাপ বসে ভাই-বোনকে দেখছেন।
ভাই কোন সময় চলে গেল জানিনা। পরদিন বাবা আর বোনও বিদায় নিলেন। তারা চলে যাবার পর তাদের সম্পর্কের জানতে পারলাম।
বছর দুয়েক আগে ভাইটি ( তার নাম দিলাম গামা) কলেজে পড়তো; পড়াশোনা খেলাধুলা সব কিছুতেই সে খুব ভালো ছিল। এক হিন্দু ছেলের সাথে কোন কারনে তার ঝগড়া হয়। এরপর থেকে হিন্দু ছেলেটি সবসময় তাকে উত্যক্ত করত। একদিন খেলার সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে গামা ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে হিন্দু ছেলেটাকে মারতে থাকে, মারতে মারতে মেরেই ফেলে! এই হত্যাকাণ্ডের ফলে ছোট শহরটিতে রায়ট বেধে যাওয়ার উপক্রম হয়। গামার স্বজনেরা তাকে সরিয়ে দেন, একেবারে বর্ডার পার করে বাংলাদেশে। আদালতে বিচার হলে অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে খুনের দায়ে হয়ত তার ফাঁসি হত না, কিন্তু যাকে খুন করেছিল তার স্বজনেরা নাকি গামাকে খুন করে বদলা নিতই।এদের থেকে বাঁচাতেই গামাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের কোথায়, কিভাবে থাকত জানিনা, স্বজনদের সাথে কোন যোগাযোগ ছিল কিনা তাও জানি না। কিভাবে আমার নানার বাসায় সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা হয়েছিল সেটাও জানি না, শুনলাম ছোট বোনটি ভাইয়ের জন্য খুব কান্নাকাটি করত। তাই ভাইকে দেখাবার জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকা স্বত্ত্বেও বাবা তাকে নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
বোনতো দেখে গেল, কিন্তু মা আর অন্য ভাই বোনরা!! তাদের কেমন লাগত যখন বাড়ির সবচেয়ে ছোট কিশোর ছেলেটি খুনের দায়ে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াতো! কখনোই জানতে পারি নি। সতের আঠারো বছর বয়সে একটা ছেলে মা, আত্মীয় পরিজন হীন অচেনা দেশে কি করে থাকতো জানিনা।
বছরখানেক পর একদিন খবর এলো, গামা মারা গেছে সড়ক দুর্ঘটনায়, সে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জে যাচ্ছিল। যখন মৃত্যুর খবর এলো ততক্ষণে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে তার লাশ নারায়ণগঞ্জে দাফন হয়ে গেছে। সবাই বললো ভালোই হয়েছে, এভাবে বেঁচে থাকার কোনও অর্থই হয় না। মৃত্যুকে এড়াতে সে পালিয়ে এসেছিল। এড়াতে পারল কই?
ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে ছোট বোনটি কি করেছিল? সে কি আকুল হয়ে ভাইয়ের জন্য কেঁদেছিল?
মদ্যপ
ডাল-ভাতের মতো করে, কিংবা ডাল ভাত খাওয়ার সাথে সাথে কেউ মদ খেতে পারে, এই জিনিস আমার কখনো দেখা ছিল না। দেখলাম দুবাইতে, এক ভদ্রলোকের বাসায়। তিনি ক্রমাগত মদ খাচ্ছিলেন, কিন্তু তা সত্বেও তিনি স্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। বউ ছেলে মেয়েরাও তার এই মদ খাবার স্বভাবটাকে খুব স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছিলেন। ভদ্রলোক ব্যাংকে উচ্চপদে চাকরি করতেন। ধরা যাক তার নাম আলফা। আলফা সাহেবের বাসায় নানারকম মদ রাখা ছিল। আমার স্তম্ভিত, বিস্মিত চোখের সামনে তিনি মদ খেয়েই যাচ্ছিলেন- কথা বলতে বলতে, হাঁটতে হাঁটতে, এমনকি যখন টেবিলে বসে ভাত খাচ্ছিলেন তখনো একই সাথে মদও খাচ্ছিলেন।
আলফা সাহেবের বাসায় বসার ঘর ছিল সুসজ্জিত, সেখানে অনেক কিছুর মধ্যে দেয়ালে ফ্রেম করা একটা সার্টিফিকেট ঝুলছিল- সার্টিফিকেটের উপর লেখা Drunker's certificate, মদ্যপের প্রত্যায়নপত্র। মদ খাবার জন্য নাকি দুবাইতে এই সার্টিফিকেট নিয়ে রাখতে হয়- কোন কর্তৃপক্ষ এমন সার্টিফিকেট দেয় তা জানা হয় নি অবশ্য! এই সার্টিফিকেটের পাশাপাশি দেয়ালে ফ্রেম করে এই বাক্যটি ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিল
"In order to prevent hang over he prefers always to be drunk."
তার অর্থ কি, তিনি যতক্ষণ জেগে থাকেন ততক্ষণ মদ খেতে থাকেন?
আলফা সাহেবকে ওই একদিনই কয়েক ঘণ্টার জন্য দেখেছিলাম। কিন্তু এখনো যখন কারো নেশার কথা শুনি তখন মাঝে মাঝেই আলফা সাহেবকে মনে পড়ে- খুব জানতে ইচ্ছে করে আলফা সাহেব কি আগের মতোই মদ্যপ রয়ে গেছেন!!!
নাকি মদ তাকে খেয়ে ফেলেছে!!!
==================================================================================
==================================================================================
পিছনে ফিরে তাকালে এমন কত মানুষের কথা মনে পড়ে। তাদের সম্পর্কে কিছু জানার কোন উপায়ই জানা নেই!!!
২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭
করুণাধারা বলেছেন: পড়ার এবং লাইক দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।
২| ২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপু আপনার মনে পড়ে যাওয়া মানুষদের কথা পড়তে গিয়ে আমারও বেশ কিছু মানুষের কথা মনে পড়ে গেল।
আপনার লেখাটি খুবই ভাল লাগল।আমিও আপনার মত করে আমার কিছু মনে পড়ে যাওয়া মানুষের কথা একদিন লিখব।
আমারও খুব জানতে ইচ্ছে করে কিছু মানুষের সম্পর্কে।তারা এখন কোথায় আছে,কিভাবে আছে,কেমন আছে?
জীবনে কিছু কিছু মানুষ ক্ষনিক সময়ের জন্য এলেও মনের ভেতরে তারা রয়ে যায় আজীবন।
২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: লিখেই ফেলুন, অপেক্ষায় থাকলাম পড়ার জন্য। চরিত্রের বৈচিত্র আমাকে সবসময়ই ভাবায়।
অনেক চাপা পড়ার স্মৃতি হঠাৎ হঠাৎ জেগে উঠে, অনেকের কথা মনে পড়ে তখন। আবার কখনো ক্ষণিকের চেনা মানে মানুষটি কোথায়, কেমন আছে জানার জন্য মন আকুল হয়।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, মোস্তফা সোহেল। শুভেচ্ছা রইল।
৩| ২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২
সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রথম ঘটনায় ছেলেটা ব্রিলিয়ান্ট তবে সৎ নয়। সেজন্য তার সাথে যেটা ঘটে গেছে, সত্যি বলতে সেজন্য একটুও আফসোস হচ্ছে না। যদিও সে যেটা করেছিল নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে সেটা কতটা ঠিক আর কতটা বেঠিক, তা হিসাব করা হয়তো অনেকের জন্য কঠিন হবে...
এমনও তো হতে পারে, হয়তো অনিবার্য্য কারণে তার মার্কসীটের নাম্বার কমে যাওয়ায় পরবর্তিতে বড় কোন প্রতিষ্টানে পড়ার আকাংখা বাস্তবায়নে নিজের ইচ্ছাকে মূল্য দিতে গিয়েই তাকে এই অসৎ পথ অবলম্বন করতে হয়েছিল। তবে সেজন্য তার মেধার দিকে তাকিয়ে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছুটা সেক্রিফাইজ করা যেত কিনা কে জানে?
আবার অন্যদিক দিয়ে ভাবলে সে যে একজন অন্যায়কারী এটাও তো ঠিক। তাছাড়া কলেজ কর্তৃপক্ষ নিশ্চই তদন্ত না করে অহেতুক কোন এ্যাকশানে যায়নি? সুতরাং যেটা হইছে সেটা হয়তো সকলের জন্যই ভালো হইছে! অন্তত তাকে দেখেই হয়তো পরবর্তিতে কেউ আর এধরনের কোন অন্যায় করার সাহস পাবে না।
ধুর, তালগোল পাকানো ব্যাপার! একদিকে মানবিক দিক দেখতে গেলে অন্যায় মেনে নিতে হয়। আবার না দেখলে একটা মেধার অবমূল্যায়ন করা হয়। ঠিক এই পরিস্থিতিতে পড়লে আপনি কি করতেন খুব জানতে ইচ্ছা করতেছে!
বাকি দু'টো ঘটনাও পড়লাম। তবে সবগুলোর মধ্যেই কেমন জানি একটা বিষাদমাখা ব্যাপার আছে! শুভ কামনা জানবেন!
২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯
করুণাধারা বলেছেন: তিনজন মানুষের মধ্যে এই হতভাগা ছেলেটিই আপনার দীর্ঘ মন্তব্য জুড়ে রইল!! মন্তব্যে আপনার নাম দেখে আমি ভেবেছিলাম সম্ভবত ছোট বোন লিখাটি পড়ে আপনি মন্তব্য করতে এসেছেন, কারণ এই লেখা টি আপনারই একটি লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা। আমরা অবশ্য এই ছেলেটার কথা মনে হলে মন খারাপ হয়ে যায়। ছেলেটা বলছি, কারন আমার চোখে এখনো সেই ২২-২৩ বছরের রোগা, গোবেচারা ছেলেটির ছবিই ভাসে।
আমার মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দোষ করেছে, তারা কেন সাথে সাথে বা এক বছরের মধ্যে marksheet পরীক্ষা করেনি। তখন যদি তারা ছেলেটিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিত তাহলে সে অন্য কিছু করতে পারত বা অন্য কোথাও পড়তে পারত ।কিন্তু যখন তার সার্টিফিকেট cancel করল তখন তার আর কিছুই করার ছিলনা।
কোন ঘটনা কে বিভিন্ন perspective যে দেখা যায়। কোন মা যদি সন্তানদের মুখের আহার যোগাবার জন্য চুরি করে তবে আমি তাকে নির্দোষ বলবো। এই ছেলেটা কেন এমন করেছিল তা জানা যায়নি। কিন্তু একটা ২৩/২৪ বছর বয়সের ছেলে বনাম ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ- তাদের উচিত ছিল এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়ার যাতে ছেলেটির শাস্তি হয় কিন্তু তাঁর জীবন এভাবে শেষ না হয়ে যায়।
আপনি ছেলেটিকে নিয়ে অনেক ভেবেছেন, অনেক ধন্যবাদ সাহসী সন্তান। আরেকটা ধন্যবাদ লাইকের জন্য।
৪| ২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০
সিগন্যাস বলেছেন: আপু আপনার প্রোফাইল পিক কোথায়?
২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: প্রোফাইল পিক? বহুকষ্টে ব্লগে লিখা শিখেছিলাম, প্রোফাইল পিক কিভাবে দিতে হয় তাই জানতাম না। এখন হয়তো চেষ্টা করলে পারব, কিন্তু ইচ্ছাই করে না যে!!
মন্তব্য এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, সিগন্যাস। শিগগিরই প্রথম পাতায় পোস্ট নিয়ে আসুন, শুভকামনা রইলো।
৫| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রথম দুই'টা ঘটনা মন এলোমেলো করে দিলো।
আর তৃতীয় টা !!! কত অজানারে ।
লেখায় ভালোলাগা আপু।
২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: লেখা ভালো লেগেছে? ধন্যবাদ মনিরা।
তৃতীয়টা !!! ইসলামিক দেশের শহর দুবাইতে আজকাল নাকি মদ খুব সহজলভ্য! কিন্তু আমি যে সময়ের কথা বলছি সে সময় এমন ছিল না। সেই সময়ে একজন লোক কেন নিজেকে মদ্যপ হিসাবে জাহির করতে চাইতেন তা আজও আমি বুঝতে পারিনা।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ মনিরা, শুভকামনা রইল।
৬| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা ,
লেখার প্রেক্ষাপট, আঙ্গিক বেশ জমাটি ।
আসলেই জীবনে চলার পথে কত রকম মানুষের সাথেই যে দেখা হয়ে যায়, কেউ দাগ কেটে যায় , কেউ হারিয়ে যায় নিরবে।
৩ নং মন্তব্যের বক্তব্য আর তার প্রতিমন্তব্য গোটাটুকুই ভেবে দেখার মত । আপনাদের দু'জনেই নিজ নিজ অবস্থানে ঠিক । আমি অবশ্য আপনার দিকেই থাকবো । একটি মেধাবী ছেলের জন্যে ওটুকু অন্যায় ক্ষমার চোখে দেখাই সর্বোত্তম , তাই !
২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৮
করুণাধারা বলেছেন: স্মৃতি সততই সুখের। বিগত দিনের ঘটনাগুলো নিয়ে যখন আজ বসে ভাবি, তখন খুব জানতে ইচ্ছা করে ফেলে আসা দিনের সেই সব মানুষেরা কেমন আছে! মাঝে মাঝে মনে হয়, আমাদের একটি ক্ষমাই পারে একটি মানুষের জীবন সুন্দর করে তুলতে- যেমন প্রথম ঘটনায় বুয়েটের কর্তৃপক্ষ যদি ছেলেটিকে এতোটা শাস্তি না দিত এবং দ্বিতীয় ঘটনায় যদি নিহতের স্বজনেরা ঘাতক ছেলেটিকে হত্যার জন্য হন্যে হয়ে না খুঁজত, তাহলে হয়তো ছেলে দুটির জীবন অন্যরকম হতে পারত!!
আপনার মন্তব্য এবং প্লাস আমার জন্য অনুপ্রেরণা, অসংখ্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।
৭| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এমন ঘটনার স্মৃতি হয়ত প্রত্যেকের জীবনেই কমবেশী আছে। কিন্তু তা নিয়ে ভাবার সময়ই হয়ত কেউ কেউ পায় না। আপনার লেখায় নিজেরও অনেক ঘটনার স্মৃতি মনে ভেসে উঠল। যদি সময় ও সুযোগ হয় হয়ত কোনদিন লিখব। খুব সুন্দর লিখেছেন! প্লাস!
২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: এমন ঘটনার স্মৃতি হয়ত প্রত্যেকের জীবনেই কমবেশী আছে। কিন্তু তা নিয়ে ভাবার সময়ই হয়ত কেউ কেউ পায় না , ঠিক বলেছেন সম্রাট ইজ বেস্ট। আমার এখন পিছনের দিনের দিকে ফিরে তাকানোর মত অনেক সময় আছে, তাই ফিরে দেখছি। বহুদিনের ভুলে যাওয়া অনেক ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
আপনিও লিখুন, পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার মন্তব্য এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম। ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা।
৮| ২৮ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৪৫
সোহানী বলেছেন: খুব ভালো লাগলো নিজের মনে গেঁথে যাওয়া সম্পূর্ন ভিন্ন কয়টি চরিত্র তুলে এনেছেন।
প্রথম ঘটনাটি মনে দাগ কেটেছে অবশ্যই। কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই ক্ষমা করতে পারতেন না কারন তাহলে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হতো। তার ভাগ্যে কি ঘটেছে জানি না তবে এটাও ঠিক তার মেধাকে মূল্যায়ন করা ও উচিত ছিল। কিন্তু আমাদের এ অভাগা দেশে এর কোন সুযোগ নেই।
দ্বিতীয় ঘটনাটি খুব মন খারাপের। এভাবে একটি তরুন ঝড়ে পড়লো অকালে। সামান্য একটা ইন্সিডেন্ট পুরো ফ্যামিলিকে তছনছ করে দিল।
তৃতীয় ঘটনা খুব স্বাভাবিক মনে হয়েছে কিছু লোকের জন্য। এ ধরনের মদ্যপ পশ্চিমা বিশ্ব কেন দেশেও পাবেন .......।
২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: সোহানী, আমার মনের অনেক ভাবনা শেয়ার করার জায়গা এই ব্লগ। অনেক ঘটনা, অনেক মানুষকে মনে পড়ে; তার থেকে কিছু এখানে শেয়ার করলাম। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
আসলে জীবন তো কখনো একরকম ভাবে চলে না। হঠাৎ আসা ঝড় যেমন সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দিতে পারে, তেমনি কোন কোন ঘটনা জীবনকে একেবারে লন্ডভন্ড করে দেয়। প্রথম দুটি মানুষের জীবনের দুটি ঘটনা তাদের জীবন শেষ করে দিয়েছিল।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা।
৯| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম দু'জন ব্যক্তির জন্য সহানুভূতি অনুভব করছি। প্রথম জনের ব্যাপারে আপনার ৩ নং প্রতিমন্তব্যের সাথে একমত।
আমার এখন পিছনের দিনের দিকে ফিরে তাকানোর মত অনেক সময় আছে, তাই ফিরে দেখছি। বহুদিনের ভুলে যাওয়া অনেক ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠছে (৭ নং প্রতিমন্তব্য) - আমারও এখন একই অবস্থা। ইচ্ছে আছে এরকম কিছু ঘটনা নিয়ে লেখার।
চমৎকার এই পোস্টে ভাল লাগা + + রেখে গেলাম।
২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: আসলে আমার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগছে, আবার হয়তো আমার জীবনের অভিজ্ঞতা কারো জীবনে কাজে আসতে পারে। এইসব ভেবে ব্লগে এই সব কথামালা।
আপনার লেখা সবসময়ই আগ্রহ নিয়ে পড়ি, এইরকম ঘটনা নিয়ে কিছু লিখুন। আশাকরি বরাবরের মতো আগ্রহোদ্দীপক হবে।
মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, ধন্যবাদ।
১০| ২৯ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯
জুন বলেছেন: করুনাধারা আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার স্মৃতির অর্গল খুলে অনেক মনে পড়ে যাওয়া মানুষের মুখ ভেসে উঠলো । তবে আপনার গামা মামার ব্যপারটি ভীষন কষ্টকর একটি স্মৃতি । ভালোলাগা রইলো লেখায়।
+
২৯ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০
করুণাধারা বলেছেন: হ্যাঁ, আমাদের সকলেরই এরকম কিছু না কিছু স্মৃতি থাকে, কোন মানুষকে নিয়ে। স্মৃতিগুলো মনে হয় একটা ঝাঁপির বন্ধ থাকে, হঠাৎ এক একটা স্মৃতি ঝাঁপি খুলে বেরিয়ে আসে। লিখে ফেলুন না আপনার চেনা কিছু মানুষের কথা, আমরাও তাদের কথা জানতে পারি তাহলে!
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ, জুন।
১১| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:০৫
শামচুল হক বলেছেন: তিনটি ঘটনাই পড়লাম, তিনটিই ব্যাতিক্রম মনে হলো। ধন্যবাদ এধরনের কহিনী দেয়ার জন্য।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৩
করুণাধারা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ, শামচুল হক। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
ভালো থাকুন।
১২| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর
০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৮
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্য এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।
অবশ্য একটা কথা ভেবে বিব্রত হচ্ছি, আপনি নিয়মিতভাবে আমার পোস্টে মন্তব্য করেন আর আমি নিয়মিত আপনার পোষ্ট পড়ি কিন্তু কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এরপর থেকে আশা করি এই ভুল হবেনা।
ভালো থাকুন, সবসময়।
১৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্যার, মানুষ খুব অসাধারণ একটি প্রাণী। এর কোন বিকল্প নেই। কিন্তু মানুষ হওয়া খুব কঠিন। আজো মানুষ হতে পারলাম না।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৯
করুণাধারা বলেছেন: কেন এ কথা বলছেন জানি না!! আপনি সব সময় ভালোর পক্ষে লিখেন, তাই আমার মনে হয় আপনি মানুষের ভাল চান। আপনার মধ্যে শুভ চেতনা কাজ করে, সুতরাং আপনি একজন ভালো মানুষ। দোয়া করি আরো ভালো মানুষ যেন হতে পারেন।
একটা কথা, আমাকে স্যার বলছেন কেন বুঝতে পারছিনা। আমাকে ব্লগে সম্বোধন করতে সকলে আপু বলে, যদিও তারা আমার পরের প্রজন্মের মানুষ!!!
শুভকামনা।
১৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার নিক দেখে তো বুঝার কোন উপায় ছিল না যে আপনি আপু , না ভাইয়া। তাই স্যার বলেছি। আপনি হয় তো জানেন যে, বাংলাদেশে যারা প্রশাসন ক্যাডারে সরকারী চাকরি করেন তা্রা নারী হলেও "স্যার" সম্বোধন করেন। স্যার শব্দটি এখন কেন যেন জেন্ডার এর বাইরে মানে উর্ধ্বে চলে যাচ্ছে।
আপনি অনেক অনেক ভালো থাকুন। আপনার জন্য সীমাহীন শুভ কামনা।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২২
করুণাধারা বলেছেন: ফিরে এসে আবার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ, মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।
ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা রইল।
১৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপুমণি, একটি কথা বলা হয়নি। আপনার পোস্ট পড়ে পোস্টের মানুষ গুলোর জন্য আমার খুব কষ্ট লেগেছে।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২৭
করুণাধারা বলেছেন: এই মানুষগুলোর কথা মনে হলে আমারও মন খারাপ লাগে- সে জন্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করা। এমন মানুষ আমাদের আশেপাশেই আছেন, আপনারও নিশ্চয়ই এমন অনেকের সাথে দেখা হয়েছে, যাদের কথা এখন মনে পড়ে মন খারাপ লাগে। লিখে ফেলুন তাদের কথা- আমরাও তাদের কথা জানতে পারি তাহলে।
১৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:০০
রাকু হাসান বলেছেন: স্মৃতির পাতায় আচঁর দিলেন .............সুন্দর +++++
০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম, রাকু হাসান।
আপনার মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম। আশা করি ভবিষ্যতেও সাথে থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২০
কাইকর বলেছেন: পড়লাম সাথে লাইক দিলাম।